#গ্যাসবেলুনপর্ব_৫
“শ্রেমা, তুমি বোধহয় ভুলে গিয়েছো, মাধূর্য আমারো সন্তান!”
.
মার্কেটের মধ্যে অদ্ভুত একটা নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো।
অরণী আর অরূপের মার্কেটে ঢোকার পরপরই একটা জুয়েলারি শপে মাধুর্যকে দেখেই অরূপ ছুটে গিয়ে কোলে তুলে নিলো তাকে। বাচ্চাটা খিলখিল করে হাসছিলো অরূপের আঙ্গুল ধরে। অরূপের চেহারায় সেই অ্যালবামের প্রতিটা ছবিতে দেখা হাসিটা দেখতে পেলো অরণী। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকলো সে।
.
অরণী যখন অরূপের পাশে এসে দাঁড়ালো, তার পরপরই অরূপের এক্স ওয়াইফকে দেখতে পেলো।
.
গয়নার দোকানে গয়না কেনায় মশগুল মহিলা বাচ্চার দিকে খেয়াল করার কথাও বুঝি ভুলতে বসেছিলেন। ভীড়ের মাঝে বাচ্চাটাকে যে কেউ তুলে নিয়ে চলে গেলেও মহিলাটা বুঝতে পর্যন্ত পারতেন না। অথচ আচমকা ঘাড় ঘুরিয়ে অরূপের কোলে মাধূর্যকে দেখেই যেনো একপ্রকার ছিনিয়ে নিলেন। এমন একটা অভিনয় শুরু করলেন যেনো, অপরিচিত একজন লোক তার বাচ্চাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাচ্ছিলো। অরূপ হতভম্ব চোখে তাকিয়ে আছে মহিলার দিকে!
.
অরূপ তখনই তাজ্জব দৃষ্টিতে বললো,
“শ্রেমা, তুমি বোধহয় ভুলে গিয়েছো, মাধূর্য আমারো সন্তান!”
.
“কোর্টের নোটিশ ছাড়া তো তোমার ওর সাথে দেখা করার কোনো অধিকার নেই! ও আমার একার সন্তান, আমি একাই তো মানুষ করছি।”
.
“শুনো শ্রেমা, আমি আমার মেয়ের দায়িত্ব নিতে সক্ষম। তুমি কতটা ওর খেয়াল রাখো সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি।”
.
মহিলাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে অরূপ জুয়েলারি শপ থেকে বেড়িয়ে এলো। অরণী অরূপের পিছু পিছু বের হলো।
.
অরণী হাঁটতে হাঁটতে বললো, “আজ নাহয় বাড়ি ফিরে চলুন। পরে আবার আসা যাবে!”
.
“পরে কি আপনি একা আসবেন? এতো সময় আমার অন্তত নেই যে একই কাজ করার জন্য আবার বের হবো।”
.
অরণী ধাতানি খেয়ে চুপ করে গেলো। দোতলায় উঠে শাড়ি কয়টা বদলে নিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যে পেড়িয়ে গেলো। মার্কেটের ঘটনা নিয়ে কোনো কথা তুললোনা অরূপ৷ এমনকি ঐ ঘটনার জন্য তার আচরণে রাগ কিংবা কষ্ট কোনোটাই দেখতে পেলোনা অরণী।
.
অরূপ রাতে খেতে নিচে নামলোনা। বাইরে থেকে ফিরে নাকি মাথায় যন্ত্রণা করছিলো খুব। অরূপের মা প্লেটে ভাত নিয়ে গিয়ে ফিরে আসলেন। অরূপ নাকি মাথাব্যথায় বমি করে যাচ্ছে অনবরত; কিছু খেতে পারছেনা। অরণীও ভালো করে খেতে পারলোনা। অনেকক্ষণ নাড়াচাড়া করে বেশিরভাগ খাবার না খেয়েই ঘরে এসে শুয়ে পড়লো। অন্তু আজ ওর নিজের ঘরেই ঘুমিয়েছে। অরণী বিছানায় শুয়ে ছটফট করছে; ঘুম আসছেনা কোনোভাবেই।
.
মাঝরাতে হঠাত মুখের ওপর জলের ছিটা অনুভব করে ঘুম ভেঙে গেলো অরণীর। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলো সে বুঝতেই পারেনি। বাইরে ঝুম বৃষ্টি এসেছে। খোলা জানালা দিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা এসে তার মুখে পড়ছিলো। অরণী উঠে জানালা বন্ধ করে আবার শুতে গিয়ে অরূপের কথা মনে পড়লো। কি মনে করে অরূপের ঘরের দিকে যেয়ে দেখলো, অরূপ ঘরে নেই। অরণী দোতলার সবগুলো ঘরে তাকে খুঁজে না পেয়ে নিচে নামলো। নিচে কোনো ঘরেই অরূপ নেই।
.
অরণীর বুক ধুকপুক করতে শুরু করলো। এতো রাতে এই বৃষ্টির মাঝে ছেলেটা বাইরে বেড়িয়ে গেলো নাতো?
.
অরণী দোতলায় উঠতে গিয়ে ছাদের দরজায় আওয়াজ পেলো। জোরালো বাতাসে ছাদের খোলা দরজায় জোরে শব্দ হচ্ছে। অরণী ছুটে ছাদে উঠে গিয়ে দেখলো, অরূপ ছাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে। অরণী চিৎকার করে বললো, “মাঝরাতে এভাবে বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে আপনার৷ ভেতরে আসুন। শুনছেন???”
.
অরূপ শুনতে পেলো কিংবা পেলোনা। সে সেভাবেই দাঁড়িয়ে ভিজতে লাগলো। অরণী ছাদে নেমে অরূপের পাশে গিয়ে বললো, “এই বৃষ্টিতে এতক্ষণ ভিজবেন না। আপনার জ্বর আসবে।”
.
অরূপ আচমকা অরণী জড়িয়ে ধরলো। অরণীর দমবন্ধ হয়ে আসছে। অরূপ শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে যেনো তার সব অভিমানগুলো জড়ো হয়ে আঁকড়ে ধরতে চাইছে অরণীকে। অরণী স্পষ্ট বুঝতে পারলো, অরূপ থরথর করে কাঁপছে। বৃষ্টির জল, নোনাজলে ছুঁয়ে পড়ছে ছাদের ওপর। অরণী আস্তে করে অরূপের পিঠের ওপর হাত রাখলো।
.
সবার সামনে রাগ দেখিয়ে চলা মানুষটা রাগ দিয়ে এতদিন কষ্টগুলোকে আড়াল করেছে। আজ হয়তো এই মাঝরাতে অরণীকে আঁকড়ে ধরে কেঁদে ঝেড়ে ফেলতে চাচ্ছে সব আঘাত। অরণী কোনো কথা বললোনা। নিচে নামার জন্য জোর করলোনা। স্থির দাঁড়িয়ে থাকলো অরূপের বুকে মিশে।
.
হঠাত অরূপ যেনো জ্ঞান ফিরে পাওয়ার মতো এক ধাক্কায় সরিয়ে দিলো অরণীকে।
.
“এতরাতে আপনি ছাদে কি করছেন?”
.
অরণী অবাক হয়ে তাকালো অরূপের দিকে। তাহলে কি তিনি আমাকে না চিনে, অন্যকেউ ভেবে জড়িয়ে ধরেছিলেন?
.
“কি হলো? উত্তর দিচ্ছেন না কেনো? মাঝরাতে খোলা ছাদে বৃষ্টির মধ্যে একা একটা ছেলের কাছে আসা কোন ধরণের অসভ্যতা?”
.
অরণী কোনো কথা বলতে পাচ্ছেনা। মানুষটার যেনো সময়ে সময়ে রূপবদল হয়!
.
অরূপ অরণীকে পাশ কাটিয়ে নিচে নেমে গেলো। বৃষ্টি অনেকটাই কমে এসেছে।অরণী কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নিচে নেমে এলো।
.
অরণী বাসায় এসে টাওয়েল নিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেলো। গোসল করে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো। পাশ ফিরে হঠাত তার মনে হলো, “এই রাগী মানুষটাকে সে ভালোবাসে, প্রচন্ডরকমভাবে ভালোবাসে। এই রাগগুলোকে সে তার একার করে নিবেই!”
আপনমনেই অনাবিল একটা ভালোলাগায় ভরে উঠলো সে।
.
অরণীর ঘুম ভাঙলো সাড়ে নয়টায়। ভোরবেলা ঘুমোতে গিয়েও সকাল সকাল তার ঘুম ভেঙে গেলো। উঠে বসে আড়মোড়া ভেঙে এদিকওদিক তাকাতে গিয়ে বেডসাইড টেবিলের ওপর পেপারওয়েট দিয়ে চাপা দেয়া লাল একটা কাগজ দেখতে পেলো। কাজটা হাতে নিয়ে কাগজের ভাঁজ খুলে পড়তে লাগলো অরণী,
“মিস অরণী, আমি দুঃখিত গতরাতের ঘটনার জন্য!”
.
অরণী হাসলো। কাগজটা ভাঁজ করে রাখতে রাখতে বললো, “ছেলে দেখি ক্ষমা চাইতেও জানে। কিন্তু মিস্টার, আমার তো ভালোই লেগেছিলো গত….”
.
“এই মেয়ে, সকাল সকাল একা একা কি বলতিছিস?”
ছোটফুপু অবাক হয়ে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললো।
অরণী তাড়াতাড়ি কাগজটা টেবিল থেকে সরিয়ে ওড়নার আড়ালে নিয়ে বললো, “কই কি ফুপু? আমার অমন একটু একা একা কথা বলার বাতিক আছে!”
.
“সেটাই তো দেখতিছি। আর কত বাতিক যে দেখবো জীবনে…. এখন উঠে পড় দেখি। সবাই নাস্তা করতে বসে গিয়েছে। যা ফ্রেশ হয়ে নিচে যা!”
.
অরণী প্রায় লাফিয়ে বিছানা থেকে নেমে ওয়াসরুমে ঢুকলো। তিনি নাস্তা শেষ করার আগেই নিচে নামতে হবে যে তার।
.
অরণী নিচে নেমে অরূপকে খাওয়ার টেবিলে পেলোনা। তিনি কি এখনো উঠেননি ঘুম থেকে? কাল রাতে অনেক দেরীতে ঘুমিয়েছিলো, তাই হয়তো….
.
“ভাইয়া আজ এত তাড়াতাড়ি অফিস গেলো কেনো, মা?”
.
আন্টি অরনীর প্লেটে খিচুড়ি তুলে দিতে দিতে বললেন, “কি যেনো কাজ আছে, বললো। তাই তাড়াহুড়ো করে বেড়িয়ে গেলো! ভালো করে নাস্তাটাও করে গেলোনা ছেলেটা!”
.
“কি বলো, আম্মু!! কতগুলো খিচুড়ি খেয়েছে ভাইয়া। দুটো ডিম একাই খেলো। আর তুমি বলো, ভাইয়া ভালো করে খায়নি?”
.
“যা তো তুই। আমার বাবুর খাবারে নজর দিবিনা!”
.
“বুড়া ধামড়া ছেলেটা তোমার বাবু?”
.
অন্তু আর আন্টির তর্কাতর্কির মাঝে বসে অরণী আহতনয়নে একবার অন্তুর দিকে, আবার একবার আন্টির দিকে তাকাচ্ছে!
.
“অরুপু, তুমি কলেজ যাওয়ার সময়, আমাকে স্কুলে নামিয়ে দিতে পারবা, আজ?”
.
“আমি তো কলেজ যাবোনা!”
.
“কেনো? কতদিন হলো তো যাও না!”
.
“আমি ভার্সিটি যাবো।”
.
“ও! ওই একি তো!”
.
“যাও। রেডি হয়ে আসো। আমি নামিয়ে দিবো এখন!”
.
.
আতাহার সাহেব প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর একবার করে মেয়েকে ফোন দেন। অরণীর মাঝেমাঝে মনখারাপ হয় বাবার জন্য। মানুষটার জীবনে একসাথে চলার সঙ্গীটা অনেক আগেই অপর পাড়ে পাড়ি দিয়েছে। এখন মানুষটার সবকিছু জুড়ে তো শুধুই অরণী। অথচ মাসে একদিনের জন্যেও মেয়েকে চোখের দেখা দেখতে পারেন না৷ তিনি চাইলেই এখন অবসরে যেতে পারেন। তার সকল সংগ্রহ অরণীর ছেলেমেয়েও সারাজীবনে শেষ করতে পারবেনা। তবু ওই সমুদ্রেই পড়ে থাকেন। অরনীর ধারণা, আতাহার সাহেবের সমুদ্রের নেশায় পেয়েছে; সহজে এ নেশা কাটানো সম্ভব না!
.
আর এদিকে আজকাল অরণীকে পেয়েছে অরূপের নেশায়। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নাস্তার টেবিলে আড়চোখে অরূপের দিকে তাকানো, অরূপ অফিস থেকে ফিরলে ছুটে গিয়ে আড়ালে দাঁড়িয়ে অরূপকে দেখা, মাঝরাতে লুকিয়ে অরূপের গান শোনা- এসবযেনো অরণীর নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
.
.
রাতের বেলা অরণী বিছানার ওপর বইখাতা ছড়িয়ে পড়তে বসেছিলো। অন্তু ঘরে এসে বললো, “অরুপু, কাল তুমি ভার্সিটি যাবে?”
“যাবো তো। কেনো?”
.
“কাল ভাইয়ার জন্মদিন। আমি স্কুল থেকে ফিরার সময় কেক নিয়ে আসবো। একা যেতে মা বারণ করলো। তুমি আমার সাথে কেক আনতে যেতে পারবে?”
.
অরণী খুশিতে গদগদ হয়ে উঠলো। মুখে স্বাভাবিক ভঙ্গি এনে বললো, “আচ্ছা, আমি কাল ভার্সিটি থেকে তাড়াতাড়ি বের হবো!”
.
অন্তু চলে যাওয়ার পর অরণী বিছানা থেকে লাফিয়ে নামলো। কাল সে শাড়ি পড়বে, মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজেকে সাজিয়ে অরূপের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে৷ অরণী বাড়ি থেকে কোনো শাড়ি আনেনি। তার নিজেরও কোনো শাড়ি নেই; মায়ের অনেক শাড়ি তার কাছেই ছিলো। কিন্তু ওগুলো আনতে হলে তাকে কাল বাড়িতে একবার যেতে হবে।
.
অরণী পরদিন সকাল সকাল ভার্সিটিতে না গিয়ে বাড়িতে চলে গেলো। মায়ের লাল জর্জেটের শাড়িটা নিয়ে মার্কেটে গিয়ে ম্যাচিং ব্লাউজ-পেটিকোট কিনে নিয়ে ফুপুবাসায় আসলো। দুপুরে অন্তুকে নিয়ে কেক নিয়ে আসলো। বিকেলবেলা ঘরদোর সাজিয়ে নিজেকে সাজাতে বসলো।
হালকা সাজ। লাল শাড়ি, চোখে হালকা কাজল, লাল ছোট্ট টিপ আর হাতভর্তি লাল কাঁচের চুড়ি।
অরূপ অফিস থেকে ফিরলো সাড়ে ছয়টায়। অরণী লজ্জায় ঘর থেকে বেরোতে পারলোনা। রাতে কেক কাটার সময় অন্তু এসে ডেকে গেলো। অরণী মাথাব্যথার অজুহাতে দরজাই খুললোনা। এতসাজ নিয়ে বাড়ির এতগুলো মানুষের সামনে সে কিছুতেই যেতে পারবেনা।
.
রাতের খাওয়ার আগে আগে অরণী দরজা খুললো। খুব ধীরে ঘর থেকে বেড়িয়ে অন্তুর ঘরে উঁকি দিয়ে দেখলো, অন্তু ঘরে নেই। পা টিপে টিপে অরূপের ঘরের দিকে এগিয়ে অরূপের ঘরের বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বড় করে একটা নিঃশ্বাস নিলো। দরজায় নক করার জন্য হাত তুলতেই অরূপ ঘরের দরজা খুললো।
.
অরণী হঠাত চমকে গিয়ে দুহাতে মুখ ঢেকে পিছনে ঘুরে দাঁড়ালো। অরূপ হতভম্ব হয়ে অরণীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো, “কিছু বলবেন?”
.
অরণী পিছনে ফিরলো। “না মানে… হ্যাঁ… না কিছুনা। আমি যাই।”
.
অরূপ ধমক দিয়ে বললো, “কিছু বলার হলে বলেন। ঘরের দরজার সামনে তো আর এমনি এমনি দাঁড়িয়ে ছিলেন না?”
.
“জি মানে… আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম!”
.
“তো জানান। না জানিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন কেনো?”
.
“এভাবে ধমক দিলে কিভাবে বলি?”
মিনমিন করে বললো অরণী।
.
“দেখুন, আমি এভাবেই কথা বলি। ভালো না লাগলে আমার কিছু করার নেই। আপনাকে আমি ডেকে আনিনি, আমাকে উইশ করার জন্য!”
.
অরণীর মন খারাপ হয়ে গেলো। পরক্ষণেই আবার নিজেকে সামলে নিয়ে হাসিমুখে বললো, “শুভ জন্মদিন, অরূপ!”
.
“অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। আর কিছু বলবেন?”
.
অরণী মুখ ফ্যাকাসে করে বললো, “না৷ আর কিছুনা!”
.
অরূপ অরণীর মুখের ওপর দরজা লাগিয়ে দিচ্ছিলো। অরণী ফিরে যেতে গিয়েও আবার ঘুরে বললো, “শুনুন… আমি আপনাকে ভালোবাসি!”
.
“জি? কি বললেন আপনি?”
.
অরণী থতমত খেয়ে তাকালো। তারপর লজ্জায় লাল হয়ে ছুটে নিজের ঘরের দিকে যেতে চাইতেই অরূপ পিছন থেকে বললো…..
.
.
চলবে….
.