#বৃষ্টি_তোমাকে_দিলামপর্ব-১৭
ভারতীয় উপমহাদেশে একটা মেয়ের ডিভোর্স নেবার ব্যাপারটা যে কতটা কঠিন সেটা না দেখলে হয়তো বুঝতে পারতাম না। আইনি ব্যাপার স্যাপার বাদ দিলেও আরও অনেক বিষয় থাকে যেগুলো আসলে সহ্য করে যেতে দিনরাত কঠিন ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যেতে হয়। আমি সেই ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে মাস কয়েক পর নিজেই খুব অবাক হয়ে গেলাম। অবশেষে বিচ্ছেদ পর্ব পুরোপুরি শেষ হতে ঠিক আট মাস আট দিন সময় লাগল। এর মাঝে কিছুই লেখার সুযোগ পাইনি বলে লেখা হয়নি৷ আজ লিখছি।
আমি বাসায় ফেরার দিন পাঁচেক পর বর্ষণের পরিবারের সাথে আমার পরিবার সামনাসামনি বসি কথা বলতে। মজার বিষয় হলো প্রতিটা কথার ব্যাখ্যাই ছিল তাদের কাছে। যেন সাজিয়ে রাখা স্ক্রিপ্ট! আমরা হাতে প্রচুর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাদের যুক্তিতে পরাস্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। উদাহরণ দেই।
বাবা বর্ষণের বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি তো আমার ভালো বন্ধু ছিলে। কেন জানালে না তোমার ছেলে বিবাহিত? গোপন করলে কেন?”
আমার প্রাক্তন শ্বশুর খুবই চতুর মানুষ, যেটা আমরা পরে বুঝেছি। তিনি উল্টো প্রশ্ন করলেন, “তোমরা জানতে চেয়েছ?”
বাবা রেগে গিয়ে বললেন, “জানতে চাইব মানে? অবিবাহিত ছেলে চোখের সামনে দেখছি, বিয়ের প্রস্তাবও দিলে তোমরা, আমরা কী করে জানব সে বিবাহিত?”
“আমরা তো দাবি করিনি সে অবিবাহিত। তোমরা বুঝে নিয়েছ, তোমাদের দোষ।”
স্বভাবতই বাবা প্রচন্ড রেগে বাক্যহারা হয়ে গেলেন।
মা হাল ধরল, “আপনারা অন্যায় করছেন। একটা বিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আমার মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছেন ছেলের। এটা আইনত অপরাধ। বিয়েটা তো বিয়েই হয়নি!”
বর্ষণ এবার উত্তর দিল, “হয়েছে মা। আমার আগের বউ অনেক আগেই বলেছিল ইচ্ছে হলে যা খুশি করতে, শুধু তার সামনে না যেতে। এটা তো অনুমতি দেয়াই। অতএব ধারার সাথে আমার বিয়েটা লিগ্যাল। আর আপনারা ধর্মীয় দিক থেকে দেখতে চাইলেও বিয়েটা যৌক্তিক। ধারা আমার বউ।”
মা হাল ছেড়ে দিয়ে বললেন, “তুমি কেন করলে এমন বর্ষণ? তোমাকে কত পছন্দ করতাম আমরা!”
সে দৃঢ় স্বরে বলল, “আমি ধারাকে ভালোবাসি বলেই বিয়ে করতে চেয়েছি। আপনারা দিয়েছেনও।”
আমি প্রায় চিৎকার করে বললাম, “তোমার কয়জনের জন্য ভালোবাসা জাগে একটু বলবে? বিয়ের পরেও আমার বান্ধবীর সাথে কন্টিনিউয়াসলি প্রেম করে গেছ!”
“স্যরি ধারা। ও তোমার ক্যাম্পাসের জানতাম, কিন্তু তোমার বান্ধবী সেটা জানতাম না।”
“জানলে কী করতে?”
“ওর সাথে দেখা করতাম না। সিম্পল!”
“এর ফল ভালো হবে না বর্ষণ! তুমি বাড়াবাড়ির চূড়ান্ত করছ।”
“আমি কিছুই বাড়াবাড়ি করিনি ধারা। তুমি যে ক’দিন আমার কাছে ছিলে আমি কোনো মেয়ের সাথে কথাও বলিনি। তুমি চলে গেলে, পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকতে শুরু করলে। আমি সারাদিন কী করি বলোতে?”
“ছি! এই নোংরা মানসিকতা নিয়ে তুমি লেখক হয়ে কী করে?”
“লেখক হতে গেলে লিখতে জানতে হয়, সুন্দর বাক্য বানাতে জানতে হয়। আমি সেটা জানি।”
“তুমি অভিনেতাও বটে!”
“প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।”
বর্ষণের বাবার চেহারায় যে চতুরতা দেখা গেল সেটা বর্ষণের মুখে একদম নেই। বরং ভালোমানুষি সারল্য আছে। সেই সারল্য নিয়েই সে অনায়েসে ভয়ানক সব কথা বলে যাচ্ছে! আমি হতবাক, বিষ্মিত! তারা ভুল স্বীকার করবে না বোঝা হয়ে গেল। আমরা ফিরে এলাম বাড়িতে। উকিলের সাথে কথা বলে ডিভোর্স লেটার পাঠালাম বর্ষণদের বাড়িতে। কিন্তু সে বলে দিল আমাকে ডিভোর্স দেয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ সে আমাকে ভীষণ ভালোবাসে।
আমার দিন কাটতে লাগল অসহ্য যন্ত্রণায়।
এর মাসখানেক পর একদিন হঠাৎ আমার কাছে একটা কল এলো। ধরার পর এক মেয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে অনেক কথা বলল।
মেয়েটার নাম টুম্পা। বর্ষণের চাচাতো বোন এবং বিবাহিতা প্রথম স্ত্রী। যে ওর সাথে কোনো সম্পর্ক রাখতে চায় না৷ কিন্তু ডিভোর্সও দিতে পারছে না, কারণ বিয়ের সময় তাদের একটা চুক্তিপত্রে সই করতে হয়েছে যে দশ বছরের মধ্যে চাইলেও ডিভোর্স নিতে পারবে না।
আমি ভীষণ অবাক হয়ে টুম্পার কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলাম। সে আমাকে যা জানাল তাতে মাথা খারাপ হবার জোগাড়!
পুরো ঘটনা পরিষ্কার হয়ে গেল আমার কাছে। ঘটনা অদ্ভুত এবং ভয়ানক!
বর্ষণের মা, মানে আমার শ্বাশুড়ি ছিলেন শ্বশুরের ফুপাত বোন। ছোটোবেলা থেকে তাদের বিয়ের কথা হয়েছিল। কিন্তু ততদিনে বর্ষণের বাবার চরিত্র বিভিন্ন অসৎ সঙ্গে মিশে ভয়ানক খারাপ হয়ে উঠেছিল। নেশাও করতেন। গুন্ডাদের সাথে ওঠাবসা ছিল। বর্ষা আন্টির বাবা মা তার সাথে আন্টির বিয়ে দিতে না চাইলে সে এলাকার গুন্ডাপান্ডা এনে জোর করে বিয়ে করে। তারপরেই যেন মানুষটা আমূল বদলে যায়। একেবারে ভদ্রলোক বনে যায়। সুখী একটা সংসার হয় তাদের।
কিন্তু আদতে পুরোটা ছিল মেকি। বাবার কাছ থেকে টাকা আদায় করে দেশ ছেলে যাবার নেশা চেপেছিল মাথায়। পড়াশোনার নাম করে তাই বিদেশযাত্রা করেন তিনি। সেখানে ফুর্তির জীবন কাটান। সে সময় বর্ষণের জন্ম হয়েছে। সে একা মায়ের সাথে থাকে দেশে।
বাবা যখন ফিরে আসে তখন বর্ষণের সবই বোঝার ক্ষমতা হয়েছে। বাবা ফিরে এসে যে মায়ের সাথে প্রতিনিয়ত অন্যায় করা শুরু করে সেটা সে বুঝত। বুঝত বাবার দিনের পর দিন মাকে অবহেলা করে অন্য নারীদের প্রতি আসক্তি। সে নিজের চোখেও অনেক কিছু দেখেছে। দেখেছে মায়ের দিনদিন মরে যেতে থাকার দৃশ্যটা।
তখন থেকেই তারও প্রতিশোধ নেবার ইচ্ছে জাগে। ন্যায় দিয়ে অন্যায়ের প্রতিরোধ নয়, বরং নতুন করে অন্যায় করে শোধ তোলার হাস্যকর চেষ্টা। বাবার প্রতি শোধ নেবার ক্ষমতা তার ছিল না, ইচ্ছে ছিল কি না সেটাও ভাববার বিষয়। আবার হয়তো প্রতিশোধ নয়, বাবার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল নারীদের জীবন নষ্ট করার ব্যাপারটাতে।
ওর বাবা যেমনই হোক, বর্ষণ ছোটোবেলা থেকেই দাদা বাড়ীর পরিবারে খুবই অমায়িক ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিল। যার কারনে ছেলের কথায় বর্ষা আন্টি যখন টুম্পার সাথে বর্ষণের বিয়ের কথা তোলে তখন তেমন আপত্তি ওঠেনি। বর্ষণের বাবার চরিত্র নিয়ে কানাঘুষা থাকলেও সেভাবে তেমন কেউ জানত না। আবার টুম্পার সাথে ছোটোবেলা থেকেই বর্ষণের একটা ভালোলাগার সম্পর্ক ছিল। যার কারনে বিনা বাঁধায় বিয়েটা হয়ে যায়।
বিয়ের পর আসল রূপ সামনে আসে। বর্ষণ তেমন কিছুই করত না, খুব ভালোমানুষ হয়ে থাকত, কিন্তু টুম্পার পাশে শুয়ে অন্য মেয়েদের সাথে রাত জেগে কথা বলত। এটা নিয়ে কিছু বলতে গেলে আজেবাজে যুক্তি দাঁড় করাত, কথা কাটিয়ে যেত৷ অনেক কিছু করেও তার মেয়েদের প্রতি আসক্তি কমানো সম্ভব হয়নি। যে ইচ্ছে করে এই কাজ করে তাকে থামানো কি সম্ভব?
তুমুল অশান্তি হয় তারপর। দুই পরিবারের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। বর্ষণরা এলাকা ছেড়ে চলে আসে।
আমি টুম্পাকে প্রশ্ন করলাম, “কিন্তু দশ বছরের চুক্তিটা তো পরিষ্কার হলো না।”
“বর্ষণ চেয়েছিল আমাকে ওর কাছে আটকে রেখে কষ্ট দেবে। যেহেতু জানত ওর এসব কাজকর্ম দেখে আমি ছাড়াছাড়ির চেষ্টা করব, তাই আগেই ব্যবস্থা করেছিল যেন সহজে ছাড়তে না পারি।”
“এটা কি লিগ্যাল? একটা মনগড়া চুক্তি হলেই হলো?”
“চুক্তি তো চুক্তিই। বিয়ে বাদে আলাদা একটা কাগজে সই করেছি আমি। বুঝেই করেছি। এজন্য সেটা সহজে কাটানো যাচ্ছে না।”
“কেন করলেন?”
“তখন কত মনগড়া রোমান্টিক কথাবার্তা বলত, দশ বছর একদিনের জন্যও আমাকে ছেড়ে যাবে না ইত্যাদি বহু ভুজুংভাজুং দিয়ে সই করিয়েছিল। মূলত ওর ইচ্ছে আমার জীবনটা ধ্বংস করার।”
“তাতে ওর কী লাভ হবে?”
“ওর মা যেমন কষ্ট পেয়েছে তেমনি আরেকটা মেয়ে কষ্ট পাবে। কাইন্ড অফ রিভেঞ্জ। কাপুরুষটা নিজের বাবাকে কিচ্ছু বলতে পারেনি। উল্টে বাবার সাথে জোট বেঁধে আমাদের পরিবারকে হেনস্তা করেছে।”
“কিন্তু আমাকে বিয়ে করল কেন? প্রেম করে ঠকাতে পারত! আবার আপনার মতো কোনো চুক্তিতে সই করায়নি।”
“আপনাকে বিয়ে করা ওর জন্য সহজ ছিল তাই করেছে। খারাপ লোকেরও কিছু বিষয়ে খুঁতখুঁতি থাকে। বর্ষণেরটা হলো সে হাজার প্রেম করলেও শারীরিক সম্পর্কে যাবে না সেসব মেয়ের সাথে। সেজন্য বউ চাই। এখন আমার থেকেও আলাদা তাই আপনাকে বিয়েটা ওর প্রয়োজন ছিল। আর কষ্ট তো অবধারিতভাবে সে সব মেয়েকেই দেয়। ইচ্ছে করে আপনার বান্ধবীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিল যাতে আপনি জেনে যান এবং কষ্ট পান। আপনি কাছে থাকছিলেন না বলে চাচ্ছিল দূর থেকে যতটা পারা যায় ক্ষত তৈরি করার। লুবনা নামের এক মেয়ে মেসেজ করেছিল আপনাকে?”
“হ্যাঁ!”
“সেটা ওর ফেক আইডি। নিজেই নিজের গুণের কথা প্রেমিকাদের জানায় আর কষ্ট দেয়।”
“ম্যানিয়াক!”
“ওদের একটা সংগঠন আছে তিন বন্ধুর। ও ছাড়া বাকি দু’জন সেই সংগঠনে যোগ দিয়েছে কোনো না কোনো মেয়ের থেকে ধোঁকা খেয়ে। সেই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো জীবনের প্রতিটা দিন মেয়েদের কষ্ট দিয়ে কাটানো।”
“বলেন কী!”
“আমার সবগুলো কথা সত্যি। ওকে দেখলে খুব ভালো মনে হবে। কিন্তু আসলে সিরিয়াল কিলারের মতো। আপনার কি মনে হয়নি, আমি স্ত্রী হয়ে তাকে শোধরাবার চেষ্টা করিনি কেন? আসলে হাজারবার করেছি আর প্রতিবার নতুন একটা না একটা কাহিনী সামনে আসায় এতটা ধাক্কা খেয়েছি যে পিছিয়ে গেছি শতবর্ষ। এখন যত দ্রুত মুক্তি পাই তত ভালো।”
“ওর মা কি কিছুই বলে না?”
“আমার ধারণা অবহেলা অসম্মান পেতে পেতে বর্ষা চাচীর সব অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেছে। এখন সে শাসন তো দূরে থাক, নিজের মতামতও দিতে পারে না। মানে দেবার অবস্থা তার নেই। তবে সবচেয়ে অদ্ভুত কথাটা শুনবেন?”
“কী?”
“আমাকে আপনার নম্বর দিয়েছে বর্ষা চাচী। সে চাচ্ছে আরও প্যাঁচে পড়ার আগে আপনি এই জাল কেটে বের হয়ে যান৷ চাচা অনেক চালাক। আপনাদের ভেজালে ফেলার চেষ্টা করতে পারে। খুব ভালো উকিলের কাছে গিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করে ফেলুন।”
“বর্ষা আন্টি নিজে আমাকে কিছু বলেননি কেন?”
“ছেলে বা স্বামীর ভয়ে! আমার সাথে গোপনে যোগাযোগ হয় কখনো কখনো। কিন্তু আপনি তো পাশের বাড়ির। লুকিয়ে কিছু করে ধরা পড়লে খুব ঝামেলায় পড়বেন।”
আমি অনেকক্ষণ চুপ করে পুরো ঘটনা হজম চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারলাম না। বদহজম হয়ে যাচ্ছে!
“আপনার চুক্তির আর কতদিন বাকি?”
টুম্পা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “চার বছর।”
শেষে বললাম, “একটা কথা জিজ্ঞেস করি আপনাকে?”
“জি?”
“আপনার খারাপ লাগল না এত কথা বলতে? খুব নির্বিকারভাবে বলে গেলেন কিভাবে?”
টুম্পা উত্তর দিল, “এরকম আরও একবার হয়েছিল। আপনি বর্ষণের দ্বিতীয় নন, তৃতীয় স্ত্রী।”
আমি মোবাইল রাখলাম প্রচন্ড বিতৃষ্ণা নিয়ে।
এরপরের ঘটনাগুলো বৈচিত্র্যহীন। একঘেয়ে কোর্টে যাওয়া আসা। বাবা খুব ভালো উকিল ধরেছিলেন আর আমারও শক্ত প্রমাণ ছিল বলে ডিভোর্স হয়ে গেছে জলদি৷ বর্ষণরা কম চেষ্টা করেনি ঝামেলা করার। কিন্তু পারেনি।
একদিন শুধু বর্ষণ হুট করে আমাদের বাড়িতে চলে এসেছিল। আমার ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে জোর করে জড়িয়ে ধরেছিল আমায়। কতকিছু বোঝানোর চেষ্টা করছিল! সে জানত না আমি টুম্পার থেকে সবটা জেনে নিয়েছিলাম। আরও কত মিথ্যে, কত বানানো কথা!
যে লাজুক এলোচুলের সুন্দর মানুষটার প্রেমে পড়েছিলাম একসময়, তাকেই কতটা ঘৃণা করতে পারি সেটা বুঝে গিয়েছিলাম।
ডিভোর্স হওয়ার আগের সময়টা কেটেছে ভয়ানক ডিপ্রেশনে আর ক্লান্তিতে। আমি ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাতাম। সারাদিন পড়ে থাকতাম বিছানায়। অসহ্য যন্ত্রণা হতো মাথায়। এর আগে কখনো ধোঁকা সহ্য করতে হয়নি বলেই হয়তো আরও বেশি অসহ্য লাগছিল সবকিছু। মরে যেতে ইচ্ছে হতো রোজ। নিজেকে কলুষিত মনে হতো।
বর্ষণ শুরু থেকে নাটক করছিল! সেই যে কৃষ্ণচূড়া কুড়োতে এসে পরিচয় হওয়া, লাইব্রেরিতে দেখা করা, ফুল দেয়া, পার্কে বসে প্রাক্তনের গল্প বলে আমাকে জ্বালানো, রাত বিরাতে ফোন করে ভূতের গল্প শোনানো, হুট করে ঘরে ঢুকে যাওয়া, অভিমান করা সবই কি নাটক ছিল? ভাবতে পারি না৷ মাথা ছিঁড়ে আসতে চায়।
যখন হতাশার চূড়ান্ত, তখন একদিন মরিচিকার মতো একটু শান্তির দেখা পেলাম। শান্তিটুকু হাত পেতে নিলাম যেন!
(চলবে)