#নিভৃতে_যতনে Part_02
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat
রুমের অবস্থা নাজেহাল। সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় মেঝেতে পরে আছে। দুই এক জায়গায় কাঁচের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। গুমোট অন্ধকার চারদিকে। আমি বিছানার সাথে লাগানো দেওয়ালে পিঠ করে হাটু গুঁজে বসে আছি। গায়ে এখনো হলুদের লেহেঙ্গাটি জড়ানো। হাতে পায়ে হলুদের ছোঁয়া। কাঁচা ফুলের গহনাও দুই একটা এখনো শরীরের সাথে লেপ্টে আছে। আর বাদ বাকি সব মেঝেতে পরে গড়াগড়ি খাচ্ছে। নয়ন দুটি আমার শুষ্কতা বজায় রেখে রক্তিম লাল হয়ে উঠেছে। বাইরে দরজায় একের পর এক কড়া আঘাত পড়ছে। হৃদিপু ডাকছে। কিন্তু সেইদিকে আমার কোন ধ্যান নেই। আমি এক ধ্যান জানালার বাইরে তাকিয়ে আছি। জানালার বাইরে ঝুলানো মরিচ বাতির রঙ্গিন আলোটা চোখে বিঁধছে খুব। যা ক্ষণে ক্ষণে আমার চোখে জ্বালা ধরিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। আমি মুখ ফিরিয়ে নিলাম। মাথার চুল চেপে ধরলাম। সবকিছুই এখন আমার কাছে অসহ্য লাগছে।
কিছুক্ষণ আগেই আমি হলুদের পর্ব চুকিয়ে এসেছি। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও সকলের সামনে সঙ সেজে বসেছিলাম। শুধু মাত্র এই আশায় হয়তো এখন খবর আসবে, “পাত্রপক্ষ বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে। এই বিয়ে আর হবে না।” কিন্তু সে গুড়ের বালি। চারদিকে গান-বাজনা। কোলাহলময় পরিবেশ। আত্নীয়স্বজনরা মেতে উঠেছে গল্পে। বাড়ির ছোকরারা ছুটোছুটি করছে এদিক ওদিক। কাজ বুঝাচ্ছে সকলকে। এত কোলাহল,ধ্বনি ও শব্দের মাঝেও আমায় সেই অতি কাঙ্ক্ষিত ধ্বনিটি কেউ শুনাতে পারি নি, যার জন্য আমি চাতক পাখি হয়েছিলাম। হৃদিপু মিনিট দুয়েক বাদেই আশ্বাস দিয়ে গেছেন, “খবর হয়তো এখনই আসবে। তুই চিন্তা করিস না।” তার কথায় আমি একটু ভরসা খুঁজে পেলেও যখন ছেলেপক্ষের সকলকে হাসি মুখে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেখলাম তখনই সব ভরসা উবে যায়। নীরব দৃষ্টিতে সব দেখতে থাকি। তারা আসলো হলুদ ছোঁয়ালো, মিষ্টি মুখ করালো,আশির্বাদ করলো। বিয়ের ডালা বুঝিয়ে দিলো। আর আমি! নির্বিকার চেয়ে রইলাম। অতঃপর তারা বিদায় নিতেই আমিও উঠে চলে আসলাম নিচে। পিছু নিলো মা আর হৃদিপু। পিছনে শুরু হলো তথাকথিত সেই আত্মীয়স্বজনদের কানাঘুষা। কিন্তু সে সবে কি আদৌ আমার কিছু যায় আসে? দরজা ভিজিয়ে নিজের ক্ষোভ ঝাড়লাম নিরিহ রুমটির উপর। এরপর নিথর হয়ে বিছানায় বসে পড়লাম।
কথাটা ভেবেই বুক চিরে বেরিয়ে আসে দীর্ঘ নিঃশ্বাস। গা-টা বড্ড জ্বালা করছে। একেক জায়গা খিঁচে উঠছে। ফ্রেশ হওয়া দরকার। আমি উঠে দাঁড়াই। দরজার অপাশ থেকে শুনা যায় হৃদিপু, মা, চাচী আর ফুপুর আতঙ্কে কম্পিত কন্ঠ। আমি নিজেকে সামলে চেঁচিয়ে উঠি,
— আমি ঠিক আছি।
কথাটা বলার সাথে সাথেই অপাশটা নীরব হয়ে যায়। হয়তো এতক্ষণ আমার এই “ঠিক আছি” শুনার জন্যই তাদের এত অস্থিরতা। আমি শব্দহীন পায়ে এগিয়ে যাই আলমারিটার দিকে। এক সেট জামা নিয়ে এগিয়ে যাই ওয়াশরুমের দিকে।
___________________
ফ্রেশ হয়ে এসে আমি দরজাটা খুলে দিয়ে বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে পড়ি। মনে মনে কল্পনা আঁটি কিভাবে এই বিয়েটা বন্ধ করতে পারি। পালানো সম্ভব না। আর আমি পালাতে চাইও না। কিন্তু এর বাদে উপায়টা কি? যখন আমি এই আকাশ-কুসুম ভাবছি তখন হৃদিপু খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে রুমে আসে। আমার পাশে বসে প্লেটটা বিছানার উপর রেখে আমার হাত দুইটি তার কোলে টেনে বলে,
— দেখ জীদ করিস না। এখনো সময় আছে। লাস্ট মোমেন্টে এসেও বিয়ে ভাঙতে পারে।
আমি হৃদিপুর দিকে শীতল দৃষ্টিতে চেয়ে বলি,
— কিভাবে ভাঙ্গবে শুনি? আর কেই বা ভাঙ্গবে বিয়েটা? ওই আমার সো কোল্ড হবু বর নাকি তোমার শ্রদ্ধেয় চাচাজান?
হৃদিপু আহত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
— আচ্ছা সে সব কথা পরে হবে আগে খেয়ে..
আমি হৃদিপুর কথার মাঝে ফোঁড়ন দিয়ে বলি,
— কথা ঘুরাচ্ছ কেন তুমি?
হৃদিপু স্থির হয়ে বলে,
— কথা ঘুরাচ্ছি না। জাস্ট বলছি আগে খেয়ে নে। এইভাবেই তুই দুপুর থেকে কিছু খাস নি। তার উপর তুই তখন ওইভাবে উঠে চলে আসায় মেহমানদের মাঝে কানাকানি শুরু হয়ে গিয়েছে। চাচী কোনমতে বিষয়টা সামলিয়েছে।
আমি মুখ ঘুরিয়ে বলি,
— এদের তো কাজই অনুষ্ঠানে এসে খুঁত ধরা আর কানাঘুষা করা। এ বাদে তাদের কাজ কি? আজ পর্যন্ত তারা কখনো উপকারে এসেছে? সবসময় তো মানুষের অপকারই করতে জানে এরা। দাওয়াত কেন দেয় এদের? অসহ্য!
হৃদিপু প্লেট হাতে নিয়ে ভাত মাখতে মাখতে বলে,
— পরে এদের গোষ্ঠী উদ্ধার করিস আগে হা কর!
কথা বলে এক লোকমা ভাত আমার মুখের সামনে ধরে। আমি কিছু না বলে খাবারটা মুখে তুলে নেই। হৃদিপু খায়িয়ে দিতে দিতে বলে,
— বিয়েটা করে ফেললে হয় না সিয়া? এই জেলখানা থেকে যখন মুক্তি পাচ্ছিস তো মুক্ত হয়ে যা না। একটা কারণের জন্য..
আমি আপুর কথার মাঝে ফোঁড়ন দিয়ে বলি,
— একটা কারণ না আপু। অনেক কারণ আছে। শুনবে? মাস খানেক আগেই তো উনিশে পা দিয়েছি। বয়সের দিকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হলেও আমি মানসিক দিক দিয়ে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত নই। এই সংসার নামক বেড়াজালে নিজেকে আবদ্ধ হওয়ার মনোবল নেই আমার। তার উপর মাস খানেক পরেই আমার এডমিশন এক্সাম। কোন কোচিং ভর্তি হওয়ার আগেই তোমার সো কোল্ড শ্রদ্ধেয় চাচু আমার জন্য ছেলে ধরে বেঁধে নিয়ে আসলো। তাও কি তার কোন বন্ধুর ছেলে। কথা নাই, বার্তা নাই সোজা এসে আংটি পড়িয়ে চলে গেল। আমি নিজেই ঘটনাক্রমে স্তব্ধ ছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কি থেকে কি হচ্ছে। এরপরই মধ্যে বিয়ের ডেট ফাইনাল করে দিল। আর দিবেই বা না কেন? কোন ডিমান্ড ছাড়াই ঘাড়ের বোঝা সরাতে পারছে, এমন সুযোগ কি কেউ হাত ছাড়া করে? আর এইদিকে আমি এখনো পর্যন্ত ছেলের নাম আর পেশা বাদে কিছু জানি না। ইজ দিস নট গ্রেট?
শেষের কথাটা একটু ক্রোধেই বললাম। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলি,।
— এইসব না হয় বাদই দিলাম কিন্তু আমার যে এখনো আসল কাজটাই রয়ে গেসে। আমাকে যে নিজেকে প্রুফ করতে হবে। আর এর জন্য হলেও আমাকে এই বাসায় থাকতে হবে। এট লিস্ট পড়ালেখা শেষ করার আগপর্যন্ত।
হৃদিপু আমার কথা শুনে বলে,
— সেটা তুই অন্য জায়গায় থেকেও করতে পারবি। দ্যাট ইজ নট এ বিগ ইস্যু। কিন্তু আমার মতে চাচ্চু হয়তো তোর বিয়ে আরেকটু পরে দিত কিন্তু তোর বেপরোয়া ভাবটার জন্যই..
আমি হৃদিপুকে বলতে না দিয়ে বলি,
— যেই ঘড়ির সুতোর টান ছেড়েই দেওয়া হয়েছে তা কি আর নিয়ন্ত্রণে থাকে?
হৃদিপু দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে আমায় খায়িয়ে দিতে থাকে। খাওয়া শেষে আমি পানির বোতলটা নিতে যাব তখনই বাবা এসে আমার রুমে হাজির হয়। আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কর্কশ কন্ঠে গর্জে উঠে,
— নতুন কি তামাশা লাগিয়ে দিয়েছ তুমি?
আমি বাবার দিকে দৃষ্টি স্থির করে বলি,
— কিসের কথা বলছেন আপনি?
কথাটা শেষ না করতেই পিছনে বড় বাবা,রেহানা চাচী,মা, ফুপু আর নাসরিন বেগম এসে হাজির হয়। বাবা কর্কশ কন্ঠে বলে উঠে,
— অনুষ্ঠানের মাঝ থেকে উঠে আসার মানে কি? মেহমানেরা কিসব বলছে তার কোন খবর আছে তোমার?
আমি নিজের দৃষ্টি বাবার উপর থেকে সরিয়ে নিয়ে বলি,
— খারাপ লাগছিল তাই চলে এসেছি।
আমার কথাটা শুনে নাসরিন বেগম বলে উঠে,
— খারাপ লাগতাসিল নাকি আমগো অপনাম করবার লিজ্ঞা তুই ওমনেই উইঠ্যা আইসোস? আমাগো কি তুই শান্তি মত বাঁচবার দিবি না? আর কত ধ্বংস করবি আমগো? অপয়া জানি কোনহানকার। আর কত জীবন খাবি তুই?
আমি নাসরিন বেগমের কথা শুনে তেতে উঠি। তীক্ষ্ণ গলায় কিছু বলতে নিব তার আগেই বড় বাবা বলে উঠে,
— আহা মা চুপ করো তো। বাসা এখনো মেহমানের আনাগোনা আছে। সেদিকে একটু খেয়াল রাখো।
কথাটা শুনে বাবা হেসে বলে,
— মাকে চুপ করিয়ে কি লাভ ভাইজান। ভুল তো কিছু বলে নি। এই মেয়ে তো সবকিছুর মূলই। আমাকে মাটির সাথে না মিশানো পর্যন্ত ও হাল ছাড়বে না। মুখ তো আমার এইভাবেই রাখেনি। এখন বাদ বাকি যা একটু সম্মান ছিল তাও ডুবিয়ে মারবে এই মেয়েটা৷ সত্যি আজ বলতেও গা ঘিনঘিন করছে এইটা আমার মেয়ে। আসলেই মেয়ে নামে ও কলঙ্ক।
বাবা কথা শেষ করতে মা চেঁচিয়ে উঠে,
— এইসব কি বলছ তুমি? মাথা ঠিক আছে?
বাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
— যা বলছি ঠিকই বলছি। আমার এই কথাগুলো আরও আগে বলা উচিৎ ছিল কিন্তু বলতে দেরি করে ফেলেছি।
— বেশি বারাবাড়ি করছো কিন্তু তুমি।
নাসরিন বেগম মায়ের উদ্দেশ্যে চড়া গলায় বলে উঠে,
— মাইয়ার ভালবাসায় অন্ধ হইয়া গেসো নি তুমি? মাইয়ার দোষ আসে জানবার পরও তুমি ওর হইয়া কথা বলার সাহচ দেখাও কেমনে?
বাবা আমার দিকে চেয়ে হাত জোর করে বলে,
— তোমার সামনে হাত জোর করে বলছি সব সুন্দর মত হতে দাও আর মানহানি করো না আমার। আর মাত্র আজকের দিনটা। বিয়ের পর আমরা আমাদের রাস্তায় আর তুমি তোমার রাস্তায়। এরপর তুমি মরো নাকি বাঁচো সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। কিন্তু আমাদের শান্তি মত বাঁচতে দাও। আর কোন ঝামেলা করো না। এত অপমান, অপবাদ শুনতে ভালো লাগছে না। নিত্যনতুন তোমার জন্য একেক ঝামেলায় জড়াতে হয় আমাদের। এইবার তো রেহাই দাও।
কথাটা বলে তিনি ক্ষান্ত হোন। আর আমি নিষ্পলক দৃষ্টিতে সকলের মুখে পানে তাকিয়ে আছি। একমাত্র মা ব্যতীত কাউরো চোখে আমার জন্য কোন ভালবাসা নেই। যা আছে তা হচ্ছেএক রাশ বিরক্তি আর ঘৃণা। আমার কানে এখনো বাবার বলা একেকটা কথা প্রতিধ্বনি হচ্ছে। নিজের বিবেক এই বার বার আমাকে ধিক্কার জানাচ্ছে এইখানে পরে থাকার জন্য। নিজের প্রতি নিজেরই ঘৃণা সৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ মন-মস্তিষ্ক বলে উঠে, “দরকার নেই কাউকে কিচ্ছু প্রুফ করার। এদের কিছুই যায় আসে না সিয়াশা। কিছুই না। তুই চলে যা এইখান থেকে। নিজের জীবন নিজেই গড়ে নে।”
কথাটা মস্তিষ্কে আসতেই মূহুর্তেই তা আমায় নাড়িয়ে দেয়। নিজের ভ্রম ভাঙিয়ে দেয়। সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই আমি। নিষ্পলক দৃষ্টিতে বাবার দিকে তাকিয়ে স্মিত হেসে বলি,
— আমার বাবা হওয়া সুবাদে আপনার এই ইচ্ছা আমি রাখব। আপনি যা চান তাই হবে। বিয়ে হওয়ার আগপর্যন্ত কোন ঝামেলা হবে না। কিন্তু মনে রাখবেন এইটাই হচ্ছে আমার কাছে আপবার শেষ চাওয়া-পাওয়া। শেষ দেনা-পাওনা। এরপর থেকে আপনার সাথে আমার আর কোন সম্পর্কই থাকবে না। আমার কবুল বলার সাথে সাথেই আপনার সাথে আমার সকল সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাব। তাও চিরতরের জন্য।
কথাটা বলে আমি ঘুরে দাঁড়ালাম। আর কারো মুখ দেখার বা কথা শুনার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নেই। আমি এখন নিতান্তই একা থাকতে চাই। একটু শান্তি চাই। তাই কর্কশ কন্ঠে বলে উঠলাম,
— সকলের মহান বক্তৃতা শেষ হলে আসতে পারেন। আমি এখন ঘুমাবো। আফটার অল আমি ব্রাইড। কালকে সবচেয়ে সুন্দর আমাকেই লাগতে হবে তাই না? আপনাদের মত মানুষদের জন্য কি আমি এখন না ঘুমিয়ে চোখের নিচে গর্ত করবো নাকি?
আমার কর্কশ কন্ঠে বলা কথাগুলো শুনে সবাই একেক করে চলে যায়। নাসরিন বেগম যাওয়ার আগে আমায় কয়েকটা কড়া কথা শুনিয়ে চলে যায়। কিন্তু তার কথা আমলে নেয় কে? সবাই চলে যাওয়ার পর রয়ে যায় শুধু মা আর হৃদিপু। হৃদিপু এতক্ষণ নির্বিকার ভঙ্গিতেই দাঁড়িয়ে ছিল। সে সাধারণত বড়দের মুখের উপর কথা বলে না। বলতে গেলে সে হচ্ছে এই বাড়ির অতি ভদ্র মেয়ে। আর আমি? আমি তো এই বাড়ির সবচেয়ে অভ্রদ,বেয়াদব,নির্লজ্জ আর ওই যে বুড়ির কথা অনুযায়ী অপয়া মেয়ে। এইতো আর কি?
মা আমায় কিছু বলতে নিবে তার আগেই আমি বলে উঠি,
— মা তুমি যাও। তোমার সাথে সকালে কথা হবে। আর হৃদিপু তুমিও চলে যাও। সকালে কথা হবে।
কথা বলেই আমি ধীরে সুস্থে দুইজনকে বের করে দিলাম। অতঃপর দরজা ভিজিয়ে দিয়ে লাইট অফ করে দিলাম। চোখ প্রচন্ড জ্বালা করছে। মাথাও কেমন ভনভন করছে। ক্লান্ত লাগছে খুব। ঘুমালে হয়তো ভালো লাগবে। অবশ্য আজ আমি শান্তির ঘুম ঘুমাবো। এই রুমে,এই বাসায়,এইখানে আজ আমার শেষ রাত বলে কথা। না ঘুমালে হয় নাকি? আমি ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।হঠাৎ ঘুমে ধরেছে খুব। গভীর ঘুম।
#চলবে