#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
#Part: 08…….
কথাগুলো শুনে তীব্র খুব জোরেই চিতকার করে উঠে। ও ভেবেছিল মেয়েটাকে কষ্ট দেবে। কিন্তু সেই কষ্টটা যে সামনে থেকে এতটা নির্মম সেটা যখন স্টেজে দাড়িয়ে ছিল তুর কতগুলো পশুর সামনে তখন বুঝতে পেরেছে তীব্র । একটা মেয়ে তখন কতটা অসহায় হতে পারে যখন তার সন্মানের নিলাম তার সামনেই হয়….. আর সে অবাক চোখে তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে ।
তীব্র ওখানেই হাটু গেড়ে বসে চোখের পানি মুছতে থাকে । নিজের প্রতি ঘৃনা হচ্ছে তীব্রের । ওর রাগের কারনে একটা মেয়ের আজ এই পরিনতি। হ্যা মেয়েটা অন্যায় করেছে । কিন্তু ওর অন্যায়ের তুলনায় তীব্র ওকে অনেক বেশি শাস্তি দিয়ে ফেলেছে। হয়ত এতটা পাওয়ার যোগ্য ও নয়। যার জন্য তীব্র এত কিছু করল যার জন্য সে যদি জানতে পারে এসব তাহলে । মেয়েটাকে ঘৃনা না করলেও সে তীব্রকে কোনদিন ও ক্ষমা করবে না। আর মেয়েটা….ওর জন্যই কেন বা তীব্র এতটা ভাবছে? কেন মনে হচ্ছে মেয়েটাকে ওর যে করেই হোক চাই । মেয়েটাকে ছাড়া ওর এক মূহুর্ত চলবে না । যে করেই হোক মেয়েটাকে ওর চাই।
তীব্র আর এক মুহুর্ত অপেক্ষা করল না। তখনি চট্টগ্রাম যাবার জন্য বেড়িয়ে পরে । ও জানেনা চট্টগ্রামের কোথায় তুরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আর আইনে মাধ্যমে ওকে খুজলে ও তুরকে পাবে না তাই যা করার ওকে নিজেই করতে হবে । ও ওই লোক গুলোকে সাথে নিয়ে যায়। তীব্রকে দেখে রীতিমত চিনতে কষ্ট হচ্ছে রিদ্ধের । এতটা ছটফটানি , এতটা অস্তির তাও আবার সেই মেয়েটার জন্য কেন? কোন উত্তর খুজে পায় না রিদ্ধ।
সারারাস্তায় তীব্র একমুহূর্তের জন্যও নিজের দুচোখের পাতা এক করতে পারেনি। কখন ও সেখানে পৌছাবে তার জন্য পাগলের মত করেছে তীব্র। কারন তুরকে কোন পথে বাইরে নিয়ে যাবে তা কেউ জানেনা। কিন্তু কোথায় ওকে জাহাজে তুলে দেওয়া হবে আর সেটা কখন তা লোকদুটো তীব্রকে বলেছে। রিদ্ধের খুব রাগ হচ্ছে তীব্রের উপর প্রথমে যদি মেয়েটাকে রেখে দিত তাহলে কিছুই হত না। প্রথমে এতগুলো টাকা খরচ করে মেয়েটাকে হাতে পেয়েও হারিয়ে ফেলল। আর এখন এমন একটা জায়গায় যেতে হচ্ছে যেখান থেকে ফিরে বেচে আসবে কিনা ভরসা নেই। ওরা যাই হোক মাফিয়া ত নয়। কিন্তু তীব্রকে দেখে কম কিছু মনে হয় ওর। এমন এমন কাজ তীব্র করেছে যা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব প্রায়…..
সকালের দিকে ওরা চট্টগ্রাম পৌঁছে। তারপর ওখানে থাকা লোকদের সাথে যোগাযোগ করে। ওদের ব্যাপারে সব ইনফরমেশন কালেক্ট করে তীব্র। জানতে পারে ঢাকা থেকে কাল যে মেয়েগুলোকে আনা হয়েছে তারা সমেত আরো কিছু মেয়েকে কন্টেইনারে ভরে সমুদ্র পথে চালান করা হবে আর তা আজকে রাতে।
তীব্র বুঝতে পারল সব কয়টা মেয়েকে বাচাতে হলে ওকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কারন সব মেয়েকে সন্ধ্যার মধ্যে একত্রে আনা হবে। এর আগে সবাইকে এমন ভাবে রাখা হবে যেন একসাথে কেউ ওদের ধরতে না পারে। আর এদের মধ্যে তুর কোথায় তা হয়ত জানা অসম্ভব। সব খবর নিতে নিতে প্রায় বিকেল হয়ে গেল। এখন শুধু রাতের অপেক্ষা।
বিকেলের সময় হলেও সমুদ্রের তীরে তা বেশ তীর্যকভাবে পরছে। যা কয়েকঘন্টার মধ্য অস্ত চলে যাবে। কিন্তু তবুও বেশ কড়া রোদ এখনো…….
সেই রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে তীব্র। হয় এই সময় এখানে আলো আর সূর্যের তাপে দাড়াতে চাইবে না। কিন্তু তীব্র সমুদ্রে উপর সুর্যের দিকে তাকিয়ে আছে। তীব্রের মনে হলো সুর্য ওকে সমুদ্র দেখতে দিতে চায় না। তীব্র বেশ বিরক্তি নিয়ে তাচ্ছিল্যের সুরে বলে উঠে……
— এত তেজ কেন তোর? কিছুক্ষন পর যার বুকে বিলীন হয়ে অস্ত যাবি তাকেই দেখতে দিতে চাইছিস না। কেন হিংসে হচ্ছে তোর। তুই যার বুকে মুখ লুকাবি তাকে দেখছি বলে…….
বলে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ল তীব্র। ও সূর্যকে এসব কথা বলছে। পাগলামী হয়ত একেই বলে। নাহলে কেউ এটা কেন বলবে? তীব্র কিছু একটা ভেবে আবার সূর্যের দিকে তাকায় তারপর বলে উঠল……
— তুই তো খুব উদার রে। যার বুকে নিজেকে বিলিয়ে দিস তাকে অন্য কাউকে দেখতে দিতে চাস না। তাই নিজের সাধ্য মত তাকে অবার নজর থেকে আড়াল করিস। বাকি সময় তাকে তার মত থাকতে দিস……. তার মাঝে কত মানুষ ছোয়….
তারপর বেশ জোরেই হেসে উঠে তীব্র….
— কিন্তু আমি এতটা উদার নই রে… আমি যার মাঝে নিজেকে বিলীন করব তাকে কেউ ছোয়া তো দুরে থাক কোনোদিন তাকে কেউ দেখতেও পারবে না। তুই যেমন সমুদ্রের মাঝে বিলীন হয়ে যাস তাকেও তার সব কিছু শেষ করে আমার মাঝে বিলীন হতে হবে….. যার তেজ থাকবে তোর মত কিন্তু দিন শেষে যে বাধ্য হয়েই আমার কাছে ধরা দিবে শুধু আমার হয়ে…….
কথাগুলো নিজের মনে আওরাতে থাকল তীব্র। কেন বলল তা হয়ত ও নিজেও জানে না। কিন্তু ওর মনে হলো সুর্য ওকে দেখে হাসছে যা ওর সহ্য হলো না।
— তুই কি ভাবছিস এরকম কেউ নেই যে তোর মত হবে। সমুদ্রের বুকে নিজেকে বিলীন করে দেবে। আরে তুই নিজের ইচ্ছায় দিস নাকি। না তাইত….. সময়ের নিয়মে বাধ্য হয়েই তো নিজেকে শেষ করিস সমুদ্রের কাছে। তোকে সময় বাধ্য করে আর আমি তাকে বাধ্য করব আমার বাধ্য হতে……. তাতে সবকিছু করতে আমি রাজি……
এভাবে সূর্যের সাথে কথা বলতে থাকে তীব্র। একসময় সূর্য নিজের সময়ে অস্ত যায়। তীব্রের সূর্য কে অস্ত হতে দেখে দুইট জিনিস মনে হয়। হয় সূর্য ওর কথা গুলো সহ্য করতে পারেনি তাই হেরে বিদায় নিয়েছে আর নাহলে ওর কথাকে তাচ্ছিল্য করার জন্য অস্ত নিয়েছে। প্রচন্ড রাগ লাগল তীব্রের…
-+ কোথায় যাচ্ছিস? তোর কি সবার মত সময় নেই আমার কথা শোনার। তাহলে যে শুনত তাকে ফিরিয়ে এনে দে। নাহলে কাউকে আসতে বল যে আমার কথা গুলো শুনবে। আমাকে আমার রাগটাকে বুঝবে। আমার বাচার কারন হবে……. প্লিজ হয় ওকে ফিরে আসতে বল নাহলে কাউকে পাঠাতে বল। এই একাকিত্ব আমি আর নিতে পারছি না।
ওখানেই বসে কাদতে শুরু করে তীব্র। এর মধ্যেই সবকিছুতে অন্ধকার নেমে আসে। তীব্র বুঝেছে ওর যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। তীব্র এতক্ষন যা করছিল সবটাই ওর ভিতরের অন্য কেউ যেন বলছিল। ও উঠে দাড়াতেই সে কান্না মাখা দুর্বল তীব্র মাঝে যেন অন্য রকম এক হিংস্রতা ফুটে উঠেছে। তীব্র বালির উপর থেকে নিজেকে কোর্ট টা উঠিয়ে নিজের শরীরে জড়িয়ে তার মাঝের একটা বোতাম লাগিয়ে গাড়িতে বসে হাতে একটা ব্যাসলেট পরে। তারপর তার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে বলে….
— তুই যখন চাস আমি ওই মেয়েটাকে বাচাই। ওই অপরাধীর শাস্তি নিজের হাতে দেই তাহলে তাই হবে……
তারপর রিদ্ধকে ফোন দেয়। রিদ্ধ জানায়, ” সব ঠিক আছে। সব কয়টা মেয়েকে একসাথে একটা ক্যান্টিনারে রাখা হয়েছে। ” তীব্র কিছু না বলে সেই পথে পা বাড়ায়। ওর উদ্দেশ্য তুরকে নিজের কাছে এনে মেয়েগুলো নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া যাতে মেয়েগুলো পরিচয় সহ তীব্রের পরিচয় যাতে গোপন থাকে…….
,
,
,
,
,
,
,,
,
রাত ৮ টার দিকে তীব্র সেখানে যায়। আগে থেকেই তীব্রের লোক সেখানে ছিল। যারা ওদের কয়েকজন লোককে হাত করে নিয়েছে। তীব্র ওদের সাহায্যে খুব গোপনে সেই মেয়েদের কাছে যায়। ওদের দেখেই মেয়েগুলো ভয়ে কুকড়ে যায়। কান্টেনারের ভিতরে ৫০- ৬০ টা মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে সবার বয়স ১৬ উপরে হবে। তীব্রের মুখে কাপর থাকার কারনে ওর মুখ কেউ ধরতে পারল না তীব্রের সবচেয়ে সুবিধা হলো কারন ওখানের সবার মুখ গামছা দিয়ে বাধা ছিল যার জন্য তীব্রের সমস্যা হয়নি ঢুকতে।
সব মেয়েদের ভিড়ে ও তুরকে খুজছে কিন্তু তুরকে কোথাও দেখতে পেল না। তারমানে কি তুর এখানে নেই। না তা কি করে হয় সব মেয়েদের তো এখানে আনা হয়েছে। ও যেই মেয়ের কাছে যাচ্ছে সেই ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। তীব্রের মনে হচ্ছে মেয়েগুলো ওকে নরপিশাচ ভাবছে। তীব্র নিজেকে সামলে আরেকটু ভিতরে যায়। ঠিক তখনি তীব্রের চোখে চেনা কোনো ওরনা চোখে পরে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে কোনো ল্যাহেজ্ঞার। হ্যা ওই মেয়েটি তো লাল রঙের ল্যাহেজ্ঞায় ছিল। তীব্র ছুটে ওই মেয়েটার কাছে যায়। গিয়ে মাটির থেকে ওকে উঠায়। তুর সেন্সলেস হয়ে পরে আছে…… তীব্র ওর পালস চেক করতেই দেখে একদম নেই বললেই চলে। আর এতকিছুর পর এটাই স্বাভাবিক। তুরের উপর যা গেছে তাতে এখনি তুরকে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এতগুলো মেয়েকেও এভাবে ছাড়তে পারে না তীব্র। ও তুরকে কোলে তুলে নেয়। মেয়েগুলো তীব্রের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কারন যদি কোনো মেয়েকে আনা হয়েছে তারা কোনো দ্রবের মত ট্রিট করেছে অথচ এই লোকটা মেয়েটাকে এতটাই যত্নে তুলেছে যেন জ্ঞান হারানো মেয়েটাও ব্যাথা পাবে………
তীব্রের হাতে আর ৫ মিনিট টাইম আছে তুরকে নিয়ে এখান থেকে বেড়োনোর কারন এর পরেই রেট পরবে। আর যদি তীব্র কোনভাবে বেড়োতে না পারে তাহলে ও এই লোকগুলোর সাথে ফেসে যাবে। কারন ও নিজের পরিচয় গোপন করেছে। তার চেয়েও বড় কথা তীব্র তাহলে তুরকে নিয়ে ফিরতে।পারবে না। তুরকে ওরা বাড়ি পৌঁছে দেবে।
তীব্র যেভাবে এসেছিল ঠিক সেভাবেই বেড়িয়ে আসতে চায় কিন্তু পারেনা। ওইখানে থাকা একটা লোক তীব্রের কোলে তুরকে দেখে জিজ্ঞেস করে। তীব্র আর কিছু বলার সুযোগ রাখে না লোকটা কিছু বলার আগেই অজ্ঞান তুরকে একহাতে ধরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে আরেকহাত দিয়ে লোকটার শ্বাসনালী ধরে টান দিয়ে। পা দিয়ে ল্যাং মেরে ফেলে ওর মুখটা নিজের পা দিয়ে চেপে ধরে ঘড়ির দিকে তাকায়…. ঠিক ১ মিনিটের মাথায় লোকটি শান্ত হয়ে যায়। লোকটা মরে গেছে। একদম প্রফোশনাল ট্রেনারদের মত তীব্র কাজটা করে। তীব্রের হাতে আর ২ মিনিট…..
ও আর কোনো ঝামেলা না করে দ্রুত সেখান থেকে বেড়িয়ে দ্রুত গাড়িতে করে সেখান থেকে কিছুদুর যেতেই গুলির আওয়াজ শুনতে পায়। তারমানে রেট পরে গেছে। আর ও মেয়েটাকে পেয়েছে….. একটা বিশ্ব্জয়ের হাসি দিয়ে তীব্র একহাতে মেয়েটাকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আরেক হাতে ড্রাইভ করতে থাকে….
ও এখানে একাই এসেছে কাউকে নিজের সাথে এনে রিক্স নেয়নি। রিদ্ধ ওইপাশে ওর জন্য অপেক্ষা করছে। তীব্র ওর কাছে গেলে তুরকে কোলে নিয়ে ওই গাড়িতে বসে পরল আর রিদ্ধ আর ড্রাইভার সামনের সিটে।
ওরা রাস্তা থেকেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যাক করে। হঠাৎ তীব্র দেখল মেয়েটা সিট থেকে পরে যাচ্ছে তীব্র ওর মাথাটা ধরে নেয়। কি করবে বুঝতে না পেরে অনেকটা ইতস্তত হয়েই তুরের মাথাটা নিজের বুকে রাখে। আলগা হওয়ার কারনে তুর আবার পরে যেতে চায় এবার তীব্র শক্ত করেই তুরের মাথা ওর বুকের সাথে চেপে ধরে। নিজের অজান্তেই খালি বুকে কোনো একটা পুর্নতা লায় তীব্র। আর প্রশান্তির এক নিশ্বাসে গাড়ির সিটে হেলান দিয়ে নিজের ক্লান্ত শরীর ছেড়ে দেয় তীব্র…….
,
,
,
,
,
,কিন্তু কিছুক্ষন পর ঘটে অন্য বিপত্তি। হঠাৎ করেই তুরের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তীব্র বুঝতে পারে ওর অবস্থা এতটাই খারাপ শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। তীব্র দ্রুত গাড়ি থামিয়ে তুরকে বাইরে বের করে আনে। বুঝতে পারে এই মুহুর্তে তুরকে শ্বাস দেওয়া প্রয়োজন। তীব্র দ্রুত রিদ্ধকে ডাকে….
— রিদ্ধ প্লিজ ওকে লিপ টু লিপ শ্বাস দেও। ওর জন্য খুব জরুরি।
তীব্রের কথাটা শুনে ওর মাথায় আকাশ ভেঙে পরে। তীব্র ওকে একটা মেয়েকে ধরতে গেলে কিস করতে বলছে….
— সরি স্যার আমার গার্লফ্রেন্ড আছে… যদি জানতে পারে তাহলে এবার ব্রেক-আপ…
— What rabies…. এখানে মেয়েটার জিবন মরন প্রশ্ন আর তুমি….
— সরি স্যার আমি পারব না। আপনি বরং ড্রাইভারকে বলুন….
তীব্র ড্রাউভারের দিকে তাকাতেই ও বিশ্রি একটা হাসি দেয়। যাতে তীব্রের রাগ উঠে। ও আর কিছু না ভেবেই তুরকে তুলে ওর ঠোঁটে ঠোঁট আটকে ওকে শ্বাস দিতে থাকে। এটা দেখে রিদ্ধ মুচকি মুচকি হেসে উঠে মনে মনে বলে, শেষ পর্যন্ত তাহলে নারী বিদ্বেষী নারী স্পর্শ করল…. যাক আমি তো বেচে গেছি।
তীব্র তুরের মুখে বাতাস দিতেই তুরের শ্বাস ঠিক হয়ে আসে কিছুক্ষন পর। তীব্র ওর মুখ থেকে চুল সরিয়ে ওর গালে আলত স্লাইড করে। তারপর আবার ওকে গাড়িতে তুলে এবার শক্ত করে বুকের মাঝে আকড়ে ধরে যাতে একটুও পরতে পারে…..
,
,
,
,
,
,
[ বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন ]
Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr
#Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr