#আলো-আঁধার🖤পর্ব ৩১
#লেখিকা:সালসাবিল সারা
৩১.
তূর্যয় মন খারাপ করে বসে আছে চুপচাপ।রাণী বেশ বুঝতে পারছে তূর্যয় তার মায়ের জন্যে মন খারাপ করছে।রাণী বুঝতে পারে মায়ের শূন্যতা।ছোট বেলা থেকে নিজের সকল কষ্ট মায়ের সাথে শেয়ার করার একটা শূন্যতা রাণীর সবসময় থেকেই যায়।কিন্তু, বাহিরে তা কখনো প্রকাশ করে না সে। করেই বা কি হবে? “মা” নামক কেউ তো রাণীর জীবনের এক অংশেও ছিলো না।
রাণী চুপ করে তূর্যয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
সিমির জিদের কাছে হার মেনে হ্যারি সিমিকে নিয়ে বাহিরে গিয়েছে,একান্তই কিছু সময় কাটাতে।হ্যারির নাম দিয়ে এসেছে সিমি এইখানে।সেক্ষেত্রে যদি সিমি হ্যারির সাথে সেই মান অভিমানের নাটক চালিয়ে না যায়,তাহলে রাণী সিমিকে সন্দেহ করতে পারে।তবে,আজকে সিমি রাণী আর তূর্যয়ের ব্যাপারটা জেনে শতভাগ নিশ্চয়তা পেয়েছে।এই ব্যাপারটা জেনে সিমি একটা বড় হাতিয়ার পেয়েই গিয়েছে রাণীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্যে।তাই,সিমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও হ্যারিকে নিয়ে বাইরে গেলো।আর হ্যারি,সে তো নিজেদের এমন ভাঙ্গা সম্পর্কের কথা রাণী আর তূর্যয় থেকে দূরে রাখতে চাই। হ্যারি সিমিকে ছেড়ে দিতো সেই কবে।কিন্তু,সিমির ব্যাপারে রহস্যজনক কিছু আন্দাজ করতে পারছে হ্যারি।যার কারণে সে এখনো সিমিকে সহ্য করে নিচ্ছে।নিতান্তই রাণীর ব্যাপারে সিমিকে সন্দেহ করছে হ্যারি।
রাণী, হ্যারি,সিমি সবাই একসাথে দুপুরের খবর খেয়েছিল।তবে,তূর্যয় কিছুই মুখে দেয়নি।রাণী বলেছিল তূর্যয়কে তাদের সাথে একসাথে খাওয়ার খেতে।কিন্তু,
তূর্যয় রাজি হয়নি।রাণী তূর্যয়কে প্রশ্নও করেছিল “কেনো!” তবে, এর উত্তর তূর্যয় তাকে দেয়নি।তূর্যয় অবশ্যই রাণীকে উত্তর দিতো যদি সে রাণীর সাথে একা থাকতো। সবাই উপস্থিত থাকায় তূর্যয় নিজের মুখ বন্ধ রেখেছিল।কারণ,তূর্যয় শুধু রাণীর সামনেই তার কথার ভান্ডার নিয়ে বসে।অগত্য,তূর্যয় মুখ গোমড়া করে নিচে একটা রুমে গিয়ে নিজেকে বন্ধী করে নিলো। হ্যারি আর সিমি চলে যেতেই,রাণী পুনরায় নিজ হাতে গরম করে নিলো ভাত এবং বাকিসব কিছু।রাণী নিজের কোমর থেকে শাড়ির আঁচল মুক্ত করে আঁচলটা ঠিক করে নিলো।ধীর পায়ে রাণী তূর্যয় যে রুমে বসে আছে সে রুমের দিকে পা বাড়ালো।দরজা খোলা দেখে রাণী একটু অবাক হলো।দরজা ঠেলতেই রাণী দেখলো তূর্যয় চুপ করে বসে আছে।রাণী রুমে ঢুকলো না।কয়েক কদম পিছে গিয়ে সে তূর্যয়ের নাম ধরে ডেকে উঠলো,
–“তূর্যয়!”
তূর্যয় রাণীর কণ্ঠে নিজের নাম শুনে তার কল্পনা জগৎ থেকে ফিরে এলো।এতক্ষণ যাবত সে তার মায়ের মৃত্যু,
সালেহার খারাপ ব্যবহার ও স্বার্থপরতার কথা ভাবতে ব্যস্ত ছিলো।রাণীর কণ্ঠ শুনে তূর্যয় বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।তূর্যয় উত্তর দেওয়ার পূর্বেই রাণী আবারও তার নাম ধরে জোরে ডেকে উঠলো,
–“তূর্যয়,তূর্যয়!”
রাণীর শব্দে তূর্যয় দ্রুত বের হলো রুম থেকে।রুম থেকে বেরিয়ে এসে রাণীকে দেখলো না সে।তূর্যয়ের ভ্রু কুঁচকে এলো।রাণী আরেকটু দূরে গিয়ে আবারও তূর্যয়ের নাম ধরে চেঁচিয়ে যাচ্ছে।তূর্যয় সামনের দিকে পা বাড়ানো অবস্থায় রাণীকে জবাব দিল,
–“রৌদ্র?কি হয়েছে?ঠিক আছো?”
তূর্যয়ের কথায় রাণী মুখ টিপে হাসলো।তারপরও সে কোনো উত্তর না দিয়ে তূর্যয়ের নাম ধরে ডাকতে লাগলো।এক পর্যায়ে রাণী ডাইনিং টেবিলের পাশে থাকা বড় পিলারের পাশে লুকিয়ে তূর্যয়কে ডেকে উঠে বললো,
–“তূর্যয়!”
তূর্যয় রাণীর কণ্ঠের পিছু নিতে নিতে ডাইনিং রুম এ চলে এসেছে।তূর্যয়ের তীক্ষ্ণ নজর চারপাশে রাণীকে খুঁজছে।রাণীর কণ্ঠস্বর শুনে তূর্যয়ের মনে হলো,রাণী একান্তই তূর্যয়ের সাথে মজা করছে।তাই তূর্যয়ের ভালো করে রাণীকে খুঁজতে লাগলো।অতঃপর পিলারের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাণীকে দেখলো সে।অবশ্য সামনে থেকে দেখেনি রাণীকে তূর্যয়।তূর্যয় মূলত দেখছে রাণীর পিঠ আর তার পিঠের উপর দুলতে থাকা এলোমেলো চুল।তূর্যয় ঠোঁট বাঁকা করলো রাণীকে দেখতে পেয়ে।রাণী মুখ থেকে হাত সরিয়ে আবারও তূর্যয়ের নাম ধরে ডাকতে গেলে তখনই সে তূর্যয়ের হাঁচি দেওয়ার শব্দ শুনতে পেলো।রাণী চোখ বড় করে পেছনে ফিরতেই দেখে তূর্যয় অনেকটা কাছে চলে এসেছে তার। তূর্যয় রাণীকে ভয় দেখানোর পরিকল্পনা করলেও,তূর্যয়ের আচমকা হাঁচি চলে আসায় তূর্যয়ের সব পরিকল্পনা জলে গেলো।রাণী এক দৌড় দিয়ে ডাইনিং এর সামনে চলে এসেছে।তূর্যয় নিজের নাকে হাত রেখে রাণীকে বলে উঠলো,
–“থামো, রৌদ্র।শাড়ি পেঁচিয়ে পড়বে।”
তূর্যয় কথাটা বলে রাণীর পিছু পিছু গিয়ে দেখলো,রাণী ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসে আছে।টেবিলে খাবার সাজানো।তূর্যয় রাণীর কাছে যেতেই রাণী তূর্যয়কে ইশারা করলো বসার।তূর্যয় তার চেয়ারে বসে পড়লো।টেবিলে রাখা রাণীর হাতের উপর নিজের হাত রেখে তূর্যয় রাণীকে বলে উঠলো,
–“আমার জানা মতে,এখন তো টেবিলে খাবার থাকার কথা না।কাজের লোকেরা সব তো গুছিয়ে গিয়েছিলো।তাহলে?”
রাণী নিজের হাতসহ তূর্যয়ের হাত পানির বাটিতে রাখলো।এরপর রাণী প্লেটে রাখা ভাতে হাত রেখে দিল তূর্যয়ের।তূর্যয় হাত ঝেড়ে ভাত থেকে হাত উঠাতে নিলে রাণী তূর্যয়ের হাত চেপে বলতে লাগলো,
–“খেয়ে নিন।এইভাবে ভাত থেকে হাত উঠিয়ে নেয় না।”
তূর্যয় রাণীর দিকে তাকিয়ে রইলো।রাণীকে যতো দেখে তূর্যয় ততোই অবাক হয় সে।এমন আপনভাব কখনো পায়নি সে কারো থেকে। হ্যারি আর মোল্লা সাহেব তার অনেক আপন হলেও,তারা কখনো তূর্যয়ের কথার খেলাফ করেনি,বা তূর্যয়কে জোর খাটিয়ে কিছু করায়নি কখনো।কিন্তু রাণীর এইসব কাজকর্ম দিনদিন তূর্যয়কে আরো বেশি পাগল করে ছাড়ছে রাণীর জন্যে।তূর্যয়ের মনটা আনন্দে ভরে যায়,রাণীর মতো এমন একটা মেয়েকে সে ভালোবাসে; এই কথাটি ভাবতেই।রাণী মুচকি হেসে চলেছে।রাণীর সেই হাসিমুখ দেখে তূর্যয় রাণীকে বললো,
–“আমার কথা না শুনতে বেশি মজা লাগে?”
রাণী চোখ বন্ধ করে মাথা নাড়ালো,সাথে রাণীর চোখে মুখে দুষ্টুমি হাসি।এই ব্যাপারটা দেখে তূর্যয়ের বেশ ভালো লাগলো।তূর্যয় রাণীকে মাংস দিতে বলে তাকে আদেশ দিল,
–“একটা শর্তে ভাত খেতে পারি।”
রাণী বাটি থেকে মাংস নিয়ে তূর্যয়ের প্লেট রেখে তাকে বললো,
–“হ্যাঁ,বলুন না।”
তূর্যয় ভাত মাখিয়ে রাণীর মুখের সামনে ধরে তাকে জবাব দিলো,
–“প্রথম লোকমা তুই খাবি।”
তূর্যয়ের হাত থেকে খাবার খাওয়ার লোভ না সামলাতে পেরে রাণী অল্প ভাত নিজের মুখে তুলে নিলো তূর্যয়ের হাত থেকে।এরপর মুচকি হেসে রাণী তূর্যয়কে বলে উঠলো,
–“অমৃত!উম্ম,অনেক মজা।এইবার খেতে নিন,
জাহাঁপনা।অনেক শর্ত দেওয়া হয়েছে।”
তূর্যয় রাণীর এমন অভিনয় দেখে মাথা দুই দিকে নাড়িয়ে হেসে উঠলো।মুখে ভাত পুরে দিয়ে তূর্যয় রাণীকে বলতে লাগলো,
–“এই মেয়ে,তুই এতো অভিনয় করিস কেমনে?তোকে যে এখন কতো আদুরে লাগছে,এই সম্পর্কে তোর কোনো ধারণা আছে?”
রাণী চেয়ার থেকে উঠে পড়লো।সে তূর্যয়ের গালে এক হাত রেখে,তূর্যয়ের খোঁচা খোঁচা দাড়িতে হাত বুলিয়ে তূর্যয়কে জবাব দিলো,
–“আমি আপনার রৌদ্র,তাই!এই শুনুন।আপনি কিন্তু ভুল করেও অন্য মেয়ের দিকে তাকাবেন না।নাহলে কিন্তু আমি আপনাদের দুইজনকেই মেরে দিবো।আপনি শুধুই আমার।”
কথাগুলো বলে রাণী তূর্যয়ের গাল থেকে হাত নামিয়ে শার্টের কলারে হাত রাখলো।তূর্যয় রাণীর কথায় তাকে বলে উঠলো,
–“আমি আর অন্য মেয়ে? মেয়েরা আমাকে দেখলে ভয়ে কোনদিকে পালাবে এটাই বুঝে না।”
–“মিথ্যা কথা।আমার স্পষ্ট মনে আছে সেই মেয়েটার কথা,যে অফিসে এসে আপনাকে নানান কথা বলেছিলো।ঐটা কি মেয়ে ছিলো না?”
রাণী গাল ফুলিয়ে প্রশ্ন করলো তূর্যয়কে।রাণী প্রশ্নে তূর্যয় বুঝতে পারছে,রাণীর প্রশ্নে অভিমানের সুর।তূর্যয় রাণীর দিকে তাকালেই, তূর্যয় দেখলো; রাণী তূর্যয়ের কলারে হাত রেখে তা নিয়েই ব্যস্ত।তূর্যয় গম্ভীর গলায় রাণীকে বললো,
–“সব রাগ কি কলারের উপর উঠাবে? কলার ছিঁড়ে যাবে তো।”
রাণী তূর্যয়ের কথায় কলার থেকে হাত সরিয়ে নিলো।মুখ ভেংচিয়ে রাণী তূর্যয়কে জবাব দিলো,
–“আমি গরীব মানুষ,আপনার দামী শার্টের কলারে হাত দিলে তা ছিঁড়ে যাবে,তাই তো!”
তূর্যয় চোখ ছোট ছোট করে রাণীকে বলে উঠলো,
–“হয়েছে?বলা শেষ?”
রাণী মাথা নাড়িয়ে চলে যেতে নিলে,রাণীর হাত ধরে তাকে কোলে বসিয়ে দিলো তূর্যয়।হঠাৎ এমন হওয়াতে রাণী চোখ মুখ কুঁচকে তূর্যয়কে চিল্লিয়ে বললো,
–“উফফ,শান্তি মতো খাবার শেষ করুন।এইসব আবার কি?”
তূর্যয় কিছু বললো না।বাম হাত রাণীর পেটের উপর পেঁচিয়ে নিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো সে।তূর্যয়ের বুক,রাণীর পিঠের সাথে ঠেকে আছে।রাণীর অস্বস্তি হচ্ছে।অদ্ভুত লাগছে তার সবকিছু।তূর্যয় নিঃশব্দে ভাত খাচ্ছে।রাণী তূর্যয়ের হাতের উপর নিজের নখের সাহায্যে খামচি দিয়ে যাচ্ছে।তূর্যয় রাণীকে বলে উঠলো,
–“নিজেকে ছোট করে যেনো আর কথা না বলে কেউ।”
রাণী গাল ফুলিয়ে তূর্যয়কে জবাব দিলো,
–“আমি তো আর আপনার মতো বড়লোক মানুষ না,তাই আমি নিজেকে ছোট করলেও কি; না করলেও কি।এতিম মানুষের কোনো স্টেটাস থাকে না।”
–“আমিও এতিম।আমার তো ভালই স্টেটাস আছে।স্টেটাস বড়লোক,ছোটলোক কারোই না।আর,নিজেকে এতিম বলা বন্ধ কর।তুই আমার পরিবার আর আমি তোর পরিবার।বুঝেছিস?”
কথাটা বলে রাণীর পিঠের চুল বাম হাত দিয়ে সরিয়ে রাণীর পিঠে হালকা কামড় দিলো তূর্যয়।ব্যথায় রাণী চোখ বন্ধ করলো।হাত উল্টিয়ে পিঠে হাত রেখে রাণী তূর্যয়কে বলে উঠলো,
–“রাক্ষস কোথাকার।ভাত খেতে বলেছি আমাকে না।ভাত না খেয়ে আমাকে কামড় দিয়েছেন কেনো?”
–“ঠিক খাবারেই দাঁত বসিয়েছি।”
তূর্যয়ের সোজা জবাবে।
তূর্যয়ের হাত থেকে ছাড় পেয়ে রাণী উঠে পড়লো তূর্যয়ের কোল থেকে।পিঠে হাত রেখে রাণী তূর্যয়কে বললো,
–“অসভ্য।”
তূর্যয় মাথা নাড়িয়ে জবাব দিলো,
–“শুধু তোর।”
রাণী চোখ উল্টিয়ে অন্য চেয়ারে দিয়ে বসলো,তূর্যয় থেকে একটু দূরে। আড় চোখে সে তূর্যয়কেই দেখে যাচ্ছে।তূর্যয়ের চোয়ালটা উঠা নামা করছে ভাত চাবানোর ফলে।তূর্যয়ের চোয়াল রাণীর বরাবরের মতো বেশ পছন্দের।ভাত খাওয়ার মাঝে মাঝেই তূর্যয় তার কপালে আসা চুল উঠিয়ে রাখছে আবারও, তার মাথার উপরের ঘন চুলে।রাণী মনে মনে ভাবছে,
–“একেবারেই মায়ের চেহারা এই ছেলেটা।শুধু মা একটু বেশি ফর্সা ছিলেন।কিন্তু,আমার তূর্যয়কে এমনই বেশি ভালো লাগে।ইস,মুখে কেমন দানবীয় ভাব,আবার চোখগুলো রহস্যময়।উনি চোখ তুলে তাকালে আবার মায়ার সৃষ্টি হয়।আমার দিকে উনি যখন ভালোবাসার নজরে তাকান,তখন তার সম্পূর্ণ চেহারা যেনো জ্বলজ্বল করে।অবশ্য,অন্যসব মানুষ শুধু তার গম্ভীর সেই চোখজোড়া আর গোমড়া মুখটাই দেখেছেন।কিন্তু, আমি তো আমার সন্ত্রাসীর সব অভিব্যক্তির সাথে পরিচিত।এই সন্ত্রাসী শুধু আমার,একান্তই এই রাণীর।”
রাণী মনে মনে হেসে যাচ্ছে,তার মনের কল্পনাকে নিয়ে।
ভাত খেয়ে উঠতেই তূর্যয়ের ফোন আসলো।রাণী নিচের রুমটা থেকে তূর্যয়ের ফোন এনে দিলো তাকে।তূর্যয় চেয়ারে বসে ফোনে কথা বলছে।আর রাণী সব প্লেট, বাটি রান্নাঘরে গিয়ে রাখছে।তূর্যয় ফোনে কথা বলার পাশাপাশি রাণীকে দেখে যাচ্ছে।তূর্যয়ের কাছে মনে হচ্ছে,রাণী এখন তারই বউ।তূর্যয়ের কাছে রাণীর এই রূপটা বেশি পছন্দ হয়েছে।তূর্যয় মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো,অতি দ্রুত সে রাণীকে বিয়ে করে নিবে।আর কোনো শত্রুর কথা আপাতত ভাবছে না সে। ফোনে কথা বলা শেষে রান্নাঘরে গেলো তূর্যয়।সেখানে সে দেখলো,
রাণী বাটির তরকারি সসপ্যানে রাখছে।তূর্যয় রাণীর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো।রাণীকে কিছু বলার আগেই,
তূর্যয়ের ফোন বেজে উঠলো আবারও।তূর্যয় ফোন রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে ইকরাম বললো,
–“বস, কালো বাজারের ছোট ব্যবসায়ী বরকতকে আটক করেছি।কিন্তু, সে আপনাকে দেখা ছাড়া নাকি কিছুই বলবে না।সাথে আপনাকে গালি দিচ্ছে অকথ্য ভাষায়।”
–“ছুরি গরম করে ছেকা দাও তার জিহ্বায়।আমি আসছি।”
তূর্যয়ের এমন রাগী কথা শুনে রাণীর হাত শক্ত হয়ে এলো।
–“এই লোক কেনো এতো ভয়ংকর!”
রাণীর বুকটা ধক করে উঠছে বারবার।
–“আমি আসছি একটু। পাঁচ মিনিটে কাজ সেরে চলে আসবো।আমাকে ছাড়া ঘর থেকে বাহির হবে না।বুঝেছো?”
–“আচ্ছা।”
রাণী তূর্যয়কে জবাব দিলো।রাণীর জবাব পেয়ে আলতো করে রাণীর মাথায় চুমু দিয়ে তূর্যয় বেরিয়ে গেলো।রাণী বুকে ফুঁ দিয়ে নিজের কাজে মন দিলো।
তূর্যয় তার কাজ শেষ করে এসে দেখে রাণী নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে চলে যাওয়ার জন্যে।তূর্যয় রাণীকে প্রশ্ন করলো,
–“কই যাও?”
–“এতিম খানায়।আর কই যাবো?”
রাণীর সহজ জবাব।
–“হ্যারি এখনো আসেনি?”
–“নাহ।”
তূর্যয় রাণীর কথা শুনে হ্যারিকে ফোন দিতে গেলে রাণী তাকে বাঁধা দিয়ে বললো,
–“আরে আরে,উনারা দুইজন প্রেম করছে।আপনি কেনো ওদের সমস্যা করছেন?নিজে বুঝেন প্রেমের কিছু?অন্যের প্রেম কেনো নষ্ট করছেন?”
–“আচ্ছা চল।প্রেমের মানে বোঝায় আমি তোকে আজ।”
তূর্যয় কথাটি বলে রাণীর হাত ধরে বাড়ির বাহিরে চলে এলো।গাড়িতে উঠতেই রাণী অবাক হয়ে তূর্যয়কে প্রশ্ন করলো,
–“কোথায় যাচ্ছি?দেখুন সন্ধ্যা হলে কিন্তু আমার যেতে সমস্যা হবে।তার উপর এই শাড়ি!”
তূর্যয় হাত চেপে বসে রইলো।সে রাণীকে নরম কণ্ঠে বলে উঠলো,
–“আমরা প্রেম করতে যাচ্ছি।”
রাণীর মুখ হাঁ হয়ে গেলো তূর্যয়ের কথা শুনে।তূর্যয় রাণীর মাথা টেনে তার বুকে রাখলো।রাণীর ঝলমলে চুল হাত বুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছে সে।
রাণী নিজেও চুপ করে আছে।আপাতত সে তূর্যয়ের বুকের ধুকধুক শব্দ শুনতে ব্যস্ত।
তূর্যয় এখন কতটাই শান্ত তার মনের মানুষের সাথে।কিন্তু একটু আগেই পরপর তিনজনকে হিংস্রভাবে খুন করেছে সে।তবে এখন রাণীর ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে,তূর্যয়ের সব হিংস্রতা যেনো কোথায় চলে গেলো।
;
আজই রিহানার শেষ দিন বাংলাদেশে। রিহানকে তার বাবা ইংল্যান্ডে পাঠানোর জন্যে রাজি করাতে পেরেছে।কিন্তু রিহানা,কমিশনারকে শেষ একটা অনুরোধ করলো,
শেষবারের মতো তূর্যয়কে দেখতে চায় সে।একমাত্র মেয়ের এমন অনুরোধ ফেলতে পারেনি কমিশনার।তাই, তূর্যয়ের গাড়ি কোথায় বেরিয়েছে এর খোঁজ লাগলো রিহানা আর তার বাবা।কমিশনারের মনে সরলতা থাকলেও, রিহানার মনে আছে শুধুমাত্র প্রতিহিংসা। খুবই সতর্কতার সাথে রিহানা তার ব্যাগে নিজস্ব পিস্তল নিয়ে নিলো। কমিশনারকে রিহানা রাজি করিয়ে নিলো তার সাথে এয়ারপোর্ট না যাওয়ার জন্য। সে তার বাবাকে জানালো,তূর্যয়ের সাথে শুধু দেখা করেই সে এয়ারপোর্ট চলে যাবে।অগত্য নিজের অফিসের সামনে গাড়ি আসতেই নেমে পড়লো কমিশনার। রিহানাকে বিদায় দিতেই, রিহানা ছুটে চললো তূর্যয়ের গন্তব্য স্থানে।
.
গাড়ি থেকে নেমে বেশ অবাক হল রাণী।সে স্পষ্ট চিনতে পারছে এই জায়গায় সে তূর্যয়ের সাথে এসেছিল কিছুদিন আগে। এদিকে পাশেই তূর্যয়ের একটা আস্তানা আছে। এই জায়গাটা সে আগেরই জঙ্গলের ভেতরকার রাস্তা,যেখানে রাণী আর তূর্যয় একসাথে বাইকে চড়ে নিজেদের গোপন সময় অতিবাহিত করেছে।তূর্যয় এখানেই যে তাকে প্রেম করতে নিয়ে আসবে, এটা রাণীর মাথায় একেবারেই ছিলো না।সে নিজের কপাল চাপড়ে বলে উঠলো,
–“সন্ত্রাসীর সাথে প্রেম করলে যা হয়!এইখানে কেউ প্রেম করতে আসে?”
রাণীর বিড়বিড় কথা তূর্যয়ের কানে ঠিকই গেলো।সে রাণীকে উত্তর দিলো,
–“তূর্যয় আসে।তোকে প্রকাশ করলে এখন তোর জন্যই ক্ষতি।অনেক জলদি আমি সব ঠিক করে নিবো,রৌদ্র।তখন আমরা অন্য সবার মতো,ঘুরবো।তুই যেখানে নিয়ে যেতে বলবি,সেখানেই নিয়ে যাবো।”
রাণী হাসলো তূর্যয়ের কথায়।এই ছেলে রাণীকে ঠিক কতটা ভালোবাসে এটা রাণী খুব ভালোই টের পায়।রাণীর হাত আঁকড়ে ধরে তূর্যয় সামনের দিকে হাঁটছে।ঝিরিঝিরি বাতাসে রাণী নড়ে উঠছে।রাণী আরো শক্ত করে চেপে ধরলো তূর্যয়ের হাত। ধীর গতিতে তূর্যয় রাণীর কোমরে হাত রাখতেই রাণী হালকা কেঁপে উঠলো।তূর্যয় রাণীর মুখে একরাশ লজ্জা দেখতে পাচ্ছে।রাণী আর তূর্যয় দুইজনই ভেবে নিলো আজই তারা একে অপরকে মনের কথা জানিয়ে দিবে।দুইজনের মধ্যে ভালোবাসা থাকলে,”ভালোবাসি” কথাটা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সামনের এক ফুল গাছ থেকে জবা ফুল নিয়ে তূর্যয় সেটা রাণীর কানের পিছে গুঁজে দিলো।তূর্যয় কিছু বলবে,এর আগেই রাণী তূর্যয়ের দুইহাত ধরে তাকে বলে উঠলো,
–“অনেকদিনের জমানো সব কথা,আজ আপনাকে বলতে চাই আমি।”
তূর্যয় রাণীর হাতে ঠোঁট ছুঁয়ে বললো,
–“বলো,রৌদ্র।”
–“আসলে..আমি আপ…”
রাণীকে তূর্যয় কিছু বলতে দিলো না।এর আগেই রাণীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো তূর্যয়।রাণী কিছু বুঝলো না।চোখ পাকিয়ে দেখে আছে তূর্যয়ের দিকে।কোমরের পেছন থেকে পিস্তল বের করে সামনে শুট করলো তূর্যয়।রাণী তূর্যয়ের বাহু ধরতে নিলে তূর্যয় তাকে চিল্লিয়ে বললো,
–“যা এইখান থেকে।রাণী যা।”
–“আমার কথাটা!”
রাণীর কথায় আরো জোরে তূর্যয় চিল্লিয়ে তাকে নির্দেশ দিলো,
–“কানে শুনতে পাস না?তোর কথা তোর কাছে রাখ। এখন যাও। পরে শুনবো।গাড়ির কাছে যাও,আর এতিম খানায় ফিরো।”
রাণীকে আর না কিছু বলতে দিলো,আর না তূর্যয় নিজে কিছু বললো।সামনে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো।অবশ্য একবার পেছনে তাকিয়েছিল রাণীর দিকে। ততক্ষণে রাণী সেখান থেকে চলে গিয়েছিল।
রাণীর চোখে পানির বন্যা বয়ে যাচ্ছে।খুব বেশি কষ্ট পেলে রাণী কান্না করে।তূর্যয়ের হঠাৎ কি হলো রাণী বুঝতে পারলো না।কিন্তু, রাণী এটা জানে,নিশ্চয় সেখানে কোনো বিপদ ছিলো রাণীর।যার কারণে তূর্যয় এমন আচরণ করেছে তার সাথে।কিন্তু,তাই বলে এতো খারাপ আচরণ করবে,তাও তার সবচেয়ে বেশি অপেক্ষারত সময়ের ইতি ঘটানোর সময়!এটা রাণী কিছুতেই আশা করেনি।তূর্যয়ের গাড়ি অতিক্রম করে সে জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে দৌড়াতে লাগলো।কয়েকবার পড়েও গিয়েছে শাড়ি পেঁচিয়ে।তাও রাণী উঠে দৌড়াতে লাগলো।সেদিন তূর্যয়ের সাথে এই রাস্তা দিয়ে কোনদিকে মেইন রোডে উঠেছে এটা রাণীর মনে আছে।সেই রাস্তা দিয়ে রাণী দৌড়িয়ে যাচ্ছে।সে মনে মনে ভাবছে,
–“এই কাজের জন্যে যতদিন আপনি,নিজ থেকে এসে আমাকে সরি বলবেন না;ততদিন এই রাণীর দেখা পাবেন না আপনি।কেমন মানুষ উনি!আমার মনটাই ভেঙে দিয়েছেন উনি।”
রাণী নিজের চোখের পানি মুখে দাঁড়ালো।পেছনে ফিরে এসে ভাবলো,
–“লোকটা ঠিক আছে তো?নিশ্চয় আবারও কোনো সমস্যা হয়েছে।কিন্তু এটা ঠিক ভাবেই বলতে পারতেন উনি।এইভাবে ধমক দেওয়ার কি ছিল?আপনি যেমন হিংস্র সন্ত্রাসী,আমিও তেমন সেই হিংস্র সন্ত্রাসীর রৌদ্র।আমাকে মানানো এতো সহজ না। তবে,আমি কি পারবো নিজ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে?আপনি কি আসবেন আমার রাগ ভাঙাতে?”
অভিমানে রাণীর চোখ আবারও ভরে উঠলো।
‘
রিহানার এক পায়ে গুলি লেগেছে।রিহানার গাড়ির ড্রাইভার তূর্যয়কে দেখেই পালিয়েছে।তখন তূর্যয় সাথে সাথে গুলি না ছুড়লে রাণীর মাথায় এসে লাগতো রিহানার তাক করা পিস্তলের বুলেট।তূর্যয় অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে রিহানার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।ততক্ষণে তূর্যয়ের রূপটা হিংস্রতায় ছেয়ে গিয়েছিল।রিহানা তূর্যয়ের কাছে এগিয়ে তাকে বলেছিলো,
–“ঐ.. ঐ.. রক্ষিতার সাথে তুমি কি করছিলে?মেরে দিবো আমি তাকে।”
রিহানা অন্যদিকে ফিরতেই,তূর্যয় রিহানার পায়ে গুলি করলো।রিহানা পা ধরে কাতরাতে লাগলো ব্যাথায়।তূর্যয় নিজের কপালে পিস্তল ঘষে তাকে বলে উঠলো,
–“আমার জান সে!তার দিকে চোখ তুলে দেখার সাহস কি করে হয় তোর!বলিনি আমি হিংস্র?আমি ভয়ংকর?আমি শুধু আমার রৌদ্রের জন্যেই ভালো।আর সবার জন্যে আমি যম।”
–“আই লাভ ইউ, তূর্যয়।”
তূর্যয় রিহানার কপালে গুলিয়ে তাক করলো দাঁড়ানো থেকেই।তূর্যয় বেশ রাগী গলায় রিহানাকে বললো,
–“এই কথা বলার অধিকার আমি শুধু আমার রৌদ্রকে দিয়েছি।এখন মর তুই।”
তূর্যয় এর এমন ভয়ংকর রূপ দেখে রিহানার ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালালো।সে তূর্যয়ের দিকে হাত জোড় করে বলতে লাগলো,
–“মেরো না প্লিজ।তোমাকে চিনতে অনেকটা সময় লেগেছে আমার।আমি আজই চলে যাবো দেশ থেকে।প্লিজ ডোন্ট কিল মি।”
তূর্যয় ঘাড় বাঁকা করলো।সে একই অবস্থায় তার দিকে গুলি তাক করে রিহানাকে জবাব দিলো,
–“তূর্যয় একবার সুযোগ দেয়।সেই সুযোগ কাজে না লাগালে,আর কোনো সুযোগ দিই না আমি।আর এইসব প্লিজ,বলে লাভ নেই।আমার কাছে অন্যর জন্যে দয়া বলতে কিছু নেই।”
তূর্যয় শুট করতে পারলো না।কমিশনার তূর্যয়ের পা জড়িয়ে ধরেছে।নিজের মেয়ের উপর শেষ মুহূর্তে কেনো যেনো ভরসা না করে,নিজেই পিছে নিয়েছিলেন তার।অতঃপর এইখানের অবস্থা দেখে আতকে উঠলো কমিশনার।
–“আমার মেয়েকে মেরো না।”
কমিশনারের কণ্ঠে তূর্যয় ফাঁকা গুলি ছুড়লো আকাশে।কমিশনার আর রিহানা চিল্লিয়ে উঠলো।
তূর্যয় নিজের পা থেকে কমিশনারের কলার ধরে তাকে উঠিয়ে নিয়ে বেশ কড়া ভাষায় বললো,
–“পরেরবার আরেকটা ভুল হবে তো,মেয়ে বাবা দুইজনই মরবি।”
থরথর করে কাঁপছে কমিশনার।নিজের মেয়ের দিকে ঘৃণার চোখে তাকিয়ে মাথা নাড়ালো কমিশনার।তূর্যয় নিজের পিস্তল হাতে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। নিজের গাড়ি দেখতে পেয়ে অবাক হলো তূর্যয়।তূর্যয় ভেবেছিল রাণী চলে গিয়েছে গাড়ি করে।পরক্ষণে সে ভাবলো,রাণী তার জন্যেই অপেক্ষা করছে গাড়িতে।গাড়িতে রাণীকে না দেখে তূর্যয় ড্রাইভারকে চিল্লিয়ে বললো,
–“রাণী কোথায়?”
–“দেখিনি তো আমি!”
তূর্যয় চড় দিলো ড্রাইভারকে।রাগে তূর্যয়ের গা জ্বলে যাচ্ছে।এই মুহূর্তে রাণীকে হাতের কাছে পেলে তূর্যয় তাকে দু চারটা চড় লাগিয়েই দিতো।ফোন দিয়েও লাভ হয়নি তূর্যয়ের।রাণী ফোন ধরছে না।তূর্যয় নিজের চুল টানতে টানতে ভাবতে লাগলো,
–“বেশি বুঝে সবসময় এই মেয়েটা।একবার হাতের কাছে পেলে,সব রাগ বের করবো আমি তার।”
গাড়িতে উঠে তূর্যয় এতিম খানায় যেতে বললো ড্রাইভারকে।এর মধ্যে হ্যারি ফোন করলো তূর্যয়কে।ফোন রিসিভ করে তূর্যয় চুপ করে রইলো।কিন্তু,হ্যারি বেশ রেগে বলে উঠলো,
–“ব্রো,আমার সিস কান্না করেছে তোমার জন্যে।এইসব কি?আমার সিসকে কেনো স্কল্ড করেছো তুমি?সেই জঙ্গল টু এইখানে সিঙ্গেল এসেছে সে।”
–“চুপ করো, হ্যারি। ঐ মেয়ে পৌঁছিয়েছে তাহলে।অফিসে আসো।”
তূর্যয় বেশ জোরেই বললো কথাগুলো বললো।
–“নো ব্রো।আমি আসবো না আজ।আমি আমি সিসের সাথে আছি।সি ইজ ক্রাইং।তুমি এটা ঠিক করোনি ব্রো।সি লাভস ইউ এ লট।আজ একা ডিল করো সব।”
কথাগুলো শুনে তূর্যয় ফোন কেটে দিলো।তূর্যয়ের রাগ যেনো দাউদাউ করে বাড়ছে।কাউকে কোনো ব্যাখ্যা তূর্যয় দিতে পারে না।আর না সে কাউকে ব্যাখ্যা দেয়।রাণী এতিম খানায় পৌঁছেছে ভেবে তূর্যয়ের স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললো।কিন্তু,হ্যারির কথা আর রাণীর অবুঝ মন মানসিকতার জন্যে তূর্যয়ের রাগ এক অংশও কমলো না।রাগে সে খুব জোরেই গাড়িতে ঘুষি দিলো তূর্যয়,
–“অতিরিক্ত বুঝদার হিসেবে, শাস্তি নামক একটা পুরষ্কার তোমার পেতেই হবে,রৌদ্র।”
তূর্যয়ের কঠিন মনোভাব।
চলবে…..
কপি করা নিষেধ।কেমন হয়েছে গল্প জানাবেন সবাই।ভালোবাসা অবিরাম।সবার সাথে কমেন্টে কথা হবে।আগের মতো গল্প রিয়েক্ট পড়ে না দেখে মনটা খারাপ হয়ে যায়,লেখার আগ্রহ থাকে না।গল্প যারা পড়েন তারা অবশ্যই পোস্টে রিয়েক্ট করবেন।আপনার একটা রিয়েক্ট আমার গল্প লিখতে উৎসাহ দিবে।যাদের নিউজফিড এ গল্প যায় না,তাদের বেশির ভাগ সাইলেন্ট রিডার।আপনারা গল্পে কিছুদিন লাইক কমেন্ট করুন,দেখবেন আগের মতো নিউজফিডে গল্প পাচ্ছেন।