#ভালোবাসি_বলে_দাও
#আরিশ❤আরু
#Suraiya_Aayat
9.
ওনার পায়ের কাছে বসে আছি আমি, নির্বিকারে ওনার দিকে চেয়ে আছি, ওনার এখনো জ্ঞান ফেরেননি তবে শরীরে জ্বরটা আর নেই। আপনাআপনিই আমার চোখ দিয়ে জল গড়ালো তবে তা রাগে। ওনার কারনে বারবার কেন আমাকে অপ্রত্যাশিত ভাবে ফারিন আপুর থেকে কথা শুনতে হয়। আপু আমার থেকে বয়সে বড়ো, তার মুখের ওপর জবাব দিলেই আমি হয়ে গেলাম ঠোঁট কা/টা বে/য়া/দ/প মেয়ে। কিছুখন আগে উনি ফোন করেই এসব কথাই আমাকে শুনিয়েছেন।
নেহাত আরিশ ভাইয়ার শরীর খারাপ হওয়ার দরুন আমি কেবল একনাগাড়ে শুনে গেছি ওনার কথা, তবে যখন উনি বললেন যে আমার জন্য নাকি ওনাদের দুজনের সম্পর্কের মাঝে এতো জটিলতা তখন আমি আর সহ্য করতে পারলাম না, না পেরে বলে উঠলাম,
‘নিজেকে কি ভাবো তুমি? বুয়েটিয়ান আর বয়সে বড়ো বলে যা খুশি তাই বলে যাবে? আমি তোমার থেকে বয়সে ছোট তাই সব দোষ আমার? তোমার আর আরিশ ভাইয়ার সম্পর্ক নিয়ে আমি কখনো কিছু বলেছি তোমাকে? বিয়ে করে নাও তাকে, এতোই যদি তাকে নিয়ে ভয় হয়। ‘
আমার এমন কথা শুনতেই উনি আমাকে ‘বেয়াদপ’ বলে সম্মোহন করতেই আমি ফোনটা কেটে দিলাম। তবে হঠাৎ করে ওনার এমন ভাবে ব্যাবহার করার কারন বুঝে উঠতে পারলাম না আমি।
ওনার কাছে বেশ অনেকবার অপমানিত হয়েছি আমি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে, কিন্তু বার বার একই জিনিস সহ্য করা যায় না। আমার চোখ থেকে জল গড়াচ্ছে রিতিমত। নিরবে এক চাপা কষ্ট সহ্য করে যাচ্ছি আমি, তা বোঝার মতো কেও নেই। ওনার দিকে তাকালাম আমি, উনি এখনো ঘুমাচ্ছেন। ওনার অগোচরে এতো কিছু হয়ে গেল উনি তা জানতেও পারলেন না।
হাতের দিকে তাকাতেই দেখলাম বেলি ফুলের মালাটা এখনো হাতেই রয়েছে, তার ঘ্রাণ এখনো আগের মতোই তাজা। আমি একটানে মালাটা ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করলেও সফল হলাম না, হাতের বেশ কিছু জায়গায় সুতোর টানে লাল লাল দাগ হয়ে গেছে। আমি তাতেও দমে গেলাম না, অবশেষে একটা জোরপূর্বক টান দিতেই সুঁতোটা ছিঁড়ে গেল আর আমি বেশ শব্দ করেই আহহ করে উঠলাম, হাতটা কেটে গেল সুঁতোর ধারে। আমি মালাটা ফ্লোরে ছুঁড়ে মারলাম। আমার চোখের জল নিমেষেই যেন মিলিয়ে গেল আমার রাগের তোড়ে। ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম আমি। ভোর চারটে হবে হবে প্রায়। ফুপিও এসেছেন বারোটার দিকে, আর সানাও। আমি কাওকে আমার আর ফারিন আপূর এই ঠান্ডা লড়াই সমন্ধে আচ অবধি করতে দিইনি। জেদ দেখিয়ে ওনার পায়ের কাছে বসে আছি আমি তবে রাগটা এবার মাত্রাতিরিক্ত হতেই আর সহ্য হলো না। ফোনে থাকা ওনার আর আমার ছবিটা ডিলিট করতে দুটো বার ও ভাবলাম না, রাগ হলে আর মাথা কাজ করে না আমার আর হলোও তাই।
হাতটা কেটে যাওয়াই জ্বালা করছে বেশ। আমি নিজেকেই নিজে তেজ দেখিয়ে বেরিয়ে গেলাম ঘর থেকে। এবার থেকে ওনার সাথে দূরত্ব বজায় করে চলবো আমি যাতে ফারিন আপুর মতো দ্বিতীয়বার আর কেও আমাকে এমন অকথ্য ভাষায় কথা না শোনাতে পারে।
/
মন খারাপ হলেই আমি কাঠগোলাপ গাছের নীচে বসে থাকি বরাবর, আজকেও তার ব্যাতিক্রম হলো না। ভোর পাঁচটা বাজে প্রায়, আজান দিয়েছে অনেকখন। আশরাফ চাচা নামাজ পড়তে ওঠেন, তবে আমাকে দেখতে পাননি। এত ভোরে দেখলে হয়তো বকাঝকা করতেন। আমি হাটুতে মুখ গুঁজে মন খারাপ করে বসে আছি। মনে পড়ে ওনার আগের বারের জন্মদিনের কথা। উনি কখনোই জন্মদিন সেলিব্রেট করতে চান না। ওনার ২৩ তম জন্মদিনের পর থেকে উনি হয়তো ধরেই নিয়েছেন যে চাইলেও এই জীবনে আমার থেকে বড়ো এলিয়েন এর দেখা উনি পাবেন না। যে সেদিনের কথা ভাবলেও আমার হাসি পাই।
২২শে জুলাই, ২০২১,
আজ সেই বিখ্যাত হিটলার মানুষটার জন্মদিন। আর দিনটা একটু ঝাকানাকা চমকপ্রদ না হলে হয়? আরিশ ভাইয়া নিজের জন্মদিন নিয়ে এতো নাচানাচি করেন না, কেক অবধি কাটেন না তবে শুধু সেদিন কোনরকম জোর করেই ফুপি বেশ ঘটা করে রান্না করেন। সকলকে ফুপি রাতে দাওয়াত দেওয়াই আমাদের রাতে তাদের বাসায় যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাত অবধি অপেক্ষা কে করে!
উনি আমাকে প্রতিবার সারপ্রাইজ দেন তাই আমিও ঠিক করেছিলাম যে ওনার জন্মদিনে ওনাকে বউ সাজিয়ে আমি নিজেকে সারপ্রাইজ দেবো😇।
দুপুর বেলায় সি এন জি ধরে কাওকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে ফুপির বাসায় এলাম। ফুপি আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেছিলো। আমি ফুপির কাছ থেকে জানলাম যে উনি নিজের ঘরেই আছেন।
আমি চুপিসারে গিয়ে ওনার ঘরে আলতো করে উঁকি দিতেই উনি কিভাবে আমার উপস্থিতি বুঝলেন তা আজও আমার বোধগম্য হলো না। উনি ওনার মুখের সামনে একটা বই ধরে রেখে ধমকের সুরে ডেকে উঠলেন,
‘এই মেয়ে! ‘
উনি বুঝতে পেরেছেন ভেবে চোখ মুখ কুঁচকে একরাশ ধমকে খাওয়ার মতো মনোবল নিয়ে ওনার ঘরে ঢুকলাম। ভীষন সুগন্ধি যুক্ত একটা অর্কিডের রুম ফ্রেশনারের ঘ্রাণ ভেসে আসছে আমার নাকে। আচ্ছা ওনার ঘরটা এতো পরিপাটি কি করে? কই আমার ঘর তো এতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে না।
কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই দেখলাম উনি আধাশোয়া থেকে উঠে বসে আমার দিক জহুরির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,
‘ ঘরে না ঢুকে উঁকি দিচ্ছিলে কেন? ‘
ওনার এমন কথাতে আমি ভড়কে গেলাম না কারন আমি ওনার ধমক খাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ রুপে প্রস্তুত। কোন রকম আমতা আমতা ছাড়াই আমি পরিষ্কার আর তেজী কন্ঠে আর বেশ নম্র ভাবে বললাম,
‘শুভ জন্মদিন আরিশ ভাইয়া। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো হিটলার ভাই। ‘
বলে ওনার দিকে তাকিয়ে হাসি দিলাম। উনি আমার হাসি দেখে আর রাগ করে থাকতে পারলেন না হয়তো।
ওনার কপালের ভাজ প্রসারিত হলো আর গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলেন,
‘হমম। ‘
ওনার হমম শুনে বেশ অপ্রস্তুত হলাম। এ কেমন মানুষ যে যার নিজের জন্মদিন নিয়ে কোন মাতামাতি নেই। আমি যে কাজে এসেছি সেটা হাসিল না করে যাচ্ছি না এমনটা ভেবে ওনার কাছে অকপট স্বীকারউক্তি করলাম,
‘আজ আপনার মতো এমন একটা নিম পাতার ফ্যাক্টরির জন্মদিন বলে কথা, আমি চাই আজ আপনি আমার একটা ইচ্ছা পূরন করুন। ‘
উনি চোখ বাকিয়ে বোকা বোকা ভান করে বলল,
‘যে জন্মদিনের উইশে থ্যাঙ্কিউ হিসাবে যেখানে পাল্টা রিটার্ন গিফ্ট দিতে হয় এমন উইশ আমার লাগবে না। ইউ মে গো নাও। ‘
আমি নাছোড়বান্দা হয়ে বললাম,
‘একদম না। আমি চাই আপনি আজকে আমার কথা রাখুন। আর আপনি আজ অবধি আমি যা চেয়েছি তাই করেছেন তাহলে আজকের টা কেন নয়?’
কথাটা ওনার বেশ গায়ে লাগলো যেন তাই আমিও সেভাবে বললাম, উনি না পেরে বাধ্য হয়ে বললেন,
‘ স্টুপিড! কি চাই বলো। ‘
আমি ওনার দিক তাকিয়ে আমার বত্রিশটা দাঁত বার করে একটা হাসি দিতেই উনি বিরক্ত হয়ে তাকালেন।
আমি ওনাকে উদ্দেশ্যে করে বললাম,
‘বেশি কিছু না, আপনাকে সাজিয়ে গুছিয়ে আমি একটা ছবি তুলবো। ‘
উনি ভাবলেশহীন হয়ে বললেন,
‘ঠিক আছে বিকালে রেডি হয়ে থেকো বাইরে কোথাও যাবো তখন একটা তুলে নিও। এখন যাও, আমি পড়ছি। ‘
আমি ওনার হাত থেকে বইটা কেড়ে নিয়ে বললাম,
‘আপনাকে নিজে কে সাজতে বলেছে হ্যাঁ! আমি সাজিয়ে দেবো আপনাকে! আর নো মোর ওয়ার্ডস! ‘
কথাটা বলে আমার ব্যাগ থেকে একটা টেডি বেয়ার ওয়ালা ব্যান্ড, লাল টকটকে একটা লিপস্টিক, কাজল সহ আরও সাজসরঞ্জাম বার করতে গেলেই উনি একটা গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে বললেন,
‘আরু পাখি কি হচ্ছে এসব? ‘
আমি ওনার দিক মুখ চেপে হেসে বললাম,
‘নো মোর ওয়ার্ডস। একদম চুপ। ‘
উনি সেদিন হাজার চেষ্টাতেও আমাকে আটকাতে পারেননি। ওনার ওপর আমি আমার মেকআপ টিউটোরিয়াল অ্যাপ্লাই করেছিলাম সেদিন। কিন্তু ছবি তুলতে দেননি উনি। আমি ফোন নিয়ে ছবি তুলতে গেলেই উনি আমার হাতটা শক্ত করে চেঁপে ধরে আমাকে দেওয়ালে ঠেলে দিতেই আমি দেওয়ালের সাথে আটকে গেলাম, উনি আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছেন। ওনার চোখে রাগের আভা দেখিনি সেদিন। কেন জানি না মনে হচ্ছিল উনি আমাকে খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করতে চাইছিলেন। আমি ওনার দিক চেয়ে আছি, ওনার ঠোঁটে লিপস্টিক আর চুলে ঝুটিতে দেওয়া টেডি বেয়ার যুক্ত গার্ডার দেখে আমার পেট ফাটা হাসি হাসতে ইচ্ছা করলো কিন্তু হাসলে নিজের আর্টিস্টিক দিককে অসম্মান করা হয়। উনি আমার দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে আছেন দেখে আমি বলে উঠলাম,
‘আপনাকে কিন্তু খুব সুন্দর লাগছে দেখতে! ‘
উনি জবাব দিলেন না, বেশ কিছুখন তাকিয়ে থেকে উনি নিজে থেকেই সরে গেলেন। আমার খুশি হতে লাগলো বেশ। উনি আমার এই এলিয়েন টাইপ আবদার টাও রেখেছেন। উনি ওয়াশরুম চলে গেলেন ফ্রেশ হতে। আমি বাইরে থেকে চিৎকার দিয়ে বললাম,
‘আরিশ ভাইয়া আসছে বছর আবার হবে! ‘
উনি রাগে গজগজ করছ বলেছিলেন,
‘আমিও একদিন সবকিছু সুদে আসলে উসুল করবো না হলে আমিও আবরার আরিশ না। সেদিন তুমি শুধু সহ্য করতে পারলেই হলো। ‘
কথাটা মনে হতেই আমার সমস্ত শরীর শিউরে উঠলো। আমি সত্যিই জানি না ওনার আমার সম্পর্কটা ঠিক কেমন।
‘আমি আর ওনার ধারে কাছেও যাবো না। ‘
কথাটা বিড়বিড় করে বলতে লাগলাম আমি। হাটুতে মুখ গুজে চোখ বন্ধ করে একপাশ ফিরে তাকাতেই আমার চোখের কোনা বেয়ে জল গড়ালো। তখনই কেও যেন পিছন থেকে উনি বলে উঠলেন,
‘আরুপাখি কি করছো এখানে? ‘
আমি কথাটা শুনে ধড়ফড় করে চোখটা মুছে নিলাম তবে কিছু বললাম না। আমি জবাব না দিতেই উনি এবার আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন। আমি ওনার দিকে এখনো তাকালাম না। উনি জবাব না পেয়ে আমার হাত ধরে টেনে তুললেন। আমি মাথা নীচু করে আছি। উনি রাসভারী কন্ঠে বললেন,
‘কাঁদছো কেন? ‘
আমি অবাক হয়ে ওনার দিকে তাকালাম। উনি কি করে বুঝলেন আমি কাঁদছি?
আমি হতবিহ্বল হয়ে ওনার দিকে চেয়ে আছি, ওনাকে বেশ প্রানবন্ত লাগছে। কালকে রাতের ভেঙে পড়া আরিশ ভাইয়া আর এই ভোরের আরিশ ভাইয়ার মাঝে হাজারো তফাত। উনি আমার ঘোর ভাঙাতে তুড়ি মেরে বললেন,
‘ কেও কিছু বলেছে? ‘
ওনার মুখ এর দিকে তাকিয়ে আপনাআপনিই মাথা নাড়ালাম আমি।
ওনার দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছি, হাজারো রাগ অভিমানের মাঝেও ওনার দিকে তাকিয়ে থাকতে আমার ভালো লাগছে। কিন্তু কেন?
আমার উত্তর না পেয়ে উনি আমার বাম হাতটা নিয়ে ওনার হাতের মুঠোয় থাকা একটা ফুল দিয়ে বানানো আঙটি পরিয়ে দিতেই শরীরের মধ্যে শিহরন বয়ে গেল। সবকিছু কেমন অদ্ভুত লাগছে না? উনি আমার হাতে আঙটিটা পরিয়ে দিয়ে বলে উঠলেন,
‘যেদিন আমার সামর্থ্য হবে সেদিন আরও ভালো কিছু দেবো। এখন এটা নিয়ে খুশি থাকো। ‘
আমি মুগ্ধ নয়নে ওনার দিকে চেয়ে রইলাম অনেকখন আর বলে উঠলাম,
‘আপনি কি আমাকে ভালোবাসেন আরিশ ভইয়া? ‘
কথাটা বলা মাত্রই বাম হাতে বেশ ব্যাথা পেতেই আমার ঘোর ভাঙলো ওনার কথায়।
‘এই মেয়ে হাত কাটলো কি করে তোমার? নিজের খেয়াল রাখো না কেন? এতো অগোছালো কেন তুমি? ‘
আমার ঘোর ভাঙলো, বুঝলাম এতখন আমি যা ভেবেছি সব কল্পনা। ওনি ধমকাচ্ছেন আমাকে। তবে আমার বলা শেষ কথাটা কি উনি শুনতে পেয়েছেন? আমি ওনার দিকে ছলছল চোখে তাকালাম। উনি আমার হাতটার দিকে তাকিয়ে আছেন একইভাবে আর মাঝে মাঝে ফু দিয়ে দিচ্ছেন যেন তিনি ব্যাথা পেয়েছেন। আমার হাতে আমার আরিশ ভাইয়ার দেওয়া কল্পনার ফুলের আঙটিটাও নেই। সবকিছু মিলিয়ে আমার সহ্য ক্ষমতার উর্ধে গেল অনুভূতি গুলো। আমি না পেরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠতেই আরিশ আমার দিকে নরম দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,
‘কি করে কাটলো হাতটা? রাতে তো ঠিকই ছিল! কি হয়েছে বলো? ‘
আমি ছলছল চোখে তাকাতেই যেন উনিও ভেঙে পড়লেন, ওনার দৃষ্টিতে এক অদ্ভুত অনুভূতি দেখে আমার ফারিন আপুর বলা কথাটা মনে পড়ে যেতেই আমি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে দূরে সরে গেলাম।
আর গম্ভীর ভাবে বললাম,
‘আমাকে নিয়ে আপনার এতো না ভাবলেও চলবে। আপনি আমার থেকে দূরে থাকুন। আর এর থেকে বেশি কিছু চাই না আমার! ‘
উনি তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। আমি ওনাকে ছেড়ে চলে এলাম।
তবে চলে আসার আগে ওনার বুক পকেটে রাখা ঝরে যাওয়া কাঠগোলাপ আমার চোখ এড়িয়ে গেছে। আচ্ছা উনি কি আমার জন্যই ওটা কুঁড়িয়েছেন?
#চলবে,,,
এক্সাম চলছে তো তাই লিখতে পারছি না। কেমন হয়েছে এই পর্বটা?