কলেজের সামনে একটা ছেলের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকার অপরাধে সপাটে একটা চ/ড় মারলেন আরিশ ভাইয়া।
গালে হাত দিয়ে তার দিকে ড্যাপড্যাপ করে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি আমি। যার হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম সে ভয়ে পালিয়েছে ততখনে।
মনে মনে একটু আনন্দিত হলাম চড়টা খেয়ে কারন আমি চেয়েছিলাম উনি এমনই একটা রিয়্যাকশান দিক ছেলেটার সাথে আমাকে দেখে, যা ভাবলাম তার ব্যাতিক্রম হলো না।
মিথ্যা রাগের ভান করে সকলের সামনে আমি ওনাকে অল্প শক্তি প্রয়োগে একটা ধা/ক্কা দিতেই ছিটকে দূরে সরে গেলেন উনি। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কঠিন স্বরে বললাম,
‘কি কারনে আপনি আমাকে চ/ড় মারলেন বলতে পারেন?
উনি অগ্নি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন যেন বিরাট এক অপরাধ করে ফেলেছি আমি। মনে মনে হয়তো আরও একটা চড় দেওয়ার প্রবল ইচ্ছাটা ওনার মনের মাঝে জেগে উঠলো। উনি বৃথা বাক্য ব্যায় না করে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে গাড়ির সামনে নিয়ে গেলেন, ব্যাথা পাচ্ছি হাতে তবুও হাত ছাড়ানো অসম্ভব হয়ে উঠলো। উনি বেশ বল প্রয়োগে গাড়ির দরজাটা একপ্রকার ধা/ক্কা দিয়ে খুললেন এবং আমাকে ছুড়ে ফেললেন সিটের ওপর। ব্যাথা পেলাম আর রাগ ও হলো ওনার প্রতি, আমিই বা কম কিসের,অতঃপর বৃথা রাগ দেখানোর ভান করে ওনাকে উত্তক্ত করার একটা ছোট্ট চেষ্টা চালাতে গোঙানির সুরে একটা নাট্যিক ভঙ্গিতে কান্না করে বললাম,
‘মরেই গেলাম গো। হাতটা বুঝি ভা/ঙ/লো। আআআ।’ ‘
উনি আমাকে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করলেন বলে মনে হলো না আমার। উনি ড্রাইভিং সিটে বসে এক গগনবিদারী ধমকে আমাকে থামিয়ে দিলেন। আমি চুপ হতেই উনি কঠিন স্বরে বললেন,
‘চুপ করবে নাকি আর একটা থা/প্প/ড় দিবো কোনটা? ‘
আমি এমন এক ভান করলাম যেন ওনার হাতের দ্বিতীয় চ/ড়/টা ইতিমধ্যে আমার গালের বাম দিকে ছাপ ফেলেছে, সেভাবে গালে হাত রেখে ওনার দিকে স্তব্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম কিছুখন, উনি নির্বিকার। ওনাকে এমতা অবস্থায় দেখে সেকেন্ডের মধ্যে ওনাকে প্রশ্ন ছুড়লাম,
‘কেন চ/ড় মারবেন কেন? আমার গাল দুটো কি সরকারি নাকি যে যখন খুশি চ/ড় মারবেন? আর একটা চ/ড় মেরে দেখুন কি করি। ‘
আমার কথাটা ওনাকে যেন বেশ জাগিয়ে দিল। উনি ভ্রু কুঁচকে সন্দিহান দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন মাত্র, তার দৃষ্টিতে কৌতুহলের ছিটেফোঁটা বিন্দুমাত্র নেই তবে আমি ঠিক কি করতে পারি তা দেখার আগ্ৰহ আছে ওনার দৃষ্টিতে।
উনি ভাবনাকে সাত সমুদ্রে ছুড়ে ফেলে উনি আচমকা আমার দিকে অনেকটা ঝুকে পড়লেন, আমি তাতে বেশ চমকে গেলাম আর আমতা আমতা করে বললাম,
‘ কি করবো জানতে চান? আপনার ওই যে সো কল্ড প্রেমিকা গুলো আছে তাদের সাথে আপনার ব্রেক আপ করিয়ে দেবো। হুহ। নাহলে আমার নাম ও আরু না। ‘
আমার কথা শুনে উনি হা হা করে হেসে উঠলেন যেন আমি তাকে হাসির কোন যোকস শুনিয়েছি। আমি ওনার হাসি দেখে বিভ্রান্ত হলাম, ভ্রূ কুঁচকে প্রশ্ন করলাম,
‘হাসছেন যে। আমি কি হাসির কিছু বললাম নাকি? উনি হাসি না থামিয়ে বললেন,
‘কিছু না এমনি।’
আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম ওনার থেকে। রাগ হচ্ছে ভীষনরকম। উনি এমন জল্লাদ কেন?
কথাগুলো নিজের মনে মনে বিড়বিড়াতেই মনে পড়লো আমার আসল উত্তর জানার কথা। আর কোন অপেক্ষা না, অনেক সাহস আর একরাশ আশা নিয়ে বললাম,
‘একটা প্রশ্ন করি? ‘
আরিশ জবাব দিলেন না, নিরবতা নাকি সম্মতির লক্ষন! আমি ওনার নিরবতা কে অনুসরন করে একনিশ্বাসে জিজ্ঞাসা করলাম,
‘আপনি আমাকে ভালোবাসেন? ‘
কথাটা বলা মাত্রই বিরাট বড়োসড়ো একটা ব্রেক মেরে উনি গাড়িটা থামিয়ে নিতেই আমি চোখ মুখ কুঁচকে নিলাম ভয়ে কারন এবার হয়তো আমার আর এক গালের থা/প্প/ড়/টাও মিস যাবে না। বাম হাতটাকে প্রস্তুত করে রাখলাম যাতে উনি মারতে উদ্যত হলেই আমি দরজাটা খুলে বার হয়ে যেতে পারি। কিন্তু তেমনটার কিছুই হলো না বরং উনি গম্ভীর কন্ঠে প্রশ্ন করলেন,
‘তোমাকে এতো আজাইরা চিন্তা ভাবনা কে দেয় বলোতো? পড়াশোনা না করে এসব ভাবো সারাদিন তুমি? লাস্ট টেস্ট এ ৫০ এ ৩৭ পেয়েছো। এভাবে মেডিকেল এ চান্স পাবে তুমি? সবাই বুয়েটে চান্স পাবে ঢাবিতে চান্স পাবে, ডি এম সি তে চান্স পাবে আর তুমি? ‘
অত্যন্ত কর্কশ ভঙ্গিমায় আরিশ ভাইয়া কথাগুলো বলে উঠতেই বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো আমার। বুয়েট এর কথা উনি হয়তো ফারিন আপুর জন্যই বললেন। তাহলে উনি কি সত্যিই ফারিন আপুকে পছন্দ করেন? ওনার প্রতি আমার এই অনুভূতি কি তা বলতে পারি না তবে অজান্তেই কেমন বিদঘুটে অনুভূতি এলো ফারিন আপুর নাম শুনে।কোন কিছুর শূন্যতা অনুভব করতেই বলে উঠলাম,
‘সরি। আপনাকে আর আমাকে পড়ানোর জন্য আসতে হবে না। আপনি নিজের সময় নষ্ট করে কেন এমন একটা মেয়েকে পড়ান যে ঢাবি, বুয়েট, ডি এম সি তে চান্স পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। ‘
কথাটা শোনা মাত্রই আর একটা ধমকে কান ভরে গেল আমার।
‘ফাজিল মেয়ে একটা। ভালো করে পড়াশোনা না করলে বিয়ে দিয়ে দেবো একটা ভুড়িওয়ালা জামাইয়ের সাথে তখন এসব বলো।
আমি উত্তর দিলাম না। ওনার সাথে এখন এই মুহূর্তে কথা বলতে আমার ভালো লাগছে না। আচ্ছা উনি কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসেন না? ফারিন আপুকে পছন্দ করেন?
কথাগুলো মাথায় আসতেই ভাবলাম
‘নাহ থাক ওনার আমাকে ভালোবেসে লাভ নেই। উনি এমনিতেই অভদ্র জাতীয় মানুষ।
আমাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে উনি বাসার সামনে দাঁড়িয়ে রইলেন। ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলাম,
‘বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? বাসার ভিতর চলুন। নাকি কারোর জন্য অপেক্ষা করছেন। ‘
উনি নির্দিধায় বললেন,
‘ আমার চার নম্বর গার্লফ্রেন্ড এর জন্য অপেক্ষা করছি। ‘
আমি মুখ ভাঙচি দিলাম। ওনাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললাম
‘বাসার সামনে একটা পার্ক করতে বলবো বাবাকে আর নাম দিব লাভার্স পয়েন্ট। আর বড়ো বড়ো সাইনবোর্ডে লিখবো ‘ডক্টর আবরার আরিশ খান আর তার ভাঙড়ু গার্লফ্রেন্ড দের প্রবেশ নিষেধ। ‘
উনি আমার কথার উত্তর দিলেন না তবে হেসে উঠলেন।আমি রেগে বাসার ভিতর ঢুকলাম।সোজা কাঠগোলাপ গাছের নীছে গিয়ে দাঁড়াবো্ আর ফুলে্র ঘ্রাণ নেবো। কিন্তু উনি এভাবে কতোখন দাঁড়িয়ে থাকবেন?
/
চোখের সামনে সব যেন শরিশার ফুল দেখতে লাগলাম, মনে পড়ছে যে দুই দিন যাবৎ কিছু পড়াশোনা করা হয়না যার দরুন জমেছে পড়ার এক মস্ত পাহাড়। আজকে আরিশ আর পড়াতে আসবেন না ভেবে মনটা খুশি খুশি লাগছে। উনি হলেন আমার জীবনের সেই প্যারাময় টিচার যাকে আমি টিচার হিসাবে কখনোই চাইনা। সালোয়ারের ওড়নাটা নিয়ে নীচে গেলাম আমি, আম্মু কার সাথে ফোনে কথা বলছে, যদি হেসে হেসে কথা বলে তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে যে ফুপির সাথে কথা বলছে নতুবা তার ভাবীর সাথে। আমি নিরবে গিয়ে আম্মুর দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে রইলাম যাতে আমার দিকে তাকানো মাত্রই আম্মুর মাথায় একটা কথায় ঘোরে,
‘আহারে আমার নিষ্পাপ মেয়েটাকে আরিশ পড়োশানার প্যারায় পরোটা বানিয়ে ফেলেছে। ‘
আম্মুর কথা বলার অবশান ঘটছে না তবে ততখনে আমি বুজে গেছি যে ফোনের ওপাশে ফুপি। হঠাৎ আমাকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখে আম্মু ফুপিকে বলল,
‘হ্যাঁ অনিকা আমি আরুকে পাঠাচ্ছি। ও যাচ্ছে। ‘
কথাটা বলে আম্মু ফোন রাখতেই আমি হতবাক হয়ে চেয়ে রইলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আম্মু বলল,
‘তোর ফুপি কল করেছে। কাচ্চি বানিয়েছে তোকে যেতে বলছে।’
কাচ্চি কথা শুনে জ্বিভে পানি চলে এলেও পরক্ষণেই মনে পড়লো যে আমার উদ্দেশ্যে এখনো হাসিল হয়নি। আমি তখন আমার শরীরে সঞ্চিত সব এটিপি এক করে সর্বোস্ব এনার্জি দিয়ে বলতে লাগলাম,
‘আম্মু আরিশ ভাইয়া কে তুমি আর পড়াতে আসতে বারন করে দাও। বলে দাও কাল থেকে আমাকে আর পড়ানোর দরকার নেই। সে আর আগের মতো ভালো পড়াই না। সে যেভাবে পড়াচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে গোল্ডেন এ প্লাস দূরে থাক, এ প্লাস ও আমার কপালে জুটবে না হু। ‘
আম্মু আরিশ ভাইয়ার নামের কোন নেগেটিভ কথায় যেন বিশ্বাস করতে চান না। এবারও তার ব্যাতিক্রম হলো না। উল্টে আমি ধমক শুনলাম।
‘একদম মিথ্যা বলবি না। আরিশ যথেষ্ট করে তোর জন্য। ও গাইড করে বলেই ক্লাসে এখনো ফাস্ট পজিশনটা আছে নাহলে কবেই তুমি গোল্লাই যেতে।
ওনার এতো প্রশংসা কখনোই সহ্য হয় না আমার। রেগে গিয়ে ঝাঝালো কষ্ঠে বলে উঠলাম,
‘ কে চায় ওনার মতো টপার হতে। আমি তো চাই না।আমার একটা ভালো রেজাল্ট হলেই হলো। আরে ভাই রেজাল্ট আমার আর ওনার চাই গোল্ডেন এ প্লাস। কেন? ‘
‘আর কোন কথা না। গিয়ে রেডি হ। সামনে তোর এইচ এস সি আর তোর কোন হেলদোল নেই। ‘
আমি সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালাম। রাগে রিতিমত ফুসছি। কঠোর আর্জি করলাম।
‘আমি ওনার কাছে আর পড়বো না। উনি খালি আমাকে ধমক দেই। আজকেও অযথা ধমক দিয়েছেন।’
আম্মু আমার কথার তোয়াক্কা করলো না বরং সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে দরজার দিকে তাকিয়ে বলল,
‘আরে আরিশ তুমি কখন এলে? ‘
আমার হাত পা কাঁপাকাঁপি হওয়ার জন্য ওনার দিকে তাকানোর প্রায়োজন পড়লো না। আমি ওনার দিকে এক পলক ও না তাকিয়ে দৌড় দিলাম।
রূমে গিয়ে দরজা লাগানো মাত্রই আম্মুর বিরশ কন্ঠের উক্তি গুলো কানে আসতেই বুকে তিনবার ফু দিলাম।
‘মেয়েটা পড়াশোনা একদম ই করছে না। একটু দেখো বাবা। ‘
দরজায় কান পাততেই শুনতে পেলাম।
‘গাফিলতি হয়তো আমারই। আমি হয়তো ভালো করে পড়াতে পারছি না।’
ওনার এমন কথা শুনে মনের মাঝে ডাক ঢোল সব বাজতে আরম্ভ করলো আমার। তবে খুশিটা বেশিখন স্থায়ী হলো না।
‘আমি এবার থেকে আরও বেশি সময় নিয়ে পড়াবো। ‘
‘কিন্তু তাতে তোমার নিজের পড়ার অসুবিধা হবে না তো? ‘
‘সে তুমি আমার ওপর ছেড়ে দাও মামী। ‘
কথাগুলো আমার মন ভেঙে দিল। বেশি কিছু না ভেবে রেডি হতে শুরু করলাম। কিছুখন পরেই দরজার টোকার শব্দ পেতেই পিলে চমকে গেল আমার। ভুলেই গেছিলাম যে আমি লক করিনি। ওড়নাটা গায়ে নিতেই উনি রুমে ঢুকে এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে রইলেন। ভাবলাম এই বুঝি পুনরায় চড় থাপ্পড় দেবেন ওনার নামে নালিশ করার দরুন তবে তিনি খুবই শান্ত কন্ঠে বললেন,
‘ঈদে যে লাল সালোয়ারটা দিয়েছিলাম ওটা কোথায়? ‘
আমি মিনিমিনয়ে আলমারির দিকে ইশারা করতেই উনি বললেন,
‘ওটা পরে এসো। আমি অপেক্ষা করছি। ‘
রাগ হলো আমার।
‘সবকিছু আপনার ইচ্ছা মতো হবে কেন? আমার যা ইচ্ছা তাই পরবো আমি। ‘
উনি এখনও শান্ত। বেশি কিছু না বলে আর না করে আমার হাতটা ধরে নীচে নামলেন আর খুব সহজ ভাবে আম্মুর থেকে পারমিশন নিয়ে আমাকে গাড়ির সামনে নিয়ে হাতটা ছেড়ে দিলেন। আমি সামনে বসার জন্য এগোতে গেলেই দেখলাম ওনার ড্রেসের রঙের সাথে মিলিয়ে ফারিন আপু বসে আছেন সেখানে। তখন আমি লক্ষ করলাম যে উনি লাল রঙের পাঞ্জাবী পরেছেন শুধু আমিই ব্যাতিক্রম।আমি দু কদম পিছিয়ে গেলাম। কেন যানি না এই ফারিন নামের মেয়েটাকে আমার সহ্য হয় না। আমি গাড়িতে উঠলাম না আর, আরিশ ভাইয়া বলে উঠলেন,
‘গাড়িতে ওঠো। তাড়াতাড়ি। দেরি হচ্ছে। ‘
আমি দাঁত কিড়কিড় করে রইলাম। এই মেয়েটার সাথে আমার বিশেষ খাতির নেই কারন সে তার পড়াশোনা নিয়ে একটু বেশিই গর্ব করে তার ওপর সে বুয়েটিয়ান।। ফারিন বলল,
‘আরুশি উঠে পড়ো। উই আর গোয়িং লেট। ‘
আমি উঠছিনা দেখে উনি ধমক দিলেন,
‘আরুপাখি ওঠো। ‘
আমি একটু চমকে গেলাম। ফারিন আপু চমকে বললেন,
‘হোয়াট? কি নাম এটা আরিশ? ‘
আরিশ ভাইয়া কিছু বললেন না, উল্টে ফারিন আপুকে বললেন,
‘তুই একটু পিছনে বসবি? ও অন্ধকারে ভয় পায়। ‘
অন্ধকারে আমি মোটেও ভয় পায় না তিনি জানেন তবুও তিনি মিথ্যা বললেন।
ওনার কথা শুনে ফারিন আপু দিব্যি উঠে পড়লেন হয়তো ওনার বাধ্য একজন হিসাবে প্রমান করতে চান। আরিশ ভাইয়া নিজে নেমে আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন।
‘আরুপাখি ওঠো? ‘
আমি ওনার দিক রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম,
‘ওই সিটটা আমার সেটা আপনার ওনাকে বুঝিয়ে দেবেন। ‘
কথাটা বলে আমি ওনার পাশে গিয়ে বসলাম। গাড়ি চলছে ফারিন আপু আর উনি অনবরত কথা বলছেন, এজ ইউজুয়াল তা আমার সহ্য হলো না, হঠাৎ চিৎকার দিয়ে বলে উঠলাম,
‘আমার বিয়ে, আমার বিয়ে! ‘
তৎক্ষনাৎ বিশাল নিরবতার সাথে গাড়িটা ব্রেক করে থামালেন আরিশ ভাইয়া। মনে মনে খুশি হলাম তবে কি হতে চলেছে জানিনা।
#ভালোবাসি_বলে_দাও
#প্রথম_পর্ব
#Suraiya_Aayat
এই পর্বে একটু রেসপন্স করবেন প্লিজ।❤জানি অগোছালো তবুও চেষ্টা করছি। আগের গল্পে কেও রেসপন্স করতেন না, কমেন্ট করতেন না ওটা তাই লিখতেও ভালো লাগতো না। এটা অনেক আশা নিয়ে লিখেছি। বাকিটা আপনাদের ওপর🙂
Part 3
https://www.facebook.com/102608248176901/posts/532190171885371/