#হৃদয়ের_মাঝে_তুই
#লেখিকা___ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা__০৭
তাইমুর আহমেদ বর্ন,ফিহার বিয়ে একসাথে দিবেন বলে ঠিক করলেন।পাএ ও ঠিক করে ফেলেছেন।আগামী শুক্রবার দু মেয়ের ধুমধাম করে বিয়ে দিবেন বলে ঠিক করলেন।
ফিহার মন ভীষণ খারাপ। ওইদিনের পর থেকে স্যার আর আমার সাথে যোগাযোগ করলো না। তাহলে ওইদিন কেন মিথ্যে আশা দিয়েছিলেন।ওনি কি তাহলে আমার সাথে মজা করলেন।বর্ন আপু ওনাকে ভালোবাসে। তাহলে ওনি ও কি বর্ন আপুকে,,,,,,,,, না আর ভালো লাগছে না দম আটকে যাচ্ছে। কেন এমন করলেন।মিথ্যে স্বপ্ন দেখালেন। বাড়িতে আসলে আমার দিকে ফিরে ও তাকান না। অথচ বর্ন আপুর সাথে কি সুন্দর হেসে হেসে কথা বলে।ওর পাশে গিয়ে বসে। আমাকে ফোন ও করে না,,,, ফিহা কিছুক্ষণ এইসব ভাবে আর কান্না করে।বাবা যার সাথে বিয়ে ঠিক করেছে তাকেই বিয়ে করব।ভালোবাসা বলতে কিছু নেই সব মিথ্যে,,,, মিথ্যে।
এইদিকে বর্ন ও বাবার ঠিক করা পাএকে বিয়ে করে নতুন করে সবকিছু শুরু করবে। ফাহাদকে ভুলা সম্ভব নয়। কিন্তু সে তো অন্য কারোর। না হয় আরও একবার সুযোগ দেওয়া যাক।
বর্ন ফাহাদের সব ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করে দিলো। খুব কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কিছু করার নাই নিয়তিকে মেনে নিয়েছি। প্রথম ভালোবাসা ভুলে যাওয়া কি আদোও সম্ভব। এইস9ব ভেবে বর্নের চোখের জল গড়িয়ে পরলো।
দু বোনই তাদের হবু জামাই কে দেখেনি। এমনকি নাম ও জানে না বাবাকে জিজ্ঞেস ও করেনি।
★
অবশেষে তাইমুর আহমেদ তার দুই মেয়েকে অনেক ধুমধাম করে বিয়ে দিলেন।দুই মেয়েকে বিদায় দিতে কষ্ট হচ্ছে তার। কিছু করার নাই এইটাই যে নিয়ম।সব মেয়েকেই বাবার বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি চলে যেতে হয়।
ফিহা আর বর্ন অনেক কান্না করে মা-বাবাকে জড়িয়ে ধরে। গাড়িতে ওঠার সময় ফিহা দৌড়ে এসে বর্ন কে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে বর্ন ও তার প্রিয় বোনটিকে জড়িয়ে ধরে ইচ্ছে মতো কাঁদতে থাকে।
সবাইকে বিদায় জানিয়ে দুই বোন চললো শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বর্ন ফুলে সাজানো খাটের মাঝ বরাবর বসে অপেক্ষা করছে তার বরের জন্য। রাত বারোটা বেজে গেল এখন আসছে না কেন লোকটা।কখনো দেখিওনি কেমন ভয় লাগা কাজ করছে মনের ভিতর।
এদিক ওদিক তাকিয়ে চটপট করছে বর্ন।আর কতক্ষণ এই লেহেঙ্গা পরে থাকতে হবে।
হঠাৎ বর্নের টেবিলের ওপর চোখ গেল। একটা লাল ডায়েরি চোখে পরলো।বর্নের কেন জানি দেখতে ইচ্ছে করছে ডায়েরিটা।কিন্তু কার ব্যক্তিগত জিনিসে হাত দেওয়া কি ঠিক হবে।তারপরও বর্ন নিজের সংযত করতে পারলো না।ও ডায়রিটা হাতে নিলো।প্রথম পৃষ্ঠা দেখতেই সে থমকে গেলো।
বড় বড় করে লিখা,,,,,,,,
🌺হৃদয়ের_ মাঝে_ তুই🌺
🍂বর্নলতা🍂
আমার বর্নলতা সারাজীবন তোকে আমার হৃদয়ের মাঝে লুকিয়ে রাখবো।
বর্ন অবাক হলো তাহলে কি আমার পরিচিত কেউ।
নিচের লেখাগুলো পড়তে যাবে তার আগেই….
কার আগমন বুঝতে পেরে বর্ন ডায়েরিটা আগের জায়গায় রেখে আবার আগের মতো মাথায় ঘোমটা টেনে বসে পরলো।
বর্ন তার বরকে রুমে প্রবেশ করতে দেখে খাট থেকে নেমে সালাম করতে যাবে,,,,,
কি করছিস কি বর্নলতা পায়ে হাত দিবি না তোর স্থান শুধু আমার বুকে।বর্ন কন্ঠস্বর শুনে চমকে ওঠলো।
রু,,,,,,রুহান তুই।
রুহানঃ হ্যাঁ আমিই তোর জামাই।কেন তুই জানতি না।
বর্নঃ তুই তাহলে তোর কথা ঠিকই রাখলি।
রুহান বর্নকে কিছু বলতে না দিয়ে কোলে তুলে নিলো।খাটের ওপর বসিয়ে দিলো। বর্নের হাত ধরে বললো,,,ফাহাদকে ভুলে যা বর্ন আমাকে একটা সুযোগ দে তোকে অনেক ভালোবাসবো।তুই যা বলবি আমি তাই করবো।শুধু একবার সুযোগ দে।
বর্ন কিছু বললো না।
রুহান বর্নকে দুটো স্বর্নের বালা পরিয়ে দিলো।
রুহান বুঝলো সম্মতির লক্ষন।রুহান আলো নিভিয়ে দিলো।বর্নের মাথা নিজের বুকের ওপর রেখে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দিলো।
[আসলে রুহান আর বর্ন দুজন সমবয়সী। এক ভার্সিটিতে পড়াশোনা করছে।দুজন অনেক ভালো বন্ধু ছিলো।রুহান বর্নকে ভালোবাসে ফেলে। রুহান বর্নকে তার ভালোবাসার কথা জানায়। কিন্তু বর্ন মানা করে দিয়েছিলো। ও ফাহাদকে ভালোবাসে রুহানকে বলেছিলো। রুহান সেদিন বর্নকে বলেছিলো আমি তোকে আমার করে নিব। ]
চলবে,,,,,,,,,
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]
—————————————————————–
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]
#ফিহা আহমেদ🍂