#হৃদয়ের_মাঝে_তুই_
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা__০১
……. উইল ইউ মেরি মি……..
……….°ফিহুপাখি°……
মেয়েটি হা করে তাকিয়ে আছে ছেলেটির দিকে। মেয়েটির বিশ্বাসই হচ্ছে না ও যাকে ভালোবাসে সে তাকে বিয়ের কথা বলবে।
এখন ও হা করে তাকিয়ে আছে।
ছেলেটি বিরক্ত হলো এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে।
সমস্যা কি তোমার “ফিহুপাখি ”
তোমার কি মনে হয় আমি মজা করছি তোমার সাথে।
কিছু বলছো না কেন।
ওকে আমি চলে যাচ্ছি কিছু বলতে হবে না কিছুটা রেগে বললো।
ছেলেটি চলে যাবে এমন সময় মেয়েটি হাত ধরে বলতে যাবে,,,,,,,,,,,,,
তখনই ফিহা ধড়পড় করে ওঠলো। পুরো শরীর ঘামছে ফিহুর।
ভাবছেন এতক্ষণ কি হলো?
আমি আসলে এতক্ষণ ধরে স্বপ্ন দেখছিলাম শুয়ে শুয়ে।
যাকে নিয়ে এতক্ষণ স্বপ্ন দেখলাম সে আর কেউ নয় আমাদের কলেজের ইংরেজির টিচার “ফাহাদ স্যার”।
আসলে ওনি আমার কলেজ শিক্ষক ছাড়া ও আমার ইংরেজি প্রাইভেট টিচার।
যেদিন পড়াতে এসেছিলেন,,, সেদিন আমি ওনাকে দেখে বড়সড় ক্রাশ নামক বাঁশ খেয়েছিলাম।
আসলে ওনি অসম্ভব সুন্দর।ওনি অনেক ফর্সা, চোখের লেন্স সবুজ, খয়েরী ঠোঁট, উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি,চুল গুলো অসম্ভব সুন্দর। যে কেউ দেখলে প্রেমে পড়তে বাধ্য। আর ওনি সবসময় গম্ভীর হয়ে থাকেন।রাগী রাগী মুড নিয়ে থাকেন সবসময়। ওনাকে আমি কোনোদিন হাসতে দেখেছি বলে মনে হয় না।যে কোনো মেয়ে দেখলে হা করে তাকিয়ে থাকে।কিন্তু ওনার কোনো পাওাই পাওয়া যায় না। ওনার মেয়েতে এলার্জি আছে।
কিন্তু ওনার বড় শত্রু হলাম আমি। সারাক্ষণ ইংরেজি পড়া বেশি বেশি দিয়ে শাস্তি দিতে থাকেন এতে ওনার শান্তি মিলে। এমনিতেই আমার ইংরেজিতে মারাত্নক এলার্জি আছে।তার ওপর ওনার ধমক সারাক্ষণ ভীষণ বিরক্ত লাগে।
[ গল্পে আমাদের নায়ক হলো ফাহাদ চৌধুরী ।
আর নায়িকা হলো ফিহা আহমেদ ]
আজ তো আমি ওনার ইংরেজি পড়াই পড়িনি। আজ আমার মনে হয় কপালে শনি, রবি আছে।
আসলে ২০ মিনিট পড়েই মোবাইল নিয়ে বসে পড়লাম।আমার পড়াশোনা একদম ভালো লাগে না। আপনারাই বলুন৷ এত পড়াশোনা করে কি লাভ। আমার তো স্বপ্ন হচ্ছে,,,
“বিয়ে করা” ।
ফিহা,,,,,,,,ফিহা,,,,,,,,,এই আর কতক্ষণ ঘুমাবি সকাল ৯ টা বেজে গেল তো। দরজা খুল।
দরজা ধাক্কায় ফিহা ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসে।
দরজা খুলে সামনে থাকা ব্যক্তিটির দিকে বিরক্তিকর চোখে তাকিয়ে বলে ওঠলো,,,,,
এমন করছো কেন বর্ন আপু কই আর এত সকাল হলো শান্তিতে একটু ঘুমুতে ও দিবে না।
বর্ন কিছু না বলে ফিহার হাত ধরে টেনে ওয়াশরুমের ঢুকিয়ে দিলো।
সে জানে এই মেয়েকে এখন যদি রেখে যায় তো আবার শুয়ে পড়বে।
ফিহা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে বোনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ব্রু কুঁচকালো।
ফিহাঃ কিছু বলবে আপু।
বর্নঃ হুম।ফাহাদ বলেছে আজ আসবে না পড়াতে। ওর কি একটা জরুরি কাজ আছে।
এই বলে চলে গেল।
কথাটা শুনার সাথে সাথে ফিহার চোখ খুশিতে চকচক করে ওঠলো।
ফিহাঃ আহ্ আজকে একটু শান্তিতে থাকতে পারবো। ওইসব ছাইপাঁশ পড়তে হবে না। আর বকা ও খাব না আর শাস্তি ও।
………..হুররররররেএএ……….৷
ফিহা খাওয়া শেষ করে কলেজে চলে গেল। আজ অনেক খুশি ও ইংরেজি পড়বে না। খুশি খুশি কলেজ চলে গেলো।
কলেজে…………………
হঠাৎ করে একটা মেয়ে দৌড়ে এসে ফিহাকে জড়িয়ে ধরলো। এত জোরে জড়িয়ে ধরলো ফিহার যেন শ্বাস আটকে যাচ্ছে।
ছাড় ঝিনুক আমার দম আটকে যাচ্ছে। মেরে ফেলবে নাকি।ছাড় বলছি ছাড়।
ঝিনুকঃ সরি ফিহুরানী। তোকে দেখে খুব এক্সাইটেড হয়ে গেছিলাম তাই। সরি। এত দেরি করলি কেন আজ ও কি ঘুম থেকে ওঠতে দেরি করলি। কত আসা ছিল আড্ডা দিমু আর তুই সব ভেস্তে দিলি।ক্লাসের দেরি হয়ে যাচ্ছে চল।
ফিহাঃ হুম চল।
ক্লাসে……………….৷৷
ফিহাঃ মে অাই কামিং স্যার……………
বলে ক্লাসের দিকে তাকাতেই অবাক হলো……………………..
চলবে,,,,,,,,,
[ফিহা কি এমন দেখলো,,,,,,,,যে অবাক হলো]
[🍂ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন…….🍂]
——————————————————————–
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]
#ফিহা আহমেদ 🍂