#হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_২০
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌]
হাসপাতালে……..
ফিহা চোখ খুলতেই নিজেকে হাসপাতালের বেডে দেখতে পেলো।
হঠাৎ করেই ফিহা চিৎকার শুরু করলো।
ফিহার বাম হাতে স্যালাইন দেওয়া ছিল।
ফিহা সুঁই খুলার চেষ্টা করছে।
নার্স কিছুতেই ফিহাকে শান্ত করতে পারছে না।
নার্স ডাক্তার কে ফোন দিয়ে… স্যার স্যার রোগীর জ্ঞান ফিরার পর থেকে পাগলামি শুরু করেছে। তাড়াতাড়ি আসুন স্যার।
ডাক্তার আতংকিত কন্ঠে… আসছি।
ফিহার চিৎকার ফাহাদ শুনতে পেয়েই বুকের ভেতর কেঁপে উঠল।
ডাক্তার কে ফিহার কেবিনে ডুকতে দেখে… ডাক্তার আমি ফিহার কাছে যেতে চাই প্লিজ না করবেন না।
ডাক্তারঃ ঠিক আছে আসুন। তবে কোনোরকম কথা বলা যাবে না।
ফাহাদ চোখের জল মুছতে মুছতে… ঠিক আছে ডাক্তার বলবো না।
★
ঝিনুক, রওশান, লাবিবা,জাহিদ ওরা সবাই ফিহাকে নিয়ে চিন্তিত।
লাবিবাঃ হঠাৎ ফিহা চিৎকার কেন করছে।
ঝিনুকঃ জানিনা আজ সকালে ও ফিহাকে কেমন মনমরা দেখেছিলাম। মনে হলো ও ভালো নেই।
★
ডাক্তারঃ একি তুমি কি করছো। স্যালাইনটা না দিলে তুমি দুর্বল হয়ে যাবে।
ফিহা চিৎকার করে…. এই ডাক্তার ভালোয় ভালোয় বলছি এইসব খুলে দে না হলে…….
আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফাহাদ বলে উঠলো….. না হলে কি ফিহা।
ফাহাদের কন্ঠ শুনে ফিহা পাশে তাকাতেই আরো রেগে গেল।
ফিহা আরো রেগে…….,,আপনি আপনি এইখানে কেন।আমি আপনার মুখ ও দেখতে চাই না।ফিহা দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে…… আপনি আমার সামনে থেকে সরে যান। জেরিনকে গিয়ে চুমু খান।
ফাহাদ চমকে ওঠলো শেষের লাইনটা শুনে।
ফাহাদ এখন বুঝতে পারলো আসল সমস্যা।
ডাক্তার আর নার্স হাবার মতো দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।
ফাহাদ ইশারায় ডাক্তার আর নার্স কে চলে যেতে বললো।
তারা চলে গেল ।
যতবারই ফিহার ঘটনাটি মনে পরে ততবারই বুকে প্রচন্ড কষ্ট হয়।
ফাহাদ ফিহার কাছে গিয়ে বসলো।
ফিহা ফাহাদকে তার পাশে বসতে দেখে এক হাত পিছনে সরে গেল।
ফিহাঃ সমস্যা কি আপনার। চলে যান বলছি এখান থেকে। না হলে খুব খারাপ হবে বলছি।
ফিহা আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফাহাদ ফিহার ঠোঁটে ঠোঁট বসিয়ে দিলো।
হঠাৎ এমন কিছু হওয়াতে ফিহা ভয় পেয়ে গেল ।
ফিহা ফাহাদের পিঠে নখ্ বসিয়ে দিচ্ছে তবু ও ফাহাদ ছাড়ছে না।ফিহার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরছে ।
ফাহাদ ফিহার চোখে জল দেখে ঠোঁট ছেড়ে দিলো।
ঠোঁট ছাড়তেই ফিহা ফাহাদকে জোরে একটা থাপ্পড় মেরে বসে।
ফাহাদ বাম গালে হাত দিয়ে মুচকি হাসলো।
ফিহা চিৎকার করে…. আপনার তো দেখছি সাহস অনেক বেশি। ছি। ঘৃণা হয় আপনার এই চেহারা দেখলে।আপনি একজন চরিত্রহীন পুরুষ।
ফাহাদের খুব খারাপ লাগলো এই কথাটা বলাতে।আজ পর্যন্ত কেউ তাকে এই কথাটা বলেনি।
ফাহাদঃ আগে আমার সব কথা শুনো তারপর আমাকে যা ইচ্ছে বলো ফিহুপাখি।
ফিহা ফাহাদের শার্টের কলার ধরে…..একদম ফিহুপাখি বলবেন না।আপনার জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলবো।
ফাহাদ ফিহাকে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে…. জেরিনের চোখে ময়লা পরেছিলো।ও আমাকে অনেক করে বললো ওর চোখে কষ্ট হচ্ছে তাই বাধ্য হয়ে আমাকে ওর চোখ দেখতে হলো।
হঠাৎ করেই ফিহার নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।
ফিহা মনে মনে… ছি আমি কতটা খারাপ মেয়ে না জেনে ওনাকে ভুল বুঝলাম।
ফিহা ফাহাদের বুক থেকে সরে মাথা নিচু করে অপরাধীর মতোন করে…..সরি সরি আসলে আমি…
ফাহাদঃ সমস্যা নেই ফিহা।আমি যেমন তুমি তেমনটাই বললে।
ফিহার খুব খারাপ লাগলো।
ফাহাদঃ আচ্ছা তুমি জেরিনকে নিয়ে এত জেলাস কেন।আমার প্রেমে পরলেনা তো আবার।
ফিহা থতমত খেয়ে গেলো ফাহাদের প্রশ্নে।
ফিহাঃ ন……না তে..তেমন কিছু না।
আ..আসলে সরি ওইভাবে কথা বলার জন্য।
ফাহাদ মুচকি হেসে… ইট’স ওকে “”ফিহারানী””।
ফাহাদ ফিহারানী বলাতে ফিহা ভীষণ লজ্জা পেলো।
ফিহা লজ্জামাথা মুখ নিয়ে মাথা নিচু করে রইলো।
ফাহাদ ফিহার লজ্জামাথা মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ করেই ফাহাদ ফিহাকে নিজের কোলে বসিয়ে দিল।
হঠাৎ করে এমন হওয়াতে ফিহা ভয় পেয়ে গেল। পরে ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ভীষন লজ্জা পাচ্ছে।
ফিহা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে আছে।ফাহাদ ফিহার থুতনিতে ধরে ফিহার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো….🌺ভালোবাসি🌺।।।
ফিহা চমকে ওঠলো। ফাহাদের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকালো।
আবারও ফাহাদ বললো…..🌺ভালোবাসি ফিহুপাখি🌺।।।
ফিহা কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফাহাদ ফিহাকে থামিয়ে ……. আমি তোমায় কিছুদিন সময় দিচ্ছি।কিন্তু “”””হ্যাঁ””” শব্দটাই যেন পাই।
ফিহা মুচকি হাসলো।
চলবে………
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]