#হৃদয়ের_মাঝে_তুই (সিজন-০২)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_০৩
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌]
যাকে ফিহা প্রপোজ করেছে সে আর কেউ নয় ফাহাদ চৌধুরী। চৌধুরী ইন্ডাস্ট্রির মালিক অনিক চৌধুরীর ছেলে ফাহাদ চৌধুরী।
ফাহাদ ভার্সিটি থেকে ক্লাস শেষ করে বাড়িতে এসে সোজা রুমে চলে গেল। ফাহাদের মা মিসেস মেহের অনেকবার ডাকলেন কিন্তু ফাহাদ কিছু না বলে চলে গেল।
রুমে এসে ফাহাদ ধপাস করে খাটে শুইয়ে পরলো।
এখনো তার হার্টবিট দ্রুত গতিতে ওঠা নামা করছে।
ওই নারীর স্পর্শে তার পুরো শরীরে অদ্ভুত এক শিহরণ জাগিয়েছে।কেন জানি মন চাচ্ছে যদি আবার ও একবার চুইয়ে দিতো।নারী তো নয় যেন কোনো আসক্তিতে জড়িয়ে গেছি।কেমন নেশা নেশা লাগছে। আবার ও দেখতে ইচ্ছে করছে সেই কালো রঙের কাপড় পরিহিত মেয়েটাকে,,কালো ফ্রেমের চশমাতেও বুঝি কোনো নারী এত সুন্দর।
কিছুতেই মুহূর্তটা বুলতে পারছি না।কিন্তু ওইটা রেগিং ছিলো।
যদি ওই বেয়াদব গুলারে সামনে পাই থাপ্পড়াইতে থাপ্পড়াইতে সব দাঁত ফেলে দিমু।মজার কতগুলো লিমিট থাকে। কতবার বলেছি এইসবে আমাকে জড়াবি না। বার বার মেয়েদের আমার কাছে পাঠিয়ে বিরক্ত করবে।কাল ভার্সিটি যাই একটাকেও ছাড়বো না। সব গুলোরে দড়ি দিয়ে বেঁধে উল্টো ঝুলিয়ে রাখমু।যাতে জীবনেও রেগিং এর নাম না নেয়।
ফাহাদের এইসব চিন্তা ভাবনার মধ্যে কেউ এসে ওর কান মলে দিচ্ছে।
ফাহাদ বিরক্তিকর চোখে তাকিয়ে বললো,,,কি শুরু করলি ফারিন আপু আমার কান ছাড়। আহ্ লাগছে।
ফারিনঃ খাবার খেতে চল।আর আমার আইসক্রিম কই। তুই না বললি আসার সময় নিয়ে আসবি।
(ফারিন ফাহাদের বড় বোন)
ফাহাদঃ সরি আপু।মনে ছিল না। কাল সত্যি আনবো।এখন কান ছাড় আমার লাগছে।
ফারিনঃ না বললে তো হবে না।ফ্রেশ হয়ে খেয়ে আমার জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসবি।এত কিছু জানি না আমি।আমার আইসক্রিম চাই ই চাই।
ফাহাদঃ ওকে মাই সিস্টার। আনবো।এইবার কান ছাড়।
ফারিন চলে গেল।
ফাহাদ ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ফারিনের জন্য আইসক্রিম কিনতে গেলো।
বর্ন ফিহাকে ঘুম থেকে ওঠিয়ে বললো কিরে ফিহা আজকে কি কিছু হলো ভার্সিটিতে।
ফিহা বিরক্ত নিয়ে বললো,,,আমার ঘুম নষ্ট করেছিস তুই এইসব জিজ্ঞেস করতে।
তোর মতো হাদার বুদ্ধি নিলে সব জায়গায় পস্তাতে হবে।
ফিহা ভার্সিটির সব ঘটনা খুলে বললো।
বর্ন হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ।
ফিহাঃ তোর জন্য সব হয়েছে। তুই আমাকে ব্যাগ
চেঞ্জ করতে বললি না কেন হ্যাঁ।ওই ব্যাগের জন্যই ওরা বুজে গেছে।
বর্নঃ যা হবার হয়েছে । চল আজকে বাহির গিয়ে ফুসকা খেয়ে আসবো।। তৈরি হয়ে আয়।ওঠ।
ফিহা সবুজ রঙের থ্রি পিচ পরলো।বর্ন সবুজ রঙের কাপড় পরলো।দুজনে মিসেস রাজিয়া কে বললো ঘুরাঘুরি করবে।তিনি ও যেতে দিলেন।
ফিহা আর বর্ন ফুসকার দোকানে ফুসকা খাচ্ছিলো।
খেতে খেতে ফিহা পাশের আইসক্রিমের দোকানে তাকাতেই বড় সড় এক ধাক্কা খেল।
ফিহা বর্নকে কনুই দিয়ে গুঁতা মারছে।
বর্নঃ সমস্যা কি ফিহা এমন করছিস কেন শান্তিতে খেতে ও দিবি না নাকি।
ফিহাঃ আ,,আপু ভার্সিটিতে যেই ছেলেটাকে প্রপোজ করছিলাম ওই ছেলেটা আইসক্রিম এর দোকানে বসে আছে দেখ।
বর্ন তাকিয়ে দেখলো।
বর্নঃ বাহ্ ফিহা অনেক কিউট তো ছেলেটা।
ফাহাদ ও পাশে তাকাতেই ফিহাকে দেখে ওদের কাছে আসবে তার আগেই ফিহা……….
ফুসকার প্লেট রেখে কোনোরকম টাকাটা দিয়ে বর্নের হাত ধরে দৌড় দিলো।
বর্নঃ আরে পুরো প্লেট খেতে পারলাম না এইভাবে দৌড়াচ্ছিস কেন।
ফিহাঃ তুই দেখছ নাই ছেলেটা এইদিকে আসছিল।যদি পাবলিক প্লেসে থাপ্পড় মারে আমার মান সম্মান থাকবে না।তাই দৌড়াচ্ছি।ফিহা আর বর্ন রিকশা করে বাড়ি চলে আসল।
আর ফাহাদ হাবার মতো ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। এইটা কি হলো এইভাবে দৌড়ালো কেন।মনে হচ্ছে যেন পুলিশ ধরবে কোন অপরাধে এমন অবস্থা।
ফাহাদ আইসক্রিম নিয়ে বাড়ি চলে গেলো।
চলবে……..
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]