#হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_১০
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌]
নবীন বরন অনুষ্ঠান শেষে ফিহা ঝিনুককে বিদায় দিয়ে বাড়ি চলে গেল।
আজকের ঘটনা নিয়ে ফিহা ভীষণ ভাবনায় পরে গেল। ফাহাদের এত কাছাকাছি আসা তার মনের ভিতর কেমন একটা অনুভূতির জন্ম নিলো।
ফিহাঃ কিন্তু আমি এখনো ওনার নামটাই জানি না।কিভাবে জানবো।
ওনার হাসি সত্যিই অনেক সুন্দর। বার বার সেই হাসিটা যেন আমার চোখে ভাসছে।
ফিহার ভাবনার মাঝে তাইমুর আহমেদ আসলেন নিজের মেয়ের রুমে।
তাইমুর আহমেদঃ ফিহা মামনি কি ভাবছো এমন গভীর ভাবে।
ফিহা বাবার গলার আওয়াজ পেতেই চমকে সামনে তাকালো,,,,,, না বাবা কিছু না। এমনি পড়াশোনা নিয়ে ভাবছিলাম কিভাবে কোর্স শেষ করবো (ডাহা মিছা কতা)
তাইমুর আহমেদঃ বাহ্।আমার মামনি দেখছি পড়াশোনা নিয়ে অনেক সিরিয়াস।
ফিহা মুচকি হাসলো।
আর কিছুসময় বাবা মেয়ে গল্প করলো।
তাইমুর আহমেদ যাওয়ার সময় ফিহাকে বলে গেলেন…….মামনি আমরা যা করবো তোমার ভালোর জন্য করবো।
ফিহা এই কথাটিতে তেমন গুরুত্ব দিলো না।
বাবা-মা সবসময় সন্তানের ভালো চায়।
সিয়াম তার মা বাবাকে নিয়ে ফিহাদের বাড়িতে এসেছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।
ফিহার জগের পানি শেষ হয়ে যাওয়াতে নিচে আসতেই সিয়ামকে আর তার মাকে দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে
গেল।
তাদের কথোপকথন শুনে মাথা আরও গরম হয়ে গেল।
ফিহা জগে পানি না নিয়েই ওপরে নিজের রুমে চলে গেল।রেগে দরজা ঠা………স করে বন্ধ করে দিলো।
ফিহাঃ কত বড় সাহস এই ছেলের বাড়ি এসে বিয়ে পর্যন্ত চলে আসলো।
কচু গাছে ফাসি দিয়া মরমু তবুও এই ছেলেকে আমি বিয়ে করমু না।
তাইমুর আহমেদ বর্নের শাশুড়ী আর দেবরকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন।মুখের ওপর তো না করা যায় না। পরে জানাবেন বলে দিয়েছেন।
তাইমুর আহমেদঃ আমার বন্ধুর সাথে কথা দিয়েছি ফিহাকে তার ছেলের সাথে বিয়ে দিবো।বর্ন ও ওই বাড়িতে তেমন ভালো নেই।
রাতে………
তাইমুর আহমেদ ফোন করে জানিয়ে দিলেন এই বিয়েতে তিনি রাজি নন।
বর্নের শাশুড়ী ফিরোজা বেগমের সাথে অনেক জামেলা হয় বর্নের।।
বর্ন মনে মনে অনেক খুশি। এমন বাড়িতে বোনের বিয়ে না হওয়াটাই ভালো।আমার বোন কোনোদিনও সুখী হবে না।আর সিয়ামকে আমার তেমন সুবিধার মনে হয় না।যা হয়েছে ভালোই হয়েছে।
★
ফারিনঃ ভাই কালকে আমার শ্বশুর বাড়ি দিয়ে আসতে পারবি তুই।আদিল বলেছে আর একদিনও যদি এইখানে থাকি ও আমার সাথে আর কথা বলবে না।
ফাহাদঃ আরও কিছুদিন থাকনা আপু।
ফারিনঃ না ভাই তোর দুলাভাই রাগ করে আছে এমনি।তিন দিনের কথা বলে আজ সাতদিন ধরে আছি।
ফাহাদঃ আহারে বেচারা বউয়ের শোকে পাগল হয়ে যাচ্ছে ।
ফারিনঃ একদম মজা করবি না ভাই।তুই শুধু বিয়েটা কর দেখবি তখন তোর বউরে দিয়ে তোকে মার খাওয়ামু হু।
ফাহাদঃ আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে দিয়ে আসমু নি।ওইখানে যেতে বিরক্ত লাগে। তোর এই ননদ পারে না পারে আমার কোলে ওঠে বসে।
ফারিন হাসা শুরু করলো….. কই আমি তো দেখি নাই।আমার এমন কিউউট ভাইকে দেখলে সব মেয়েরাই কোলে চড়তে চাইবে।
ফাহাদঃ তোর মাথা।
ফাহাদ নিজের রুমে চলে আসল।
ফাহাদ শুয়ে শুয়ে মোবাইল স্ক্রোল করছে।
এমন সময় কেউ তার মোবাইল হাত থেকে নিয়ে নিলো।
বিরক্ত নিয়ে পাশে তাকাতেই প্রচণ্ড রেগে গেলো…….জেরিন তুই এখানে কি করছিস।আর আমার মোবাইল কেন নিলি।তুই জানিস না কার রুমে পারমিশন না নিয়ে ঢুকা ঠিক না।।
জেরিনঃ অ…..ও…..আমার ফাহাদ বেবি। আমি তোমার রুমে আসতে আবার কিসের পারমিশন লাগবে।কিছু দিন পর তো আমরা একসাথেই থাকবো তখনও কি এমন করবে।এখন থেকে আমি পারমিশন ছাড়াই আসবো।
ফাহাদঃ দেখ জেরিন মাথা গরম করিস না। বের হ্ আমার রুম থেকে। আর এইসব নেকামি কথা আমার সাথে বলবি না।যা এখান থেকে না হয় থাপ্পড়ামু।
জেরিনঃ বেবি রাগ করো না এখনই যাচ্ছি।
আর হ্যাঁ যাওয়ার আগে বলেই……..ফাহাদের গালে টুপ করে কিস দিয়ে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল।
ফাহাদ তো প্রচন্ড রেগে গেলো….টেবিলে থাকে ফুলদানিটা আছাড় মারলো।
ফাহাদঃ কত বড় সাহস এই মেয়ের আমাকে চুমু দেওয়া। আমাকে শুধুমাএ আমার প্রেয়সী ছাড়া কেউ ছুঁতে পারবে না।আর এই বেয়াদব মেয়ে……..
ফাহাদ ওয়াশরুমে গিয়ে দুই ঘন্টা সাওয়ার নিলো।ডান গালে জেরিন কিস করেছিল সাবান দিয়ে ঘসে ঘসে গাল লাল করে ফেলেছে।
ফাহাদঃ আমি সম্পূর্ণটাই আমার প্রেয়সীর।।………
চলবে………
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]