#হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_১১
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌]
ফিহা মন খারাপ করে রাস্তায় হাঁটছে।
আজকে একটা রিকশা ও দেখছি না।
এমনিতেই দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেছি। এখন যদি রিকশা ও না পাই ভার্সিটি ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারবো না।
তখনি একটা বাইক এসে ফিহার সামনে দাঁড়ালো।
হঠাৎ করে বাইক সামনে আসাতে ফিহা ভয় পেয়ে দুপা পিছিয়ে গেল।
ছেলেটি হেলমেট মাথা থেকে নামিয়ে…….. হায় আমি রাফসান। দেখলাম তুমি হেঁটে যাচ্ছ।আমি ভার্সিটি যাচ্ছি। কিছু মনে না করলে আমার বাইকে করে যেতে পারো।
ফিহাঃ না আমি একাই যেতে পারবো। আপনি চলে যান।
রাফসানঃ আমি সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি আমার ভাই জাবির তোমার সাথেই পড়ে।জাবিরের ক্লাসে এসেই তোমায় দেখলাম। তোমায় একা যেতে দেখে……….
ফিহাঃ না না আমি একাই যেতে পারবো।
রাফসানঃ আর ইউ শিউর।
ফিহা মনে মনে……… আজকে রিকশা ও পাচ্ছি না।অনেক দেরী ও হয়ে গেছে এইভাবে হেঁটে যাওয়াও সম্ভব না।তাহলে চলেই যাই। কিন্তু অপরিচিত কার সাথে যাওয়া ঠিক হবে।
রাফসানঃ কি হলো মেম কি এত ভাবছেন।গেলে ওঠে পরুন।
ফিহা আর কিছু না বলে বাইকের পিছনের সিটে ওঠে বসলো।
রাস্তায় কারো মাঝে কোনোরকম কথা হয়নি।
ভার্সিটির গেইটে আসতেই বাইক থামলো।
ফিহা বাইক থেকে নেমে রাফসানকে ধন্যবাদ দিলো।
রাফসানঃ তোমার নামটা তো বলে যাও।
ফিহাঃ ফিহা আহমেদ।
এইদিকে ফাহাদ ফিহাকে অন্য করোর বাইকে দেখে ফাহাদের রাগে মাথার রগ ফুলে গেছে।
ফাহাদঃ শালা তোর সাহস কম না আমার কলিজায় হাত দেছ।তোর আজকে খবর কারে ছাড়ব।
ফিহা ক্লাসে গিয়ে দেখলো ঝিনুক রাগী মুখ নিয়ে বসে আছে।
ফিহা ঝিনুককে জড়িয়ে ধরে… মহারানী মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে।
ঝিনুক মুখ ফুলিয়ে… এত দেরি হলো কেন।না আসলেও পারতি কেউ যে তোর জন্য বসে থাকে সেটা তো খেয়ালই থাকে না।
ফিহাঃ মেরি জান। সরি সরি সরি। কাল থেকে তাড়াতাড়ি আসবো। এইবার খুশি।
ঝিনুকঃ অনেক খুশি।
ফিহা ঝিনুককে রাস্তার ঘটনা খুলে বললো।
ঝিনুকঃ ওহ্ হে রাফসান ভাইয়া ওনি আমার কাজিন হন।ভাইয়া অনেক ভালো।
ফিহা কিছু বললো না শুধু মুচকি হাসলো।
ঝিনুকঃ চল কেন্টিন যাবো। বাড়ি থেকে না খেয়ে এসেছি এখন অনেক ক্ষুদা লাগছে।
ফিহাঃ আরে এখন তো ক্লাস শুরু হবে।
ঝিনুকঃ দূর এই টাকলা স্যারের ক্লাস এমনিতেই ভালো লাগে না। চল খেয়ে আসি।
ফিহাঃ হুম চল।।
কেন্টিনে গিয়ে ঝিনুক দুটো বার্গার ওর্ডার দিলো।
ফাহাদ, রওশান,জাহিদ ও কেন্টিনে বসে খাচ্ছিলো আর গল্প করছিলো।
রওশান সামনে তাকাতেই…. ফাহাদ আমি একটু আসি।
ফাহাদ সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে,,,,,,, কই যাবি।
রওশানঃ না মানে ইয়ে মানে কি,,কিছু না।
ফাহাদ সামনে তাকাতেই আর বুঝতে বাকি রইলো না
ওনি কি কাজ করতে যাচ্ছেন।।
ফিহাকে দেখে ফাহাদের খুব রাগ হলো।
কিভাবে পারলো অন্য কারোর বাইকে ওঠতে।এর শাস্তি পাবে বাইকওয়াল আর তোমায় ও শাস্তি পেতে হবে।
রওশান ফিহা আর ঝিনুকের কাছে গেলো……
রওশানঃ হ্যালো ফিহা।কি করছো।
ফিহাঃ বার্গার খাচ্ছি। খাবেন ভাইয়া।
রওশানঃ না না তুমি খাও।
রওশান ঝিনুকের বাম পাশের চেয়ারে বসে,,,,,কেমন আছো সুন্দরী।
ঝিনুক রেগে রওশান এর শার্টের কলার ধরে…….আপনার সমস্যা কি আমার পিছনে কেন লেগেছেন।
রওশান ঝিনুকের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে…… রাগলে মেয়েটাকে হেব্বি কিউট লাগে।
রওশান ভয়ের অভিনয় করে,,,,, , মা,,,,গো….. ভয় পাইছি। বলে ফাহাদের পিছনে গিয়ে লুকালো।আর ফিহা মুখ টিপে হাসছে।
রওশান যে ঝিনুকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে তা ফিহা ভালোই বুঝতে পারছে।
আবার ঝিনুকের সামনে এসে………
রওশানঃ তুমি এত ঝাল কেন। প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খেও তাহলে……
আর কিছু বলতে যাবে ঝিনুক রেগে কেন্টিন থেকে বের হয়ে গেল।
আর ফিহা ঝিনুকের পিছ নিতে দৌড় দিতে গিয়ে কিছুর সাথে উষ্ঠা খেয়ে পরে যাবে তার আগেই ফাহাদ ফিহার কোমড় জড়িয়ে ধরলো। ফিহাকে পরে যাওয়া থেকে বাঁচালো।
দুজন দুজনের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন চোখের পলক পরলেই হারিয়ে যাবে।
রওশান আর জাহিদ হা করে তাকিয়ে আছে ফাহাদ আর ফিহার দিকে।
রওশান গলা খিকখিক করতেই ফাহাদ ফিহাকে ছেড়ে দিলো।আর ফিহা……..ধ….পা….স।
পরে কোমরে ব্যাথা পেল।
ফিহাঃ আ….হ্। যখন পেলেই দিবেন তখন ধরলেন কেন।দিলেন তো আমার কোমর ভেঙে।
ফাহাদঃ সরি আসলে ভুলে এমনটা হয়ে গেছে।
ফাহাদ তার ডান হাতটা ফিহার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে,,,, ওঠো।
ফিহা ফাহাদের হাত ধরে ওঠে দাঁড়ালো।
এইদিকে জেরিন তার বান্ধবীদের নিয়ে কেন্টিনে খেতে এসে ফাহাদ আর ফিহার ঘনিষ্ঠতা দেখে মাথা গরম হয়ে গেল।
রেগে কেন্টিন থেকে চলে গেল।……
চলবে………
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]