#অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু 🍁🍁
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#part_04
–“আমি কি আপনার ভেজা মুখটা আর একটাবার দেখার সুযোগ পেতে পারি?”(নক্ষত্র)
নক্ষত্রের গলার ভয়েজ শুনে তিতিক্ষা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো ।নক্ষত্র এখন এই মুহূর্তে যে উপস্থিত হবে এটা তিতিক্ষার কল্পনারও বাইরে ছিলো।তিতিক্ষা এখন কি বলবে?কি করবে? সেটাই বুঝে উঠতে পারছেনা।রাতের পড়ে থাকা কুঁচকানো কামিজটারও বেহাল দশা।চুল গুলো তো কোন রকম কাটা দিয়ে আটকে রাখা।মুখে ফেসওয়াসের ফেনা লেগে আছে।এমন একটা সময়েই নক্ষত্রকে আসতে হলো?ইস!এই আলুথালু অবস্থায় কিভাবেই বা নক্ষত্রের সামনে ঘুরে দাঁড়াবে?এমন লজ্জাজনক অবস্থায় না পড়লেও তো হতো?তবে এখন যা হওয়ার হয়ে গেছে। তিতিক্ষা ওর ভাবনা-চিন্তাকে পাশে রেখে, বোকার মত আর না দাঁড়িয়ে পানির কল ছেড়ে মুখটা ধুয়ে নিলো।এরপর সামনে তাকিয়ে দেখে আহান দাঁত বের করে হাসছে।আর আহানের হাতের ফোনের মধ্যে নক্ষত্রকে দেখা যাচ্ছে।সে তার মুখে মুচকি হাসি মিশ্রিত মুখশ্রীটাকে নিয়ে তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে আছে।তিতিক্ষা ওর কোমরে দুই হাত রেখে আহানের দিকে রাগী চোখে তাকালো।ততক্ষণে
নক্ষত্র হুট করে কল কেটে দিয়েছে।আহান একদৌড়ে তিতিক্ষার রুমের বাইরে চলে গেল।তিতিক্ষাও আহানের পেছনে ছুটতে গিয়ে থেমে গেল।এখন আহানকে ধরা ওর পক্ষে সম্ভব হবেনা।তাই অযথা আর দৌড়ে না গিয়ে চিৎকার করে বললো,
–“আহান্য তোরে আমি পরে দেখছি দাঁড়া। ফাজিল ছেলে একটা।”
অদ্রি কলেজে চলে গেছে।মিসেস আবরার রান্নাঘর থেকে এসে কফির মগ দু’টো সেন্টার টেবিলের উপর রাখলো।একটা মগ তুলে মিস্টার আবরারের দিকে তুলে ধরলেন।মিস্টার আবরার উনার হাতে থাকা ফাইলটা রেখে উনার মিসেসের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলেন।উনার মিসেস তখন কফির মগে একটা চুমুক দিয়ে বললো,
–“আচ্ছা একটা দিনের মধ্যে আমি তোমাকে যতবার কফি করে দেই।তুমি ততবারই আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসো। কিন্তু কেন?”
মিসেস আবরারের কথা শুনে মিস্টার আবরার আবারও হাসলো।উনার হাসি দেখে মিসেস আবরার উনার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।মিস্টার আবরার
বললো,
–“আমার জন্য তুমি এত কষ্ট করে কফি বানিয়ে আনলে। তাই আমি তোমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে তোমার কষ্টের একবিন্দু কষ্টের মূল্য পরিশোধ করার চেষ্টা করি।”
মিসেস আবরার আর কিছু বললো না।তবে মনে মনে খুব খুশি হয়েছে।এসব ছোট্ট ছোট্ট ভাললাগার অনুভূতি গুলোই একএ হয়ে সম্পর্ক আরো মজবুত হয়।মিস্টার আবরারের মত কিছুটা হয়েছে নক্ষত্র।সে তার মধুমাখানো কথা বলে যে কারো হৃদয় হনন করতে সক্ষম।নক্ষত্র ছোট্ট থেকেই দেখে আসছে, ওর আব্বু ওর আম্মুকে কখনো কটু কথা বলেনা,উচ্চ স্বরে কথা বলেনা,গালাগাল করেনা। ওর আব্বু ওর আম্মুকে যতটুকু পারুক সময় দেওয়া চেষ্টা করে।তারা একে অপরের ইচ্ছেকেও তারা প্রাধান্য দেয়।বাবা মায়ের এমন মিষ্টি মধুর সম্পর্ক দেখে নক্ষত্রের মনেও ভালবাসা নিয়ে অনেক বীজ বোনা।বউ নামক #বুকের_বা_পাশে স্বযত্নে আগলে রাখা রমণীকে নিয়ে তারও হাজারও কল্পনা গেঁথে রেখেছে ওর মনের কোঠরে।অপ্রকাশিত আদুরে কিছু ইচ্ছে, আহ্লাদ, সে তো সীমাবদ্ধ করে রাখতে চাই শুধু তার প্রিয়সীকে ঘিরে।
যদিও নক্ষত্র ওর বাবা মায়ের সম্পর্কটাকে একটু একটু করে নতুনভাবে আবির্ভাব হতে দেখেছে।সুস্থ সুন্দর একটা সম্পর্ক কেমন হয় এটা নিজের চোখে দেখেছে।মন থেকে এই অনুভূতি গুলোকে অনুভব করেছে।আর এখানে নক্ষত্র ওর পরিবারের থেকে ভালো শিক্ষাটুকু সাদরে গ্রহন করেছে।কারন সেও চাই তার প্রিয় মানুষটাকে ওর #অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস অবধি আগলে রাখতে।
বাবা মায়ের উচিত নয় ছেলে মেয়েদের সামনে ঝগড়া করা,গালাগাল করা।কারন ছেলেমেয়ের সামনে ঝগড়া করলে বাবা মায়ের প্রতি ছেলে ছেলেমেয়ের মনে নেগেটিভ একটা ধারণা তৈরী করে।যেমন বাবারা রেগে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও একটা গালি দেয়।তখন গালিটা ছেলেমেয়েরাও শুনে।আর বাবাকে খারাপ ভাবে।তিন বছরের একটা বাচ্চার সামনে যদি গালি দেয়। তখন বাচ্চাটার মনে হবে,”বাবা খুব পঁচা। শুধু শুধু আম্মুকে বকা দিচ্ছে।” অযচ একদিন বা দুইদিন পর স্বামী স্ত্রীর রাগ কমে যায়। তখন উনাদের রাগ, অভিমান, ভুলে ঠিক হয়ে যায়।কিন্তু বাচ্চার মনে জন্ম হওয়া সেই নেগেটিভ মনোভাবটা একটু হলেও থেকে যায়।বাবা মা ঝগড়া শুরু হলে আমাদের উচিত আমাদের ছোট ভাই বোনদেরকে ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া।কারন বাচ্চাদের ব্রেন পজেটিভ কিছুর থেকে নেগেটিভ কিছু দ্রুত ক্যাচ করে।ভাল কথার থেকে খারাপ কথা তারা সহজেই শিখে ফেলে।তখন খারাপ কথাটাই বার বার তোতাপাখির পাখির মতো আওড়াতে থাকে।আর এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সবার একটু সচেতনার প্রয়োজন।এজন্যই কথাতেই বলে,
–“নিজের ঘরের শিক্ষায় হলো বড়ো শিক্ষা।”
তবে এটা ছাড়াও অপ্রিয় একটা সত্যি আছে।আর সেটা হলো,
–“একটা বাচ্চার প্রথম চিন্তা ধারার বিকাশ ঘটে। তার নিজের বাসস্থানের পরিবেশ মোতাবেক।আর সেই পরিবেশ হোক সুস্থ অথবা অসুস্থ। সুস্থ পরিবেশে শিখবে ভিক্ষুকের সাথে শ্রদ্ধামিশ্রিত ভাবে কথা বলা।আর অসুস্থ পরিবেশ থেকে শিখবে অশ্রব্য সব গালাগালির ফুলঝুরি।”
তিতিক্ষা ওর ড্রেস বদলে একটা কামিজ পড়ে ড্রয়িংরুমে এসে দাঁড়ালো।সোফার দিকে তাকিয়ে ওপর পা টা যেন থমকে গেছে।চোখ বড় বড় করে তিতিক্ষা সেদিকেই তাকিয়ে আছে।কারন স্বশরীরে “নাহিয়ান আবরার নক্ষত্র” সোফাতে বসে আছে।আহানও পাশে বসে কি যেন করছে দু’জন মিলে।বিভা এসে তিতিক্ষাকে একটা ধাক্কা দিলো।তিতিক্ষা নক্ষত্রের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিলো।তনুকা রুম থেকে বের হয়ে বললো,”তিতু সোনা নক্ষত্রের জন্য কফি করে আনতো।” নক্ষত্র এতক্ষণ ওর ফোনের দিকে তাকিয়ে ছিলো। হঠাৎ তিতিক্ষার নাম শুনে নক্ষত্র চোখ তুলে সামনে তাকালো।আর তখনই তিতিক্ষার সাথে চোখাচোখি হয়ে গেল।বিভা ফট করে বললো,”বনু জিজুর সাথে পরে শুভদৃষ্টি করো।আগে কফিটা তো করে আনো।” বিভার কথা শুনে তিতিক্ষা লজ্জা পেলো। তাই কোন কথা না বাড়িয়ে ওখান থেকে দ্রুত সরে গেল।তিতিক্ষার লজ্জায় লালবর্ণ ধারণ করা নাক আর গালদুটো দেখতে নক্ষত্র মিস করেনি।তিতিক্ষাও নক্ষত্রের ঠোঁটে মুচকি হাসি রেখা দেখেছে।তবে তিতিক্ষা যে নক্ষত্রকে দেখলে খুব লজ্জা পায়। এই কথাটা নক্ষত্রেরও অজানা নয়।তবে এই ব্যাপারটা নক্ষত্র খুব ইনজয় করে।
তিতিক্ষা রান্নাঘরে গিয়ে দেখে এলাহী সব কান্ড।মামনি আর জোসনা কাজে খুব ব্যস্ত।মামনি ডুবো তেলে কাবাব ভাজছে। আর জোসনা পাশের চুলার উপরে রাখা প্যান থেকে নুডলস তুলছে।তিতিক্ষাকে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মামনি তিতিক্ষাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
–“আম্মু দাঁড়িয়ে না থেকে দ্রুত হাতে কফি করতো।নক্ষত্র একা একা বসে আছো তো।”
তিতিক্ষা ওর মামনির কথা শুনে আর দাঁড়িয়ে না থেকে ওর কাজে লেগে গেল।এর মধ্যে বিভা, আহান, নক্ষত্র, তনুকা, রান্নাঘরে এসে হাজির।নক্ষত্রকে দেখে মামনি বললো,”নক্ষত্র বাবা তুমি এখানে আসতে গেলে কেন?” নক্ষত্র মুচকি হেসে বললো,
–“আপনাদের সবার সাথে সময় কাটাতে।আপনাদের ছাড়া ড্রয়িংরুমে বসে থাকতে ইচ্ছে করছিলো না।”
নক্ষত্রের এই কথাটা বলতে না বলতেই আহান এর প্রতিউত্তরে বলে উঠলো,
–“আমাদের ছাড়া নাকি তিতু আপুকে ছাড়া থাকতে ইচ্ছে করছিলো না জিজু?”
আহানের কথা শুনে বিভা আর তনুকা শব্দ করেই হেসে দিলো।মামনিও হাসলেন তবে আঁচলে মুখ লুকিয়ে। আহানের কথাটা শুনে তিতিক্ষা আড়চোখে একবার নক্ষত্রের দিকে তাকালো। নক্ষত্র মুচকি হাসলো।তবে এর প্রতিউত্তরে কিছু বললো না।সবাই হাসলেও শুধু হাসলো না তিতিক্ষা। সে তো এমনিতেই লজ্জাতে কুঁকড়ে আছে।নক্ষত্রকে ব্ল্যাক পোশাকে ব্ল্যাক রাজ্যের কিং দের মতো লাগছে।নক্ষত্রকে আজকে তিতিক্ষা সুক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করলো।তারপর থেকেই তিতিক্ষার হৃদপিন্ডটের কম্পনটা আপনা আপনিই বেড়ে গেছে।শরীরটাও অকারনেই মৃদুভাবে কাঁপছে।তিতিক্ষা বোঝার চেষ্টা করছে যে ও নতুন রোগে আক্রান্ত হলো কি না? নক্ষত্রকে দেখলেই ওর কেনই বা এমনটা হয়?আচ্ছা এই নতুন রোগটার নাম নক্ষত্র নয় তো?এটা ভাবলেই তো ওর মাথাটা আরো ভনভন করে ঘুরছে। আর মনে হচ্ছে শরীরের প্রতিটা শিরা-উপশিরায় রক্তচলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
হতচ্ছাড়া হৃদপিন্ডটা এতো দ্রুত গতিতে কম্পনের সাথে সাথে ছিটকে না বেরিয়ে যায়।তিতিক্ষা আড়চোখে একবার ওর মামনির দিকে তাকালো।এরপর কাঁপা কাঁপা হাতে কফি মগে ঢালতে ঢালতে মনে মনে বললো,
–“আল্লাহ রক্ষা করো।যে জোরে আমার হার্ট টা দ্রুত গতিতে লাফাচ্ছে। মামনি না টের পেয়ে যায়।”(মনে মনে)
এর মধ্যে মামনি কাবাবের প্লেটটা নক্ষত্রের সামনে রেখে নক্ষত্রকে বললো,”নক্ষত্র তুমি কালকে রাতে নাকি লন্ডন যাবে শুনলাম?” নক্ষত্র বললো,”জ্বি মামনি!আমার একটা কাজ পড়ে গেছে।এজন্য যেতে হচ্ছে ।” বিভা বললো,”তা কয়দিনের জন্য যাচ্ছেন জিজু?” নক্ষত্র ছোট্ট করে বললো,”এক সপ্তাহ।”
গল্প করতে করতে সবাই টুকটাক নাস্তা করলো।মামনি তিতিক্ষাকে বললো নক্ষত্রকে ওদের ছাদটা দেখিয়ে আনতে।তিতিক্ষা তনুকার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো।তনুকা হাসতে হাসতে ইশারাতে যেতে বললো।বিভা তিতিক্ষার অবস্থা দেখে মিটিমিটি হাসছে।আহান ওদের সাথে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই মামনি আহানকে কাছে ডেকে নিলো।নক্ষত্র একসাইডে গিয়ে ফোনে কথা বলছিলো।কথা বলা শেষ করে নক্ষত্র তিতিক্ষার পাশে এসে দাঁড়ালো।বিভা তিতিক্ষার দিকে একটা পাতলা চাদর এগিয়ে দিলো।ছাদে মৃদু বাতাসে শীত লাগবে। তাই তিতিক্ষা চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিলো।আর কোন উপায় না পেয়ে নক্ষত্রকে বললো,”আসুন আমার সাথে।” নক্ষত্র তিতিক্ষার পেছন পেছন গেল। নক্ষত্রের মুখে মুচকি হাসি রেখা স্পষ্ট।যেন সে অপ্রত্যাশিত ভাবে অমূল্য কিছু পেয়ে গেছে।
রুহান, আফান, আর সাফওয়ান একসাথে বসে আছে।আজকে এক সপ্তাহ পর সবার সাথে সবার দেখা হলো।যদিও নক্ষত্র আজকে আসেনি।সে তো গেছে তার প্রিয়সীর কাছে।এজন্য তিনজন মিলে একটা লেকের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছে।আফান ডাক্তারী পেশায় নিযুক্ত আছেন।সামনে মাসে আফান অস্ট্রোলিয়া চলে যাচ্ছে।আর রুহান সে ব্যাংকার। আর সাফওয়ান প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করে। সবাই আলাদা আলাদা পেশায় নিযুক্ত। এজন্য তারা খুব কমে সময় পাই আড্ডা দেওয়ার।তবুও চার বন্ধুর ভালবাসা কমে না কারো প্রতি কারোর।এটাই হয়তো বন্ধুত্বের জোর।
তিতিক্ষা নক্ষত্রকে নিয়ে ছাদে আসলো।নক্ষত্র চোখ বুলিয়ে ছাদের সৌন্দর্য দেখছে।নক্ষত্র ছাদের রেলিং এর সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো।নক্ষত্রের দৃষ্টি এখন তিতিক্ষার দিকে নিবদ্ধ।তিতিক্ষা মুখ কাচুমাচু করে চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে।সে কোন কথা না বলে মনোযোগ সহকারে তিতিক্ষার চুলের খোঁপাটা দেখছে। তিতিক্ষা ওর হাতে থাকা কফির মগটা নক্ষত্রের হাতে দিলো। নক্ষত্র মগটা নিয়ে পাশে রেখে দিলো। কিছুক্ষণ চুপ থেকে নক্ষত্র বললো,
–“আমি কিছু দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি।মূলত এজন্যই দেখা করতে আসলাম।”
তিতিক্ষা কিছু বললো না। আর কি বা বলবো, গলা তো শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে।নক্ষত্র মৃদুস্বরে আবারও বললো,
–“তুমি আমাকে কিছু বলবেনা?”
তিতিক্ষা বেশ একবার ঢোক গিলে নিলো।জিহ্বা দিয়ে নিচের ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
–“সাবধানে যাবেন।ন ন নিজের খেয়াল রাখবেন।প্রয়োজনীয়ও কাজ সেরে আবার সাবধানে ফিরে আসবেন।”
তিতিক্ষা কথা শুনে নক্ষত্র মৃদু হাসলো। তিতিক্ষা ঘাড় ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকালো।নক্ষত্র ওর পকেটে হাত রেখে তিতিক্ষার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো।এরপর পকেট থেকে কিছু একটা বের করে তিতিক্ষার চুলের খোঁপাতে আটকে দিলো।তিতিক্ষা দুই হাত দিয়ে ওর কামিজটা খামচে ধরে চোখ মুখ খিঁচে দাঁড়িয় আছে।নক্ষত্রকে দেখলেই তিতিক্ষার অবস্থা বেগতিক হয়ে দাঁড়ায়।আর এখন নক্ষত্র তিতিক্ষার এতে কাছে এসে দাঁড়িয়েছে।তিতিক্ষা দম আটকে আসছে।নিঃশ্বাস নেওয়াটাও যেন সে ভুলে গেছে।আবার বুকের ভেতর ধুকপুকানিরটা বেড়ে গেছে। মনে হচ্ছে আজকেই নক্ষত্র ইচ্ছাকৃতভাবে ওর হার্ট অ্যাটাক করিয়েই ছাড়বে।এজন্যই মনে হয় আজকে হুট করে নক্ষত্রের এখানে আগমন ঘটেছে।
নক্ষত্র তিতিক্ষার চুলের খোঁপাতে মাঝারী সাইজের স্টার আকৃতির রুপার তৈরী একটা চুলের কাটা আটকে দিয়েছে।যেটা রোদের আলোতে জ্বল জ্বল করছে।তিতিক্ষার চুলের সাধারণ হাত খোঁপাটার সৌন্দর্যটা একনিমিষেই যেন দ্বিগুন হারে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।নক্ষত্র তিতিক্ষার সামনে এসে তিতিক্ষার দিকে তাকালো।তিতিক্ষার অবস্থা দেখে নক্ষত্র মুচকি হেসে স্লো ভয়েজে বললো,
–” ইংলিশে স্টার বাংলাতে যার মানে হলো
তারকা/নক্ষত্র। তাই স্টার অর্থাৎ নক্ষত্রের মাঝেই তোমার খোঁপার সৌন্দর্যটা আবদ্ধ করে দিলাম।”(মুচকি হেসে)
To be continue….!!
(কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না।আপনাদের রেসপন্সের
উপরেই নির্ভর করছে রেগুলার গল্প পোষ্ট করবো কি না।)