অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু #written_by_Nurzahan_Akter_Allo #part_06

0
777

#অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#part_06

–“উমা কিতা সুন্দরী ফুরি গো?”

এই কথাটার মানে বুঝে তিতিক্ষা লজ্জা পেলো। মুখের উপর কেউ এমন কথা বললে তো লজ্জা পাওয়াটাই স্বাভাবিক। অদ্রি এবার ভদ্রমহিলাকে দেখিয়ে তিতিক্ষাকে বললো,

–“ভাবিমণি এটা আমার বড়োমামি। আমরা সবাই মামনি ডাকি। আর দরজায় দাঁড়ানো সেই ভদ্রলোকটাকে দেখছো না?ওটা আমার বড়ো মামা।”

তিতিক্ষা উনাদের দু’জনকেই সালাম দিলো। উনারা তিতিক্ষার সালামের উত্তর নিলো। অদ্রি বললো,

–“ভাবিমণি মামা তখন তোমাকে জিজ্ঞাসা করলো কিতা খয়রায়? এর মানে হলো,’কেমন আছো’ ?”

তিতিক্ষা এবার বুঝলো কথাটার মানে। তিতিক্ষা বড়মা মামার সামনে গিয়ে বললো,

–“আলহামদুলিল্লাহ! আমি অনেক ভাল আছি মামা।আপনি কেমন আছেন?”

বড়মামা হেসে বললেন, “আলহামদুলিল্লাহ! আমি অনেক ভালো আছি আম্মু। আমাদের কথা বুঝতে তোমার একটু সমস্যায় হবে।”

তিতিক্ষা মুচকি হাসলো উনার কথা শুনে। মিস্টার আবরার আর মিসেস আবরার ফ্রেস হতে গেছে।বাসার অনেকে ঘুম থেকে উঠেনি এখনো। বড়মামি তিতিক্ষাকে নিয়ে একটা রুমে গেল। এখানে অদ্রি আর তিতিক্ষা থাকবে। অদ্রি এসেই বেডের উপর রাখা ব্ল্যাঙ্কেটের নিচে ঢুকে পড়লো। তিতিক্ষা ওয়াশরুমের ঢুকে ফ্রেস হয়ে নিলো। অদ্রিকে জোর করে তিতিক্ষা উঠিয়ে ওয়াশরুমের পাঠিয়ে দিলো। বড়মামি হালকা নাস্তার সাথে গরম গরম ভাপা পিঠা এনে দিলো। তিতিক্ষা একটা পিঠা নিয়ে খেতে লাগলো। অদ্রি আবার এসে ব্ল্যাঙ্কেটের ভেতর পা ঢুকিয়ে বসে পড়লো ওর ফোনটা হাতে নিয়ে।তিতিক্ষা বড়মামিকে বললো,
–“মামনি বসুন।আপনার সাথে একটু গল্প করি।”

বড়মামি বললো উনি নাকি রান্না ঘরে পিঠা বানাচ্ছে। এজন্য এখন বসতে পারবেনা। তিতিক্ষা নিজে উঠে
বড়মামির সাথে কথা কথা বলতে বলতে রান্নাঘরের দিকে গেল। সারারাত জার্নি করে আসার পর এখন রুমে বসে থাকার কোনো ইচ্ছে তিতিক্ষার আপাতত নেই। বড় মামি সিলেটি ভাষায় কথা বলছে দেখে তিতিক্ষার বুঝতে একটু সমস্যা হচ্ছে। ব্যাপারটা বড়মামি লক্ষ্য করলো এবং তিতিক্ষার সুবিধার্থে উনি এবার শুদ্ধ ভাষায় তিতিক্ষার সাথে কথা বলছেন। তিতিক্ষা বড়মামির সাথে কথা বলতে বলতে জানলো, যে বড়মামি অনার্স পযন্ত পড়াশোনা করেছেন। বড়মামির বাবার বাড়ি ফেনীতে। উনার এক ছেলে আর এক মেয়ে। নক্ষত্রের দুইটা মামা। ছোট মামি সাত মাসের অর্ন্তসপ্তা। শীতের মধ্যে তাকে একটু দেরী করেই ঘুম থেকে উঠতে বলা হয়েছে। এটাই ছোট মামির প্রথম বাচ্চা। তাও বিয়ে ছয় বছর পরে।বাড়ির সবাই কড়া করে নিষেধ করার পর উনি একটু দেরী করেই রুম থেকে বের হয়। সে প্রথমবার মা হবে। সে হিসেবে সবাই উনার দিকে একটু বেশিই খেয়াল রাখে।

বড়মামি পিঠা বানাতে বানাতে বাসার সবার গল্প করছে। আর তিতিক্ষা পাশে একটা টুলে বসে উনার গল্প শুনছে। পাশেই গ্যাসের চুলার ব্যবস্থা আছে। তবুও বড় মামি মাটির চুলোতে পিঠা বানাচ্ছেন। বড়মামি দেখতে খুব সুন্দরী। সেটা উনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সবুজ রঙের শাড়ীর সাথে লাল রংয়ের থ্রি কোয়াটার হাতার ব্লাউজ ।আর উনার গায়ে একটা কালো রংয়ের শাল জড়ানো। চুলোতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। আর বড় মামির দেওয়া লাকড়ি গুলোকে আগুন যত দ্রুত সম্ভব গোগ্রাসে গিলছে। যেন এখানে আগুন আর লাকড়ির কোন একটা প্রতিযোগিতা চলছে।

তিতিক্ষা রান্নাঘরটাতে আর একবার চোখ বুলিয়ে নিলো। রান্নাঘরটা বেশ বড় আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও বটে।একসাইডে শুকনো কাঠ, শুকনো ডাল,এসবের স্তুপ করা।তিতিক্ষা বড়মামিকে বললো,
–“মামনি গ্যাসের চুলা তো আছেই।তাহলে কষ্ট করে মাটির চুলোয় কেন?”

তিতিক্ষার কথা শুনে বড়মামি মুচকি হাসলো। এরপর চুলোতে একটা শুকনো গাছের ডাল ভেঙে দিয়ে বললো,
–“আমার শাশুড়ি মা গ্যাসের চুলায় রান্না করা তরকারি খেতে পারেনা। একটু শেকেলে মানুষ তো। মা বলে মাটির চুলোর রান্নার নাকি অন্য রকম একটা স্বাদ। গ্যাসের চুলার রান্না করা তরকারি নাকি স্বাদ লাগেনা। গ্যাসে চুলোয় রান্না করলে তরকারির মধ্যে নাকি আর সেই গ্যাস ঢুকে তরকারির সব স্বাদ খেয়ে ফেলে। আমরা সেই তরকারি খেলে নাকি আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। এসব যুক্তি আমার শাশুড়ি মায়ের ভাষ্যমতে আর কি। তবে প্রথম প্রথম আমি চুলায় রান্না করতে পারতাম না। কিন্তু এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন মাটির চুলায় রান্না করা খাবার খেতে খেতে গ্যাসের চুলায় রান্না খাবার খেতে একটু অন্যরকম লাগে আমাদের কাছেও। তাই মায়ের জন্য রান্না করতে করতে আমরাও এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আর মা যা বলে আমরা সবাই অক্ষর অক্ষরে পালন করি। আর মায়ের কথা অনুযায়ী মাটির চুলাতেই বেশি রান্না করা হয়।”

তিতিক্ষা এবার বুঝলো আসল কাহিনি। মামনি তিতিক্ষাকে রুমে গিয়ে রেস্ট করতে বললো।কিন্তু তিতিক্ষা ওখানেই বসে রইলো।সে আশেপাশে চোখ বুলাচ্ছে আর এই মুহুর্তের সৌন্দর্য টাকে লুটে নিচ্ছে। সব পরিবেশেরই এক একটা ভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে। এটা খুঁজে নিতে জানলে সব পরিবেশই নিজেকে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। সব স্থানেই কোন না কোন সৌন্দর্য বিদ্যমান থাকে। শুধু কোথায় সৌন্দর্য কম আর কোথায় সৌন্দর্য বেশি এটাই পার্থক্য।

রান্নাঘরের পাশেই একটা পুকুরপাড় দেখা যাচ্ছে। পুকুরপাড়ে ঠান্ডা বাতাস শরীরে এসে লাগলে শরীর শিউরে উঠছে।পাশেই মনে হয় শিউলি ফুলের গাছ আছে। শিউলি ফুলের সুগন্ধ টা বারবার নাকে এসে লাগছে। হঠাৎ গড়গড় শব্দ করে উঠাতে তিতিক্ষা বাড়ির উঠানের দিকে তাকানো।কেউ একজন চাপ কলে পানি তুলছে মনে হয়। চাপ কলে পানি তুলতে গেলে সাধারণত এমনভাবেই শব্দ হয়।নক্ষত্রের নানুর এই বাসাটা গ্রাম্য বাড়ির মতো উঠোন ওয়ালা। এটা নক্ষত্রের নানা বানিয়েছেন খুব শখ করে। নক্ষত্রের নানা মারা যাওয়ার পরে ওর নানু এই বাড়ি থেকে কোথাও যেতে চাইনা। তবে নক্ষত্রের নানা বেঁচে থাকতেই এই বাসার পাশেই দুই ছেলেকে ফ্ল্যাট করে দিয়েছে। যেখানে আধুনিকতার ছোঁয়াতে ভরপুর।

মিস্টার আবরার অদ্রির রুমে এসে দেখল তিতিক্ষা রুমে নেই। মিসেস আবরার অদ্রিকে তিতিক্ষার কথা জিজ্ঞাসা করল। অদ্রি জানালো তিতিক্ষা বড় মামির সাথে রান্নাঘরে। মিসেস আবরার রান্না ঘরের দিকে পা বাড়ালো। ওইদিকে নক্ষত্রের খুব ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। ফোনটা হাতে নেওয়ার সময় সে পাচ্ছে না। তবুও কাজের ফাঁকে তিতিক্ষাকে একটা মেসেজ করে রাখলো,

–“শুভ সকাল নাহিয়ান আবরার।আপনি কি ঘুম থেকে উঠেছেন? শুনুন আজকে আমি কাজে একটু বেশিই বিজি থাকবো। আপনি নিজের খেয়াল রাখবেন। আর খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করবেন। ঠান্ডা যেন না লাগে এই কথাটাও মাথায় রাখবেন।আর আমি ফ্রি হয়ে আপনাকে জানাবো। আল্লাহ হাফেজ।”

তিতিক্ষার ওর ফোনটা রুমে রেখে এসেছে। অদ্রি তিতিক্ষার ফোনে নক্ষত্রের মেসেজ দেখে মুচকি হাসলো। অদ্রি ফোনটা নিয়ে দূর থেকে উঠতে যাবে। তখনই তিতিক্ষা রুমে ঢুকলো।অদ্রি ওর নিজের ফোনের দিকে তাকিয়ে বললো,

–“উহুম! উহুম! ভাবিমণি তোমার আর্কিট্রেক্ট সাহেব বার্তা পাঠিয়েছে।”

তিতিক্ষা এই অার্কিট্রেক্ট সাহেবকে চিনতে পারেনি।এজন্য তিতিক্ষা অদ্রির দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
–“অার্কিট্রেক্ট সাহেবটা আবার কে?”

তিতিক্ষার কথা শুনে অদ্রি চোখ বড়ো বড়ো তাকিয়ে, হো হো করে উচ্চশব্দে হেসে দিলো। হাসির চোটে অদ্রি কথা বলতে পারছেনা।তিতিক্ষা বোকার মত অদ্রির দিকে তাকিয়ে আছে। অদ্রি কোন রকমে হাসি থামিয়ে বললো,

–” ‘নাহিয়ান আবরার নক্ষত্র ‘ হলেন একজন অার্কিট্রেক্ট। উনি এই কাজেই নিয়োজিত আছেন। এজন্য তোমার উনাকে অার্কিট্রেক্ট সাহেব বললাম। এবার তো বুঝলে?”

তিতিক্ষা কেবল জানলো নক্ষত্র একজন অার্কিট্রেক্ট। তিতিক্ষা এবার অদ্রির সামনে লজ্জা পেলো। হবু বর কি পেশায় নিয়োজিত? এটাও কি না সে এখন জানলো। অদ্রি তিতিক্ষাকে লজ্জা পেতে দেখে তিতিক্ষাকে জড়িয়ে ধরে বললো,

–“থাক আর লজ্জা পেতে হবেনা। ভাবিমণি তুমি ভাইয়ার সাথে কথা বলো। আমি একটু বাইরে থেকে আসছি।”

অদ্রি তিতিক্ষাকে নক্ষত্রের সাথে কথা বলার একটা সুযোগ করে দিয়ে চলে গেল। তিতিক্ষা ওর ফোনটা হাতে নিয়ে নক্ষত্রের মেসেজটা দেখলো। তিতিক্ষার ঠোঁটের কোণে লজ্জার আভা। আসলে নক্ষত্র যে কি করে এটা জানার কথা ওর মাথাতেই আসেনি। আর বাসার কেউ তো বলেনি। আর নিজে থেকে কাউকে জিজ্ঞাসাও করা হয়নি। তিতিক্ষা মনে বললো,
–“তা এজন্যই বুঝি অার্কিট্রেক্ট সাহেব লন্ডনে গেছে।”

নক্ষত্র একজন অার্কিট্রেক্ট ৷ এই পেশাতে যারা নিয়োজত তারা বিল্ডিংয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজটা করে থাকেন। অনেকে আবার এই পেশাকে ভাবে যে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার।কিন্তু অার্কিট্রেক্ট আর ইন্জিনিয়ারি পেশার কাজ বিল্ডিং,হসপিটাল, স্কুল, কলেজ হয়ে থাকলেও এদের কাজের প্রকার ভেদ আলাদা। একজন ইন্জিনিয়ার বিল্ডিং বাড়ি বানায় আর আর্কিট্রেক্টরা তাদের বিচার বুদ্ধি দিয়ে বিল্ডিংটাকে আকর্ষণীয় করে তোলে। আর আর্কিট্রেক্ট পেশাতে আর্ট জানাটা আবশ্যিক। কারন তাদের কাজের প্রধান বাহক হলো স্কেচ, নকশা। ডিজাইনের মাধ্যমে যে সুন্দর বিল্ডিং তৈরি করা হয় সে বিল্ডিংকেও আর্কিটেকচার বলা হয়। তাই আর্কিটেকচার দিয়ে একাধারে বিল্ডিং ডিজাইন এর প্রক্রিয়া এবং প্রক্রিয়ার ফলাফল দুটোই বোঝায়। আর যিনি এই কাজের ডিজাইন করেন সেই ব্যক্তি হলেন আর্কিটেক্ট।

“(আর্কিটেক্ট পেশাটা কি? আশা করি আমি আপনাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।)”

মিস্টার আবরার আর মিসেস আবরার সহ বাড়ির সকলে এক জায়গায় বসে আছে। তিতিক্ষা আর অদ্রি এসে ওখানে যোগ দিলো। মিসেস আবরার বাড়ির সকলের সাথে তিতিক্ষার পরিচয় করে দিল। তিতিক্ষা সবাইকে উদ্দেশ্য করে আরেকবার সালাম দিল। বড় মামির মেয়ে পাতা এসে তিতিক্ষাকে জরিয়ে ধরল। বড় মামির ছেলে পলক এখন বাসায় নেই । তিতিক্ষা ছোটমামী আর ছোট মামার সাথে কথা বলল। আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নক্ষত্রের নানু কে কোথাও দেখতে পেল না। বাড়ির সবাই একসাথে ব্রেকফাস্ট করতে বসলো। তিতিক্ষার একটা জিনিস দেখে বড্ড বেশী ভাল লাগল। যে সবার সাথে সবার খুব মিল। বড় মামি আর ছোটমামীকে দেখে মনে হচ্ছে ওরা দুই বোন। ছোট মামীর সব আহ্লাদী আবদার বড় মামির কাছে। খাওয়া দাওয়ার পর্ব চুকিয়ে মিসেস আবরার তিতিক্ষাকে নক্ষত্রের নানুর রুমে নিয়ে গেল। তিতিক্ষা ভয়ে ভয়ে নানুর রুমে প্রবেশ করলো। নানু তখন বালিশে হেলান দিয়ে বসে ছিল। উনার মুখে পান , আর উনি আরামসে বসে উনি চিবুচ্ছে। তিতিক্ষা নানুকে সালাম দিয়ে উনার পাশে বসে কুশল বিনিময় করলো। নানু ওকে যা যা জিজ্ঞাসা করছে, তিতিক্ষা সেগুলোর উত্তর দিচ্ছে। তবে তিতিক্ষা একটা জিনিস খেয়াল করলো। নানু যতই কথায় বলুক। উনার মুখে গম্ভীর একটা ভাব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

বিকালের দিকে অদ্রি আর তিতিক্ষা বাসা থেকে বের হলো। অদ্রি তিতিক্ষা কে ঘুরে ঘুরে সব দেখাচ্ছে।তিতিক্ষা আর অদ্রির সম্পর্কটা অন্যরকম। দুজনে দুজনের সাথে বন্ধুর মতো করে মিশে গেছে। ওরা একসাথে থাকলে ওরা ননদ ভাবি এটা ওদের দেখে বোঝাই যায়না। দুজনে পাশাপাশি হাঁটছে গল্প করছে। অদ্রি দৌড়ে গিয়ে ওর মামাদের ফ্ল্যাটের পাশের পেয়ারা গাছটা থেকে চারটা পেয়ালা ছিনিয়ে আনলো। দুটো পেয়ারা তিতিক্ষাকে দিল। আর দুটো নিজের নিলো। তিতিক্ষা আর অদ্রি দুজনের পেয়ারাতে কামড় বসালো।অদ্রি ওর মামাদের ফ্ল্যাট , মামাদের বাগান, পুকুর, এসবই দেখাচ্ছে।তখনই তিতিক্ষার ফোনে মামনির ফোন দিল। তিতিক্ষা ফোনে কথা বলছে আর দুজনে সামনে হাঁটছে।

প্রায় দুই দিন পর..!

নক্ষত্রকে ওর আম্মু জানালেও ওর নানু এখন গুরুতর অসুস্থ। এমন খবর শুনে নক্ষত্র বাসায় না গিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি সিলেট এসেছে। লন্ডনে যে কাজে গেছিল ।সে কাজটা সাকসেসফুল করে এসেছে। নক্ষত্র যে এখানে এসেছে তিতিক্ষা জানেনা। তিতিক্ষা যে এখানে আছে এটা নক্ষত্রও জানেনা। নক্ষত্র ওর নানুর পাশে বসে মুচকি হেসে কিছু বলতে যাবে। তার আগেই ওর নানু গম্ভীর কণ্ঠে বলল,

–“ওই ফুরী ইগু আমার কাটিছে না। কোন কালেই ই ফুরীর লাগে তোর বিয়া দিতাম নায়।” (নানু)

নক্ষত্র নানুর কথা বুঝতে না পেরে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে ওর আম্মুর দিকে তাকালো। ওর নানু কোন মেয়ের কথা বলছে? নক্ষত্র এটাই ঠিক বুঝতে পারছে না। নক্ষত্রের আম্মু হুট করে নক্ষত্রকে কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে গেল। নক্ষত্র নিজেকে স্বাভাবিক রেখে নানুর দিকে তাকিয়ে বলল,

–“নানু তুমি কি আমাকে তিতিক্ষার কথা বলছো?”

নানু নাক ফুলিয়ে জোরে একটা নিঃশ্বাস নিলো। উনাকে দেখে মনে হচ্ছে উনি খুব রেগে আছে।নানু উনার কণ্ঠকে আরো গম্ভীর করে বলল,

–“আমি ইউ ফুরীর খতাই খইয়াম। ই ফুরীর লাগে তোর বিয়া দিতাম নায়।” (নানু)

To be continue…!!
(গল্পটা ভালো হচ্ছে তো?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here