#অদৃষ্টচর
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#Part_07
পবিত্রের দাদু গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে আছে। সর্পের পেছনে এক রহস্য লুকিয়ে আছে ৷ কিন্তু কি রহস্য?
উনি এই ব্যাপারটাই ঠিকমতো ধরতে পারছেন না। তবে এখানে এটা ব্যাপার স্পষ্ট যে, পুরো ঘটনাটাতে মারাত্মক জটিল কোনো প্যাচ আছে। যেটা সাধারণ মস্তিষ্কের কোনো মানুষের চিন্তা-ধারার বাইরে। পবিত্রের দাদু কিছু একটা ভেবে উঠে দাঁড়ালো। আসাদের সুস্থ হওয়া নিয়ে কিছু একটা করতেই হবে। একটা মানুষের ধুঁকে ধুঁকে জীবননাশ হতে দেখাটা উনি ঠিক মানতে পারছেন না। এজন্য উনি আসাদের ফ্ল্যাটে গেল। আর ওখানেই আরেকটা দুঃখজনক ঘটনার সম্মুখীন হলো।
একজন মধ্য বয়সী লোক একজন ডক্টরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু উনি কোনভাবেই সেই ডক্টরকে খুঁজে পাচ্ছেন না। আদ্রিয়ানের সহকারী অনেকক্ষণ ধরেই লোকটাকে খেয়াল করছে। তাই সে নিজে উঠেই লোকটার কাছে গেল। লোকটি কাকে খুঁজছে এটা বললো। উনার কথা শুনে অাদ্রিয়ানের চেম্বারের সামনে উনাকে বসতে বললো। উনি তাই বসলো। আদ্রিয়ানের একে একে সব পেশেন্ট দেখা হয়ে গেল। এখনও আদ্রিয়ান বের হয়নি। আদ্রিয়ানের সহকারী মধ্য বয়সী লোকটা নিয়ে চেম্বারের প্রবেশ করলো। আদ্রিয়ানকে দেখে ওই ভদ্র লোকটি বলে উঠলো,
–“পবিত্র!”
পবিত্র নামটা শুনে আদ্রিয়ান চোখ তুলে সামনে তাকালো। দরজায় সামনের লোকটিকে দেখে কাকু সম্বোধন করে সাথে সাথে উঠে দাঁড়ালো। ওই ভদ্রলোকটি জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময় করলো। আদ্রিয়ান ওর সহকারীকে নাস্তা আনতে ইশারা করলো। এই ভদ্রলোক ওর দাদুর বন্ধু। ওর দাদুই উনাকে এখানে পাঠিয়েছেন। ভদ্রলোক হেসে অাদ্রিয়ানের সাথে কথা বললো। উনার শরীরের সমস্যার কথা আদ্রিয়ান শুনলো। লোকটিকে নাস্তা করালো। আর এটাও বোঝালো যে যেহেতু সে একজন নিউরোসার্জন। এজন্য ওর কাকুকে ওর খুব পরিচয় ডক্টরের সাথে মিট করিয়ে দিবে। সেই ডক্টরই উনার চিকিৎসা করবে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের চিকিৎসার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডক্টর রয়েছে। আর এজন্যই উনার সমস্যাটা আদ্রিয়ানের হ্যান্ড্রেল করা সম্ভব নয়।
উনি হাসতে হাসতে বললো,
–“পবিত্র, আমি তো তোমাকে খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। তোমার নাম বললাল। তাও কেউ চিনতে পারলো না, কেন?
–“আমার ডাকনামটা হসপিটালের কেউ জানে না। আমাকে এখানকার সবাই আদ্রিয়ান নামেই চিনে।”
আদ্রিয়ানের কথা শুনে উনি ব্যাপারটা বুঝলেন। একজন উচ্চ মানের ডক্টরকে ভালো নামেই ডাকা হয়। আর আদ্রিয়ানের পবিত্র নামটা নিকটতম আত্মীয় ছাড়া সবার কাছেই অজানা। হসপিটালে সবাই, এছাড়া ওর বন্ধুরাও আদ্রিয়ান নামেই চিনে। এরপর কথা বলতে বলতে অাদ্রিয়ান উনাকে ওর পরিচতি ডক্টরের কাছে নিয়ে গেলেন। আর নিজে দাঁড়িয়ে উনাদের মিট করিয়ে দিলো। এরপর সে ওখান থেকে চলে এলো। আর ২০ মিঃ পর সে ওটিতে ঢুকবে।
অনেক খোঁজাখুজির পরও মিমির কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না। মিমি যে রুপকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে, সাদিফও তদন্ত করতে গিয়ে বুঝতে পারলো। তবে রুপ মেয়েটাকে ওর কাছে কেমন জানি লাগে। সে অদ্ভুত চরিত্রের একটা মেয়ে। মিমিকে না ধরা অবধি পুলিশ তো রুপকেও ছাড়বে না। সাদিফ দুপুরের পরে রুপের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলো। সাদিফ কিছু বলার আগেই রুপ বলে উঠলো,
–“মিঃ সাদিফ! আমাকে কয়েকটা উপন্যাসের বই এনে দিবেন? বই পড়লো আমার সময়টা একটু ভালো কাটতো।”
সাদিফ রুপের কথা শুনে অবাকই হলো। তবে প্রকাশ করলো না। সে সত্যি সত্যি রুপকে দশটা উপন্যাসের বই এনে দিয়েছে। রুপ বসে বসে সেগুলোই পড়ছে। লকআপে বসে কেউ বই পড়তে চাই, রুপকে না দেখলে সে নিজেও জানতো না। ওইদিকে আজও দুইটা যুবকের লাশ পাওয়া গেছে৷ আগের তুলনায় এদেরকে আরো ভয়ংকর ভাবে মেরেছে। মিমি কিভাবে যেন জেনে গেছে যে পুলিশ ওকে খুঁজছে। এজন্য সে আরো হিংস্র হয়ে উঠেছে। কলেজে মিমির যে এ্যাড্রেস দেওয়া ছিল, সেগুলো পুরোটাই নকল ছিলো। মিমির কথাটা পুলিশ এখনো মিডিয়ার কাছে ফাঁস করেনি। এজন্য মিডিয়ার লোকেরা রুপকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই খবর ছাপছে। রুপদের বাসার ওই কলোনীর সবাই রুপের নামে খারাপ খারাপ কথা বলছে। রুপের আব্বু-আম্মু আর বাসা থেকে বের হয়নি। রাহীদ গিয়ে রুপকে খাবার দিয়ে এসেছে। কেউ নিয়ানকেও কিছু জানাইনি।
ওইদিকে পবিত্রের দাদু আসাদের বাসায় গিয়ে জানলে পারলো আসাদ সুইসাইড করেছে। সে পুরোপুরি মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছিল। যাকে বধ্য পাগলও বলা যায়। সুস্থ হওয়ার কোনো লক্ষণ ওনার মধ্যে ছিল না। কালকে সন্ধ্যার পর, লোকচক্ষুর আড়ালে সে একবার রান্নাঘরে গিয়েছিল। রান্নাঘরে গিয়েই একটা ছুরি নিয়ে ওর কাছে লুকিয়ে রাখে। আসাদ সেই ধারালো ছুরিকাঘাতে নিজের হাতে আর পায়ের শিরা কেটে ফেলেছে। মাঝরাতে আসাদ এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে। এজন্য কেউ ওর এই পাগলামিটা ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি। সারারাত হাত আর পায়ের রক্ত ক্ষরণের ফলে তার শরীর রক্তশূন্য হয়ে যায়। শেষ রাতের দিকে সে মৃত্যুবরণ করেছে।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাদিফের কাছে একটা খাম আসে। সেখানে শুধু একটা ঠিকানা লিখা আছে। সাদিফ পুলিশফোর্স নিয়ে ওই ঠিকানাতে চলে যায়। ঠিকানা অনুযায়ী একদম নিরিবিলি স্থানে একটা বাড়ি দেখা যাচ্ছে। সাদিফ সাবধানতার সাথে সেই বাসার জানালা দিয়ে উঁকি দিলো। তাকানোর সাথে সাথে সে চমকেও উঠেছে। কারণ দুইটা ছেলেকে জবাই করে এখন তাদের চোখ তোলা হচ্ছে। এটা দেখে সাদিফের কলিজাও কেঁপে উঠলো। এরা এতটা নিষ্ঠুর কেন? সেই দুইটা ছেলের রক্তে পুরো মেঝে লাল হয়ে আছে। একটু দূরে একটা মেয়ে রাজকীয়ও একটা চেয়ারে বসে আছে। আর রক্ত তুলে নিয়ে সে ঠোঁটে লাগাচ্ছে। সাদিফের শরীরের পশম দাঁড়িয়ে গেল, যখন দেখলো মেয়েটা একটা ছেলের বুকের বা পাশটা ছুরি দিয়ে ঘুরিছে রক্ত বের করে ঠোঁটে লাগাচ্ছে। এক কথায় বলা যায় লিপষ্টিকের কাজ মেয়েটা রক্ত দিয়ে সারছে। সাদিফ আর দেরী না করে পুরো ফোর্স নিয়ে ওদের ঘিরে ফেললো। পুলিশ দেখে মেয়েটার চেলাপেলারা দৌড়ে পালাতে গিয়ে, অন্য পুলিশের হাতে ধরা খেলো। পুলিশ দেখেও ওই মেয়েটার কোন ভাবান্তর হলো না। সে হাতে আয়না নিয়ে তার রক্ত রাঙা ঠোঁট দেখতে মশগুল। একটুপর মেয়েটির উঠে দাঁড়ালো। এরপর সাদিফের দিকে তাকিয়ে ওর নিচের ঠোঁট কামড়ে বললো,
–“আপনি দেখছি বাকি ছেলেদের থেকে আরো হট। ইস! আপনাকে আগে দেখলো তো খেলাটা আরো জমে যেতো। আপনার বডির মতো আপনার প্রতিটা রক্ত ফোঁটাও আমাকে নিশ্চয়ই আরো মাতোয়ারা করে তুলতো। উফ! খুব ভুল করে ফেললাম।”
–“ওহ তুই তাহলে নির্দয়াবতী মিমি?”
–“ইয়াহ্ বেবি।”
মিমি কথার ছলে সাদিফের হাত থেকে পিস্তলটা কেড়ে নিতে যাচ্ছিলো। সাদিফ পিস্তলের হাতা দিয়ে মেয়েটার মুখ বরাবর দিলো ঘুষি। মিমি মুখে হাত দিয়ে দূরে সরে গেল। সাদিফ মিমির দিকে তাকিয়ে বললো,
–“হাস্যকর ব্যাপার হলো তোরা মুভি দেখে ভাবিস যে, পুলিশের হাত থেকে পিস্তল কেড়ে নেওয়াটা খুব সহজ। কিন্তু মামনি বাস্তবে এই খেলাটা যে একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। আমার কথা কি বুঝলেন হৃদয়হীনা মিমি? আমরা তো আর বা* ফেলে বসে থেকে পুলিশ হয়নি।”
–“সব বুঝলাম! হিরো, পাশের রুমটা ফাঁকা পড়ে আছে, চলো যায়। তোমরা ছেলেরা তো একটা মেয়ের শরীরই চাও। শরীর পেলে আর কি লাগে তোমাদের? আদর যত্নের কিন্তু কোনো কমতি হবে না।”
–“তুই আমার আদর যত্নের কি করবি? এখন তোকে জায়গামত নিয়ে গিয়ে, তারপর আদর যত্ন কাকে বলে, তোকে একটু একটু করে বোঝাবো।”
সাদিফ মিমিকে ধরতে যেতেই মিমি সাদিফের হাঁটু বরাবর লাথি দিলো। সাদিফ মেঝেতে বসে পড়লো। মিমি পালাতে যেতেই সাদিফ মিমির পায়ে গুলি করে দিলো। মিমি তবুও পালানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করলো। সাদিফ মিমির দুই পায়েই গুলি করে দিলো। এবার সে কাবু হয়ে বসে পড়লো। সাদিফ সহ কয়েকজন পুলিশ মিমির পুরো বাসাটা চেক করলো। ফ্রিজের নরমালে ৩৬ ব্যাগ রক্ত ছিলো। স্টোর রুমে ৯ টা ছেলে সেন্স হারিয়ে পড়ে ছিলো। পুলিশরা এবার এমন কিছু পেল যা দেখে উনারাও আঁতকে উঠেছিলো।
মিমির বাসায় পাশের কোণায় গভীর গর্তে অনেক গুলো মাগুর মাছ ছিলো। তাদেরকে খুব ক্ষুধার্থ রাখা হতো। মিমি ওখানে যখন কারো লাশদের ফেলেতো। তখন মাছগুলো হামড়ে কামড়ে লাশটাকে খেয়ে ফেলতো। বিশেষ করে মিমি যাদের পছন্দ করতো না। তাদের বাসায় ডেকে এনে মাগুরের গর্তে ফেলে দিতো। পুলিশ আজকেও মিমির বাথটাব রক্তের পরিপূর্ণ অবস্থায় পেল। হয়তো একটু পর এই রক্ত দিয়েই সে গোসল দিতো। সাদিফ মিমির বাসায় কয়েকজন পুলিশ রেখে দিলো। মিমিকে নিয়ে সে পুলিশ ষ্টেশনে গেল। ওখান থেকে আগে মিমির চিকিৎসা করবে। তারপর তাকে আচ্ছামত থার্ড ডিগ্রি দিবে। সেন্সলেস হওয়া ছেলে গুলোকে হসপিটালে এডমিড করা হয়েছে। তাঁরা এখন চিকিৎসারত অবস্থায় আছে।
মিমির ধরা পড়ার খবরটা মিডিয়ার লোকেরা জেনে গেছে। পুরো খবরটা নতুন করে টিভিতে দেখানো হচ্ছে। রুপ যে দোষী নয়, এটাও এই খবরে প্রকাশ করা হয়েছে। রুপের আব্বু-আম্মু রাহীদ পুলিশ ষ্টেশনে এসেছে। রুপকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সাদিফ ওখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। রুপ লকআপ থেকে বের হয়ে সরাসরি সাদিফের দিকে তাকিয়ে বললো,
–“মিমি এমন কাজে জড়িত ছিল। আমি সত্যিই জানতাম না। আর জানলে ওর ফাঁদে পা দিতাম না। মাগুর আর ইলিশ জাতে দুটোই মাছ। কিন্তু মাগুর মাছ গু খায়। আর ইলিশ খায় মরা লাশ। দু’টোই মাছ হলেও তাদের দুজনে রুচিটা কিন্তু একদম ভিন্ন। ভালো থাকবেন, এবার আসি।”
রুপ কথাটা বলে ওর আব্বু-আম্মুর সাথে চলে গেল। সাদিফ কোনো কথা বললো না। তবে রুপের কথার গভীরতা ধরতে তার বেশ ক্ষাণিকটা সময় লেগে গেল। সাদিফের কেন জানি রুপকে খুব অদ্ভুত লাগে । সে রুপকে নিয়ে আর মাথা না ঘামিয়ে নিজের কাজে মন দিলো। কারণ তার কাছে মেয়ে মানেই মায়াজাল। ওইদিকে মিমির পায়ের গুলি বের করা হয়েছে ৷ দুইদিন পর থেকে ওকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ এসেছে। রুপ বাসায় ফিরে শাওয়ার নিলো। রাহীদ এখন রুপদের বাসাতে আছে৷ রুপ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখলো, রাহীদ ওর রুমে বসে আছে। রাহীদ রুপের দিকে তাকালো। রুপ মুচকি হাসলো। তখন রুপের আম্মু ওদের খেতে ডাকলো৷ রুপ রাহীদকে আসতে বলে চলে গেল। রাহীদের এবারও ওর মনের কথাটা বলা হলো না।
–“বাবা জানো! আজকে আমি মরেই যেতাম। একটা আংকেল আমাকে বাঁচিয়েছে, তাই মরিনি।”
–“কেন মা, কি হয়েছিলো? তুমি এখন ঠিক আছো তো?”
–“হুম আমি এখন ঠিক আছি। ওই আংকেল টাকে তুমি ধন্যবাদ দিয়ে এসো, চলো বাবা।”
–“আচ্ছা চলো।”
বাচ্চা মেয়েটা ওর বাবাকে নিয়ে রাহীদের বাসায় গেল। রাহীদই এই বাচ্চাটাকে এক্সিডেন্টের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। তখন রাহীদ আর রুপ কথা বলছিলো। এজন্য বাচ্চা মেয়েটার বাবা উনার মেয়েকে নিয়ে চলে আসে। তবে উনি রাহীদ আর রুপের সব কথায় শুনেছে। বাচ্চাটার বাবা বুঝেছিলো, যে রাহীদ নামের ছেলেটা খুব ভালো। আর উনাকে কেউ ফাসাতে চাচ্ছে। যেহেতু উনার মেয়েটি এই ছেলেটি জানে বাঁচিয়েছে। তাহলে উনারও উচিত ছেলেটার পাশে দাঁড়ানো। বাচ্চার বাবা উনার মেয়েকে বাসায় রেখে বাইরে গেল। উনি নিজে দিপা নামের মেয়ের সাথে কথা বলবে। চোখ বন্ধ করে উনি দিপার বাসার ঠিকানা জেনে ওখানে গেলো।
দিপা তখন প্যাথাডন সেবনে ব্যস্ত ছিলো। ওর বাসাটাকে অপবিত্র কোন স্তুপও বলা যায়। আর অপবিত্র থাকার ফলে এই লোকটা ওখানে ঢুকতে পারছিলো না। উনি কৌশলে দিপাকে ডেকে অন্য রুমে আসতে বলে। কয়েক সেকেন্ড দিপার দিকে তাকিয়ে, উনি এটাই বুঝলো যে ওনার আসার ঠিক ৩মিঃ আগে এই মেয়েটা কারো সাথে সঙ্গম করছে। ওর শরীরটা এখনোও অপবিত্র। দিপা ওর সামনে একজন সাদা পান্জাবী, মাথায় সাদা টুপি পড়া মাঝ বয়সী লোককে দেখে চোখ মুখ খিঁচে বললো,
–“ব্লাডি বিচ! তুই আসার আর সময় পাইলি না। কে বে তুই? যা ভাগ এখান থেকে বে** পোলা।”
দিপার ভাষা দেখে লোকটি একটা ধোঁয়ার সৃষ্টি করলো। উনি এতটুকু সময়ে বুঝে গেছেন যে এমন নর্দমার কীট পৃথিবীতে না থাকাটাই শ্রেয় হবে। উনার তৈরীকৃত সেই ধোঁয়াটা দিপাকে ঘিরে নিলো। ৫ মিঃ পর ভয়ংকর ভাবে দিপার লাশটা মেঝেতে মুখ থুবকে পড়ে গেলো। লোকটি দিপার ফোনটা অদৃশ্য করে দিয়ে স্থান ত্যাগ করলো।
রাহীদ সেদিন যে বিড়ালটাকে বাঁচিয়েছিলো। সেটা ছিলো মানুষ রুপী এই লোকেরই বাচ্চা। রাহীদের অজান্তেই রাহীদ বিড়ালের রুপ ধরা অদৃশ্য জগৎতের একটা বাচ্চাকে বাঁচিয়েছিলো। আর সেই বাচ্চার বাবাই ওকে দিপার হাত থেকে বাঁচালো। দিপার এই খুনীকে কেউ না ধরতে পারবে। আর না ওর মৃত্যু অজানা ঘটনাটা কেউ জানতে পারবে। কারণ দৃশ্য কিছুর শাস্তি মিললেও, অদৃশ্য কিছুকে শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়।
দিপাকে না হয় রাহীদের জন্য এই লোকটা মারলো। কিন্তু সবুজকে কে মারলো? আর আসাদের ওই অবস্থায় বা কে করলো? আর সর্পের রহস্যটাই বা কি? এখানে অদৃশ্য কিছুর হাতছানি নাকি অন্যকিছু? নাকি এর মধ্যে ভালো মানুষের মুখোশে পড়া কুৎসিত কোন ব্যাক্তির কারসাজি?
To be continue….!!