-‘এলোকেশী কন্যা’-
[৪৩]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
-“আলোবু!”-
ডাকটা শুনে, আলো ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে সাবেদ মিষ্টির প্যাকেট হাতে দাঁড়িয়ে আছে। ওর চেনা; সাবেদ ভাই! এখানে? কীভাবে সম্ভব? আলো ছলছল নয়নে সেদিকে তাকিয়ে রইল। ‘আলোবু’ ডাকটা শুনে সে চমকে উঠেছে। ওর অবুজ মনটা ভেবেছিল, ছেলে কন্ঠে মকবুল ডাকছে। কিন্তু তা আর সম্ভব নয়; ওরা অন্য জগতের অধিবাসী। শত ডাকলেও ফিরবে না! কারণ মৃত্যুপুরীতে যাওয়ার পথ থাকলেও, ফেরার পথ নেই। আর
সৃষ্টিকর্তা ফেরার পথের সন্ধানও দেন নি। দিলে হয়তো, সবাই সবার আপনজনকে ফিরিয়ে আনতো। মৃত্যুর শোক কাউকে অনুভব করতে হতো না। মুন’রা আলোর খুব কাছের বিধায় সে এখনো আশা করে, ওরা ফিরে আসুক। আদুরে সুরে ওকে ডাকুক! আফসোস, এটা হবার নয়!
তবে পূর্ণিদের দেখে আলো হতবাক। ওর মাথায় অনেক প্রশ্ন’রা কড়া নাড়ছে। সব শোনার জন্য ছটফট করছে। রোদ ব্যাপারটা আন্দাজ করেছে। এজন্য কিছু না বলে নিজের কাজে মন দিলো। যা হওয়ার হয়ে গেছে, কিছু বলেও আর লাভ হবে না। রোহান বার বার রোদের দিকে তাকাচ্ছে।
কারণ, রোদের চোখ দু’টো লালবর্ণ হয়ে গেছে। রাগে? নাকি কষ্ট পাচ্ছে? কি আশ্চর্য! পা পুড়েছে আলোর আর কষ্ট পাচ্ছে রোদ! একেই কী বলে আত্মার টান? অটুট বন্ধন, নাকি ভালোবাসা নামক ব্যাধি?
এদিকে আলোর পা দেখে মেঘ কাঁদতে লাগল। ওর ফর্সা গাল বেয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে যাচ্ছে, অঝর শ্রাবণ। ক্ষণিকেই চোখ, মুখ, নাক, লাল করে একাকার অবস্থা। সে দৌড়ে গিয়ে বসে ফুঁ দিতে দিতে হেঁচকি তুলে বলল,
“বউমনি, খুব কষ্ট হচ্ছে?”
কথাটা বলে শব্দ করে কাঁদতে লাগল। ব্যথা’টা যেন সে পাচ্ছে! মেঘকে কাঁদতে দেখে আলোর খেয়াল আসল এবং পায়ের জ্বালাপোড়া টের পেলো। এতক্ষণ সে পূর্ণিদের ভাবনায় বিভোর ছিল। আলো মেঘকে কাছে টেনে জোরপূর্বক হেসে বলল,
“এভাবে কাঁদে না সোনাপাখিটা। আমি ঠিক আছি, তুমিই দেখো। আর কষ্ট পেলে কেউ হাসে, হুম?”
মেঘ ফুঁপাতে ফুঁপাতে চোখ ডলে নাক টেনে উত্তর দিলো,
“এটা তোমার ভালো হাসি না, বউমনি। আমি সব বুঝি।”
একথা শুনে আলো মেঘের চোখ মুছিয়ে আদর দিলো। ছোট্ট মেঘ কী ক্ষণিকেই বড় হয়ে গেল? সে বুঝল কীভাবে? পোড়া পা নিয়ে কারো মুখে তৃপ্তির হাসি আসে না। পায়ের জ্বালাপোড়ায় ওর কষ্ট হচ্ছে! খুব কাঁদতেও ইচ্ছে করছে। তবুও সে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ এমনিতেই, একজন থম মেরে গেছে আরেকজন কেঁদে একশা! কিছু বললে এ দু’জনের পাগলামি বেড়ে যাবে। তারপর আলো কত কী বলে আদর দিয়ে মেঘকে থামাল। আর সবাই প্রাণ জুড়িয়ে দৃশ্যটা দেখল। ওরা সম্পর্কে দেবর ভাবি হলেও, দেখে মনে হয়, মা ও ছেলে। নিদারুন এক মিষ্টি সম্পর্কের মেলবন্ধন! তখন পূর্ণি এগিয়ে এসে ধরা গলায় বলল,
“ওহ আলোবু, তুমি ছত্যিই একানে?”
“হুম, তোরা?”
“আমলা পালিয়ে এছেছি।”
আলো খুব অবাক হলো পূর্ণির কথা শুনে। মেয়ে বলে কী? কেন? একথা শুনে আলোর কৌতূহল দ্বিগুন বেড়ে গেল। সে কিছু বলার আগে, রোদ ওর হাতে চাপ দিয়ে থামিয়ে দিলো।আর ইশারায় বোঝাল; পরে জানতে।এটা সঠিক অবস্থান নয়!
তাছাড়া দূর্বলতা সবার কাছে প্রকাশ করতে নেই।
একজনের দূর্বলতা হতে পারে অন্যজনের হাসির খোরাক! আলো বুঝে এক পলক সাবেদের দিকে তাকাল। সাবেদ মৃদু মাথা নাড়িয়ে পূর্ণিকে তাড়া দিয়ে রান্নাঘরে চলে গেল। পূর্ণি বোকা, সে বুঝত না! রোদ আলোকে ধরে গেস্ট রুমে নিয়ে গেল। এসব পরিষ্কার করা দরকার। মেঘ আলোর হাত শক্ত করে ধরে আছে। যেন ছাড়লেই বউমনি হারিয়ে যাবে! রোদ টাওয়াল ভিজিয়ে তরকারির ঝোল মুছতে থাকল। কামিজসহ সালোয়ারের অনেকটা ভিজেও গেলো; শুকালে পুরোপুরি ঠিক না হলেও, চলবে। তখন রোদ বলল,
“জ্বলছে খুব?”
“না।”
রোদ ওর চোখে চোখ রেখে বাকিটা বুঝে নিলো। আলোর ডান পায়ে ফোসকা বেশি পড়েছে। লাল হয়ে ফোসকার ভেতরে পানি টলটল করছে।রোদ বসে, আলোর সালোয়ার পা থেকে একটু উপরে তুলে চোখ বন্ধ করে নিলো। গরম তরকারি চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই ঝোল ছিঁটকে পায়ের যেখানে পড়েছে, সেখানেই একই অবস্থা! তাতে ফর্সা পা! ফোসকাগুলো ভয়াল দেখাচ্ছে।
তখন মেঘ কান্নারত কন্ঠে বউমনি! বলে ছলছল চোখে তাকিয়ে রইল। আলো হেসে মেঘের কাঁধে মাথা রাখল। মেঘ আলোকে আদর দিয়ে মাথায় হাত বুলাতে থাকল। আর রোদ ওর ঠোঁট কামড়ে এদিক-ওদিকে তাকাচ্ছে। যেন সব দোষ ঠোঁটের! প্রিয় মানুষটার কষ্টের ভাগ নেওয়া যায় না কেন? নিতে পারলে, সবটাই সে শুষে নিতো। একবিন্দু কষ্টও অবশিষ্ট রাখত না। কষ্ট হচ্ছে; প্রচুর কষ্ট!
তখন রোহানকে আসতে দেখে আলো সালোয়ার ঠিক করে, মিষ্টি হাসল। ওকে হাসতে দেখে কেউ অবাক হলো না, মেয়েটা এমনই! রোহান বার্ণাল ক্রিম এনে রোদকে লাগিয়ে দিতে বলল, যাতে জ্বালাটা কমে। তবে ফোসকার জন্য ভুগতে হবে। রোহান ফেলে আসা আলোর নুপূর জোড়া দিয়ে চলে গেল, তখন তাড়াহুড়ো করে রোদ’ই নুপূর খুলেছিল। যাতে নুপূরের পাথরে লেগে ফোসা গলে না যায়। রোদ নুপূরজোড়া পকেটে রেখে আলতো করে ক্রিম লাগাতে থাকল। আর মেঘ উবু হয়ে ফুঁ দিতে থাকল।
এদিকে আলোর পূর্ব পরিচিত দেখে রোহানের বাবা-মা পূর্ণিকে কিছু বলতে পারলেন না। রোদ বার বার নিষেধ করেছে। দুর্ঘটনা, যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। পূর্ণিও কেঁদে খুব আফসোস করছে। আসলে খুশিটা সে ধরে রাখতে পারে নি। তাই কোনোকিছু না ভেবে আলোকে জড়িয়ে ধরেছে। এমন কিছু হবে জানতে কখনো এমন করত না। বেশ কিছুক্ষণ পরে, সবাই খেতে বসল। আলো বারণ শুনল না, টেবিলে বসে মেঘকে খাওয়াচ্ছে নিজেও খাচ্ছে। তাছাড়া মেয়েদের অল্পতে ভেঙ্গে পড়তে নেই নয়তো বেঁচে থাকাও দুষ্কর হয়ে যায়। মুখ্য কথা, সে হাসলে ওর কলিজায় স্থান দেওয়া মানুষ দু’টোর মুখেও হাসি ফুটবে। একথা ওর অজানা নয়!
গল্পে গল্পে খাওয়া শেষে সবাই আড্ডায় বসল।
আর রোদ, আলোকে পূর্ণিদের সাথে কথা বলার সুযোগ করে দিলো। মেঘবাবুও এসেছে। কারণ বউমনিকে সে একা ছাড়বে না। আলো সাবেদের থেকে, মাতবরকে মেরে আসার পুরো ঘটনা শুনল।
পূর্ণিদের ঢাকায় আসার বাসে ছিল; রোহানের চাচাতো ভাই তুহিন! বাস থামার পরে, পূর্ণিরা নেমে তুহিনের কাছে আশ্রয় চাচ্ছিল। বড় বড় দালান আর যানজট দেখে ওরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল। ওদের আঁকুতি দেখে তুহিন বাধ্য হয়ে রোহানকে ফোন করে সব বলে। রোহান গিয়ে কথা বলে ওর বাসায় নিয়ে আসে। কারণ ওর আম্মুর কাজে সাহায্যের লোক দরকার। আর এদের আশ্রয়! তখন থেকে ওরা এখানেই থাকে।
পূর্ণি রোহানের আম্মুর কাজে সাহায্য করে। আর সাবেদ বাজারসদাইয়ের দায়িত্বে আছে।রোহানের বাবা-মা ওদের বিয়েও দিয়েছেন। এখানে দু’জনে বেশ ভালো আছে। পূর্ণির সাহস দেখে আলো ওকে জড়িয়ে ধরল। ভালোবাসা রক্ষার্থে কত কী না করা লাগে! কেউ মরতে দ্বিধা করে না, কেউ মারতে দু’বার ভাবে না। ভালোবাসা এমন কেন, না গিলা যায়; না উগলানো! সুমিষ্ঠ হলেও, এর পূর্নতা না পেলে পরিণতি খুবই কষ্টদায়ক! এসব ভেবে, আলোর চোখ দিয়ে সমানে অশ্রু ঝরছে। সাহস দেখালে, মুনও হয়তো বেঁচে থাকত। তবে মুন নেই, পূর্ণি তো আছে! এরা প্রণয়ের লড়াইয়ে দু’জনেই বিজয়ী, কেউ মরে আর কেউ বেঁচে! কী অদ্ভুত! আলো পূর্ণির চোখ মুছিয়ে মুচকি হেসে বলল,
“যখন যা দরকার আমাকে বলবি। মন খারাপ করবি না। বাসার ঠিকানা, ফোন নাম্বার, দিয়ে যাবো। যখন ইচ্ছে হবে আমার কাছে চলে যাবি। শোন, তোকে এখন নিয়ে গেলে রোহান ভাইয়ারা কষ্ট পাবে। উনাদের তোদের দরকার। উপকারীর কৃতজ্ঞতার কখনো ভুলতে নেই। হোক, একদিন অথবা এক সেকেন্ডের উপকারী। মাঝে মাঝে আমি এসে দেখে যাবো, হুম! আর সাবেদ ভাই সবাইকে নিয়ে থাকবেন।”
”আলোবু, তুমি খুব ভালো।”
আলো হেঁচকি তুলে কেঁদে আবারও ওকে জড়িয়ে
ধরল। মুনের কথা খুব মনে পড়ছে। পূর্ণির ডাক শুনে; ক্ষতটা জেগে উঠেছে। তবে অচেনা শহরে চেনা কাউকে পেয়ে আলো খুব খুশি। তখন পূর্ণি চোখ মুছে দাঁত বের করে হেসে বলল,
“আলোবু, তোমাল বল(বর) খুব সুন্দল হইছে। তোমলা বিয়া কলেছো?”
“হুম।”
তখন যাবেদ মেঘের গাল টেনে বলল,
“এতা কে বু?”
“আমার কলিজা।”
পূর্ণি আর যাবেদ মেঘকে কাছে টেনে আদর করে দিলো। ওরা জানে, এই পুঁচকে আলোর দেবর।
এদিকে বন্ধুদের হইহল্লা শুনে আলোরাও বেরিয়ে আসল। সব বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছে। রিমির আজকাল খুব ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। আলো খুঁড়িয়ে হেঁটে রিমির পাশে গিয়ে বলল,
“আপু, আমি আপনাকে কষ্ট দিয়েছি? বাসাতে আসেন না, কথাও বলেন না।”
আলোর কথা শুনে রিমি একগাল হেসে উত্তর দিলো,
“না রে পাগলি, আমার খুব ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।
খাওয়ার সময় অবধি পায় না, সামনে মাসে ফ্রি হবো। রোহানের জোড়াজুড়িতে আসতে হলো।
আর রোদের থেকে খোঁজ নিচ্ছি তো, জানায় না তোমাকে?”
আলো না বোধক মাথা নাড়াল। তারপর দু’জন অনেকক্ষণ গল্প করল। নিতু আড়চোখে তাকিয়ে ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। এদের সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করে না। রিমিকেও তার পছন্দ না, ভাব বেশি! যেন পুরো পৃথিবীতে সে একাই ফ্যাশান ডিজাইনার, যত্তসব।
তারপর সন্ধ্যার পূর্বে বিদায় নিয়ে যে যার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল। পাছে রইল, রোদ’রা। রোদ কিছু কাজ সেরে বাসার পথে রওনা দিবে। তখন
রোহানের মা আলোকে জড়িয়ে ধরে আফসোস করে বললেন,
“প্রথমবার এসে অঘটন ঘটল, খুব খারাপ লাগছে।”
আলো উনার হাতে হাত রেখে হেসে আশ্বস্ত করে বলল,
“আপনার কাছে আমার কাছের জন’রা থাকছে। এবার থেকে আমি মাঝে মাঝে আসব, আন্টি।আপনি রাগ করলেও আসব।”
“অপেক্ষায় থাকব।”
কথাটা বলে উনি আলোর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। মেয়েটাকে উনার বেশ লেগেছে, খুবই মায়াবতী। তারপর রোদ উনাদের থেকে বিদায় নিয়ে আলোদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। রোহানকে বলল, সাবেদ আর পূর্ণিকে বাসায় নিয়ে যেতে। নাহলে সে এসে নিয়ে যাবে। পূর্নি সাবেদ ছলছল চোখে তাকিয়ে রইল ওদের যাওয়ার দিকে। দামী পোশাক, খাবার, মস্ত দালান, টাকা, এসব কিচ্ছু
না। ব্যবহারেই মানুষ মানুষকে মনে রাখে। চরম সত্য এটা! পূর্নি’রা রোদের বিনয়ী ব্যবহারে খুব খুশি হয়েছে। ওরা আশায় করে নি, রোদ ওদের সঙ্গে কথা বলবে। আলো ছাড়া রোদকেও ওদের খুব আপন মনে হয়েছে।
রোদ এখন যাচ্ছে, হসপিটালে। তখনই আসত, আলো কিছুতেই রাজি হয় নি। রোহানের বাবা মায়ের জন্য কিছু বলতেও পারে নি। তবে এখন? পায়ে ব্যথা আর ফোসকার জন্য আলো খালি পায়ে আছে। মেঘ রোদের বুকের সাথে লেপ্টে বসে কাঁধে মাথা রেখেছে। রোদ মেঘকে ধরে, এক হাতে ড্রাইভ করছে। আলোর কোলে সে যায় নি, যদি বউমনি ব্যথা পায়। এই সময় রাস্তায় জ্যাম বাঁধে, অফিস আর গার্মেন্ট ছুটির কারণে। কখন ছুঁটবে তারও ঠিক নাই! রোদের গাড়িটাও জ্যামে আটকাল। তখন হিজড়াদের দল পাশের গাড়ির ড্রাইভারকে গালি দিয়ে টাকা চাচ্চিল। ড্রাইভার দিচ্ছে না দেখে রেগে গালি দিয়ে বলল,
“হারামজাদা ট্যাকা দে! এ্যাই, কাপড় তুললাম, শোন, মাঝ রাস্তায় তোরে বেইজ্জতি করুম কিন্তু, মা**।”
রোদ আলোর সঙ্গে কথা বলছে বিধায় খেয়াল করে নি। কিন্তু মেঘ চুপ করে দেখছে। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় এদের দেখে। টাকা না দিলে বলে,’তুললাম! তুললাম!’ কিন্তু কিছুই তুলে না।
বরং টাকা দিলে হাসতে হাসতে চলে যায়। এই দাড়িওয়ালা মেয়েগুলো, কী তুললে চায়? সেও আজকে দেখতে চায়। তাই মেঘ সাহস নিয়ে চট করে বলে উঠল,
“তুলবেন! আচ্ছা, তুলেন তো দেখি।”
রোদ আর আলো মেঘের দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকিয়ে; হতভম্ব। রোদ ‘ওহ শিট’ বলে দ্রুত কাঁচ তুলে মেঘের কান চেপে ধরল। কারণ সে জানো, হিজড়াগুলো এখন খাঁটি বাংলার গালি প্রয়োগ করবে।
(বিঃদ্রঃ- কেমন হয়েছে জানিয়ে যাবেন।)
To be continue…….!!