#এলোকেশী_কন্যা২__
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_60(last part)
🍁🍁
প্রায় ৭ মাস পর_________!!
রোদ আর মেঘ এখন আলোকে ননীর পুতুলের মত যত্ন করে। মেঘ একটু পর পর আলোর পেটে কান পেতে থাকে বাবুর কোন রেসপন্স করছে কিনা সেটা দেখার জন্য। মেঘের দেখে রোদও তাই করে আর দুই ভাই দুইপাশ কান পেতে থাকে। আর আলো ওদের কান্ড দেখে হেসে লুটোপুটি খায়। সময় মত খাওয়া, হাটা চলা করা,মেডিসিন খাওয়া,এসব কিছুর সবটাই রোদ খেয়াল রাখে! একদিন রাতে আলোর কোলে মাথা রেখে রোদ শুয়ে ছিলো আর আলো রোদের চুল টেনে দিচ্ছিলো!হুট করে রোদ আলোর একটা হাত ধরে ওর বুকের বাম পাশে চেপে ধরে বললো..!!
–আলো আমাদের কিউট একটা প্রিন্সেস হবে।আর সেই প্রিন্সেসের মাঝেই আমার আম্মু আমাদের মাঝে আবার ফিরে আসবে। তুমি আমার কথা মিলিয়ে নিও..!!(মুচকি হেসে)
–তাই
–হুমম!আমি খুব করে চাই আমার বাড়িটা আলো করে ছোট্ট একটা আলো আসুক।আমি আবার আম্মু বলে কাউকে ডাকার আরেকটা সুযোগ পেতে চাই (চোখ বন্ধ করে)
–হুমম! তাই যেন হয়
আলো আর কিছু বলেনি। সব কথার প্রেক্ষিতে উওর দিতে নেই! কিছু কিছু কথা নিরবতা আর দীর্ঘ শ্বাসের মাঝে চাপা পড়ে থাকুক না। তাতে যদি ভালো কিছু হয় তাতে ক্ষতি কি! আলো এখন নিরবতাটাকেই প্রাধান্য দিলো হয়তো এতেও কোন কারণ থাকলেও থাকতে পারে। কি মনে করে আলো রোদের কপালে আদর দিয়ে দিলো। রোদ আলোর দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিলো।তারপর রোদও আলোর কপালে মিষ্টি একটা ভালবাসার ছোঁয়া দিতে ভুল করলো না…!!
মেঘ আর রোদের যত্ন, সাবধাননতা,আর অসীম ভালবাসার মাঝে কেটে গেলে আরো তিনটা মাস।দেখতে দেখতে কাঙ্ক্ষিত সেই দিনটা এসে গেল। যে দিনটা জন্য মেঘ আলো আর রোদ অধীর আগ্রহে বসে ছিলো!এত কষ্ট আর অসহ্য ব্যাথার সমাপ্তি ঘটিয়ে ছোট্ট একটা পরীর আগমন হলো। আর সেই ছোট্ট পরীটা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে জানান দিচ্ছে তার আগমনের বার্তা। রোদ আর মেঘ ওটির বাইরে অস্থির ভাবে পায়চারী করছে।বাবুর কান্নার আওয়াজ শুনে দুই ভাই তো আরো পাগল হয়ে গেছে!শুধু পারছেনা ওটির দরজা ভেঙ্গে ঢুকে পড়তে।আল্লাহর অসীম দয়াতে আলো আর ছোট্ট পরীটাও সুস্থ আছে। একজন নার্স এসে রোদের কোলে বাবুকে এগিয়ে দিতেই রোদ অস্থির হয়ে আগে আলোর কথা জিজ্ঞাসা করলো…!!
–আলো কেমন আছে??সব ঠিক আছে তো??
–হুমম সব ঠিক আছে! চিন্তা করবেন না একটু পর পেশেন্টের সাথে দেখা করতে পারবেন।(নার্স)
–হুমম
রোদ বাবুকে কোলে নিয়ে বাবুটার দিকে ছলছল চোখে তাকালো।রোদ আর মেঘ একসাথে বাবুর গালে আদর দিলো।মেঘ বাবুকে নিতে পারছেনা তাই রোদের কোলে থেকে আদুরে গলায় বাবুর আঙ্গুল ধরে বললো…!!
–আমার আম্মু আবার এসে গেছে।এই আম্মু হাউ আর ইউ??(মেঘ)
–মেঘ তুই আসলেই গাধা ও কি ইংরেজি বুঝবে যে তুই ইংরেজিতে কথা বলছিস।আমার আম্মুটা এখন ছোট তাই না আম্মু। (রোদ)
–ওদের কথা শুনে বাবু প্রথমে চোখ বড় বড় তাকালো তারপর ঠোঁট ফুলিয়ে আবার গলা ফাটিয়ে চিৎকুর দিয়ে কাঁদতে শুরু করলো।
–না না কাঁদে না কাঁদে না!এই আমার আম্মুটা কাঁদছে কেন? আমার আম্মু তো গুড গার্ল।
–দাভাই আদুরির মনে হয় ক্ষুধা লাগছে??ৎদেখো কেমন হা করে কাঁদছে!ওকে আগে কিছু খেতে দাও.. (মেঘ)
–আমারও তাই মনে হচ্ছে। এখন কি করি বলতো??
–এই নাও বার্গারটা ওকে খেতে দাও(বার্গার টা রোদের দিকে এগিয়ে দিয়ে)
–এই টুকু বাবু বার্গার খাবে?? তুই কি পাগল?
–তাহলে ও কি খাবে? হা হা হা দাভাই আদুরি তো ফোকলা বার্গার খেতে পারবেনা।এই ফোকলা পরী, ফোকলা!ফোকলা! (বাবুর গাল টেনে)
–আমার আম্মুটাকে একদম ফোকলা বলবি না মেঘ..!! বড় হতে দে তখন বুঝাবে তোকে..!! (রোদ)
–দাঁত নেই ফোকলা!ফোকলা পরী!পেটুক পরী!
(মেঘ বাবুর গাল টেনে)
মেঘের কথা শুনে বাবুটা কি বুঝলো কে জানে বাবুটা আরো জোরে কাঁদতে শুরু করলো।থামা থামির নাম নেই! বাবুটা এমন ভাবে কাঁদছে যেন এখন এভাবে না কাঁদলে পৃথিবী উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করবে।বাবুর কান্না দেখে মেঘ এবার উত্তেজিত হয়ে রোদকে বললো..!!
–দাভাই ওরে তারাতারি খেতে দাও!ও যা খেতে চাই তারাতারি নিয়ে এসো প্লিজ! ওর কান্না আমি সহ্য করতে পারছিনা দাভাই।(মেঘ)
–বাবুকে তো এখন দুধ খাওয়াতে হবে!আর এছাড়া তো কিছু খেতে পারবেনা।আর খাওয়ানো ঠিক হবে না।
–তাহলে ওরে তাই খাওয়াও
–আমি কিভাবে ওরে দুধ খাওয়াবো! গাধা একটা(চোখ মুখ খিচে দাঁতে দাঁত চেপে)
–তাহলে তুমি কিছু তো একটা করো দাভাই..!!
একটুপর আলোকে কেবিনে দেওয়া হলো।নার্স এসে বাবু নিয়ে গেল খাওয়াতে আর রোদ মেঘকে একটু পরে কেবিনে আসতে বললো।আলো বাবুকে আগে দেখেছে তারপরেও এখন আবার বাবুকে বুকের সাথে জড়িয়ে কপালে আদর দিয়ে দিলো।একটু পরে রোদ আর মেঘ কেবিনে আসলো তখন বাবু ঘুমে আচ্ছন্ন।মেঘ কেবিনে ঢুকে আলোর কাছে দৌড়ে গিয়ে এত এত আদর দিয়ে ভাল মন্দ জিজ্ঞাসা করলো।আলোও মেঘকে আদর দিয়ে কিছু খেয়েছে কি না জিজ্ঞাসা করলো?তারপর মেঘ বাবুর কাছে এগিয়ে গেল। মেঘ বাবুকে উঠানোর জন্য বাবুর গালে আকিবুকি করছে।রোদ আলোর খুব কাছে বসে জিজ্ঞাসা করলো..!!
–এখন কেমন আছো?? খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না??
–আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি অনেক ভাল আছি
–মুখটা শুকিয়ে আছে কেন তোমাদের??সকালে থেকে কি কিছু খাও নি??
–আমার কলিজাটা ব্যাথায় কাঁদছে আর আমি কিভাবে খাবো??এতটা নিষ্ঠুর আর পাষাণ মনে হয় আমাকে??
–উহুম না মনে হয় না! তবে এখন তো কিছু খাও!
–পরে খাবো।(আদর দিয়ে)
দুইদিন হসপিটালে থেকে ওরা বাসায় ফিরে যায়।রোদ আর মেঘ দুজনে বাবুর কান্না শুনলে যেখানে থাকুক দৌড়ে হাজির।মেঘ তো বাবুকে কাঁদতে দেখলে বাড়ি মাথায় করে তুলে। মেঘ বাবুকে আদুরি, কাঠবিড়ালি,ফোকলা পরী এসব বলে ডাকে। বাবুর নাম রাখা হয় রৌদ্রী ইবনাত (রিদু)।মেঘ আর রোদের কলিজা এখন এই ছোট্ট পরীটা। যখনই ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদে দুই ভাই পাগলের মত হয়ে যায় এই পরীটার কান্না থামানোর জন্য। যত কৌশল আছে সব অবলম্বন করে শুধু এই পিচ্চি পরীটার কান্না থামাতে।আদুরিও হয়েছে তাই একবার কান্না শুরু করে থামার নাম নাই। যখন রোদ আর মেঘ পিচ্চি পরীর কান্না থামাতে পারেনা তখন দুইজনই আলোর দিকে অসহায় শিশুদের মত করে চেয়ে থাকে। আর আলোও কয়েক মিনিট ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে তারপর পিচ্চিকে কোলে নেই……!!
৪ বছর পর____!!
মেঘ এখন ৮ম শ্রেণীতে পড়ে। মেঘ আগের তুলনায় দেখতে আরো সুদর্শন। আজকে রোদের একজন বিদেশী ক্লায়েন্ট রোদের বাসায় এসেছে। ওইদিকে রিদু আর ওদের পাশের বাসার দুইজন খেলার সাথি বালি নিয়ে খেলছিলো।কোন এক কারনে ঝগড়া লাগে আর সাফি নামে ছেলেটা রিদুকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।আর সেই সময় মেঘ দেখে ফেলে। এরপর মেঘ ছেলেটাকে ধরে রাখে আর রিদু ইচ্ছে মত সাফির চুল টেনে, খামছি দিয়ে,মুখের ভেতর বালি ঢুকিয়ে দেয়।বেচারা সাফি কাঁদতে কাঁদতে ওর বাসায় চলে যায়। রিদু আর মেঘ এসব বিশ্বজয় করা কর্ম করে বাসায় ঢুকে। রোদ সোফায় বসে বিদেশী ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলেছিলো এই সময় রিদু আর মেঘ এসেও সোফাতে বসে। রিদুকে দেখে উনি বলে..!!
–হেই বেবি থোমার নাম খি?আর থুমি খেমন আসো??(ভদ্রলোক)
–আমাল নাম লিদু! আল আমি ভাল আছি!আপনি তেমন আতেন?(রিদু)
–আমিও বালো আসি
–ওহ।
–থা থোমার হাথে এতো ডার্স্ট খেনো??
–এতা দার্স্ট না এদুলো হলো বানি(বালি)
–এগুলো থোমার হাথে কেন?
–আমি এদুলো থাচ্ছিলাম।আপনি থাবেন??এদুলো ইয়াম হয় থেতে(রিদু)
–নো নো
–আপনি তি থাবেন??
–আমি খিছু খাবো না
–তেনো?? দুদ দেই ভাত দেই কানো বিলালের গু দেই থাবেন?
–ইয়াহ্ ইয়াহ্ (না বুঝেই)
রোদ আর আলো অবাক হয়ে রিদুর কথা শুনছিলো।আর মেঘ তো হাসি না চাপিয়ে রাখতে পেরে উঠে চলে গেল। রোদ এদিক ওদিক তাকিয়ে হাসি আটকানোর বৃথা চেষ্টা করছে।আর আলো রিদুর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে। রিদু আলোর তাকানোর মানে বুঝতে পেরে মেঘের রুমের দিকে দৌড় দিলো।রোদ আর আলো বিদেশী ক্লায়েন্টকে দুপুরের খাবার খাইয়ে বেশকিছুটা সময় আড্ডা দিলো।তারপর উনি চলে গেল।সাফির আম্মু প্রতিদিনের মত আজকেও রিদুর নামে বিচার দিয়ে গেল।আলো রেগে গিয়ে রিদুকে ডাকলো…!!
–রিদু! রিদু! তারাতারি এখানে এসো
–আমি আততে পালবো না।আমি দেম(গেম) খেলছি
–তোকে আজকে এমন পিটুনি দিবো তোর বাবার নাম ভুলিয়ে দিবো।(রেগে)
–বাবাইকে মেলে নাম বুলিয়ে (ভুলিয়ে)দাও। আমাকে মারবে তেনো??
রিদুর কথা শুনে রোদ আর মেঘ আজও হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে।রোদ রিদুকে কোলে নিয়ে বললো…!!
–আম্মু সবাই মিলেমিশে খেলতে হয়। এভাবে ঝগড়া করো কেন তুমি??
–সাপি আমাতে দাক্কা দিসে তাই আমি ওতে বানু তাওয়াই(খাওয়াই) দিসি।আল….!!
–আর কি??(ভ্রু কুচকে)
–মেঘ বাবাই বলছে মারামারি করতে না পারলে কামলে বা চোখ আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে দৌড়ে বাসায় চলে আসতে। তাই মালামালি পারি তাই এমন করিনি।
–না আম্মু এসব আর করবে না।তুমি আমার গুড গার্ল..!!(রোদ আদর দিয়ে)
পরেরদিন ______!!
আজকে আবির আর আবৃতির বিয়ে তাই রোদরা সবাই বরযাত্রী হিসেবে আবৃতির বাসায় যাবে। সকালে সবাই খেতে বসেছে!আর রিদু একা খাবে তাই জেদ করছে তাই আলো রিদুকে একাই খেতে দিলো।আর খেতে গিয়ে প্লেট উল্টে ওর কোলেই পড়লো!আলো কিছু বলার আগেই রিদু দৌড়ে মেঘের কোলে বসে পড়লো।আর আলো কিছু বলার আগে মেঘ রিদুকে নিয়ে হনহন করতে করতে চলে গেল।রোদ মুখ টিপে হেসে খাওয়াতে মনোযোগ দিলো।এর মধ্যে মেঘের কাঁধ থেকে রিদু ইঁদুরের মতো মাথা বের করে আলোর দিকে তাকিয়ে বললো…!!
পালে না পালে না মাম্মা আমাতে ধরতে পালে না…
আবৃতির বাসায় গিয়ে সবাই অনেক মজা করলো।আবৃতির বিদায়ের সময় আবৃতি আর ওর বাবা খুব কাদছিলো।মেঘ রিদুকে বুকের সাথে চেপে ধরে রোদকে বললো….!!
—দাভাই আমার আদুরির বিয়ে দিবো না আমি কোনদিন !আমি পারবো না আমার আদুরিকে ছাড়া থাকতে।আমার আম্মু আমাকে ফাকি দিয়েছে কিন্তু আমি আদুরিকে ফাঁকি দিতে দিবো না।(মেঘ)
–মেঘুসোনা তা বললে তো হবে না।মেয়ে হয়ে যখন জন্ম হয়েছে বিয়ে তো দিতেই হবে।এটাই যে
নিয়ম…!!(আলো)
–সেই নিয়মের মায়েরে বাপ!বিয়ে দিলেও সেই ছেলেকে ঘরজামাই হয়েই থাকতে হবে।দরকার হলে তাকে তুলে এনে আমার বাসায় রাখবো….!!আমি পারবো না আমার আদুরিকে এমন ভাবে বিদায় দিতে।পারবো না আমার আদুরির চোখের বিন্দু মাএ পানি দেখতে(মেঘ)
আলো আর রোদ একে অন্যের দিকে তাকালো মেঘের কথা শুনে।তবে আলো আর রোদ এই বিষয়ে আর কথা বাড়ালো না।মেঘ রিদুকে ওর বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো আর সামনের পথের দিকে এগিয়ে গেল।আলো আর রোদ পাশাপাশি দাড়িয়ে দেখছে ।রিদুও মেঘের বুকের সাথে লেপ্টে আছে।ওদের দেখে মনে হয় ওরা একে আরেকজনের প্রাণ ভোমরা।থাকুক না ওরা ওদের মত!কিছু কিছু জিনিস সমাপ্ত হলেও বাকি থেকে যায় অনেক কিছুই ।ভাল থাকুক ওরা একে অন্যের ভালবাসার পাসওয়ার্ড হয়ে।আর আমিই বা কেন শুধু শুধু এখানে সমাপ্ত কথাটা বলে থামিয়ে দিবো।গল্পের ইতি এখানে টানলেও চিরজীবী হয়ে বেঁচে থাকুক ওদের এই অসীম ভালবাসার অসমাপ্ত কাহিনী ….!!
সমাপ্ত হয়েও অসমাপ্ত……!!!
অসাধারণ একটা গল্প 😊আমার সবচেয়ে ভালো আর মজা লেগেছে মেঘ চরিত্র টা এখন তো আমার ইচ্ছে হচ্ছে ইশ আমার যদি এমন একটা দুষ্ট দেবর হয় আমি তাকে অনেক আদর করবো আমার বাচ্চা অনেক পছন্দ সেটা যদি মেঘের মতো দুষ্ট বাচ্চা হয় তাহলে তো কথাই নেই পুরা গল্প টা অনেক সুন্দর হয়েছে আপু তোমার বাস্তব কথাগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে আসলেই আমাদের দেশের মেয়েরা কেমন খাপছারা হয়ে গেছে কিচ্ছু মানে না ওরা যাইহোক আল্লাহ তাদের হেফাজত করুক আবার বলছি মেঘের কথা কাজ গুলো পরে আমার হাসি থামতে অনেক সময় লেগেছে বাস্তব মেঘকে আমার উম্মাহ😘