#বুকের_বা_পাশে 🌿🌿
#written_by_Nurzahan_akter_allo
#Part_29
প্রত্যয় কাউকে ওর এই খুশির পরিমানটা বলে বোঝাতে পারবে না। তবে তুয়ার এমন ডাকে প্রত্যয়ের মুখে মুচকি হাসির রেখা দেখা গেছে। যেটা তুয়ার চোখ এড়ায়নি। তুয়ার এমন আবদার প্রত্যয় আর না করতে পারেনি। তাই হসপিটালে ফোন দিয়ে জেনে নিলো। আজকে ওর কোন পেশেন্টের এ্যাপয়ন্টমেন্ট আছে কি না। তারপর সব দিক ম্যানেজ করে ১০:৩০ দিকে প্রত্যয়, তুয়া, তুরাগ আর তিন্নি বের হলো। আসলে ওদের বের হওয়ার মেইন উদ্দেশ্য হলো, তুরাগ আর তিন্নির বিয়ের শপিং করা।
তুরাগ আর প্রত্যয় দুইপাশে আর মাঝখানে তুয়া আর তিন্নি। এটার করার কারন,যাতে কোন ছেলে ওদের সংর্স্পশে ঘেষতে না পারে। এখানে বোন আর বউয়ের সেফটির ব্যাপারটা তো আছেই। প্রত্যয়ের পাশে আছে তুয়া। আর তুরাগের পাশে আছে তিন্নি।প্রত্যয় তুরাগের দিকে তাকিয়ে বললো,
–“ভাইয়া আপনি আর তিন্নি নিজেদের মত শপিং করুন।আমি আর তুয়া এদিকেই আছি।” (প্রত্যয়)
–“কেন?” (তুরাগ)
—“এমনিতেই। আপনি শপিং শেষ করে একটা ফোন দিলেই আমরা এসে পড়বো।” (প্রত্যয়)
–“ওকে।” (তুরাগ)
প্রত্যয়ের কথার মানে তুরাগের বুঝতে বাকি নেই। প্রত্যয় থাকলে তিন্নিও হয়তো আনইজি ফিল করবে। আর মেয়েলি শপিং বলে কথা। তুরাগও আর কথা বাড়ালো না। তিন্নিকে নিয়ে সামনে এগিয়ে গেল।তুরাগরা চলে যাওয়ার পর, প্রত্যয়ও তুয়ার হাত ধরে হেঁটে সামনের দিকে এগোলো।প্রত্যয় তুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
–“আমাদেরও তো বিয়ে হলো। তোকে তো কিছু দেওয়া হয়নি। চল আজকে আমি তোকে শপিং করিয়ে দিবো।” (প্রত্যয়)
–“থাক না এসব। আমার ভাল লাগছেনা এসব।” (তুয়া)
–“তুয়া আমি তোর জন্য অনেক শপিং করে এনেছি প্যারিস থেকে। কিন্তু তোকে দেওয়ার সময় আর সুযোগ কোনটাই হয়ে উঠে নি। ওগুলোও সব আমি নিজে হাতে তোর জন্য কিনেছি। আম্মু ছাড়া এই প্রথম কোন মেয়ের জন্য এত কিছু কিনেছি। তবে জানিনা তোর পছন্দ হবে কি না? তবে আমার চয়েজ কিন্তু খুব একটা খারাপ না।” (প্রত্যয় মুচকি হেসে)
–“হুম।”
–“চল আমরা জুয়েলারির শপে যাই। তুই আমার বউ বলে কথা। আমার বউয়ের শরীরে আমার দেওয়া কোন গয়নায় থাকবেনা। তা তো হতে পারে না। আর এটা মেনে নেওয়াও যায় না।” (প্রত্যয়)
–“থাক না এসব।”
–“চুপ কর তুই।”
প্রত্যয় তুয়াকে নিয়ে জুয়েলারি শপে গেল। একজন মেয়ে এগিয়ে এসে ওদের সালাম দিলো। আর জানতে চাইলো ওদের কি লাগবে? প্রত্যয় মেয়েটাকে বললো,
–“ইয়ার রিং,গলার চেন,নোজ পিন,ব্রেসলেট,হাতের চুড়ি আর ফিঙ্গার রিং।”
–“এগুলোর মধ্যে কোনটা দেখাবো?” (মেয়েটি অবাক হয়ে)
–“সব গুলোই দেখান।” (প্রত্যয় মুচকি হেসে)
–“ও ওকে।” (অবাক হয়ে)
–“ওয়েট ম্যাম! পায়ের নুপূরও দেখাবেন।ওটা নিতেও আমি কোনমতে মিস করতে চাচ্ছি না।” (প্রত্যয়)
–“জ্বি অবশ্যই।”
তুয়া চোখ বড় বড় করে প্রত্যয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। কয়েকজন কাস্টমারও ওদের দিকে তাকাচ্ছে। যেন এখানে কোন এলিয়েনের আগমন ঘটেছে। প্রত্যয়ের সেদিকে কোন খেয়াল নেই। সে জুয়েলারি চুজ করতে ব্যস্ত। মেয়েটা বেশ কয়েকটা করে বক্স বের করে দিচ্ছে। আর প্রত্যয় ওর মন মতো জিনিস গুলো পছন্দ করে, সাইডে আলাদা করে রাখছে। প্রত্যয় ওর পছন্দ মতো জিনিস গুলো চুজ করে, তুয়াকে একটা মিররের সামনে দাঁড় করালো। আর সব গয়না এক এক করে পড়াতে শুরু করলো। তুয়ার নিজেরও গয়না আছে কিন্তু সে কিছুই পড়েনা। প্রত্যয় আজকের সুযোগটা কোনমতেই হাতছাড়া করতে ইচ্ছুক নয়। আজকে প্রত্যয় খুব খুশি। কারন তুয়া সকাল বেলাতেই ওর মনটা ভাল করে দিয়েছে “ডাক্তার সাহেব” সম্বোধনটা করে। এই টুকরো টুকরো তুয়ার আবদার। আর ভাল লাগা গুলোই প্রত্যয়ের ভাল থাকার জন্য যথেষ্ট।
প্রত্যয় এক এক করে তুয়াকে সব গয়না পড়াচ্ছে। আর সেটা খুব যত্ন সহকারে। অনেকে আড়চোখে ওদের খেয়াল করছে। প্রত্যয় তুয়াকে নোজ পিন বাদে সব গয়না পড়াতেই সক্ষম হলো। তুয়া কিছু বলছেনা। প্রত্যয়ের মুখে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু সুখের ছায়া ভেসে উঠেছে। তুয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই সুখটুকুকে অবলোকন করছে। প্রত্যয় তুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
–“সব সিম্পল এর মধ্যে চয়েজ করেছি।এগুলো আর খুলে রাখার দরকার নেই। এই গয়না গুলো সব সময় পড়ে থাকবি। তবে চুড়ি পড়তে না চাইলে,ব্রেসলেট বা রিং টা যেন থাকে।আপাতত চুড়ি আর নোজপিন টা প্যাক করে নেই। ব্রেসলেট টা হাতেই থাকুক আর বাকি গুলোও পড়েই থাক। আর নুপূর গুলো খুললে তোর খবর আছে,আগেই বলে দিলাম।” (প্রত্যয়)
–“এসবের কি খুব দরকার ছিলো?” (তুয়া)
–“তুই ডক্টর এর বউ বলে কথা। এমন গয়না ছাড়া থাকলে কি চলে? আর আমি আমার বউকে কিছু দিচ্ছি। তাহলে তোকে কেন এতো কৈফিয়ৎ দিবো শুনি। একদম বেশি কথা বলবিনা।” (প্রত্যয়)
–“হুম।”
তুয়া আর কিছু বললো না। প্রত্যয়ের কথা মতো সব মেনে নিলো। প্রত্যয় ক্যাশ কাউন্টারের দিকে এগিয়ে গেল। প্রত্যয়ের কাছে আপাতত এতো ক্যাশ নেই। তাই ওর কার্ডটা এগিয়ে দিলো। দোকানদার দাম টা কার্ড থেকে কালেক্ট করে নিলো। প্রত্যয়ও স্বর্ণের মেমোটা সাথে রেখে দিলো। প্রত্যয় আর তুয়া ওই শপ থেকে বের হয়ে গেলো। একটু ঘুরাঘুরি আর টুকটাক কেনাকাটাও করলো। একটু পর তুরাগ প্রত্যয়কে ফোন দিলো। প্রত্যয় আর তুয়া তুরাগের কাছে গেল। আর গিয়ে দেখলো, ওদের শপিং করা এখনো বাকি আছে। এর মধ্যে দুজনের ঝগড়াও লেগে গেছে। প্রত্যয় আর তুয়া অনেক কষ্টে ওদের ঝগড়া থামালো। চারজনে মিলে বাকি থাকা শপিংটা সম্পূর্ণ করতে সামনের দিকে অগ্রসর হলো। তুয়া আর তিন্নি পাশাপাশি হাঁটছে। তিন্নি তুয়াকে একটা মৃদ্যু ধাক্কা মেরে বললো,
–“উহুম! উহুম! এতো চকচক করিস কেন রে নতুন বউ?”
–“আমি নতুন বউ?নাকি তুই নতুন বউ?”(তুয়া ভ্রু কুঁচকে)
–“হুম হুম, বুঝি বুঝি! ভাইয়া এত কিছু একসাথে কিনে দিলো। প্রতিটা গয়নায় আনকমন ডিজাইন রে তুয়া। তা কে এসব পছন্দ করলো?” (তিন্নি)
–“ডক্টর সাহেব নিজেই পছন্দ করেছে।”
–“ও মা গো মা এখন এই নামে ডাকা হয় বুঝি? ভাভা গো ভাভা, ডক্টরের তো দেখি টাকার অভাব নেই রে বইন। তবে যাই বলিস, বউকে এতকিছু একসাথে কিনে দিতেও বুকের পাটা লাগে বুঝলি।” (তিন্নি)
–“আমার ভাই তোকে কম দিয়েছে বুঝি?” (তুয়া)
–“সেকথা আমি কখন বললাম। সে যাই হোক,শোন প্রত্যয় ভাইয়া কিন্তু একদম অন্য ধাঁচের একজন মানুষ। যার কাছে তোর চাওয়াটাই সবার উপরে।” (তিন্নি)
–“হুম।”
প্রত্যয় অনেকক্ষণ থেকে একটা জিনিস খেয়াল করছে। ওর কেন জানি মনে হচ্ছে, ওদের কেউ ফলো করছে। তবুও প্রত্যয় নিজেকে স্বাভাবিকই রেখেছে। যেন সে কিছু জানেই না। তবে প্রত্যয়ের এমন ভাবে গয়না কেনার পেছনেও ছোট্ট একটা কারণও আছে। যদিও গয়না কেনাটা প্রত্যয়ের মর্জি ছিলো। বিয়েতে তো তুয়াকে কিছুই দেওয়া হয়নি। আর তুরাগের বিয়েতে অনেক মেহমানের সমাগম ঘটবে। সেখানে তুয়া এমন ভাবে থাকা নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করতে পারে। তুয়াকে খোঁচা দিয়ে কেউ এটাও জিজ্ঞাসা করতে পারে,” যে প্রত্যয় বা ওর শ্বশুড়বাড়ি থেকে তুয়াকে কি কি দিয়েছে?” যদি তুয়া বলতে না পারে। তাহলে আরেক কাহিনীর উৎপত্তিও হতে পারে। আত্নীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী এই কাজ গুলো একটু বেশিই করে থাকে,তাই আর কি।এজন্যই প্রত্যয় সবকিছু ভেবে চিন্তেই সবটা করেছে। প্রত্যয় যে তুয়াকে সব গয়না নিজে হাতে পড়তে পেরেছে। এটাই প্রত্যয়ের কাছে অনেক কিছু।
তারপর ওরা ওদের শপিং করার কাজ সম্পূর্ণ করলো। এই প্রথম শপিং করা নিয়ে প্রত্যয়কে এতো ঘুরতে হয়েছে। একটু কষ্টও হয়েছে, কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয়নি। বরং নিজ দায়িত্বে ওদের আরো সাহায্য করেছে। হাস্যকর কথা হলো, তুরাগ আর তিন্নি ঝগড়া করতে করতে সময় পার করে দিয়েছে । আর প্রত্যয় আর তুয়া মিলে ওদের বিয়ের সম্পূর্ন শপিং করার সমাপ্তি ঘটিয়েছে।
তারপর চারজন মিলে, বাইরে থেকে খেয়ে নিলো। আর সাথে আরএকটু টুকটাক ঘুরাঘুরিও করলো। তারপর তিন্নিকে বাসায় পৌছে দিলো। আর প্রত্যয় তুয়া, তুরাগরাও বাসায় ফিরলো। তুয়ার চোখে মুখে ক্লান্তীর ছাপ স্পষ্ট। এটা দেখে প্রত্যয়ের খারাপ লাগলেও সে চুপ ছিলো।
প্রত্যয়, তুয়া,আর তুরাগ মিলে শপিংয়ের ব্যাগ গুলো তুয়াদের ড্রয়িং রুমে রেখে আসলো। তুয়ার আম্মু প্রত্যয় আর তুরাগের সাথে কথা বললো। তুয়াও ছিলো। কিন্তু উনি তুয়াকে কিছু বলেনি।তবে তুয়ার আম্মু তুয়াকে একবার পর্যবেক্ষণ করেছে। আর যা দেখার দেখে নিয়েছে। একটু বসে প্রত্যয় আর তুয়া ওদের বাসায় চলে এলো। দুজনেই ফ্রেশ হয়ে নিলো। তুয়া খুব ক্লান্ত তাই এসেই ঘুমিয়ে পড়েছে। তুয়া ঘুমিয়ে যাওয়ার পর, প্রত্যয়ও কিছু সময় রেস্ট নিলো। আর শব্দহীন ভাবে উঠে, খুব সর্তকতার সাথে পা ফেলে রেডি হয়ে নিলো। চুপিসারে তুয়ার কপালে একটা আদর দিয়ে দিলো। তুয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে, মুচকি হাসি দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল।
তুয়াদের বাসায় তুয়াদের খুব নিকটবর্তী আত্মীয় গুলো চলে এসেছে। তুয়ার কাজিনরা,খালামনিরা,আর দুষ্টু মিষ্টি ভাবিরা তো আছেই। বাসায় যেন চাঁদের হাট বসেছে। কাজিনরা এসে তুয়াকে ঘুম থেকে টেনে তুলেছে। প্রত্যয়ের আম্মু আর তুয়াকে ওদের বাসায় টেনে নিয়ে গেছে। সবাই এখন জমপেশ আড্ডায় মেতে আছে। এই কয়েকটাদিন বাসাটায় যেন প্রাণ ছিলো না। তুয়ার দুইটা কাজিনের বউ আছে। উনারা মারাত্মক দুষ্টুমি করে,সাথে কাজিন গুলো তো আছেই। তুরাগ উনাদের ছোট এজন্য তুরাগের পেছনে লেগেছিলো। তুরাগ কাজের অযুহাত দেখিয়ে বের হয়ে গেছে। তুরাগের ঝড় এখন তুয়ার উপর দিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যয়ের নাম নিয়ে তুয়াকে খোঁচাচ্ছে। উনারা হাজিবাজি কি সব বলছে। আবার উনারাই হো হো হেসে বাড়ি মাথায় করছে। তুয়া মুখ বুজে চুপচাপ সব কথাগুলো গিলছে।
প্রত্যয় ওর কেবিনে বসে তুয়ার রিপোর্ট গুলো খুব ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তুয়ার সার্ভিক্যাল ক্যান্সার এটা একদম ভুল। ওর ওভারিতে চকলেট সিস্ট আছে। এজন্য পিরিয়ডে সমস্যা দেখা দেয়। সিস্ট টা একদম ছোট আকৃতি ,যেটা মেডিসিনেই ভাল হয়ে যাবে। প্রত্যয় রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে গভীর ভাবে কিছু একটা ভাবছিলো। তখন প্রত্যয়ের ফোনে প্রিয়মের কল আসে।
–“ভাইয়া রিপোর্ট কবে দিবে? কবে যেন রির্পোট টা আসার কথা ?” (প্রিয়ম)
–“রিপোর্ট আমার হাতে। আর তুয়ার সেরকম কোন মারাত্মক কিছু হয়নি। টেনশন করো না,ওই রিপোর্ট ভুল ছিলো।” (প্রত্যয়)
–“যাক আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। আচ্ছা ভাই রাখছি তাহলে।” (প্রিয়ম)
–“প্রিয়ম কালকে আমার সাথে দেখা করতে পারবে? একটু জরুরী কথা ছিলো।” (প্রত্যয়)
–“হুম অবশ্যই।”
–“হুম।”
প্রিয়ম ফোন কেটে দিলো। প্রিয়ম ওর মুখে জোর পূর্বক এটা হাসির রেখা টেনে হাসলো। প্রত্যয় রিপোর্ট গুলো নিয়ে হসপিটাল থেকে বের হয়ে গেল। নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে একটা জায়গায় গেল। তুয়ার ফোনটা এখন প্রত্যয়ের কাছে আছে। কারন সেই অদৃশ্য শত্রুর খোঁজ পেতে হলে এই ফোনটাই যথেষ্ট। প্রত্যয় আর প্রিয়ম এই খেলার শেষটা দেখেই ছাড়বে। প্রত্যয় দুই ঘন্টা পর, ওর কাজ সেরে বাসায় ফিরে গেল।
পরেরদিন বিকেলে______!!
প্রত্যয় আর প্রিয়ম নদীর পাশে বসে আছে। এই নদীর পাড়েই প্রিয়ম আর তুয়া আসতো। প্রত্যয় ওর দৃষ্টি শান্ত রেখেই নদীর পানির দিকে তাকিয়ে আছে। প্রিয়মও চুপ করে আছে। প্রত্যয় প্রিয়মের দিকে একটা কাগজ এগিয়ে দিলো। প্রিয়ম কাগজটাতে চোখ বুলিয়ে নিলো। হতভম্ব হয়ে প্রত্যয়ের দিকে তাকালো। প্রত্যয় এখনো বহুদুরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আছে। দুজনেই চুপ,দুজনেই যেন কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছে। প্রত্যয় প্রিয়মের কাঁধে হাত রেখে, একদম শান্ত গলায় বললো,
–“তুয়ার ফোনে যে নাম্বার থেকে থ্রেট মেসেজ আসতো। এটা সেই নাম্বার এর সব ডিটেইলস। আর এই সিমটা তোমার নামে কেনা হয়েছে। অর্থাৎ এটা যে তোমার কেনা,তোমার নামের সিম এটাই এখানে শো করছে।” (প্রত্যয় শান্ত গলায়)
To be continue….!!