#স্পর্শানুভূতি
#writer_Nurzahan_Akter_Allo
#part_16
🍁🍁
পরের দিন সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে রাসেল সবাই উদেশ্য করে একটা কথা বলে।আর রাসেলের হুট করে এমন কথা বলাতে মিষ্টু সহ সবাই রাসেলের দিকে ঘুরে তাকায়…..
–
রাসেল মনে মনে ঠিক করছিলো সবার সামনে মিষ্টুর প্রতি ওর ভালবাসার কথাটা জানাবে।রাসেল অনেক সাহস জোগাড় করে মুহিতের দিকে তাকিয়ে বললো…
রাসেলঃমুহিত তোকে একটা কথা জানানোর ছিলো?
মুহিতঃহুমম বল!এখানে পারমিশন নেওয়া কিছু নেই।
রাসেলঃআসলে আমি…
মিষ্টুর আম্মুঃহুমম বল এত হেজিটেড ফিল করছিস কেন?
মিষ্টুঃ (রাসেলের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে)
মুহিতঃকি হলো বল?কোন সমস্যা হয়েছে কি?
রাসেলঃআসলে আমি..
মুহিতঃআসলে নকলে বাদ দিয়ে কি বলবি বল?
রাসেলঃআমি আজকে রাতেই চলে যাচ্ছি ঢাকাতে!(একদমে বলে দিয়ে)।
মুহিতঃ কেন! তোর তো আর দুদিন থাকার কথা ছিলো।
মিষ্টু আম্মুঃকি রে বাবা এভাবে হুট করে চলে যাওয়ার কথা বললি কেন?তোর কি এখানে থাকতে ভালো লাগছে না।
রাসেলঃনা না মামনি আসলে সেরকম কিছু না!বাবা ফোন দিয়ে বলছে একটা মিটিংয়ে এটেন্ড করার জন্য!আমাকে নাকি সেখানে থাকতেই হবে এজন্য।
মুহিতঃআংকেলকে বলে কি বলে বোঝানো যেতো না একটু কষ্ট করে ম্যানেজ করে নিতে!তোকে তো আমি সময় দিতেই পারলাম না।(রাসেলের দিকে তাকিয়ে)
রাসেলঃইট!স ওকে!আমি আবার আসবো।তখন না হয় সব পুষিয়ে দিস।হাহা হা
মুহিতঃহুমম
–
রাসেল যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো!বলতে গেলো একটা কথা আর বলে দিলো আরেক কথা।তিন জনেই যেভাবে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে ছিলো।রাসেল ওদের তাকানো দেখে সব গুলিয়ে ফেলছে।বেচারা রাসেল কথাটা বলে ঢকঢক করে দুই গ্লাস পানি খেলো।সবাই খাচ্ছে আর কথা বলছে বাট রাসেল মনে মনে ভাবছে…
–
রাসেলঃপৃথিবীতে ভয়ংকর কিছু পরিস্থিতি মধ্যে একটা হলো যাকে ভালবাসি তার বাড়ির লোকের সামনে সেটা বলো।আর তখনই কেন জানি মনে হয় এরাই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণী ।যতই বীর পুরুষ হোক না কেন এই পরিস্থিতিতে সবারই একটু আধটু হাটু কাঁপতে শুরু করে। (মনে মনে)
–
মিষ্টু কিছু বললো না ওর রুমে চলে গেল আর ভাবতে শুরু করলো।রাসেল ওর জন্য চলে যাচ্ছে না তো?মিষ্টু নিজের কাছে কেন জানি খুব খারাপ লাগছে?মিষ্টু আর আর কলেজে গেল না! রাসেল চলে যাবে তাই মিষ্টুর আম্মু রান্নার কাজে লেগে পড়ছে। মিষ্টু কি মনে করে ওর আম্মু কাছে গেল রান্না ঘরে। তারপর হাতে হাতে কাজে সাহায্য করলো!রাসেলের পড়িয়ে দেওয়া নুপূর এখনো মিষ্টুর পায়ে আছে।
–
রাসেল আর মুহিত বাসায় নেই!রাসেল চলে যাবে তাই আয়ান, শুভ্র, জয়ের থেকে বিদায় নিতে গেছে।আবার সবাই এক সাথে কিছু সময় আড্ডা দেয় তার পর রাসেল সবাইকে হাগ করে সবার থেকে বিদায় নেয়। রাসেল অনেক চেষ্টা করেই মুহিতকে কিছু বলতে পারে নি কারন একটাই মুহিত যদি রাসেলকে দুরে সরিয়ে দেয় তাহলে রাসেল এটা মানতে পারবে না।এজন্য এক বুক কষ্ট নিয়ে রাসেল চুপ করে থাকে।
–
মুহিত আর রাসেল বাসায় গিয়ে সাওয়ার নিয়ে খেতে বসে!রাসেল আড়চোখে মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে দেখে মিষ্টু খুব মনোযোগ সহকারে খাচ্ছে!তারপর সবাই খাওয়া শেষ করে আড্ডা দিতে বসলো!বেশ কিছু সময় আড্ডা দিয়ে রাসেল ওর জামা কাপড় গুছিয়ে নিলো!রাসেল মনটা যে এখানে পড়ে আছে যাচ্ছে তো শুধু ওর শরীর।সবকিছু গোছগাছ করে নিলো।
–
সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাসেল রেডি হয়ে নিলো!তারপর রাসেল মিষ্টুর আম্মু সাথে কথা বলছিলো আর আল্লাহর কাছে দোয়া করছিলো যাতে যাওয়ার আগে মিষ্টুর মুখটা দেখে যেতে পারে।রাসেল পাশ ফিরে তাকাতেই দেখে একদূরে মিষ্টু দাড়িয়ে আছে! রাসেল মিষ্টুর কাছে গিয়ে পকেট থেকে ওর ফ্ল্যাটের চবিটা দিয়ে বললো…
–
রাসেলঃ মিষ্টু তুমি চাবিটা রাখো!মাঝে মাঝে ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখে এসো কেমন।
মিষ্টুঃআমি কেন?
রাসেলঃমুহিতের তো সময় নেই আর মামনিও পারবে না।তাই তোমাকে দিলাম।
মুহিতঃওকে তুই টেনশন করিস না।মিষ্টু মাঝে মাঝে গিয়ে দেখে আসবে।
রাসেলঃতোরা থাকতে আর টেনশন কিসের?
মামনিঃসাবধানে যাবি!আর গিয়ে ফোন করবি কেমন।আর আবার আসবি কেমন।
রাসেলঃজি মামনি! আসবো খুব তারাতারি।
মুহিতঃকেমন আসবি জানি তো.
রাসেলঃসত্যি আসবো! আর মিষ্টু সাবধানে থেকো কেমন।পড়াশোনা ঠিক মত করবে।আর নিজের খেয়াল রাখবে কেমন।আল্লাহ হাফেজ
মিষ্টুঃআপনিও সাবধানে যাবেন। আল্লাহ হাফেজ(মিষ্টি হেসে)
–
রাসেল গেটের কাছে এসেও একটা বার পেছনে তাকিয়ে মিষ্টুর মুখের তাকিয়ে হাসলো। রাসেলই জানে ওর বুকের ভেতরে কি চলছে?মিষ্টুকে ছেড়ে যাচ্ছে তো মনে হচ্ছে ওর কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে।রাসেলের এখন মনে হচ্ছে এখন যদি ওর যাওয়াটা বন্ধ হয়ে যেত।তারপর মুহিত আর রাসেল গাড়িতে উঠে বসলো।আর চলে গেল…
–
তারপর মুহিত রাসলকে বাসে তুলে দিয়ে হাগ করে বিদায় নেয়।বাস ছেড়ে দেয় তারপর মুহিতও হাত নাড়িয়ে বাই বলে।ওদের বাস মুহিতের চোখের আড়াল হতেই মুহিতও চলে যায়।রাসেল বাসের সিটের সাথে হেলান দিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে আছে।রাসেল চোখ বন্ধ করতেই মিষ্টু সেই মিষ্টি মুখটা ভেসে উঠে।হাজার কষ্ট হলেও কিছু করার নেই এজন্য এক বুক কষ্ট নিয়ে রাসেল ঢাকার উদেশ্যে রওনা দিলো।
–
মিষ্টুর এখন কেমন জানি লাগছে!একটা মানুষের পেছনে সব সময় লেগে থাকলে! তাকে জালাতন করলে সেই যদি চলে যায় তাহলে সেই শূন্যতা একটা মানুষকে খুব পোড়ায় বেশি!যদিও কাছে থাকলে কেউ কোন জিনিসের কদর করে না বাট চোখের আড়াল হলে বোঝা যায় কে কতটা জুড়ে জায়গা দখল করে ছিলো মনে।মিষ্টু খুব শক্ত মনের মেয়ে বাট রাসেলে সেই পেছনের ঘুরে তাকানোটা,সেই মায়া মায়া চোখে যেন হাজার কথা তখন বলতে চেয়েছিলো রাসেল।মিষ্টু রাসেলের সেই মায়া ভরা চোখে তাকানোর যেন কোন রকম ভাবেই ভুলতে পারছে না।
–
মিষ্টু বেডে বসে বসে এসব ভাবছিলো! তারপর নিজেই নিজেকে বলতে লাগলো।
মিষ্টুঃআমি কোন মায়াতে জড়াবো না!এই মায়া জিনিসটাই বড্ড বেশি বেইমানী করে।আমি চাই না আমার জন্য রাসেল আর মুহিত ভাইয়ার রিলেশন নষ্ট হোক।আমি বুঝতে পারছি রাসেল ভাইয়া হয়তো কোন কারনে আমাকে উনার ভাল লাগছে! বাট ভাললাগা আর ভালবাসা কখনই এক না।আমি আমার ভাইয়াকে কষ্ট দিতে পারবো না!কখনোই পারবো না আমার ভাইয়াকে কষ্ট দিতে।যদি ভাইয়া জানতে পারে আমার বা রাসেল ভাইয়া মাঝে কোন রিলেশন আছে তাহলে ভাইয়া খুব কষ্ট পাবে খুব ।আমি সেটা কখনোই হতে দিবো না।
আর এখানে সবার ভালোর জন্য আমাকে শক্ত থাকতে হবে…..আর আমি তাই থাকবো।
–
পরেরদিন…
মিষ্টু আগের মত পড়াশোনা, কলেজ, এসব নিয়ে নিজেকে বিজি রাখার চেষ্টা করছে।তারপরেও কেন জানি রাসেলের কথা, রাসেল তাকানো, সেই মায়া ভরা দৃষ্টি কিছুতেই ভুলতে পারছে না।রাসেলের কেন জানি মনে হচ্ছে ৬ ঘন্টা না বরং ৬ টা বছর ধরে রাসেল মিষ্টুকে দেখে নি।রাসেল জার্নি করেএসেছি তাই খেয়ে ঘুমিয়ে গেল কারন আজকে বিকালে মিটিংয়ের টাইম ফিক্সড করছে।
–
মুহিত মিষ্টুকে কলেজের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়! মিষ্টু রিতুকে দেখে হাত নাড়ায়। মিতু হেসে হেসে মিষ্টুর পাশে এসে বসে।মিষ্টু রিতুর হাত ধরে টেনে দাঁড় করায় আর হাঁটতে হাঁটতে দেখে ঝালমুড়ি ওয়ালা।মিষ্টু গিয়ে ঝালমুড়ি নিলো আর ঝালমুড়ি ওয়ালার দিকে মিষ্টু তাকিয়ে বললো…
–
মিষ্টুঃঝালমুড়ি কাকু এই যে এই মেয়েটাকে দেখছেন এটা আমার বেস্টু!আমার কলিজার টুকরো বান্ধবী খুব ভালো মেয়ে।উমমমমমমমা (ইয়ে দিয়ে)
রিতুঃ মিষ্টু তুই ঠিক আছিস তো?
মিষ্টুঃদেখছেন কাকু আমার কত খেয়াল রাখে!বললাম না খুব ভাল মেয়ে।ওহ আপনি প্রমান দেখতে চান তাই তো।ওকে নো সমস্যা..
ঝালমুড়ি ওয়ালাঃ হুমম!!!!!
(বড় বড় চোখ করে মিষ্টুদের দিকে তাকিয়ে আছে হাবা কালার মত।)
মিষ্টুঃএই আপনার থেকে ঝালমুড়ি নিলাম না।এখন আমাকে কিছুতেই টাকা দিতে দিবে না।ওই দিবে..
মিতুঃওরে নটাংকিবাজ 😳
ঝালমুড়ি ওয়ালাঃবাহ্!এটা তো খুবই ভালা কারন অনেক পোলা মাইয়া দেখি খাইয়া বন্ধুদের ঘাড়ে দাম চাপাইয়া দিয়া দৌড় দেয়। সেই তুলনায় তোমরা কত ভালা বান্ধবী।
মিতুঃএকদম ঠিক বলছেন কাকু!কিছু কিছু ফাজিল আছে নিজেরা খেয়ে অন্যের ঘাড়ে দাম ঝুলিয়ে দেয়।
ঝালমুড়িঃআল্লাহ তোমাগো ভালা রাখুক!সারাজীবন তোমরা এমনই থাকো আর স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে থাকো।তোমরা শত সন্তানের মা হও..
মিষ্টুঃহুমম আমার শত সন্তান দরকার নাই!মিতুকে এই দোয়া করে ওর অনেক শক্তি।আমার লো প্রেসার 😖
মিতুঃনাআআআআাা!আমিও শত সন্তান নিতে পারবো না।
মিষ্টুঃমিতু তোখুব ভালবাসিস আমাকে। তুই তো আর আমাকে টাকা দিতে দিবি না।তাই আমি কষ্ট করে টাকা বের করলাম না।তাহলে তুই টাকাটা দে আমি হাটলাম কেমন..(মিতুর দিকে তাকিয়ে)
মিতুঃহুমমম (অবাক হয়ে)
–
মিতু টাকা দিয়ে মিষ্টু দিকে তাকিয়ে পাশাপাশি দুজন হাটছে আর ঝালমুড়ি খাচ্ছে। মিষ্টু মিতুর দিকে তাকিয়ে..
মিষ্টুঃমিতু কাকু দোয়া যদি সত্যি হয়ে যায় তখন কি হবে?
মিতুঃকি আর হবে ছালাপালের দোকান দিবো।মনে কর তোর দিক থেকে দোয়া কবুল হয়ে গেলো তখন তুই কি করবি?
মিষ্টুঃহ আমি তো ফারাক্কার বাধ তখন শতশত বাচ্চা ডাউনলোড দিতেই থাকবো।চল জোরে হাট যওসব হাগলের পাগলের মত কথা। (রেগে গিয়ে মিতুর মাথায় ঠুয়া মেরে)
–
মিষ্টু আর মিতু ক্লাসে গেলো! স্যার আসলো আর উনিও পড়া শুরু করলো।প্রায় ৩০মিঃ পর মিষ্টু মিতুকে গুঁতো দিয়ে ডাকলো।মিতু ফিসফিস করে জানতে চাইলো সমস্যা কি?মিষ্টুও তখন উঠে দাড়িয়ে স্যারের দিকে তাকিয়ে মিতুকে দেখিয়ে বললো..
–
মিষ্টুঃস্যার আমার বেস্টু মিতুর খুব জর এসেছে!আর বসে থাকা ওর জন্য পসিবল হচ্ছে না।
স্যারঃজর কখন আসলো?দেখি কত জর..
মিষ্টুঃ এত জর এসেছে যে কড়াইয়ে নুডলস দিয়ে ওর মাথাতে বসিয়ে দিলে নুডুলস হয়ে যাবে।
স্যারঃদেখি আমি দেখি ওর কত জর..
মিষ্টুঃনাআআআ এটা ভুলেও করবেন না।এটা হচ্ছে ভাইরাসের কুচুংফু জর আপনারও হতে পারে।
স্যারঃএটা কেমন রোগ?এই রোগের নাম তো শুনিনি।
মিষ্টুঃএইরোগ নতুন এসেছে মার্কেটে!অনেকজন তো এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে তারপর মরতে মরতে বেঁচে গেছে।
স্যারঃঢপ মারছো না তো।
মিষ্টুঃনা না কি যে বলেন স্যার আমি ঢপ মারবো কেন?আপনি বরং এই মিতু ছুয়েই দেখুন আর কুচুংফু রোগের ড্রয়িং রুম থেকে ঘুরে আসেন।আর আমি যদি ঢপ মেরে থাকি তাহলে আপনার বউ মরতে মিলিয়ে নিবেন।
স্যারঃআমার বউ কেন মরবে?
মিষ্টুঃযারা এভাবে ইগনোর করছে রোগ টাকে তাদের বেশি হচ্ছে! আর যারা বেশি লেখাপড়া করছে তারাই বেশি এই রোগ নিয়ে হসপিটাল ভর্তি হচ্ছে?কারন পড়াশোনা কত টেনশন জিনিস আর টেনশন মারাত্মক জিনিস আর এই রোগ টেনশনের থেকেই উৎপত্তি।
মিতুঃতো এই রোগ সেরে যাওয়ার উপায়টাও বলে দে!কারন জীবন নিয়ে খেলা করা উচিত না।
সুখীঃবলো না মিষ্টু এই রোগ কি করে ভালো হচ্ছে? কোন মেডিসিন নিলো ভালো হবে।
মিষ্টুঃমেডিসিন লাগবে না ফোন টিপলেই এই রোগ সেরে যাবে।কারন আমরা যখন পড়ি তখন টেনশন গুলো পোকার মত কিলবিল মাথায় ঢুকে যায়। আর ফোন টিপলে ফোনের লাইট গুলো চোখে যায় ওখানে পোকার গুলো মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
মিতুঃআউচচচচচ্
মিষ্টুঃমিতু কষ্ট পাচ্ছিস খুব তাই না।আমি থাকতে কিছু তেই তোকে ক্লাস করতে দিমু না। স্যার আমাদের যেতে দিন (মিতুর পায়ের উপর পা তুলে)
স্যারঃওকে ওকে যাও।
–
মিষ্টুর কথা শুনে ক্লাসের সবাই মুখ চেপে চেপে হাসছে!কারন মিষ্টুকে কেমন সেটা ওদের জানতে ওর বাকি নেই।তাই কিছু বলে নি মিষ্টু কারন এখন যখন ওর বিরুদ্ধে কথা বলতো তাহলে পরে তার অবস্থা খারাপ করে দিতো।মিষ্টু মিতুর হাত ধরে টেনে রিকশায় উঠতেই একটা ছেলে জিজ্ঞাসা করলো।
–
ছেলেটিঃএই যে ম্যম ২৪/৩ এই বাসা কোন দিকে।বলতে পারবে…
মিষ্টুঃআপনি একটু পর যেই বাসা খুজে পাবেন! আর যেই বাসায় আমি ঢুকে বসবেন একটু পর ওটাই ২৪/৩ নং বাসা।
চলবে..
(কেমন হচ্ছে গল্পটা 🙄)