#স্পর্শানুভূতি
#writer_Nurzahan_Akter_Allo
#part_26
🍁🍁
মুহিত উঠে দাঁড়াতেই মিষ্টু মুহিত পা জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে।মুহিতের মনে হচ্ছে পুরো পৃথিবীটাই উল্টে পাল্টে গেছে!মুহিত পাথরের মত দাড়িয়ে আছে!মিষ্টু মুহিতকে বলতে থাকে…
মিষ্টুঃ ভাইয়া তোমার বোন এমন না ভাইয়া! তুমি আমাকে ভুল বুঝে দুরে সরিয়ে দিও না ভাইয়া!আমি মারা যাবো ভাইয়া আমি বাঁচবো না! পুরো পৃথিবীর লোক যদি ভুল বুঝে আমার কিছু আসবে যাবে না!তুমি আমাকে ভুল বুঝো না ভাইয়া আমি মেনে নিতে পারবো না। (মুহিতের পা জড়িয়ে ধরে)
–
আশেপাশের মানুষ গুলোও কানাঘুষা করতে থাকে!আর কেউ কেউ মুহিতকে উদেশ্য করে শুনিয়ে শুনিয়ে বলে….
১ম জনঃ মেয়েটাকে ভালো মনে করতাম বাট তলে তলে এত নোংরামি করে বেড়ায়।এই বোনকে নিয়ে আবার কত অহংকার..
২য়ঃএই সব বড়লোকের ছেলে আসে মেয়েদের নিয়ে ফুর্তি করতে!কাজ শেষ গেলে এরাও গায়েব হয়ে যায়।দিনে দিনে আর কত কি দেখবো?শেষে কি না মিষ্টুও এমন করবে বাবা রে বাবা ভাবতেও ঘৃণা লাগছে…..
রাবেয়া খালাঃমুহিত এখনো সময় আছে!আমার ছেলে আবিদের সাথে মিষ্টুর বিয়ে দিয়ে দাও।তুমি চাইলে আমি আবিদকে ডাকতে পারি!মিষ্টুকে মেনে নিতে আমার কোন আপওি নেই।
১ম জনঃহুম হুম এটাই করা হোক এই মেয়ের এমন গুন আছে জানলে কেউ তো বিয়ে করবে না।ছিঃ ছিঃ এই মেয়ের মরে যাওয়া ভালো।মাঝ রাতে নিজের রুমে একটা ছেলেকে ডেকে তাও আবার এক বিছানায়,, ছিঃ! ছিঃ!..
মুহিতের আম্মুঃ ঠাস্ ঠাস্! এই তুই মরতে পারিস না। তোর জন্য কেন এসব কথা শুনবো আমরা।তোর জন্য কেন আমাদের এত অপমানিত হতে হলো! তুই আমাকে কোনদিনো আর মা বলে ডাকবি না!আমরা মনে করবো মিষ্টু নামের কেউ একজন ছিলো আর এখন এই মুহূর্তে সে মারা গেছে।(কাঁদতে কাঁদতে)
মিষ্টুঃ( মিষ্টু থম মেরে বসে আছে)
–
মুহিতের আম্মুঃছিঃ রাসেল তুই একটা বাজে মাইন্ড ছেলে!তোকে মুহিতের থেকে কোন অংশে কম ভালবাসিনি আর আজ তুই আমাদের এভাবে ঠকালি!
(কেঁদে কেঁদে)
রাসেলঃ মামনি আমার কথাটা তো শুনবে..
মুহিতের আম্মুঃচুপ একদম চুপ!আমাকে আর মামনি বলে ডাকবি না।(রাসেলের দিকে তাকিয়ে)
–
আয়ান এবার মুখ না খুলে পারলো না।তাই রাসেলের দিকে তাকিয়ে বললো…
আয়ানঃরাসেল এখন বল তুই মিষ্টুকে বিয়ে করবি কি না?কারন ঘটনা সত্যি বা মিথ্যা যাই হোক!যে কালি মিষ্টুর গায়ে লেগেছে সেই কালি সহজে উঠবে না।আর এটা এখনই থামানো দরকার! কারন কালকে সকালে দেখা যাচ্ছে সবাই মিষ্টুর দিকে আঙ্গুল তুলবে..
রাবেয়া খালাঃওর মত বেয়াদব ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে মেয়েটার জীবন নষ্ট করে দিও না।আমি আমার ছেলের সাথে মিষ্টু বিয়ে দিতে চাই।আমার ছেলে ডাঃ আমার ছেলের সাথে বিয়ে দাও…
জয়ঃনা তা করা যাবে না!কারন ওদের দুজনকেই নিয়ে যেহেতু এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাহলে এখানে অন্য কাউকে কেন টানবো?বিয়ে কথা যদি হয় তাহলে রাসেল আর মিষ্টুরই বিয়ে হবে।
উপস্থিত সবাইঃহ্যা হ্যা তাই করা হোক।
শুভ্রঃরাসেল সরি তোকে এখন এই বিয়েটা করতেই হবে কারন এখন বিয়ে ছাড়া আর কোন পথ খোলা নাই।আর আমরাও এর চেয়ে ভালো পথ খোলা দেখছি না!তুই একটা ছেলে আজ বাদে কালও তুই পার পেয়ে যাবি! কিন্তু মিষ্টুকে পদে পদে এই অপবাদ বয়ে বেড়াতে হবে…আর আমরা সেটা দেখতে পারবো না।
–
রাসেল কি বলবে আর তার কি করা উচিত সেটাই বুঝতে পারছে না।রাসেলে মিষ্টুকে নিজের করে পেতে চাই!রাসেল তার নিদ্রাকুমারীকে খুব করে নিজের করে পেতে চাই বাট এভাবে না।শুভ্র আর আয়ান কাজি ডাকতে যায়।এতরাতে কোন কাজি খুজে পায় না! পরে সামনের মসজিদের একজনের কথা মনে পড়ে উনি বিয়েও পড়ায়।আয়ান আর জয় উনাকে অনেক রিকুয়েস্ট করে ডেকে আনে!ঘটনাটা গুলো এত তারাতারি ঘটে যাচ্ছে যে, মনে হচ্ছে সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে!মুহিত এক জায়গাতেই দাড়িয়ে আছে!রাসেলও আজকে কোন অপরাধ না করে অপরাধী মত মাথা নিচু করে বসে আছে।
–
কাজি এসে ওদের বিয়ে পড়ানোর কাজ শুরু করে!আয়ান মিষ্টু আর রাসেলকে জোর করে সোফাতে বসায়।আর মিষ্টুকে কবুল বলতে বলে…মিষ্টুকে কবুল বলতে বলে বাট মিষ্টু কিছুতেই কবুল বলছে না দেখে!আবার ওর আম্মু ওকে দুইটা চড় মারে আর কাঁদতে কাঁদতে বলে..
আম্মুঃআর কত ছোট করবি আমাদের? তুই কি চাস? আমি গলায় দড়ি দিয়ে মরে যায়…
মিষ্টুঃআমি কোন অন্যায় করি নি আম্মু!আমাকে তোমার ভুল বুঝে আমাকে এই বড় শাস্তি দিও না…(কেঁদে কেঁদে)
আম্মুঃআমাকে যদি বিন্দু মাএ ভালবেসে থাকিস তাহলে কবুল বলে আমাদের এই অপমানের হাত থেকে উদ্ধার কর।আর আমাদের চোখের সামনে থেকে সারাজীবনের জন্য চলে যা..
–
তারপর অনেক কষ্টে অনেক কেঁদে কেঁদে মিষ্টু কবুল বলে!রাসেলও কবুল বলে আর সাইন করে দেয় আর ওদের বিয়ে সম্পূর্ন হয়।মিষ্টু উঠে গিয়ে মুহিতকে জড়িয়ে ধরে আর বলতে থাকে..
মিষ্টুঃতুমি কেঁদে না ভাইয়া! আমি তোমার কান্না সহ্য করতে পারি না।তোমাকে অপমানিত হতে হবে এমন কাজ আমি কোনদিনও করিনি আর করবোও না ভাইয়া… (কেঁদে কেঁদে)
মুহিত মিষ্টুকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে চড় মারতে যায় আর সাথে সাথে মুহিতের হাত রাসেল ধরে ফেলে।মুহিত রাসেল দিকে তাকিয়ে বলে..
রাসেলঃমুহিত মিষ্টুর গায়ে আর কেউ হাত তুলবি না!,কারন এখন মিষ্টু শুধু তোর বোনই না এখন আমারও ওয়াইফ।আমাদের বিনা দোষে অনেক শাস্তি দিয়েছিস তবে আর না। যা হয়েছে অনেক হয়েছে…
মুহিতঃ রাসেল তওসীফ ধন্যবাদ আমাকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। আর আপনি আপনার ওয়াইফ কে নিয়ে এখুনি আমার বাসা থেকে বের হয়ে যান।আর কোনদিনও আপনাদের যেন আমার চোখে সামনে না দেখি..
মিষ্টুঃভাইয়া তোমাকে ছাড়া আ আ মি….
–
মিষ্টু পুরো কথা শেষ করতে পারে নি তার আগে সেন্স হারিয়ে পড়ে যেতে নিলো!রাসেল সাথে সাথে মিষ্টুকে ধরে নেয়।রাসেল মুহিতের দিকে তাকিয়ে..
রাসেলঃমুহি,,,, ত
মুহিতঃআপনি প্লিজ আপনার ওয়াইফ কে নিয়ে বেরিয়ে যান প্লিজ!আমি আর কোন কথা বাড়াতে চাই না… (ওদের ফ্ল্যাটের মেইন দরজার কাছে দাড়িয়ে)
জয়ঃরাসেল কথা শোন! ওরা এত রাতে কোথায় যাবে?কাল সকালে যা হবার হবে এখন তুই মাথা ঠান্ডা কর..
মুহিতঃ ওরা কোথায় যাবে? এটা তো আমার দেখার বিষয় না!যাওয়ার জায়গা যদি না থাকে তাহলে জাহান্নামে যাক..
–
রাসেল মিষ্টুকে কোলে তুলে নেয় আর মুহিতের ফ্ল্যাট থেকে সত্যি সত্যি বেরিয়ে আসে।শুভ্র সবার চোখের আড়ালে নিচে গিয়ে ওর গাড়ির চাবিটা দাড়িয়ে থাকে!রাসেল নিচে নেমে দেখে শুভ্র দাড়িয়ে আছে!শুভ্র সাথে গাড়ির দরজা খুলে দেয় আর গাড়ির চাবি রাসেলের হাতে দিয়ে দেয় আর সাথে একটা ব্যাগও দেয়।রাসেল পিছনে সিটে মিষ্টুকে শুইয়ে দিয়ে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়!শুভ্র রাসেলকে বোঝায় আর বলে মিষ্টুকে নিয়ে ওর ফ্ল্যাটে যেতে।রাসেল শুভ্রকে বলে..
–
রাসেলঃভাই তোরা মুহিতের আর মামনির পাশে থাকিস!ওরা বড্ড কষ্ট পেয়েছে শুধু আমার জন্য,,, (চোখে ছলছল করে তাকিয়ে)
শুভ্রঃহুমম! তুই একদম চিন্তা করিস না!আমরা আছি আর মিষ্টুর দিকে খেয়াল রাখিস।
রাসেলঃহুমম
–
রাসেল চাবিটা নিয়ে নিয়ে একবার উপরে তাকিয়ে তারপর গাড়ি নিয়ে চলে যায়।মুহিত ওর রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়! মিষ্টুর আম্মুর প্রেশার বেড়ে গেছে আয়ান আর জয় উনাকে সামলাচ্ছে । রাবেয়া খালার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না কারন উনার পেতে রাখা ফাঁদ উল্টে গেছে!কি করতে চেয়েছিলো? আর কি হয়ে গেলো?রাসেলের ড্রাইভ করতে করতেই ফোন বেজে ওঠে শুভ্রর দেওয়া ব্যাগটা থেকে!শুভ্রই রাসেলকে ফোন দিয়ে জানাই ওই ব্যাগে ওর ফ্ল্যাটের চাবি আছে। রাসেলের মাথাতেই ছিলো না ও চাবি না নিয়ে ফ্ল্যাটে যাচ্ছিলো!এত টেনশনে রাসেলের আর মাথা কাজ করছে না..
–
রাসেল মিষ্টুকে কোলে নিয়েই ওর ফ্ল্যাটের দরজার সামনে আসে।তারপর মিষ্টুকে কোল থেকে নামিয়ে একহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেই দাড় করিয়ে রাখে!আর রাসেল চাবি দিয়ে দরজা খুলে মিষ্টুকে ধরেই রুমে ঢুকে এক হাত দিয়ে লাইট অন করলো।আর ওকে বেড রুমে নিয়ে গিয়েই বেডে উপরেই শুইয়ে দিলো।মিষ্টুর কোন সেন্স নাই! রাসেল এক দৌড় পানি নিয়ে এসে মিষ্টুর মুখে ছিটিয়ে দেয়!মিষ্টু আস্তে আস্তে চোখ খুলে রাসেলকে দেখে মিষ্টু উঠে রাসেলের থেকে সরে যায় আর আশপাশ তাকিয়ে দেখে এটা ওর বাসা না এটা রাসেলের ফ্ল্যাট।
–
মিষ্টু এবার খুব জোরে হাউমাউ করে কেঁদে দিলো! আর রাসেলের কলার চেপে ধরে বললো..
মিষ্টুঃসব আপনার জন্য হয়েছে! আপনিই এসবের জন্য দায়ী। আজকে আপনি আমার রুমে না থাকলে এত কিছু হতো না!শুধু মাএ আপনার জন্য আমার ভাইয়া আমাকে এভাবে ভুল বুঝলো!আমার আম্মু আমাকে ভুল বুঝলো।আর আমি এখানে কেন? আমাকে এনেছেন কেন আপনি?(চিৎকার করে কথা গুলো বলছে)
রাসেলঃ মিষ্টু তুমি শান্ত হও প্লিজ!
মিষ্টুঃকি শান্ত হবো!কি করে শান্ত হবো বলতে পারেন?এখানে আমার দোষটা কোথায় ছিলো? কেন আমাকে এভাবে শাস্তি পেতে হলো? (কেঁদে কেঁদে)
রাসেলঃ মিষ্টু তুমি শান্ত হও!আমি যদি এখন তোমাকে সেইম কথায় জিজ্ঞাসা করি! তাহলে তুমি কি বলবে বলো?আমার এখানে দোষটা কোথায়?আমি কি করছি? আমাকেই বা কেন সবাই ভুল বুঝলো বলতে পারো? (মিষ্টু কাঁধ ধরে ঝাঁকিয়ে)
মিষ্টুঃআমি কিছু জানি না!আমি কিছু বুঝি না আমি মারা যাবো ভাইয়া আর আম্মু আমাকে এভাবে দুরে সরিয়ে রাখলে….(কাঁদতে কাঁদতে)
–
রাসেল আর মিষ্টুর কান্না আর সহ্য করতে পারছে না!মিষ্টুর চোখ থেকে এক এক ফোটা পানি রাসেল বুকে গিয়ে বাঁধছে। রাসেল উঠে ছাদে চলে গেল কারন ও আর নিজেকে সামলে রাখতে পারছে না।রাসেল ছাদে গিয়ে ধপ করে বসে পড়ে আর নিজের চুল খামছে ধরে কাঁদতে থাকে আর কষ্ট গুলো কে চাপিয়ে রাখতে পারছে না!
–
রাসেলঃহে আল্লাহ আর কত কষ্ট সহ্য করবো আমি!নিজের মাকেও কখনো কাছে পাইনি আমি।আমার একটা মা আছে! তবে সে তো থেকেও কোন দিন আমাকে কাছে টেনে নেয় নি।কখনো জানার প্রয়োজনবোধও করে নি আমি খেয়েছি কি না?আমি কেমন আছি?আমার কিছু লাগবে কি না?একটা ভাইয়ের মত বন্ধু ছিলো আজ তার কাছেও খারাপ হয়ে গেলাম।যাকে এত ভালবাসি আর আজ কি না আমার জন্যই তার গায়ে বদনামের কালি লাগলো!এই ভাবে সবাই তাকেও ভুল বুঝলো!আজ আমার জন্য ও ওর পরিবার ওকে দুরে সরিয়ে দিল।আমি তো পরিবারের মানুষ কেমন হয় জানতাম না বাট এখানে এসেই এত ভালবাসা পেয়েছি।আর আজ এই পরিবারটাও আমার জন্য ভেংগে গেল।
আমি আমার ভালবাসার মানুষটাও কাছেও খারাপ হয়ে গেলাম!আমি আর পারবো না ওর চোখে চোখ রেখে কথা বলতে….মা মা গো তুমি আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যাও মা!আমি আর সহ্য করতে পারছি না মা!এত অপমানিত হবো আমি আমার জীবনে সেটা কখনোই কল্পনা করি নি।মা আজ তোমার রাসেল আজ সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছে মা…এতদিন কারো নামে কোন অভিযোগ করি নি? আমি কাউকে! যে যত আঘাত দিয়ে কথা বলছে আমি সব মেনে নিয়েছি হাসি মুখে! সব সহ্য করছি এত গুলো বছর। আজ আর পারছি না মা! মাগো তুমি কোথায়?মা তোমার রাসেল যে আর নিজেকে সামলাতে পারছে না মা…..
(চিৎকার করে কাঁদছে)
–
রাসেল ওর কষ্টগুলো কমানো চেষ্টা করছে!হুমম ছেলেদের নাকি কাঁদতে নেই।কেন কাঁদতে নেই? সেটার উওর আমিও খুজেও পাই নি!ছেলেরাও কাঁদতে পারে তারাও তো কষ্ট পায়! ছেলেদের সবার সামনে কাঁদতে লজ্জা পায় তাই কাদে না কি তাও জানা নেই! নাকি তাদের কষ্ট পাওয়াটা কেউ বুঝে ফেলবে বলে তারা কাঁদে না!কেউ দেখে ফেলবে বলে কি তাদের কষ্টটা লুকিয়ে রাখে?
–
সেইরকম অবস্থা আজকে রাসেলেরও! আজ আর পারছে না নিজেকে সামলাতে!নিজের কষ্ট টা কমাতেই ছাঁদে এসেছে! যাতে ওর বুকের লুকানো কষ্টটা কেউ না দেখে….
চলবে…
(ছাতার মাথা গল্পে রেসপন্স পাচ্ছি না!এজন্য আর লিখতেও ইচ্ছে করছে না।😢)