দুষ্টু বউয়ের ডেভিল বর
writer:Nurzahan akter allo
part:16
❤❤
সাদনান নুরের ওড়না দিয়ে নিজের চোখ বেধে দিল,গুটি গুটি পায়ে নুরের দিকে এগিয়ে গেল,সাদনানের হাত খুব কাঁপছে, নিজের বিয়ের করা বউ,নিজের ভালবাসার মানুষ তাও কেন জানি একটা আনইজি ফিল করছে।
তারপর উল্টো ঘুরে ওই মহিলাটা ডেকে আনলো,মহিলাটি আর কিছু না বলে না,সাদনান ওখান থেকে বের হয়ে যাই,,,পকেট থেকে রুমাল বের করে মাথার চুলগুলো মুছে নেই।সাদনান মনে মনে এটাই বলে,,
–
সাদনানঃআমি সরি নুর,আমি তোমার অজান্তে তোমাকে টাচ করবো না,পরে তুমি আমাকে ভুল বুঝবে।আমি তোমার মনে এক বিন্দু পরিমাণ সন্দেহের বীজ বুনতে দিবো না,আমি জানি তুমি আমাকে ভালবাসো আমিও বাসি তারপরেও আমি একটা ছেলে।আর এখানে একটা ভুলের জন্য তুমি আমাকে ভুল বুঝতে পারো,তুমি আমার বউ তারপরেও আমি বলবো আমি তোমার অনুমতি ছাড়া তোমাকে টাচ করবো না,তোমার ভেজা শরীর,ঠোঁট, আমাকে কতটা টানছে শুধু আমি জানি,,,,।সেদিন লিপকিস করছি তাই তুমি আমার উপর অনেক অভিমান করছিলে বাট আর না,,,।তোমাকে বৈধ ভাবে পেয়েছি আর বৈধ ভাবেই তোমাকে কাছে টেনে নিবো,সেটা আজ বা কাল, তোমার মন চাই ভালবাসা চাই,,, কিন্ত আজ তোমাকে এভাবে ড্রেস বদলে দিলে,তুমি আমাকে ভুল বুঝবে,,আমি জানি।
–
সাদনান পাশে তাকিয়ে দেখে মহিলাটি নুরের ভেজা জামা কাপড় হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।সাদনান মহিলাটাকে ধন্যবাদ দিয়ে নুরের কাছে গেল,নুরকে একদম অন্য রকম লাগছে,বাইরের বৃষ্টিটা একটু কমছে,সাদনান ওর শার্ট খুলে পানি চিপে ফেললো,আবার ভেজা শার্টটা পড়ে নিল,তাছাড়া তো আর কোন উপায় নেই।সাদনান,নুরের কাছে গিয়ে বসতেই নুর সাদনানের দিকে চোখ তুলে তাকায়,সাদনান মুছকি হেসে বাইরে তাকিয়ে দেখে বৃষ্টি কমে গেছে,,
–
সাদনান নুরকে কোলে তুলে নেয়,আর নুর সাদনানের গলা জড়িয়ে ধরে,সাদনান মহিলাটিক ধন্যবাদ দিয়ে গাড়ির দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়াই,আর নুর আমার ভাং খাওয়ার জন্য হাত পা ছোটাছুটি করা শুরু করে,সাদনান দ্রুত পায়ে নুরকে গাড়ির কাছে নিয়ে যাই, আর নুরকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে নুরের পাশের গ্লাস লক করে দেই আর সাদনান গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে,সাদনানের পাশে নুর আস্তে আস্তে এগিয়ে আসে আর শাড়ির আঁচল দিয়ে সাদনানেন মাথা মুছে দিচ্ছে আর দুষ্টু হাসি দিচ্ছে,সাদনান মুছকি হেসে নুরের দিকে তাকায়, আর নুর আরো কাছে এসে বসে সাদনানের,সাদনান এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে নুরকে,,,।নুর সাদনানের গলায় মুখ লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে,,,
–
নুরঃ আপনি এভাবে ভিজে আছেন কেন?(নেশা জড়ানো গলায়)
সাদনানঃখুব গরম লাগছিলো এজন্য ভাবলাম বৃষ্টিতে ভিজে,শরীর টা ঠান্ডা করে নেই।
নুরঃখুব ভালো করছেন, আমিও ভিজবো বৃষ্টিতে,,,
সাদনানঃহুমম বৃষ্টিতে ভিজবে আর আমাকে পাগল করবে,তার উপরে এভাবে আবার অত্যাচার করবে তাই তো,,
নুরঃআপনি তো এমনিতেই পাগল,আপনাকে আর কি পাগল করবো?
সাদনানঃএটা তুমি ঠিক বলছো?আমি এমনিতেই পাগল,নুর একটু সরে বসো,আমার ভেজা শার্টে তোমার চেয়ে আনা শাড়িটাও ভিজে যাচ্ছে,,,। তবে এই লুকে আর কারো সামনে যেও না নুর,এমন লুকে আমি শুধু তোমাকে দেখবো আর কেউ না।
–
সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে দেখে নুর ঘুমিয়ে গেছে,সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভিং শুরু করে আর সামনের একটা শপিং মল থেকে দুজনের ড্রেস কিনে নেই,
যদিও যাওয়ার সময় নুরকে গাড়িতে রেখে গাড়ির ডোর লক করে গিয়েছিলো,সাদনান ফিরে এসে দেখে নুর এখনো ঘুমিয়ে আছে,সাদনান একটা হোটেল উঠলো, কারন এভাবে বাসাতে যাওয়া টিক হবে না,সাদনানের বাসা এখনো দুই ঘন্টার রাস্তা, আর এভাবে না যাওয়াটাই বেটার হবে,সাদনান গিয়ে আগে রুম বুক করে তারপর চারপাশটা তাকিয়ে দেখে তেমন কেউ নেই,সাদনান নুরকে কোলে করে নিয়ে যাই আর রুমে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেই,সাদনান ওর নিউ ড্রেস রেখে আগে ওয়াশরুমে যাই,একটা সাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুমে থেকে বের হয়, শুধু টাওয়াল পড়ে,,,
সাদনান রিসিপশনে ফোন দিয়ে লেমন জুস আর ওদের ডিনারের জন্য খাবার অডার্র করে,,,,নুর তো সেই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে আছে,,
–
সাদনান আজ নুরের করা প্রতিটা কথা,মনে করে হাসছে,,সাদনানের বেশি হাসি পাচ্ছে,,
সাদনানঃমেয়ে বলে কি ঠোঁট খাবো?তারমানে আমার দুষ্টু বউটা এত পরিকল্পনা করে আমাকে নিয়ে,ওরে পাগলি রে তোর কথাটা যে,আমার বুকে ভেতর তোলপাল করা শুরু করে দিয়েছে,,,
নুরঃ😪😪😪😪😪😪
–
ওয়েটার এসে ওদের খাবার দিয়ে যাই,সাদনান নুরকে ডাকে কিন্ত নুরের কোন সাড়াশব্দ নেই।নুর কোন সাড়াশব্দ না দিয়ে সাদনানের কোলে মাথা দিয়ে কোমর জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে,আর বার বার ভালবাসি ভালবাসি বলতে থাকে,সাদনান শুধু অবাক হয়ে দেখছে নুরকে,সাদনান নুরকে বার বার ডাকছে লেমন জুস টা খাওয়ানোর জন্য বাট নুর উঠছেই না,,,এভাবে কয়েকবার ডাকছে কিন্ত নুর উঠছেই না।
–
সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে একটান দিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেই,তারপর নিজে লেমন জুস টা সাদনান মুখে নিয়ে,নুরের মুখে মুখ লাগাি নুরের উপর উঠে সাদনান নিজের ভর দেই হালকা করে আর অল্প অল্প করে লেমন জুস দিতে থাকে নুরের মুখে,এভাবে পুরো লেমন জুস টা নুরকে খাওয়াই,,,।
(আপনারা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছেন কেন?😲)
–
ওটা খাওয়ানোর পর সাদনান উঠতেই নুর বমি করে দেই,সাদনান দুই হাত বাড়িয়ে দেই,,সাদনানের শরীরেও যে বমি লেগেছে তাতেও তার কোন খেয়াল নেই,সাদনান নুরের মুখের দিকে তাকিয়ে,বুঝলো যে নুরের কতটা কষ্ট হচ্ছে,,,। সাদনান দৌড়ে ওয়াশরুমে গিয়ে হাত ধুয়ে আসে আর পানি নিয়ে আসে,,। নুর আবার বমি করে দেই,সাদনান নুরকে ধরে বেডের সাথে হেলান দিযে বসাই আর মুখ ধুয়ে দেই,আর নুরকে শুইয়ে দেই,সাদনান আবার সাওয়ার নেই,,,,
–
কতজন পার এভাবে বমি হাতে নিতে,,
(আমি জানি তোমরা অনেক ঘৃনা করে নাক ছিটকালে তবে একবার নিজের জায়গাতে দাড়িয়ে, নিজের মানুষ টাকে নিয়ে ফিল করো,তাহলে এর উওর পেয়ে যাবে,,।)
–
সাদনান নুরকে ঠেলে দেই নি,বরং নুরের কষ্ট টাকে ফিল করছে, নুরের খুব কষ্ট হচ্ছে সেজন্য নুরকে আর ডাকলো না সাদনান,নুরকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো,সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,আর নুরকে নিয়ে হাজারো সপ্ন বুনতে থাকে,,একটা সময় সাদনানও ঘুমিয়ে যাই,,,।
–
সত্যি কারের ভালবাসলে কেউ কখনো বমিকে ভয় পেয়ে, ভালবাসা মানুষটাকে সরিয়ে দেই না ,বিরক্ত চোখে তাকায় না।বরং সেই বমি করার মুহূতেই তাকে আরো আগলে রাখে,প্রিয় মানুষকে যদি বমি করতে দেখে সরে যাই কেউ,,,তাহলে সারাজীবন পাশে থাকাবে কেমন করে,মুখে তো হাজার হাজার বুলি সবাই দিতে পারে, বিপদে কতজন এগিয়ে আসে,,।
–
একটা সময় বিএফ/জিএফ এত এত ভালবাসে যে বাচার কথাও নাকি চিন্তা করতে পারে না,।
তার কিছুদিন পর দুজন দুজনের চোখের বিষ হয়ে যাই আর শেষ পযন্ত ব্রেকআপ,,আর হাস্যকর বিষয়টা হচ্ছে ব্রেকআপ বললে নাকি সব ছেড়ে ছুড়ে চলে যেতে হবে,,,তাহলে এসব রিলেশনের কি দরকার?বাট বৈধ রিলেশনটা দেখো,, সাদনান আর নুরের মত,,,
–
রাত দুইটাই নুরের ঝাকুনিতে সাদনানের ঘুম ভেঙে যাই,সাদনান ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখে নুর ওকে ডাকছে,নুর সাদনানের দিকে তাকিয়ে বলছে,,
চলবে,,,
(আজ গল্প ইডিট করার সময় পাই নি,নিজ দায়িত্বে বানান ভুল হলে শুধরে নিও প্লিজ)