সিক্ত সুভানুভব’ [১৬]

0
418

‘সিক্ত সুভানুভব’
[১৬]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

রোদ আলোকে খাইয়ে দিচ্ছে আর বকছে আর মনে মনে হাসছে,কারন আলোকে কাঁদতে দেখতে রোদ খুব পছন্দ করে?রোদ মুখে যাই বলুক আলোকে যে খুব ভালবাসে সেটা তো কারো অজানা নয়।রোদ নিজে হাতে আলোকে খাইয়ে দিচ্ছে, আর আলো মাথা নিচু করে খাচ্ছে,আলো আস্তে করে বললো।
আলোঃআমি আর খেতে পারছি না,আমার পেট ভরে গেছে।
রোদঃমিন মিন করছো কেন?কি বলছো জোরে বলো, আমি শুনতে পায় নি।
আলোঃআমি আর খাবো না,আমার পেট ভরে গেছে।
রোদঃনা এতটুকু শেষ করতে হবে,আর অল্প আছে।আর তোমার থেকে আমি কোন কথা শুনতে চেয়েছি, আমি খেতে বলছি সো তুমি এখন খাবে।

রোদ আলোকে জোর করে খাইয়ে মেডিসিন দেয়,তারপর নিচে চলে যায়।আলোর বেশি খাওয়া হয়ে গেছে,কেমন জানি গা গুলাচেছ এখন,আলো রুমে পায়চারী করছে।আজকে ওদের রিসিপশন, রোদ নিচে খাবার প্লেট রেখে,হাত ধুয়ে ঘুরতেই দেখে সামনে রোদের মা দাড়িয়ে আছে,রোদের আম্মু রোদের হাত ধরে উনার রুমে নিয়ে গেল,আর রোদকে বিছানায় বসিয়ে আলমারী খুলে শাড়ি আর অনেক গয়না রোদের হাতে দিয়ে রোদকে বলে,,

আম্মুঃআমি এগুলো আলোর হাতে দিতে পারতাম,তোর হাতে দিলাম কারন তুই এগুলো হাতে দিলে মেয়েটি বেশি খুশি হবে। আজ তুই তোর রানীকে তোর মনমত করে সাজাবি,আজকে কোন পার্লার থেকে মেয়ে আসবে না,আমি চাই তুই তোর মনের মত করে আলোকে বানিয়ে নে।
রোদ আলোকে এভাবে কষ্ট দিস না,মেয়েটা অনেক ভাল।তোকে খুব ভালবাসে তুই ওর সাথে কেন এমন করছিস বলতো,,,।

রোদঃতুমি যেমনটা বলবে তেমনই হবে,কারন আমার থেকে ওই মেয়েটিই তোমার কাছে বড় হয়ে গেছে। তাই আমি এখন যা বলবো যা করবো সবই খারাপ লাগবে।এজন্য আমি আর কিছু বলবো না,তোমরা যা বলবে তাই হবে,,

আম্মুঃরোদ মেয়েটির কোন দোস নাই,যা হয়েছে সব আ,, ম

রোদঃ আম্মু আমার জুরুরি ফোন এসেছে। আমি যাই কেমন,আর তোমার মেয়েকে বলে দিও আমার কথা মতো চলতে। তা না হলে,,,,,,,,,,,আর এখন আমি গেলাম।

আম্মু মন ভার করে চুপ করে রইলেন।

রোদ জিনিস গুলো হাতে নিয়ে চলে গেল,আর রোদের আম্মু বেডে বসে পড়ে।রোদ যা একরোখা আর জেদি কোন কথা শুনতেও চাচ্ছে না,ওকে যে কিছু বলার সুযোগই দিচ্ছে না।রোদ রুমে গিয়ে দেখে আলো বারান্দায় দাড়িয়ে আছে,রোদ রুম থেকে একটু জোরে গলাতেই বললো,,

রোদঃআজকে যে এতগুলো লোক এসে নতুন বউকে দেখবে,বাট সেই মেয়ে কি টাইম নিয়ে কোন ধারণা রাখে, সাজতে বসলে তো ৪ ঘন্টার আগে হবে না।এখন যদি সাওয়ার নিয়ে চুল না শুকায় পরে মাথা ব্যাথা বলে,প্যানপ্যানানি শুরু করবে।(দাঁতে দাঁত চেপে)

আলোঃ আচ্ছা আপনি সবসময় এমন খ্যাচ খ্যাচ করেন কেন?একটু মিষ্টি করেও তো বলতে পারেন কথাগুলো।আম্মু কি ছোট বেলাতে আপনাকে মধু খেতে দেয় নি,,(ভয়ে ভয়ে)

রোদঃকি বললে তুমি?ফাজিল মেয়ে আমি খ্যাচ খ্যাচ করি, তারাতারি সাওয়ার নিয়ে চুল শুকিয়ে নাও,আর যেন আমাকে বলতে না হয়।আমার এক কথা বার বার বলতে বিরক্ত লাগে, আর আমার আম্মু আমার মুখে মধু দেয়নি এজন্য মিষ্টি কথা আসে না(আলোর দিকে তেড়ে এসে)

আলোঃহুমম যাচ্ছি,আলো একটা সালোয়ার কামিজ নিয়ে ওয়াশরুমে গেল।আর রোদ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল,একটা কাজের জন্য, আলো সাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে ভাবছে,,,

আলোঃমুখে যত যাই বলুক আমাকে যে কতটা ভালবাসেন সেটা আমি জানি,সকালে খাইয়ে দেওয়া সময় প্রথমে মুখ চেপে ধরলেও পরে যে কতটা ভালবাসে খাইয়ে দিয়েছেন, সেটা তো আমি জানি।আমি তো জানি আমার উপর এখন অভিমান করে আছেন,আপনি যে আমাকে কথা শুনিয়ে নিজেও কষ্ট পান সেটা আপনার চোখ দেখেই বোঝা যায়।রোদ মশাই আপনি নিজেকে খোলসের ভেতরে আটকে রাখতে চান, আপনার রাগি লুকের পেছনে যে একটা পবিএ মন আছে আর সেখানেই যে আমি ছাড়া কেউ নেই।আপনি যত যাই বলুন আমিও দেখবো আপনি আমাকে কত কথা শুনাতে পারেন,আর কতবার এভাবে কাদাতে পারেন।

আলো সাওয়ারের নিচে দাড়িয়ে এসব ভাবছিলো,রোদ রুমে আসে একটা প্যাকেট হাতে নিয়ে আর এসে দেখে আলো এখনো ওয়াশরুম থেকে বের হয়নি,রোদ এবার ওয়াশরুমের দরজা নক করে আর দাঁতে দাঁত চেপে বলে।

রোদঃঅলরেডি ৫৩মিঃ পার হয়ে গেছে,তুমি কি ওয়াশরুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে।তোমাকে আর ৩ মিঃ সময় দিলাম তারাতারি বের হবে আর তা না হলে আজ সারাদিন তোমাকে ওয়াশরুমে রাখবো।

আলোঃআমার হয়ে গেছে,,আমি আসছি আসছি।

রোদের কথা শুনে আলো ভেজা শাড়িতেই দরজা খুলে দেয়,দরজা খোলার শব্দে রোদ পেছনে তাকিয়ে দেখে আলো মাথায় টাওয়াল পেচিয়ে, ভেজা শাড়িতে দাড়িয়ে আছে,রোদ ঘড়ির দিকে ইশারায় করলো আর বোঝালো, আলোর আর ২মিঃ সময় আছে,আলো আবার দরজা খুলে তারাতারি ড্রেস বদলে নিলো,আর কামিজ পড়ে নিল।তারাহুড়ো করে পড়ার জন্য এই কামিজটাও ভিজে গেলো।আলো তাড়াহুড়ো করে এবার রুমে গিয়ে রোদের সামনে দাঁড়ালো, রোদ আধশোয়া হয়ে ফোন ইউজ করছিলো,আলোর এভাবে এসে দাঁড়াতে রোদ মাথা তুলে আলোর দিকে তাকায়, আর ভ্রু কুচকে বলো,,

রোদঃএই কামিজটা ভিজলো কি করে?সাওয়ারে গেলে কি জামা-কাপড়ের সাথে যুদ্ধ করো নাকি?এটাও তো ভিজে গেছে তারাতারি বদলে নাও।

আলোঃআসলে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভিজে গেছে,শুকিয়ে যাবে সমস্যা নাই,এখন আর বদলাতে ইচ্ছে করছে না।

রোদঃতোমাকে বলিনি আমার মুখের উপর কথা বলবে না,আমি তোমাকে এই জামাটা বদলে ফেলতে বলছি, তাহলে তুমি এখন এটাই করবে।আমি কোন কথা শুনতে চায়না।আর এবার যদি একটা কথা বলো তাহলে আমি মুখে বলবো না নিজের হাতে করে দেখাবো,,,মাইন্ড ইট।

আলোঃহুমম যাচ্ছি।

আলো আর একটা জামা পড়ে
নিল,আর ড্রেয়িং টেবিলের সামনে বসে চুল শুকাচেছ হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে, আর রোদ ফাইল দেখছিলো মনেযোগ দিয়ে,আলো আয়নাতে রোদকেই দেখছে আর আয়নাতেই আলো রোদকে কিস করার মত করতেই রোদ আলোর দিকে তাকায়,আলো এমন একটা ভাব করে যেন ও কিছু জানেই না,রোদ মনে মনে হাসলো আর নিজেও কিছু দেখে নি এমন ভাব করে আবার ফাইল দেখাতে মনোযোগ দিল।রোদ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখছে ৪৭ মিনিটে আলোর চুল শুকানো হয় নি,রোদ এবার উঠে আলোর হাত থেকে হেয়ার ড্রায়ারটা কেড়ে নিয়ে নিজেই চুল শুকানোর কাজে লেগে পড়লো।রোদ খুব যত্ন করে আলোর চুলগুলো উল্টে পাল্টে শুকাচেছ আর আলো আয়নাতে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে।আলো রোদের দিকে তাকিয়ে মনে ভাবছে,,

আলোঃএই ছেলের কত রুপ দেখবো কে জানো?কখনো বকা দেয়, কখনো ভালবাসা দেখায়, কখনো দুরে সরিয়ে দেয় কখনো খুব কাছে নেয় নেই,কখনো আমার জন্য কাঁদায়, আবার কখনো খুব অপমান করে,নিজেই এসে আদর দেয়।এত রূপ দেখে আরো বেশি করে প্রেমে পড়ে যাচ্ছি তোমার রোদ মেহবুব,(মনে মনে)

রোদঃএই মেয়ে তুমি কি ঘুমিয়ে গেলে নাকি?এতবার ডাকছি সাড়া দিচ্ছো না কেন?

আলোঃহুম বলুন কি বলবেন?আমি শুনতে পাচ্ছি,,,

রোদঃএই মেয়ে তোমার কমন সেন্স বলতে কিছু নেই,কামিজের উপর শাড়ি পড়বা তুমি,যাও তারাতারি বদলে এসো আমার হাতে সময় নেয়।

আলোঃআপনি যেতে পারেন, আম্মু আমাকে পড়িয়ে দিবে সমস্যা নাই,আমি আম্মুকে ডেকে দিন তাহলেই হবে।

রোদঃ আম্মু আমাকেই বলছে,আর এখন আমি তোমার কাছে কোন কৈফিয়ত দিবো না। যা বলছি করো তা না হলে আমিই তোমাকে,,,

আলোঃনাআআআআা আমি আসছি,বাট আপনি শাড়ি পড়াবেন আমার কেমন জানি লাগছে।

রোদঃএই তোমার এত ন্যাকামি দেখার সময় নাই,তারাতারি করো গেস্টরা চলে আসবে।(দাঁতে দাঁত চেপে)

আলোঃ যাচ্ছি।

আলো ওয়াশরুমে আবার যায় ব্লাউজ,আর পেটিকোট পড়তে,আর রোদ মনে মনে বলে,,,,

রোদঃঢং দেখে বাঁচি না কেন রে তুই না আমার বউ।তাহলে আমার সামনে এত লজ্জা পাবার কি দরকার?আম্মু কথাতে আমি রাজি হয়ে গেছি কারণ আমিও তো তোমাকে নিজে হাতে সাজাতে চাই, দেখতে চাই তোমাকে আমার মনের মত করে সাজালে কেমন দেখায়,আর উনার নাকি কেমন কেমন লাগছে।(মনে মনে)


আলো ওগুলো পড়ে টাওয়াল পেচিয়ে গুটিশুটি হয়ে রোদের সামনে দাড়ায়,রোদ মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে আলো টাওয়াল পেচিয়ে আছে।রোদ উঠে টাওয়াল খুলে বিছানাতে ছুড়ে মারে আর আলো এত খুব লজ্জা পেয়ে রোদকে জড়িয়ে ধরে।রোদ মুছকি হাসি দেয়,বাট আলো দেখতে পায় না।আলো চোখ বন্ধ করে আলোকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে,রোদ আলোকে বলে,,

রোদঃআমি এভাবেই দাড়িয়ে থাকছি,আপনার লজ্জা পাওয়া শেষ হয়ে গেলে,আমাকে বলবেন আমি আপনাকে শাড়ি পড়তে সাহায্য করবো কেমন।

আলোঃ প্লিজ রোদ আমার সত্যি খুব লজ্জা লাগছে, তুমি ওড়না দিয়ে আমার চোখ বেঁধে দাও নইতো তোমার চোখে চোখ পড়লে আমি আরো বেশি লজ্জা পাবো,,প্লিজ।

রোদঃ ওকে এত ঢং করতে হবে না,আমি ওড়না দিয়ে তোমার চোখ বেঁধে দিচ্ছি।

রোদ সত্যি সত্যি আলোর চোখ বেধে দেয়, রোদের চোখ বাঁধলে তো শাড়ি পরাতে পারবে না এজন্য, রোদ যখন শাড়ি পরাতে চাচ্ছে নিজে থেকে,আলো রোদকে জোর দিয়েও না বলতেও পারছে না।আলোর চোখ বাঁধা অবস্থাতে দাড়িয়ে আছে আর রোদ ওর মুখ চেপে হেসেই যাচ্ছে কারন আলোর মুখের অবস্থা দেখে যে কারো হাসি পাবে।রোদ একটা জিনিস খেয়াল করছে আলো ওকে তুমি বলে ডেকছে,এতে রোদ খুব খুশিও হয়েছে আর রাগটা কমছে।রোদ ওর হাসি কনট্রোল করে আলোর দিকে এগিয়ে যাই আর আলোর কোমরে শাড়ি গুজতেই আলো লাফ দিয়ে উঠে,রোদ ভ্রু কুচকে ওর দিকে তাকায়,,, আর তখনই মেঘ এসে দরজা ধাক্কাতে থাকে,,

রোদঃকি হলো এভাবে লাফ দিচ্ছো কেন?
আলোঃআসলে আমার কাতুকুতু লাগছে এজন্য।
মেঘঃও বউমনি,,,,
আলোঃহুম মেঘ বলো,,
মেঘঃকি করছো দরজাটা খোলো,,
আলোঃআমি তো শাড়ি পড়ছি একটু পর এসে মেঘবাবু প্লিজ
মেঘঃদাভাই আছে তোমার সাথে,,
আলোঃহ্যা আছে তো,শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছে আমাকে (জিহ্বাতে কামড় দিয়ে)
মেঘঃওহ আচ্ছা,,
রোদঃহুম যেটার ভয় পাচ্ছিলাম, সেটা হলো।এখন মেঘ পুরো বাড়িতে সবাইকে ডেকে এটাই বলবে,,আচ্ছা তোমার বুদ্ধি বলতে কিছু নাই না,যে ছোট দেবরকে বলছো তারই দাভাই তোমাকে শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছে?আসলে তুমি একটা গাধী।

আলোঃইয়ে মানে কথায় কথায় বলে দিসি।

রোদের আম্মু সহ অনেক রিলেটিভরা বসে আছে,সবাই বসে কথা বলছিলো,আর রোদের আম্মু রোদকে একটু দরকার ছিল এজন্য ডাকতে পাঠিয়েছিলো।এবার মেঘ সিড়ের উপর দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলে,,,

মেঘঃওহহ আম্মু দাভাই আসতে পারবে না,বউমনি শাড়ি পড়তে পারে না এজন্য দাভাই বউমনিকে শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছে, তাই দাভাই এখন খুব বিজি আছে ,পরে আসবে।

আম্মু অবাক হয়ে তাকার আর বাকিরা সবাই হাসতে হাসতে লাগল। একজন তো বলেই দিল, “একদিনেই রোদ বউপাগল হয়ে গেল।”
রোদঃ হয়ে গেলো,,,,বাহ্ রুম থেকে শোনা যাচ্ছে মেঘ সবাইকে বলছে।
আলোঃআমি আসলে বুঝতে পারি নি বিষয়টা এমন হবে,আমি সরি।

রোদঃতুমি তো কিছু জানো না?কিছু বুঝোও না, শুধু অসহ্যকর ন্যাকামি গুলো করতে পারো। আর অভিনয় গুলো করে সিমপ্যাথি আদায় করতে পারো তাই না মিসেস রোদ মেহবুব।

আলো আর কিছু বললো না,রোদ আলোকে শাড়ি পরানো শুরু করলো বেড সাইডে ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে,,,, আলোর কুতু লাগলেও আলো কিছু বলছে না,রোদ কুচি গুলো করে আলোর হাতে দেয় আর গুজতে বলে,আলো চোখ বাধার জন্য দেখতে পাচ্ছে না এজন্য উল্টো করে গুজে, রোদ আবার ঠিক করে এবার আলোর হাত নিয়েই গুজে দেয় । তারপর নিচে বসে কুচি গুলো ঠিক করে দেয় আর আঁচল ঠিক করে দেয়,এবার আলোর চোখ খুলে ওকে ড্রয়িংটেবিলের সামনের টুলের উপর বসায়,রোদ ইউটিউব দেখে দেখেই সামনে হালকা করে ফুলিয়ে খোঁপা করার চেষ্টা করে বাট পারে না।আলো এবার রোদকে সাহায্য করে,রোদ খোপাতে ক্লিপ আটকে গোলাপের গাজরা আটকে দেয়
(তখন রোদ গোলাপের গাজরাই আনতে গিয়েছিলো)

আজকে আলো নীল পরী সেজেছে,ওর নীল রংটা ওর ফর্সা শরীরের ফুটে উঠেছে,রোদ নিজেই চোখ ফেরাতে পারছেনা।
(আপনারা নজর দিবেন না।)
আলো বসে বসে রোদের কাজ দেখছে,রোদ আলোকে হালকা করে ফেসপাউডার দিয়ে খুব যত্ন করে টানা করে কাজল দিয়ে দেয়, সাথে মাসকারা আর ঠোঁটে লিপস্টিক।তবে লিপস্টিক দেওয়ার সময় রোদের হাত কাঁপছে আলোর সেটা বুঝতে পেরে হেসে দেয়,রোদ রেগে গিয়ে আলোকে একটানে দাঁড় করিয়ে ড্রেসিংটেবিলের সাথে চেপে ধরে আর ঠোঁটে ঠোঁট বসায়,রোদ যে এমন করবে আলো ভাবতেও পারে নি।

আলো রোদের টিশার্ট খামছে ধরে আছে,রোদ এতক্ষণ কনট্রোল করলেও এখন আলোর ঠোঁটের একটা কাছে এসে নিজেকে আর আটকাতে পারে নি।রোদ এমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছে, রোদের খেয়ালই নেয় ও কি করছো?এদিকে আলোর দম বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম আলো রোদকে একটা ধাক্কা দিয়েও সরাতে পারছে না,আলোর কোন উপায় না পেয়ে রোদ ঠোঁটে কামড় বসায়।

রোদ চোখ বন্ধ করে নেয় ব্যাথা পেয়ে তাও ছাড়তে চায়না এবার আলো সজোরে ধাক্কা দেয় রোদকে সরিয়ে হাঁপাতে থাকে,রোদ বেডে মাথার চুল খামছে ধরে মাথা নিচু করে বসে থাকে।আলো বুঝতে পারছে রোদ হয়তো এখন গিলটি ফিল করবে এজন্য আলো ওর ঠোঁট মুছে গয়না গুলো রোদের দিকে বাড়িয়ে দেয় পড়িয়ে দেওয়া জন্য। রোদ আলোর চোখের দিকে তাকায় দেখে খুব শান্ত দৃষ্টিতে আলো রোদের দিকে তাকিয়ে আছে,মনে হচ্ছে কিছুই হয় নি।

রোদ আলোর হাত থেকে গয়না গুলো নিয়ে পড়িয়ে দিতে থাকে,রোদ ওর আলমারী থেকে ওর কেনা নুপূর আর কোমর বন্ধনীটা পরিয়ে দেয়,হাতে চুর,কপালে টিকলি,গলাতে সীতাহার, নাকে নোলক,,,আলোকে মুখে খুব হালকা সাজ আর গয়না গুলোর পড়িয়ে দেওয়া জন্য একটা পুতুল পুতুল লাগছে,রোদ কল্পনাও করেনি আলোকে এতটা সুন্দর করে সাজাতে পারবে,রোদ পেছনে ঘুরে মাথা চুলকে মনে মনে বলছে,,
রোদঃআল্লাহ তোমার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আমার এই পুতুল বউটাকে,আমার কাছে আবার ফিরিয়ে দেওয়া জন্য।

চলবে,,
( এবার থেকে গল্পটা খুব রোমান্টিক হবে,গল্পকে সব সময় গল্পই মনে করবেন, বাস্তবের সাথে মেলাতে যাবেন না।আর কেমন হচ্ছে অবশ্যই জানাবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here