‘সিক্ত সুভানুভব’
[১৩]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
রোদেরা গাড়িটা উঠে বসে,রোদের সাদা গাড়িটা শুধু লাল গোলাপ দিয়ে সাজানো হয়েছে,রোদের পাশে আবির বসতে নিলে মেঘ এসে ঠাস করে বসে পড়ে,আর আবিরদের দিকে তাকিয়ে বলে তুমি ড্রাইভার কাকুর পাশে বসো প্লিজ,, আমি এখানে বসি, আমরা আমরাই তো তাই না,মেঘের কথা শুনে সবাই হেসে দেয় রোদের বন্ধুরা চারজন মেঘ আর রোদ একটা গাড়িতে বসে,রোদ ওর মাথার পাগড়ী খুলে, মেঘের মাথায় পড়িয়ে। মেঘ ভ্রু কুচকে রোদের দিকে তাকিয়ে বলে,,
–
মেঘঃদাভাই পাগড়ী গছিয়ে দিচ্ছো ঠিক আছে বাট বউ দিও না,আমি কিনতু এত বড় বউ সামলাতে পারবো না।
বাকিরা সবাই হাসছে।
মেঘঃড্রাইভার কাকু গান দাও তো, সাকি সাকি গানটা দাও, এভাবে বিড়ালের মত বসে থাকতে ভালো লাগছে না।
সাগরঃ একদম ঠিক বলছে মেঘ,,,
আবিরঃহুম হুম,,
রোদঃগান দিবে কেন?এমনিতেই বসে থাক তো,আমার ভালো লাগছে না।
ফাহাদঃচুপপ কর তুই,বরদের বেশি কথা বলতে নেয়,।
–
তারপর উরাধুরা গানের সাথে সবাই চেচাঁমেচি শুরু করে দিসে,মেঘের সাথে বাকিরাও নাচানাচি শুরু করে দিসে।বাকিরা আসছে পেছনে তিনটা গাড়িতে,ওদের গান আর চেচাঁমেচিতে রাস্তার মানুষ গুলো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে,রোদের এসব ভালো লাগছে না।মেঘের জন্য কিছু বলতেও পারছে না,রোদ সিটে হেলান দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে।মেঘ আর আবির দুজনেই বসে বসে নাচতে বিজি হয়ে আছে,ওদের এমন নাচ দেখে ফাহাদ,সাগর,ড্রাইভারও হাসতে হাসতে শেষ।রোদ ঘাড় ঘুরিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে না হেসে পারলো না কিন্তু আবার কি মনে করে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে,বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে?
–
এভাবে ওরা অনেক মজা করতে করতে ইবনাতের বাসায় পৌঁছায়,ইবনাতরাও কম যায় না রোদদের থেকে সেটা ওদের সাজানো আর বাড়ি থেকে বোঝা যাচ্ছে,রোদকে গাড়ি থেকে নামায় আর ইবনাতের কাজিনরা গেটে আটকে দেয়,রোদের বাপি জানে রোদ মুখচোরা কিছু বলে দিলে অঘটন ঘটে যাবে,তাই উনি সব সামলে নিলেন
রোদকে মিষ্টি খাইয়ে ফিতা কেটে সামনে এগোতে থাকে,পুরো রাস্তাতে লাল কার্পেট বিছানাে, আর দুইপাশ থেকে কয়েকজন গোলাপের পাপাড়ি ছিটিয়ে দিচ্ছে,রোদের জন্য একটা জায়গা করা হয়েছে,ইবনাতে বাবা গিয়ে রোদের সাথে কথা বলে।রোদ ভদ্র একটা ছেলের মত বসে আছে,অনেকজন এসে বর দেখে যাচ্ছে।রোদের বুকের ভেতরে কেমন জানি ছটপটানি বেড়ে গেছে,রোদের মন চাচ্ছে এখান থেকে এক দৌড়ে পালিয়ে যাই,আলোকে হারানোর কষ্টটা মনে হচ্ছে এখন হাজার গুন বাড়িয়ে দিয়েছে,রোদের কেন জানি চোখ দিয়ে অঝরে পানি পড়ছে রোদ কোন রকম সবার আড়লে চোখ মুখে নিল।আর মনে মনে বলছে,,
–
রোদঃহে আল্লাহ একোন পরীক্ষাতে ফেললে আমাকে,এর থেকে মৃত্যুটাও মনে হয় সহজ হতো,বার বার তো এভাবে পুড়তে হতো না,
আবিরঃরোদ তুই ঠিক আছিস?কি হয়েছে তোর,তুই ঠিক আছিস তো,,
রোদঃহুমম(মাথা এদিক ওদিক ঘুরিয়ে
ফাহাদঃরোদ নিজেকে সামলা ইয়ার,আর কত কষ্ট পাবি তুই।আজকে অন্য কারো সাথে তোর জীবনের মোড় ঘুরতেযাচ্ছে।তাই অতীতে মুছে ফেল আর নতুনকে বরণ করে নে।
রোদঃহুমম
–
সাগর উঠে রোদকে পানি এনে দিল,রোদ এক সাইডে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিল আর একটু পানি খেয়ে নিল।আর টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নিল।সবাই এসে রোদের সাথে কথা বলছে, রোদও কাঁপা কাঁপা গলায় হেসে হেসে উওর দিচ্ছে।একটা সময় কাজি ইবনাতের কাছে গিয়ে আগে বিয়ে পড়ায় তারপর রোদের কাছে যাই,রোদের মনে হচ্ছে ওর পৃথিবী এখানে থমকে যাচ্ছে,রোদ এত পরিমান কষ্ট পাচ্ছে পুরো মুখ, চোখ লাল হয়ে আছে,রোদ এতই মশগুল ছিলো যে পাএী নামটা শোনার মত হুশ তার ছিলো না,কাজি কবুল বলতে বলে বাট রোদ ওভাবেই বসে আছে,মেয়ের কবুল বলতে দেরি হয় বাট একটা ছেলেরও যে কবুল বলতে এত সময় লাগে সেটা রোদকে না দেখলে বোঝা যেতো ন। কাজিও এটা দেখে না অবাক হয়ে পারলো না।
–
।ফাহাদ,আবির, সাগর রোদকে কবুল বলতে বলছে বাট রোদ থম মেরে বসে আছে,কিছু সময় যাওয়ার পর রোদ নিজের চোখ বন্ধ করে, ওর মায়ের মুখটা মনে করে কবুল বলে দেয়,আর রোদের চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে,ইবনাতের বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যাই,কারন এমন ঘটনা এর আগে কেউ দেখেনি, কোন ছেলেকে এমন কাজ করতে।কেউ তো জানে না রোদের বুকের ভেতর আসলে কি হচ্ছে? কারো বোঝার কথাও না,কারন যে এমন পরিস্থিতিতে পরে সেই জানে,এই মুহূর্তের তার কেমন লাগছে।রোদ ওর দুইহাত দিয়ে ওর মুখ ঢেকে নেয়।এবার ইবনাতকে রোদের পাশে এসে বসায়,ইবনাতে অসম্ভব সুন্দর দেখতে আর সবথেকে ফাহাদ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,ফাহাদ এত পরিমানের অবাক হয়েছে যে,রোদকে কি বলবে ও নিজের চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।রোদ বুঝতে পারছে কেউ ওর পাশে এসে বসেছে বাট ওর কোন আগ্রহ নেয় ঘুরে তাকিয়ে দেখার।ইবনাত ঘোমটা আড়ালে বার বার রোদের দিকে তাকাচ্ছে,,
–
রোদের কেমন জানি মনে হচ্ছে খুব চেনা কেউ তার আশেপাশে আছে,রোদ চোখে আবার পানি চলে এসেছে চোখ মুখতে গিয়ে রোদের পাশে বসে থাকা মেয়েটার বাম হাতের দিকে চোখ যায়,কারন মেয়েটা বাম হাতে একটা জরুল(জন্মদাগ),সেটা আলোর হাতে রোদ এর আগে দেখেছিল।আর সেটা হরিণ আকৃতির অনেক সুন্দর,রোদের মনে আছে সেইম দাগ ও আলোর হাতে দেখেছিলো।
(লেখিকার বাম হাতে আছে তাই,আলোর নামেই চালিয়ে দিলাম।)
–
রোদ সাথে সাথে পাশে বসা মেয়েটার দিকে তাকায়, আর পাশে বসা মেয়েটা মুখের দিকে তাকিয়ে হাজার ভোল্টেজের শক খায়,রোদ সাথে সাথে ফাহাদের দিকে তাকায়,ফাহাদও রোদের দিকে তাকিয়ে বোঝাও রোদ যা দেখছে,সব সত্যি।বন্ধুদের মাঝে ফাহাদই আলোকে দেখেছিলো এজন্য,রোদ আলোর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,আলো এতক্ষণ মাথা নিচু করে থাকলেও এবার ছলছল করা কাজল চোখে রোদের দিকে মুখে তুলে তাকায়।দুজনের চোখেই আজ হাজারও না বলা কথা,আর নিজেদের এভাবে হারিয়ে ফেলার ভয়,আর অসীম ভালবাসা সেটা ওর চোখ বলে দিচ্ছে,রোদের মুখে ভাষা হারিয়ে ফেলছে কারন যাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে এতক্ষণএত কষ্ট পাচ্ছে আর সে কি না,তারপাশে বসে আসে।রোদ কল্পনাও করে নি,ওর জন্য এত বড় সারপ্রাইজ আছে।রোদ আলোকে কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারছে না,আশপাশের মানুষ গুলো তাকিয়ে আছে এজন্য।
–
এটা দুই পরিবারের সবাই দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিলো শুধু,
হুট করে কোথায় থেকে রোদের আম্মু এসে রোদ আর আলো হাত ধরে টেনে তোলে,একটা রুমে নিয়ে যাই।তারপর ওদের রুমে রেখে বাইরে থেকে ডোর হালকা করে লাগিয়ে চলে যাই।রোদের আম্মু খুব ভালো করেই জানে ওদের মনের ভেতরে আসলে কি চলছে,এজন্য রোদ কথা বলার একটু সুযোগ করে দিল।রোদের আম্মুর ওদের দুজনের প্রতি দুজনের এত গভীর ভালবাসা দেখে মন থেকে ওদের জন্য দোয়া করে করলো।
–
রোদ আলো দিকে তাকিয়ে আছে,আর ওর চোখ দিয়ে অঝোর ধারাতে অশ্রু বেয়ে পড়ছে,সাথে আলোরও। রোদ ওর মাথার পাগড়ী খুলে ছুড়ে ফেলে আর একটানে আলোকে ঘুরিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে,রোদ আলোকে এত শক্ত করে ধরেছে যে, আলোর নিঃশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম।রোদ এবার আলোকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে দেয়,তিনটা বছর কিভাবে কেটেছে,শুধু ওরাই জানে?রোদ আলোকে জড়িয়ে ধরছে মনে হচ্ছে ওকে বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে নিলে পারলে ,রোদ শান্ত হবে।
–
(কি ফাজিল পোলা রে বাবা এভাবে একটা বাচ্চাকে ধরে,উফফ রে এবার এভাবে চেপে ধরে মেরে না ফেললেই হয়,আর একটা ছেলে এত কাঁদতে পারে রোদকে না দেখলে বুঝতাম না)
–
আলোও রোদের শেরওয়ানি খামচে ধরে কাঁদছিলো,আস্তে আস্তে আলো জোরে কেঁদে কারন একটা মেয়ে হাজার কষ্ট দেখে উপেক্ষা করলেও,তার ভালবাসার মানুষের চোখের পানি সহ্য করতে পারে না।রোদের এভাবে কান্না করারটা আলোকে আরো বেশি ইমোশনাল করে দিয়েছে,আলোর কান্না আওয়াজে, আর রোদকে আলো সরি বলাতে ,রোদের হাতের বাঁধন আস্তে আস্তে ঢিলা হতে থাকে,হঠাৎ করে রোদ আলোকে একটা ধাক্কা দেয়, আর রাগী চোখে আলোর দিকে তাকিয়ে একটা আঙুল তুলে আলোর দিকে নাড়িয়ে, মাথার পাগড়ী তুলে চোখ মুছতে মুছতে দরজার কাছে যায়।আর রুমের দরজা ধাক্কা দিতেই খুলে যায়, রোদের একা বের হতে দেখে,রোদের আম্মু আলোকে কাছে যায়,আর গিয়ে দেখে আলো মেঘেতে বসে খুব কাঁদছে,,, আর
–
আলোঃআমি সরি রোদ,আমি তোমাকে এভাবে কষ্ট দিতে চাই নি,আমাকে তুমি মাফ করে দাও প্লিজ।আমিও তোমাকে খুব ভালবাসি রোদ,আমি আমার জীবনের থেকে বেশি ভালবাসি রোদ।এই তিনটা বছর তোমার এত কষ্ট, এত চোখের পানি আমি দেখছি রোদ,আমি তোমাকে কষ্ট পেতে দেখছি,বাট আমার কিছু করার ছিলো না।,,,,,,রোদ i love you,,,,,,,, i really sorry rod,আমাকে ভুল বুঝে থেকো না রোদ।
রোদের আম্মুঃএই মেয়ে এভাবে কাঁদছিস কেন?সব ঠিক হয়ে যাবে তো,একদম কাদবি না তুই এভাবে,,,,আর এত সুন্দর করে সাজগোজ করে এভাবে কাঁদলে, তোকে তো পেত্নীর মত লাগবে,তখন আমার ছেলে ভয়ে তোকে দেখে দৌড়ে পালাবে।আর কান্না করিস না আলো,কাজল লেপ্টে যাচ্ছে তো,,,
আলোঃ আম্মু তোমার ছেলে আমাকে ভুল বুঝেছে,আমার উপর অভিমান করে চলে গেছে।এতদিন পর দেখা হলো তাও একটা কথাও বললো না আমার সাথে,এতদিন দুরে ছিলাম এবার এতটা কাছে এসে যদি আমাকে দুরে ঠেলে দেয় তো আমি মারা যাবো আম্মু।
আম্মুঃএভাবে কাঁদলে কিন্ত সত্যি তোকে আমার বাসায় নিয়ে যাবো না,দেখি চোখ মুখ দেই,,,আর কাঁদলে কিন্ত সত্যি আমি খুব রেগে যাবো।
–
রোদের আম্মু আলো মুখ মুছে দিয়ে, আর লেপ্টে যাওয়া কাজল ঠিক করে দেয়,আলোর হাতে ধরে রোদের পাশে গিয়ে আবার বসিয়ে দেয়,রোদ একবার আলোর দিকে তাকালোও না।রোদের আম্মু রোদকে কিছু বললো না,এবার শুরু হলো ফটো শুট,যে যার মত পিক তুলেই যাচ্ছে।আলো রোদের দিকে তাকিয়ে রোদ যাতে শুনতে পায় এমন ভাবে একটা বললো,
–
আলোঃএত সুন্দর করে সাজলাম,একটু তাকালে কি এমন হবে শুনি তোমার জন্য সেজেছি আর তুমিই দেখছো না।আমি সরি রোদ,,
আর রোদ মনে মনে বলছে,,
রোদঃ(আলো তুমি তিনটা বছরে আমাকে যতটুকু কষ্ট দিয়েছো,আমাকে যতটুকু কাঁদিয়েছো আমি তার দশগুন কষ্ট দিবো,আজ আমি তোমাকে কথা দিলাম।রোদের ভালবাসাকে তুমি অবহেলা করছো,আমাকে টেনশন, এত কষ্ট দিয়েছো এর হিসাব বরাবর আমি করবোই। তুমি যদি আমার কষ্টটা ফিল করতে তাহলে, আমাকে এভাবে দুরে সরিয়ে রাখতে না।তারমানে তুমি এসব কি জানতে?তারপরেও এত লুকোচুরি করছো?আমাকে ইচ্ছে করে এত কষ্ট দিয়েছে,তোমাকে এত সহজে ছেড়ে দেয় কি করে বলো তো।
তবে আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে, তোমাকে আমাকে কাছে ফিরিয়ে দেওয়া জন্য।তবে তুমি এবার থেকে নতুন রোদকে দেখবে আফকিয়া ইবনাত(আলো),আমি কল্পনা করি নি তুমি জেনে শুনে আমাকে অন্ধকারে রাখবে,আমাকে এভাবে কষ্ট দিবে।আচ্ছা আমিও তোমাকে সব শুধে আসলে শোধ করে দিবো।তা না হলে আমিও রোদ মেহবুব না,,,,,,রোদ, মনে মনে বললো)
–
রোদের বন্ধুরা রোদকে খোঁচা মারতে থাকে,এবার বিয়ে বাড়ি মনে হচ্ছে প্রাণ পেয়েছে,রোদ আর আলোর অনেক কাপল পিক তুললো,সাথে দুই পরিবার মিলেও এবার ওদের খাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হলো,রোদ আর আলো এক টেবিলে বসলো, রোদ উঠে ওর বন্ধুদের কাছে বসতে গেলে রোদের আম্মু আবার এসে রোদকে আলোর পাশে বসিয়ে দেয়। একজন সার্ভেন্ট এসে ওদের খাবার বেড়ে দেয়,রোদ একমনে খেয়ে যাচ্ছে,রোদ আড়চোখে তাকিয়ে দেখছে,,আলো মাথানিচু করে খাবার নেড়ে যাচ্ছে বাট খাচ্ছে না।তবে ওর চোখ দিয়ে পানি পড়তেই আছে,রোদ মনে মনে হাসলো আর আলোর দিকে না তাকিয়ে বললো,,
–
রোদঃএসব ন্যাকামি বন্ধ করেন,আমি সহ্য করতে পারছি না।এসব ন্যাকামি বন্ধ না করলে আমি উঠে চলে যাবো।
(কেবল তো শুরু হলো আপনার কান্না দিন, তবে কাদলে আপনাকে খুব একটা খারাপ দেখায় না।আপনাকে আমি ইচ্ছে করেই কাদাবো কারন আপনার কান্না করা মুখ দেখতে যে আমি বড্ড ভালবাসি,)
–
আলোঃহুমমম।
–
চলবে,,
(কেমন হয়েছে জানাবেন,,,,,আগেই হাইপার হবেন না সব রহস্য জানতে পারবেন)