‘সিক্ত সুভানুভব’
[১৪]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
খাওয়ার পর্ব শেষ করে দুজনকে আবার বসানো হলো তারপর আর কিছু সময় ওরা ওখানে থেকে রোদের বাবা আলোর বাবাকে ডেকে আলোকে বিদায় দিতে বললো,রোদ মনে মনে ভাবছে আলোর বাবা আসলো কোথায় থেকে?আর এটা তো আলোর আম্মু না, আমিতো আলোর আম্মুকে চিনি ছবিতে দেখছি,রোদের সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে, এখানে যে বড় কোন রহস্য আছে রোদ বুঝতে পারছে বাট ধরতে পারছে না, আসল কাহিনী কি?
–
রোদের বাবা এবার তাড়াহুড়ো শুরু করলো, কারন অনেকটা রাস্তা যেতে হবে। আলোকে ওর বাবা/মা বিদায় দিতে আসলো,সবাই সারা বাড়িতে কান্নার একটা রোল পড়লো।রোদ শুধু রাগী চোখে আলোর দিকে তাকিয়ে আছে,মেঘ ঘুরে ঘুরে আলোর কান্না দেখছে,মেঘ বুঝতে পারছেনা ওর নতুন বউমনি এভাবে কাঁদছে কেন?এতটা সময়টা ভালো ছিল।তাহলে এখন এভাবে হাউমাউ করে কাঁদছে কেন?
–
আলো ওর বাবাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো তারপর ওর মাকে।আসলে আলোর নতুন বাবা /মায়ের কোন ছেলে মেয়ে নেই,রোদের আম্মু আলোকে এনে দিয়েছে তাদের জীবনে আর আলোও পেয়েছে তার হারিয়ে যাওয়া বাবা মা, আলো এতদিন বাংলাদেশে ছিলো না এই তিনটা বছর সিঙ্গাপুর ছিল,ওখানে থেকে পড়াশোনা করছে,আলোকে পেয়ে একজন বাবা মায়ের ফাঁকা কোল পূর্ণ হলো আর একজন অসহায় মেয়ে বাবা মা পেয়ে তা মাথা উপর বাবা/মা নামক বটবৃক্ষ পেলো,আর এসব কিছু করার পেছনে একমাএ যে ছিলো উনি হচ্ছে ,,, রোদের আম্মু,,,,।
(বাকিটা আবার পরে বলবো,আসলে সেদিন আলো কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলো আর কিভাবে?)
–
আলো কেঁদেই যাচ্ছে, আর রোদ দাড়িয়ে দাড়িয়ে ওর কান্না করা দেখছে,আর মেঘ রোদের কাছে গিয়ে,হাত বাড়িয়ে ইশারা করলো মেঘকে কোলে নেওয়া জন্য, রোদ মেঘকে কোলে নিলো,মেঘ কোলে উঠে রোদের গলা জড়িয়ে রোদকে জিজ্ঞাসা করলো,,
মেঘঃদাভাই এই বউমনিকে তো আমি চিনি,হোস্টেলে তো এই বউমনির সাথেই কথা বলছিলাম আমি,,,আর এভাবে কাঁদছে কেন?তুমি চুপ করতে বলছো না কেন?
রোদঃতোমার নতুন বউমনি সারাজীবনের কান্না এখুনি কেঁদে নিচেছ,এরপর থেকে আমাকে কাঁদাবে এজন্য। বুঝলে
(রোদের মেঘের কথাতেও ডাউট হচ্ছে বাট এখন কথা তুললো না আর?তাই না বোঝার ভান করে চেপে গেল)
রোদের বন্ধুরাঃ ঠিক বলছিস রোদ।
মেঘঃও আচ্ছা এবার বুঝলাম,আচ্ছা আমাকে নামাও তো।আমি তাহলে বউমনির কান্না টা ভিডিও করে রাখি,সারাজীবনে ব্যাপার আর বউমনি কান্না করা ভুলে গেলে,ভিডিও দেখিয়ে মনে করিয়ে দিবো।
–
বাবা মায়ের কাছে সন্তানই হচ্ছে তাদের পৃথিবী, সেটা যতই এড্রোপ নেওয়া হোক বা নিজের,ওরা অনেক কান্নাকাটি করলো,,,
আলোঃবাবা তুমি ভালো থেকো আর নিজের যত্ন নিবা,আম্মুর দিকেও খেয়াল রাখবা। আম্মু কত ভুলোমনা তুমি তো জানো?বাবা তোমাদের ছেড়ে যেতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে,এতদিন এত ভালবাসা দিয়েছো যে ভুলেই গিয়েছিলাম আমি কে? আর কি ছিলাম?বাবা আমি তোমাদের অনেক ভালবাসি।
–
আলোকে ওর নতুন বাবা মা সত্যি খুব ভালবেসে,আলোও ওদের নিজের বাবার মায়ের মত ভালবেসেছে,ওদের দেখে কেউ বলতে পারবে না,উনারা আলোর নিজের বাবা মা না,এবার রোদ আর আলোকে নিয়ে গাড়িতে বসায় রোদের বাপি। রোদ, আলো আর মেঘ একগাড়িতে বসে সাথে ফাহাদ আর আবির,বাকিরা অন্য গাড়িতে। রোদের মনটা খুব ভাল সেটা ওর মুখে দেখেই বোঝা যাচ্ছে বাট একটা রাগ রাগ ভাব নিয়ে আছে,আলো গাড়িতে বসেও কেঁদে যাচ্ছে। আর মেঘ মাথা নিচু করে আলোর কান্না দেখছে,মেঘ একটা টিস্যু বক্স নিয়ে আলো দিকে এগিয়ে দিল,মেঘের কান্ড দেখে সবাই মুছকি মুছকি হাসছে।আলো কেঁদেই যাচ্ছে রোদ আলোর দিকে রাগিচোখে তাকিয়ে একটা ধমক দিলো,আলো এবার জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করলো,,।
–
রোদঃএসব ন্যাকামি বন্ধ করো, তিনটা বছর আমাকে কাঁদিয়ে এখন এসোছো এসব ন্যাকামি করে, আমার মন গলানোর জন্য,সেটা কখনোই হবে না।আর একবার যদি কান্নার সাউন্ড আমার কানে আসে তাহলে তোমাকে কি করবো সেটা করলেই বুঝতে পারবে?
ফাহাদঃউফফফ রোদ এভাবে কথা বলছিস কেন?তুই মাথা গরম করিস না তো, মাথা ঠান্ডা কর আর আগের সব ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু কর।
মেঘঃদাভাই তুমি এভাবে বকছো কেন?সারাজীবন কান্না একবারে কাঁদছে, একটু সময় তো লাগবেই।আমি এজন্য বসে বসে দেখছি বউমনি আর কত সময় লাগবে কান্না বন্ধ করতে।
–
রোদের বলা তখনকার কথা মেঘ সত্যি মনে করছে,মেঘের কথা শুনে আলো কান্না থামিয়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে।একটা সময় ওইভাবে বসে থাকতে থাকতে আলো ঘুমিয়ে যায়।রোদ আলোর দিকে একটু সরে যাই আর আলোর মাথা রোদের কাঁধের উপর রাখে, রোদ আলোর দিকে তাকিয়ে দেখে চোখ মুখ ফুলে গেছে আলোর।রোদও সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখে আর মেঘ বসে বসে গেম খেলছে রোদের ফোনে।ওরা বাসায় পৌঁছে যাই,সবাই গাড়ি থেকে নেমে যায়।রোদ আলোর দিকে তাকিয়ে জোরে একটা ধাক্কা দেয়,আলো হুড়মুড়িয়ে উঠে চোখ বড় বড় করে রোদের দিকে তাকিয়ে থাকে।রোদ আলো দিকে তাকিয়ে বলে,,
–
তোমার তো সাহস কম না আমার কাঁধে মাথা রাখো,একদম আমার কাছে ঘেষবে না বলে দিলাম।এবার গাড়ি থেকে নেমে আমাকে উদ্ধার করুন,রোদ নেমে আলোর পাশের দরজা খুলে দেয়,রোদের আম্মু এসে আলোকে বাসার ভেতরে নিয়ে যায়, আর ড্রয়িং রুমের সোফাতে বসায়,অনেক মেহমান,পাড়া-প্রতিবেশি আসে নতুন বউ দেখতে।রোদকে আর দেখা যায়নি তারপর থেকে, আলোর চোখ শুধু রোদকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
–
অনেকটা সময় এভাবে বসে থাকার পর রোদের ভাবিরা আলোকে রোদের রুমে নিয়ে যায়।আলোকে বসিয়ে রেখে ওরা চলে যায়,আলো চারপাশ তাকিয়ে দেখে অসম্ভব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে রোদের রুমটা।বেডের উপর গোলাপের পাপড়ি দিয়ে লাভ করা, তারমধ্যে( A+R) লিখা,অনেক সুগন্ধি মোমবাতি বিভিন্ন কালারের,সাথে গোলাপ রজনীগন্ধার,আর কাঠ গোলাপ দিয়ে সাজানো হয়েছে,পুরো রুম ফুলের গন্ধে ভরে গেছে।
–
আলো উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে সাওয়ার নিয়ে নেয়, সারাদিনে অনেক ধকল গেছে,সাওয়ার নিয়ে একটা লাল শাড়ি পরে নেয়।চুলগুলোকে মুছে খোলা রাখে, ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে চুল গুলে ঠিক করছিলো তখনই রোদের আম্মু খাবার নিয়ে আসে আর আলোকে খাইয়ে দেয়।রোদের আম্মু বেশিক্ষণ না থেকে চলে যায়, কারন রোদের আম্মু জানে উনি থাকলে রোদ কিছুতেই এখন রুমে ঢুকবে না।
–
আলো কেবল বেড থেকে উঠে দাড়ায়,ঠিক তখনই রোদ রুমে ঢুকে আর আলোর দিকে একবার তাকিয়ে ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।আলো রোদের এমন ব্যবহার নিতে পারছে না,রোদ ওয়াশরুমে থেকে বের হয়ে, পাশের রাখা গ্লাস থেকে পানি খেয়ে নেয়।তারপর ফোন হাতে নিয়ে ঘুরতে গেলেই আলোর সাথে ধাক্কা খায়। আলো রোদের দিকে তাকিয়ে বলে,,
–
আলোঃআপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো,আমাকে কিছু বলার সুযোগটা তো দিবেন,,
রোদঃআমার কিছু শোনার বা বলার ইচ্ছে নেয়।সামনে থেকে সরো আমাকে যেতে দাও,,
আলোঃআপনি নিজেকে কি মনে করেন হ্যা?আপনি যা বলবেন সব মেনে নিবো,,,,(রোদকে ধাক্কা দিয়ে,রোদের কলার চেপে ধরে)
রোদঃআমার সাহস কতটুকু সেটা তুমি খুব তারাতারি জেনে যাবে,আর তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে ধাক্কা মারার (রেগে গিয়ে)
–
আলোঃহুমম ধাক্কা মেরেছি, কি করবেন আপনি?
–
রোদঃকি করবো তাই না,,ওয়েট,,
–
(যা বাবা এরা তো ঝগড়া শুরু করে দিলো।)
–
রোদ আলোর একটানে ঘুরিয়ে বেডে ধাক্কা মারে,আর রোদের দিকে এগিয়ে যায়।রোদ আলোকে বিছানার সাথে চেপে ধরে আর আলো রোদকে সরাতে চেয়েও পারছে না,রোদ ওর সব ভর ছেড়ে দেয় আলোর উপর,আজকে রোদের চোখে একটা হিংস্রতা দেখতে পারছে আলো,রোদ আলোর দুইহাত রোদের দুইহাতে আটকে দিসে,রোদ এসব রাগের মাঝে করলেও এখন একটা ঘোর কাজ করছে রোদের মাঝে,এই তিনটা বছরের কথা মনে পড়ে যাই আর রেগে গিয়ে আলোর গলাতে মুখ ডুবায় আর ডিপ কিস করতে থাকে সাথে বাইট।আলো খুব কাঁদছে বাট রোদের সেদিকে খেয়াল নেই,রোদও একটা ঘোরে চলে গেছে,আলোর চুলের মাদকতা,চারদিকে ফুলের গন্ধ,আর সব থেকে বেশি টানছে ওর ঠোঁট। রোদ আর নিজেকে আটকাতে পারে না,আলোর ঠোঁটে লিপকিস শুরু করে,এই প্রথম দুজন দুজনের এত কাছে,রোদের এক একটা কিস মনে হচ্ছে বাইটে পরিনত হচ্ছে, রোদ একহাত দিয়ে আঁচল সরিয়ে ফেলে,,,,আর দুজনেই মেতে উঠে আর ডুব দেয় অন্য এত ভালবাসার সাগরে।
–
রোদের এমন করাতে আলোর খুব রাগ হয়,আলো তো এমনটা চায়নি,আলো বুঝতে পেরেছে রোদ যেটা করছে নিজের রাগ থেকে করছে,কারন আজ রোদের ছোয়াতে কোন ভালবাসা নেয়,আছে একটা রাগ আর অভিমান,রোদ উঠে ওয়াশরুমে চলে যায়,আর ফিরে এসে আলোর দিকে না তাকিয়ে বলে,,
রোদঃপাশের ড্রয়ারে পেইন কিলার আছে,,
(কেমন অসভ্য ছেলে ভাবা যায় )
কথাটা শুনে আলো মাথা নিচু করে নিল।
–
এইকথা বলে রোদ রুম থেকে বেরিয়ে যায়,আলো ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৩ঃ৫৭ মিঃ।আলো রোদের এমন ব্যবহার সহ্য করতে পারছে না,আলো উঠে সাওয়ার নিলো আর এসে আবার শুয়ে পড়লো,রোদের খোঁচা খোঁচা দাড়িতে খোঁচা লাগার কারনে গলা, কাঁধ ,গাল,ঠোঁট, পেট খুব জলছে,,,
আলো কাঁদতে কাঁদতে একটা সময় ঘুমিয়ে যায় আর সকাল ৭ঃ৩৮ তে কারো দরজা নক করার শব্দে আলোর ঘুম ভেঙে যায়, পাশে তাকিয়ে দেখে রোদ ওর পাশে ঘুমিয়ে আছে,রোদকে দেখলে এখন কেন জানি ভয়ে লাগছে আলোর?আবার দরজা নক করাতে আলো উঠে শাড়ি ঠিক করে দরজা খুলে দেয়।ভাবিরা হুড়মুড়িয়ে এসে ঢুকে পড়ে, আলোকে দেখে ভাবিরা হাসতে শুরু করে, আর আলো বোকার মত ওদের দিকে তাকিয়ে আছে,ডায়নি ভাবিরা আলোর গলার বাইটের দাগ দেখে হাসছিলো।তারপর ওদের নিচে আসতে বলে দাঁত ক্যালাতে ক্যালাতে চলে গেল।
–
আলো রোদের দিকে তাকিয়ে ড্রেয়িং টেবিলের সামনে বসে ভাবছে, আচ্ছা এখন ব্যাথা করছে না কেন?রাতে তো গলা আর ঠোঁট খুব জলছিলো,,আর স্যাভলন ক্রিম গন্ধটা পাচ্ছি, আমি তো দেয় নি তাহলে,,,
আলো আর কিছু না ভেবে ফ্রেস হয়ে শাড়িটা বদলে নিচে যায়,রোদকে ডাকে নি রাতে কখন এসে ঘুমিয়েছে কে জানে?আর ডাকতে গেলে কথা শুনাবে এজন্য আর ডাকে নি।আলো রুম থেকে বের হতেই দেখে মেঘ দাড়িয়ে আছে, একটা কুকুরও আছে পাশে দাড়িয়ে, মেঘ আলোকে দেখে ফোকলা দাঁতে হাসি দিল,আর পিকুর সাথে আলোর পরিচয় করে দিল তারপর নিচে নিয়ে গেল।রোদের আম্মু রান্নাঘরে রান্না করছিলো,আলো গিয়ে সালাম করে রোদের আম্মুকে জড়িয়ে ধরলো,,রোদের আম্মু আলোর কপালে একটা আদর দিয়ে আলোর মুখ তুলে বললো,,,
–
আম্মুঃআলো তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন?সব ঠিক আছে তো।রোদ তোকে কিছু বলে নি তো,,,
আলোঃআরে না আম্মু আমাকে কিছু বলেনি,তুমি এসব নিয়ে চিন্তা করো না কেমন,সব ঠিক হয়ে যাবে।আর আমাকে বলো তোমাকে কি সাহায্য করবো,,?
আম্মুঃআলো রোদ বড্ড অভিমানী একটু মানিয়ে নে মা,সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস?আর রোদ কই ওকে ডেকে আনলি না কেন?আর তোকে সাহায্য করে হবে না,,
আলোঃতোমার ছেলেকে ভয়ে ডাকি নি,ডাকলে যদি বকা শুরু করে দেয় এজন্য।
আম্মুঃ তোরা পারিসও বটে,এখন আর ভয়ে কিসের?
–
রোদের আম্মু কিছু বলার আগেই রোদের ভাবিরা এসে আলোর হাতে ধরে টেনে নিয়ে যায়।তারপর আলোকে ঘিরে ধরে, আর বিভিন্ন ধরনের question করতে থাকে,আর আলো মাথা নিচু করে থাকে।আলো লজ্জা এত পেয়েছে যে,ওর মুখ লাল হয়ে গেছে আর দৌড়ে পালাতে পারলে যেন জানে বাচে, কোথা থেকে রোদের নানি মা এসে ওদের ভাবিদের বকা দেয়,আর এতে আলো যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে।রোদের আম্মু এতক্ষণ এখানে আসতে পারছিলো না কারন উনি তো মা,আর আসলে আলো আরো বেশি লজ্জা পেতো।রোদের মা এই সুযোগে দুইমগ কফি করে আলোর হাতে ধরিয়ে দিল,একটা রোদের আর একটা আলোর।আলোকে জোর করে আবার উপরে পাঠিয়ে দিল,আর ওর আম্মুর সাথে কথা বলতে বললো।রোদের আম্মু জানে এখন আলো নিচে থাকলে রোদের ভাবিরা আবার ওকে ধরবে,আর শুধু শুধু আলোকে লজ্জাতে ফেলবে।
–
আলো ভয়ে ভয়ে রোদের রুমে গেল,গিয়ে দেখে রোদ নেই।আশপাশে তাকিয়ে পেলে না হঠাৎ বারান্দা থেকে রোদের কথা শোনা যায়, কারো সাথে ফোনে কথা বলছিলো।আলো বেডে বসে আছে,শরীর কেমন কেমন করছে?রোদ এসে আলোর দিকে তাকিয়ে একমগ কফি নিয়ে সোফাতে কিছু ফাইল নিয়ে বসে পড়ে,আলো রোদের সামনে গিয়ে রোদের ফোনটা চায় ওর আম্মুকে ফোন দেওয়া জন্য,,,,
আলোঃ আম্মুকে ফোন দিয়ে কথা বলবো,আপনার ফোনটা একটু দিলে ভালো হতো,আমার ফোনটা বাসায় রেখে এসেছি।
রোদঃহুমম (এগিয়ে দিয়ে)
–
আলো ফোন নিয়ে ওর আম্মু সাথে বাবা সাথে কথা বলে,আর রোদের বাড়ির সবার প্রশাংসাও করে,যাতে ওর বাবা মা কোন চিন্তা না করে।আলো কথা বলে রোদকে ফোন এগিয়ে দেয়,আলো রুম থেকে বের হতে গেলে রোদের একটা কথা শুনে থমকে দাঁড়ায়,,,
–
রোদঃতা এত বড়লোক টাকা পয়সা ওয়ালা বাবা/মা পেয়ে খুব ভালো আছো দেখছি?তা এদের পটালে কি করে বলো তো?তোমার ন্যাকা কান্না দিয়ে,উফফস আমি ভুলে ভুলেই গিয়েছিলাম।তুমি আবার ন্যাকা কান্না করে মানুষের মন গলাতে পারো, সেইভাবেই নতুন বাবা মা বানিয়েছো নিশ্চয়ই। হুমম ভালোই করেছো আগে ছিলে **নিম্নবিত্ত **আর এখন হলে **উচ্চবিত্ত,**,,তা তোমার বুদ্ধি আছে বলতে হবে।
আলোঃ আপনি এটা বলতে পারলেন?
–
চলবে…!!