‘সিক্ত সুভানুভব’
[০২]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
আলোর আর ওর মা কিছু জিনিস কেনার জন্য বাজারে দিকে যাই,কিন্ত রাস্তা পার হওয়ার সময় একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা খাই,আলো ভয়ে পেয়ে ওর মাকে জড়িয়ে ধরে আর চোখ বন্ধ করে নেই।গাড়ি থেকে কেউ একজন বের হয়ে আসে, আর ওদের সামনে দাড়াই,,আলো চোখ খুলে দেখে একটা বাচ্চা কোমরে দুইহাত দিয়ে রাগী চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে,আলোর ওর মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে,,
–
(হুমম আপনারা ঠিক ধরছেন,গাড়ি থেকে নেমে এসেছে মেঘ মেহবুব,, আলো আর রোদ থাকবে মেঘ থাকবে না তা তো কখনো হতে পারে না? এজন্য তোমাদের কথা ভেবে মেঘকে কেউ নিয়ে আসলাম গল্পটাতে আরেক টুইস্ট বাড়ানোর জন্য,)
মেঘ আলোর দিকে ভাল করে তাকিয়ে,ওর মায়ের দিকে তাকালো,,,
মেঘ আলোর দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকে বলছে,,
মেঘঃতুমি এত বড় তাও রাস্তা পার হতো পারো না,আমিও পারি না,তবে দাভাই পারে, দেখ আজ দাভাই আসে নি এজন্য তোমাকে ধাক্কা মেরে দিসি,আমাদের ড্রাইভার আংকেল ইচ্ছে করে, করে নি,তুমি কিছু মনে করো না কেমন,আচ্ছা আমার দেরি হয়ে গেলে দাভাই বকবে, জানো তো আমার দাদা ভাই একটা আস্ত গাধা, সারাদিন আমার আমার সাথে শুধু লেগে থাকে আর বকা দেয়, আচ্ছা তোমার সাথে অন্য একদিন কথা বলব কেমন ,এখন আমি যাই আচ্ছা বাই,
আলোঃহুমম টাটা
আচ্ছা মা বাচ্চাটা কি বলে গেল?আমার মাথার উপর দিয়ে গেল,আমাদের কিছু বলার সুযোগই দিলো না।
–
ওরা আর কিছু না ভেবে টুকটাক জিনিস কিনে,বাসায় আসে,আলোর মা কিছু একটা রান্না করে দুপুরবেলা, আলোকে খাইয়ে দেই আর আলোকে ঘুমাতে বলে, নিজে বের হই কাজের খোঁজে,, কারণ কোনো কাজ যদি এখন না করে তাহলে ওদের চলার মত কোন টাকা ওদের কাছে নেই।আলো একা একা বসে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়ে।আলো ঘুম থেকে উঠে দেখে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।আলো ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নেই,তারপর একা একা বসে থাকে জানলার দিকে তাকিয়ে।বাবার কথা মনে করে কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে চোখ থেকে,,
–
এবার আলোর আর বসে না থেকে,
ওর মাকে খুজতে থাকে,ওর তো কান্না করে দেই।আলো রুম থেকে বের হয়ে আশেপাশে খোঁজ করে কিন্ত ও মাকে কোথাও খুঁজে পাই না, আলো ওর মাকে খুঁজতে খুঁজতে মেইন রাস্তার দিকে যায়, ওদের বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তার একটা গলি আছে যেটা খুব ভয়ংকর রাস্তাৱ গলিটা,রাস্তাটা খুব অন্ধকার কোন মানুষজন নেই, সন্ধ্যার পর সাধারণত কেউ যাওয়া-আসা করে না এই রাস্তা দিয়ে,এখানে বখাটে ছেলেদেৱ আড্ডা খানা , পাড়ার কিছু বকাটে ছেলেরা এখানে আড্ডা দেয় আর মেয়েদেরকে বিভিন্ন নোংরা নোংরা কথা বলে।
–
আলো ধীৱ পায়ে ওই রাস্তার দিকে এগোতে থাকে,এভাবে খুঁজতে খুঁজতে রাত 9 টা বেজে যায় তবুও ওর মাকে পাই না, ওর মা ছাড়াপৃথিবীতে কেউ নেই, আলোর পাগলপ্রায় হয়ে ওর মা কে খুজতে থাকে। তবুও কোথাও খুঁজে পাই না, একটা সময় দৌড়াতে থাকে আর দৌড়াতে দৌড়াতে হাপিয়ে গেছে তাই একটু দাঁড়াই, আলো ওখানে দাঁড়াতেই কয়েকজন বখাটে ছেলে আসে, এবং আলোকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। আলোর ওড়না ধরে টান দেয় আলো ওদের হাত থেকে বাঁচার জন্য এদিক-ওদিক তাকিয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে,অমনি একটা ছেলে আলোর হাত চেপে ধরে, আলো ভয় পেয়ে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে কিন্তু ওকে বাঁচানোর মত কেউ নেই, ছেলেগুলা আলোর কান্না দেখে দাঁত কেলিয়ে করে হাসা শুরু করে,,,
ছেলেটা: আরে এত ছোটাছুটি করতেছো কেন? আমাদের সাথে চলো, অনেক মজা দিব? আরে ভয় পাওয়ার কী আছে তুমিও মজা নাও আমাদেরকেও মজা দাও ? খাবার-দাবার ফ্রী ,,,,,হা হা হা
পাশের ছেলে: আরে মামা মেয়েটার ফিগার টা তো জোস?আজকের রাতটা তো সেই মজা নিবো হা হা হা, আজ পাখি কোথাও পালাতে পারবে না, অনেকদিন হলো এমন মজা নেই না, চল মামা শুরু করি,
–
এভাবে আলোকে ওরা বাজে বাজে কথা বলতে থাকে, আলো একবার ওদের হাতে কামড় দিয়ে দৌড়ে পালায়। ওরা আলোর পিছু দৌড়াতে থাকে, দৌড়াতে দৌড়াতে আলো মেইন রাস্তাতে চলে যায়, প্রাণ ভয়ে দৌড়াতে গিয়ে আশেপাশের আশেপাশের রাস্তায় গাড়ি ঘোড়া কোন দিকেই খেয়াল নেই আলোর, হুট করে একটা গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় এবং গাড়িটার সাথে আলো ধাক্কা খাই। আলো ভয়ে ওখানেই মাথা ঘুরে পৱে যাই। আর ছেলেগুলো আলোকে এভাবে পড়তে দেখে ওরা উল্টো ঘুরে দৌড় দেয়
–
ৱোদ:This is a problem in Bangladesh,Why can’t you cross the street?Why can’t you cross the street?Why can’t you cross the street?Why can’t you cross the street?( এই একটা বাংলাদেশের সমস্যা, রাস্তা পার হতে পারে না ,তো রাস্তাতে কেন বের হয় এরা? হুট করে গাড়ির সামনে এসে দাঁড়াবে আর গাড়িটা মেরে দিলে গাড়ির মালিকের দোষ, যাই গিয়ে দেখি আবার মারা গেল নাকি???)
–
রোদ গাড়ি থেকে নেমে দেখে, আলো গাড়ির সামনে পড়ে আছে, রোদের সাথে রোদের বন্ধুও ফাহাদ ছিল, রোদ আর রোদের বন্ধু আলোর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, রোদ দিয়ে দেখে আলো ভয় পেয়ে জ্ঞান হারিয়েছে, পানির ছিটা দেওয়াতেও আলোর জ্ঞান ফিরছে না,রোদ এবার ওর বন্ধুর দিকে করুন চোখে তাকায়, আর ওর বন্ধুকে বলে,,
–
ৱোদ: What happens now?That’s nonsense,,
বাংলাদেশে আসতে না আসতে একটা সমস্যাতে ফেঁসে গেলাম, এখন কি হবে? মা জানতে পারলে , শুধু বলবে সব আমার দোষ , আর এটা বলেই আমাকে বকতে শুরু করবে,কোথায় ভাবলাম একটু মজা করব আর লংড্রাইভে যাব কি সমস্যার মধ্যে পড়লাম বলতো?
ফাহাদ: আরে টেনশন করিস না দাড়া দেখি কি হয়? তুই ভালো করে তাৱ চোখে মুখে পানি ছিটা দে, মনে হচ্ছে ভয় পেয়ে জ্ঞান হারিয়েছে। রোদএত হাইপার হচ্ছিস কেন?
ৱোদ: হ্যাঁ তা তো বুঝলাম কিন্তু এখন কি হবে ? এখন যদি মেয়েটার জ্ঞান না আসে, মেয়েটাকে এতো রাতে আমি কি করবো?আম্মু যদি দেখে আমি মেয়েটাকে নিয়ে বাসায় ঢুকি, আম্মুকে তো তুই জানিস উল্টো বুঝে বসে থাকবে,, এমনিতে বিয়ে বিয়ে করে আমার মাথা পাগল করে দিচ্ছে ,তার উপরে রাতের বেলায় কোন মেয়ে নিয়ে গেলে তো কোন কথাই নেই, তার ওপরে মনে কর, আর একজন তো আছেই আম্মুকে পাম দেওয়ার জন্য,আমাদের মেঘ মেহেবুব
ফাহাদ: এক কাজ করি চল আমরা মেয়েটিকে হসপিটালস করি, আর যদি জ্ঞান না ফেরে,তো হসপিটালে রেখে দেবো, কালকে সকালে আবার এসে খোঁজ নিয়ে যাব ,এখন রাতের বেলায় একটা মেয়েকে নিয়ে যেতে পারি না, তখন আমাদেরকে সবাই ভুল বুঝবে,,
ৱোদ:Fahad is right, he’s going to do it now.Let him in the car.
–
ওরা আলোকে নিয়ে গাড়িতে তুলে ,হসপিটালে নিয়ে যায় । ফাহাদ রোদের দিকে তাকিয়ে বলে
ফাহাদ: রোদ আমরা শেষমেষ আবার পাচারকারী ভেবে ফেঁসে যাবো না তো, এখনতো মেডিকেল গুলোতে খুব কঠিন রুলস, দুইটা ছেলে একটা মেয়েকে এভাবে ভর্তি করাতে অন্য কিছু মিন করবেনা তো, আর আমরা তো মেয়েটিকে চিনি না
রোদ:Are you crazy! রোদ মেহবুব কখনো কাউকে ভয় পায়নি আর পাবেও না।কারো এখনো এত বুকের পাটা হয় নাই যে রোদকে ফাঁসিয়ে দিতে পারবে, আমি আমাদের পার্সোনাল ডক্টরের কাছে নিয়ে এসেছি, ডক্টর আঙ্কেলকে নিষেধ করে দিলে বাসায় কাউকে জানাতে পারবে না। আর চিন্তা করিসনা আমি সব ম্যানেজ করে নেব।
ফাহাদ: I know you don’t care about anyone, but now we don’t have to forget, there’s a girl with us.I know you don’t care about anyone, Understand my words,,
ৱোদ:I get it.,,,হুমম বাট সব ভালই ভালই হলে হয়।
–
রোদ আলোকে কোলে করে নিয়ে ডক্টরের কেবিনে নিয়ে, ডক্টর আঙ্কেল রোদের কোলে একটা মেয়েকে দেখে হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। রোদ আলোকে শুইয়ে দেয়, আর ডক্টর আঙ্কেলকে সবকিছু বুঝিয়ে বলে| ডক্টর চিকিৎসা শুরু করে এবং রোদকে জানাই মেয়েটি প্রচণ্ড দুর্বল, এটা শোনার পর রোদ আলোর দিকে ভালো করে তাকায়, রোদ আলোর দিকে তাকাই আর হাঁ করে তাকিয়ে থাকে ,কি নিস্পাপ মায়াবী একটা মুখ , ওর পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে কোন গরীব ঘরের মেয়ে, কিন্তু তার মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে কেউ বলবেনা যে মেয়েটি কোনো গরিব ঘরের, দেখতে অপূর্ব একটা সুন্দরী,ফাহাদের গুঁতো খেয়ে রোদের হুঁশ আসে, ওরা আলোর জন্য একটা কেবিন বুক করে, খাবার-দাবার ওষুধপত্র দিয়ে, ডাক্তার আংকেল কে ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে ওরা বাসায় ফিরে যাই, রোদ কেবিন থেকে বের হওয়ার পরে পিছু ফিরে আবার আলোর দিকে তাকায়,
–
আজকে আলোর জীবনেৱ মোর ঘুরে গেল, আলোকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে, হয়তো এটাই তাৱ সুখের ঠিকানা, সব সময় দুঃখের জীবন হয় না মাঝে মাঝে মানুষের জীবন মিরাক্কেল ঘটে আর জীবনটা কিছু সময়ের মধ্যে পাল্টে দেয়, হয়তো এখানেই আলোর জীবনের আলো জ্বলবে আবার হতেও পারে এখানেও কখনও সুখের দেখা পাবে না। কারণ সুখ যে সব সময় সবার কপালে ধরা দেয় না জীবনটা বড়ই অদ্ভুত আর অদ্ভুত জীবনটাকে নিয়ে আমরা বেঁচে থাকি কল্পনা করি স্বপ্ন দেখি? রোদ আর আলোৱ জীবনে হয়তো নতুন কিছু ঘটতে চলেছে, আলোৱ মায়ের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি , উনি এখনো নিখোঁজ কোথায় আছে কেমন আছে পাওয়া যায়নি উনাকে, আর এখনো বাসাতেও ফেরেনি,,
–
ওদিকে রোদের আম্মু আর মেঘ বসে বসে রোদের জন্য অপেক্ষা করছে খাবার টেবিলে খাবার নিয়ে, আর মেঘ নখ কামড়াচ্ছে আর বারবার ওটা বলে ওর মাকে রাগিয়ে দিচ্ছে, আর ওর মা রোদের উপর রেগে গিয়ে রোদকে বকাবকি শুরু করে দিছে, হঠাৎ কলিং বেলের শব্দে মেঘ ওর মাকে বলে,,
মেঘ: আম্মু তোমার বড় রাজকুমার আসলো, সারাদিন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তবুও তুমি ওকে কিছু বলছো না ?আবার এখন রাত করে বাসায় ফিরছে, আর আমি একটু পড়তে না বসলে এই চিৎকার করে বল মেঘঘ তাড়াতাড়ি পড়তে বস, আমাকে তো আর ভালোবাসো না এজন্য আমিতো সব বুঝি নাকি, আম্মু আজকে তোমার বড় ছেলেকে সেই করে বকা দাও, তাহলে বুঝবো তুমি দাভাইকে না আমাকেই বেশি ভালোবাসো,,
আম্মু: আজ আসুক বাসায় ওর একদিন কি আমার একদিন ও বিদেশ থেকে পড়ে এসেছে , তাই বলে কি ওকে আমি কিছু বলবো না তা কিন্তু না ,আর তুই এত বকবক করছিস কেন তুই চুপচাপ বসে থাক,
–
রোদ বাসায় ঢুকে দেখে ওর আম্মু আর মেঘ কি নিয়ে কথা বলছে ?আম্মুর দিকে তাকিয়ে দেখে আম্মু খুব রেগে গেছে, রোদের আর বুঝতে বাকি নেই মেঘ ওর আম্মুকে কিছু বলে পাম দেওয়া শুরু করছে, এখনওর উপর দিয়ে একটা ছোটখাটো ঘূর্ণিঝড় হয়ে যাবে। রোদ ওর আম্মুর কাছে গিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে দিকে গিয়ে ওর আম্মুকে বলে,,
রোদ: এইযে আমার কিউটি সুইট আম্মু কি করো? আমার জন্য বসে থাকার কি দরকার ডিনারটা সেরে ফেললে তো পারতে? আমি তো আজকে খাব না বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি, এই মেঘ তুই আম্মুর সাথে খেয়ে নে, আমি গেলাম টাটা গুড নাইট
আম্মু: রোদ তাড়াতাড়ি খেতে বস আমি কোন কথা শুনতে চাই না, আর রাত করে বাসায় ফেরা, আমি পছন্দ করি না তুমি জানো ,তারপরও তুমি বাসায় রাত করে ফিরলে কেনো? তুমি একটা কথা ভুলে যাচ্ছ এটা তোমার ইউকে নয় এটা আমাদের বাংলাদেশে এখানে এসব রুলস চলবে না। আর আমিও এসব মেনে নিব না, তুমি আমার সেই ছোট রোদ আছো আর আমার কাছে সেই ছোট যদি থাকবে,
মেঘ: দা ভাই তুমি একটু বেশি লেট করে ফেলছে, আমি বুঝে গেছি , তুমি আমার বউ মনির সাথে ঘুরতে গেছিলে, আরে এটা বলতে লজ্জা পাচ্ছো কেন ?আম্মুই তো তাই না, আর আমাদের সামনে লজ্জা পেতে নেই, বাইরে থেকে খেয়ে আসলাম আমার জন্য কিছু নিয়ে আসলে না কেন? তুমি দিনদিন এরকম কিপটা হয়ে যাচ্ছ( রোদকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য, বাড়িয়ে কিছু বলে আম্মুকে রাগিয়ে দিচ্ছে)
রোদ: তোর মত ছোট ভাই থাকতে, বাইরের শত্রুর প্রয়োজন পড়বে না? আর আম্মুর সামনে আমার এসব কি বলছিস? তোর কোন বউমণি নেই, ওসব ফালতু কাজে রোদ মেহেবুব সময় নষ্ট করে না, মাইন্ড ইট,, আমি আসবো কখন তা তো ঠিক ছিল এ কারণে খাবার নিয়ে আসি নি, আচ্ছা ঠিক আছে তোকে কালকে ট্রিট দিব, তাও আমাকে কিপটে বলবিনা
–
ওদিকে রাত তিনটার সময় আলোর জ্ঞান আসে, চোখ মেলে দেখ এটা কোন একটা অচেনা একটা রুম। চারপাশটা ভালো করে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে এখন কোথায়? নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর হাতের ক্যানোলা দিয়ে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে, এবার আলো একটা স্বস্তির নিশ্বাস নিয়ে মনে করার চেষ্টা করছে ,আসলে কালকে রাতে ছেলেগুলা তারা করার সময় যখন ওর অ্যাক্সিডেন্ট হয় তারপরে আসলে কি ঘটেছিল? ওর মায়ের কথা মনে করে চোখের পানি ফেলতে থাকে, একবার উঠে কেবিনের দরজা দেখলে বাইরে থেকে লক করা, আবার এসে বেডে শুয়ে পড়লো ,আর কয়েকদিন ধরে ওর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ,ভাবতে ভাবতে একটা সময় আবার ঘুমিয়ে পড়ল।
–
ওদিকে সকালবেলা ফাহাদের ফোনের জন্য রোদের ঘুম ভাঙ্গে, রোদের তো আলোর কথা মনেই নেই,তারপর রোদ উঠে ফ্রেশ হয়ে, ব্রেকফাস্ট করে নিয়ে আলোকে দেখার উদ্দেশ্যে বের হয়,,
( গল্প লিখতে গেলে অনেক কিছু ভুল হয়ে থাকে ভুলগুলো নিজ দায়িত্বে শুধরে নিবেন, অনেক ব্যস্ততার মধ্যে গল্পগুলো লিখা হয়, এজন্য কিছু ভুল থেকেই যায় এত সময়ও নেই এডিট করার এজন্য ভুলগুলো নিজেকে শুধরে নিবেন)