রোদ্দুরে ভেজা বুকপকেট – ১
________________________
[প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত ]
বসন্ত বাতাসে সই গো
বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ
আমার বাড়ি আসে
সই গো, বসন্ত বাতাসে…
একদম বিয়ে বাড়ি বিয়ে বাড়ি আমেজ! গানেই বলে দিচ্ছে তাই না? মফস্বলের মানুষগুলো বিয়ে বাড়ি উৎসবমুখর রাখে সাউন্ড বক্সে সারাদিন উচ্চ আওয়াজে গান বাজিয়ে। সে রেওয়াজ থেকে শিকদার বাড়িটাও বাদ পড়ল না। এই তো দিন সাতেক পরই শিকদার বাড়ির বড়ো দুই নাতি-নাতনির এক সঙ্গেই বিয়ে। এদের বিয়েটা হতে চলেছে ভীষণ অন্যরকম। বাড়ির বড়ো নাতি ছেলে রায়ান আর বড়ো নাতনি রুমকি। এরা চাচাতো ভাই-বোন। রায়ানের একমাত্র শালাবাবুর সঙ্গেই রুমকির বিয়েটা হচ্ছে। যেদিন রায়ানের বউভাত সেদিনই রুমকির বিয়ে। ব্যাপারটা হলো বরযাত্রীরাই হচ্ছে বউভাতের মেহমান। এভাবে দু’টো বিয়ে একই দিনে হওয়াতে বড়ো মানুষ থেকে ছোটো মানুষ সবারই নানারকম পরিকল্পনার অন্ত নেই। সেই সাথে আনন্দেরও। কুটুমও আসার যেন শেষ নেই। এত এত আত্মীয়দের কে কোথায় থাকবে তা নিয়ে চিন্তাও নেই অবশ্য। শিকদার বাড়ি তো আর কম ক্ষেত্রফল নিয়ে নয়। এই শিকদার বাড়ি আরও বছর চল্লিশ আগেই তিনভাগ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রথম যে বাড়িটা তৈরি হয়েছিল সে বাড়িটাই আসল শিকদার বাড়ি হিসেবে চেনে মানুষজন। এই আসল শিকদার বাড়িতে থাকেন শুধু ছোটো শিকদার। মানে ছোটো ভাই সালাম শিকদার৷ মেজো ভাই আমজদ শিকদার এই বাড়ি থেকে বিশ পা এগোলেই পাশাপাশি অট্টালিকা তৈরি করে বসবাস করেন। আর বড়ো ভাই রহমান শিকদারের বাসভবন মিনিট পাঁচেকের দূরত্বে অবস্থিত। তিন ভাইয়ের বড়ো বড়ো অট্টালিকাতেই সকলের শয্যাস্থান মিলে যাবে কোনো ঝঞ্ঝা ছাড়ায়। আর বিয়েটা হচ্ছে ছোটো শিকদার বাড়ির নাতি-নাতনির।
মাগুরার মতো ছোটো একটা জেলাতে এই শিকদার গোষ্ঠী বেশ পরিচিত আর সম্মানীত অধিকাংশের কাছেই। কয়েকজন বিত্তশালীদের মধ্যে এরা অন্যতম। মাগুরা মূল শহরের মাঝে বড়ো বড়ো দু’টো প্লাজায় তিন শিকদারদের। সোনার ব্যবসাতেও এরা জড়িত। যা দেখাশোনা আর পরিচালনা করে শিকদারদের ছেলেপুলে। তাছাড়া এদের পরিবারের মেয়ে-ছেলে, নাতি-নাতনি প্রায় সকলেই শিক্ষিত আর কেউ কেউ সরকারি উচ্চপদের চাকরিতে আবার নিযুক্ত। এমনকি শিকদারদের মেয়ে জামাইগুলোও বেশ বিত্তবান আর প্রভাবশালী। বলা হয়ে থাকে এই গোষ্ঠীর আরেক নাম স্বর্ণ গোষ্ঠী। কারণ এই সোনার ব্যবসাটা শিকদার পরিবারের বহু পুরোনো ব্যবসা। ছোটো শিকদার তো তার বড়ো কন্যার বিয়েও দিয়েছেন ঢাকার বড়ো সোনা ব্যবসায়ী জারিফ ইসলামের সঙ্গে। তার ব্যবসায়ে অবশ্য আরেকজন অংশী আছেন। দু’জনের পরিশ্রমে তাদের স্বর্ণের ব্যবসাটা বাংলাদেশে নানান জায়গায় ছড়িয়ে গেছে গত পনেরো বছরে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটে কয়েকটি আউটলেট রয়েছে তাদের। তো পারিবারিক ব্যবসা বাণিজ্যের কথা বলা হলো খুব। বরং বিয়ে বাড়িতে কী ঘটছে, কী হালচাল সেটাই জানাই।
বহু বছর পর শিকদার বাড়িতে বিয়ের উৎসব লেগেছে। মিষ্টান্ন থেকে শুরু করে সব খাবারই এ বাড়িতেই তৈরি হচ্ছে। তবে একটু অসুবিধাজনক ব্যাপার হলো একদম মাঘ মাসের শীতের মধ্যে এই বিয়েটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কাজ করা মানুষগুলোর জন্য বেশ কষ্টদায়ক। সেই সুকুমার রায়ের ছড়াটা মনে আছে না?
বায়ু শনশন
শীতে কনকন
কাশি খনখন
ফোঁড়া টনটন
মাছি ভনভন
থালা ঝন ঝন।
হাঃ হাঃ! রান্নার বাবুর্চি, ময়রা, বাড়ির বাকি কাজের লোকদের অবস্থা ঠিক এমনই। সারা বাড়িতে নিরিবিলি কোনো পরিবেশই নেই। তারওপর ছোটো শিকদারের বড়ো পুত্রবধূ হচ্ছে কারণে অকারণে চেঁচামেচি করা তার নিত্য স্বভাব। ফজরের আজান দিতে না দিতেই মোল্লা বাড়িতে পানি ভেজালমুক্ত গরুর খাঁটি দুধ আর খেজুরের রস আনতে পাঠিয়েছেন বাড়ির দুইটা ছেলে-মেয়েকে। সেই কাক ডাকা ভোরে গেছে তো গেছে, এখন বেলা বাজে সাড়ে ছ’টা, আসার নামগন্ধ নেই ওদের! এই সাড়ে ছ’টায় তার কাছে ঢের বেলা কিনা। চেঁচামেচি আরম্ভ করেছেন সেই দু’টো ব্যক্তির ওপর। উচ্চবাচ্য করতে করতেই বললেন, ‘মাইয়া মানুষ দিয়া কি আর এইসব কাম অয়? ছেড়িডা আইছে দুইদিনের লাগি। খাচ্চোর ছ্যাড়াডা তারে ঘুমেরতে টাইনা-টুইনা নিয়া গেল। বেয়াদ্দপ ছ্যামড়া তুই হুন্ডাখান নিয়া একলাই যাইতি।’
এইতো ছিল সকালের চিত্রটা।
বাড়িতে জোয়ান ছেলে-পুলে আছে ঠিকই। তবে এই শীতের সকালে উঠে কাজে হাত লাগাবার মতো তেমন কেউ নেই। ছোটো শিকদারের বড়ো পুত্র হাবিবকে বাড়ির মূল ফটকে হঠাৎ ঢুকতে দেখা গেল। মাথায় টুপি, পরনে সফেদ পাঞ্জাবি আর সাদামাটা একখানা লুঙ্গি। শ্যাম বর্ণের লম্বা মুখটাতে কাঁচাপাকা লম্বা দাড়ি ওঁর। দাড়িতে গতকালই মেহেদী লাগিয়েছেন, রংটা এখনো ভালোমতো হয়নি। এই মানুষটি কেবল আপন মানুষদের জন্য মিষ্টভাষী আর নরম হৃদয়ের। কিন্তু এর বাইরে তার স্বভাবখানা কেমন যেন রুক্ষ। খু্ব একটা পছন্দনীয় লোক নয় সে বাইরের লোকেদের কাছে। ওঁকে ফোন কানে নিয়ে বলতে শোনা গেল, ‘আব্বাজান তুমি টার্মিনালেই দাঁড়াও। আমি এহনিই মানুষ পাঠাইতেছি। রাস্তা চিনতে পারবা না নইলে।’
কথাগুলো শুনতে শুনতে ওঁর গৃহিণী মঞ্জুয়ারা এসে দাঁড়ালেন স্বামীর পাশে। নোকিয়া বাটন ফোনটা কান থেকে নামিয়েই স্ত্রীকে জানালেন তিনি, ‘আরে জামাই আসতেছে তার এক বান্ধবী সাথে নিয়া।’
চিনতে পারলেন না মঞ্জুয়ারা, ‘আপনার বোনদের কোনো মেয়ে জামাইয়ের কথা কইতেছেন?’
-‘ধুরঃ না। আমিই ভুল কইলাম। জামাই তো হইবার চাইছিল৷ তা তো হইল না। আশফিক আসতেছে, আবদুল কাকার নাতি।’
-‘জাওয়াদ ভাই’র ছেলে? ও না বিদ্যাশ ছিল? আসলো কবে?’
-‘কী জানি? জাওয়াদ মনে হয় জারিফের সাথে আসব বিয়ার পয়লা দিন। তাই ছেলেরে আগে পাঠায় দিছে।’
-‘বান্ধবীর কথা কইলেন। কারে সাথে নিয়াসতেছে আবার? আমাগের অত সুন্দর মাইয়া রাইখা কোন জান্নাতি হুর ধরল দেখবার চাই।’
-‘থাক, বাদ দেও ওসব পুরান কথা। ও আসলে ভালোমতো খাতিরযত্ন কইরো আবদুল কাকা আর জাওয়াদের জন্যে হইলেও।’
-‘হ, করবানি। যাই করি, মনেরতে তো আর কিছু আসব না৷ চার বছর আগে যা কইরা গেছে তা কি ভুলবার পারি? আসতেছে আবার কোন লজ্জায়?’
-‘তুমি অত কথা কও ক্যা? নিষেধ করলাম না কিছু না কইতি? তোমারে বলে বিশ্বাস নাই৷ কী যে করবানে আল্লাহ মালুম।’
বাচ্চাদের মতো ভেংচি কেটে চলে গেলেন মঞ্জুয়ারা। বউয়ের এমন কীর্তি দেখে চিন্তায় মাথা নাড়াতে নাড়াতে বাড়িতে ঢুকলেন হাবিব। অতি জলদি জলদি রায়ানকে ঘুম থেকে তুলে বাস টার্মিনালে পাঠিয়ে দিলেন ওই দু’জন মানুষকে অভ্যর্থনা জানিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে।
***
-‘মা’পু, ও মা’পু। মাপুরে মাপু হুন্ডাখান আস্তে চালাও! ঠান্ডায় শরীলের পার্সপত্র জমে গেল তো। ও আল্লাহ, এর’চে হাঁইটে আসতাম। মই*রে গেলাম, দা*ফন কইরো আমার।’
-‘একটা লাত্থি খাবি। বলছিলাম না রিকশায় আসতে? মাতব্বরি করলি তখন। বাড়ি গিয়ে মামির ঝাড় খাওয়া লাগবে সেই প্রস্তুতি নে।’
-‘ওই শা*লা মোল্লা দুধ নাই তা ফোন দিয়ে একবার জানায় দিতে পারত না? শা*লা চো*র-বাট*পার দুধ কারে দিছে? আবার নাকি সন্ধ্যায় আসতে হইব। বা*ল!’
-‘গাড়িটা থামালাম রিমন? হাত, পা অসাড় হয়ে আসতেছে।’
-‘টার্মিনালে থামাও আপু। ছোটো করে দুধ চা খাইয়ে যাই চলো।’
-‘আচ্ছা চল।’
কুয়াশাতে ভিজে দুটোর ম*রোম*রো অবস্থা। ঘাসের ওপর জমে থাকা শিশিরের মতো দুজনের অক্ষিপক্ষ্ণতে জমে আছে কুয়াশা বিন্দু। রিমনের সামনের চুলগুলো ভিজেও একাকার। কেবলই রোদ্দুরের রেখা দেখা মিলল টার্মিনালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা বটগাছটার ওপর। হঠাৎ সামনেই রায়ানকে দেখতে পেল ওরা, রিকশা থেকে নামছে সে। তারপর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লাল রঙের হোন্ডা ওয়ারওয়েভের দিকে ছুটছে। রিমন ভ্রু কুটি করে গাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটাকে চেনার চেষ্টা করল৷ দীর্ঘকায় মানুষটির মুখখানা দেখতে না পেলেও এক মিনিটেই সে আবিষ্কার করে ফেলল আশফিক জাওয়াদকে। যাকে গত দু’বছর শুধু ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে লাখো লাখো ফলোয়ারস সমৃদ্ধ আইডিতেই দেখা যেত।
-‘এই কু*খ্যাত ছবিওয়ালা ব্যাটা এতকাল পর এইহানে কী করে?’ উদাসীন গলাতে অল্প বিস্ময় ঢেলে বিড়বিড় করল রিমন।
এক পল যেতেই তার উত্তরও মিলল রিমনের৷ ফ্যামিলি গাড়িটার সামনের সিট থেকেই নামল এক সুরসুন্দরী৷ দেখতে যেন অনেকটাই আমেরিকার সিঙ্গার কেটি পেরির মতো। তবে ঠমক কিছুটা বাঙালিদের মতোই। ঝলমলে সোনালী চুলে দুধসাদা গাত্রবর্ণের যুবতীকে দেখে রিমন বুঝে ফেলল সুন্দরীটার জুটি আশফিক ভাই। মুগ্ধতায় সে স্বগোতক্তি করে বসল, ‘অ মা! মা’পু এরেই কি অপ্সরা কয়?’
-‘তোর কাছে যদি মনে হয় তাহলে তাই। অপ্সরা মানে জানিস, বাই দ্য ওয়ে?’
-‘হ জানি, ম্যালা সুন্দরী।’
জবাবের প্রেক্ষিতে রিমন সামনের মানুষটির হাসির শব্দ শুনল। তারপর তার থেকে বিপরীত জবাব পেল, ‘স্বর্গের বারাঙ্গনা বা বে*শ্যা।’
জিভ কামড়ে ধরল রিমন, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ! আমি আর চা খাম না। চলো দৌঁড়াও আপা।’
বাইকের ওপর দু’জন হাসতে হাসতে শীতের অ*ত্যাচার নিমিষেই ভুলে গেল যেন। বাইক থেকে এক কলস খেজুরের রস আর এক কলস দুধ নিয়ে নেমে পড়ল রিমন বাড়ির দোরগোড়ায়। দুধের পরিমাণ দশ কেজি থাকবার কথা ছিল। কিন্তু পাঁচ কেজি দুধই অবশিষ্ট ছিল মোল্লা সাহেবের বাড়ি। সে নিয়েই চিন্তা করতে করতে রিমন বাড়িতে ঢুকল। মামির কড়কড় গলার গালি শুনতে একদমই ভালো না। বারান্দাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মামি। সেজো ননদের এক মাত্র ছেলের হাতে দুধের কলস একটা দেখেই বুঝে গেলেন, মোল্লা দশকেজি দুধের টাকা অগ্রীম রেখে পাঁচকেজি পাঠিয়েছে। এগিয়ে এসে রিমনকে খ্যাক মেরে শুধালেন, ‘দুধ আর কই?’
-‘আর তো ছিল না মামি। কারা নাকি জোর করেই নিয়া গেছে। বিকালের দিকে আবার যাইতে কইল।’
কথা শেষ হতে না হতেই বকাঝকা শুরু করলেন তিনি। না পারে সইতে রিমন আর না পারে কিছু কইতে। বকাঝকার পর্ব শেষ হলেই মঞ্জুয়ারা খেয়াল করলেন বড়ো ননদের মেয়েটা নেই সাথে। গেটের দিকে দেখতে দেখতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মাহি কই রে রিমন? ওরে কি থুইয়া আইলি?’
-‘না, আপু বড়ো নানার বাড়ি চলে গেল। কইল ঘুম ভালো হয় নাই। ওইহানে যাইয়া ঘুমাবে। তারপর একবারে সন্ধ্যায় ঢুকবে এই বাড়ি।’
কিছু আর বললেন না তিনি। মাহির ও বাড়িতে যাবার প্রয়োজনীয়তা বেশ উপলব্ধি করতে পারলেন। তবে মাহির কাজটা মোটেও ভালো লাগল না। এরই মধ্যে গেটের বাইরে গাড়ির হর্ন শোনা গেল বোধ হয়। রিমন দুধের কলস উঠানে রেখেই দৌঁড়ে গেল সেই ইংলিশ সুন্দরীকে দেখতে। মঞ্জুয়ারাও বুঝে গেলেন আশফিক এসে পড়েছে। তিনি ছুটলেন স্বামীকে ডাকতে।
গাড়ি থেকে দিলিশাকে নিয়ে নামতে না নামতেই আশফিক চারপাশে পাড়া প্রতিবেশীর ভীড় দেখে বিরক্তিতে জমে গেল। সামনে চেনা অচেনা অনেকগুলো মানুষের মধ্যে হাবিব শিকদারকে দেখে এগিয়ে এসে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে বসল সে। আশফিকের এই অতি ভক্তি দৃশ্য দিলিশা হজম করতে পারল না। চেহারায় পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তোলা বিস্মিত চোখদু’টোই দেখতে থাকল কাণ্ডকারখানা। রুমকিসহ আরও কয়েকটি মেয়ে এসে দিলিশাকে নিয়ে গেল তাদের সঙ্গে। দিলিশা এদের মধ্যে রুমকিকে খুব ভালো করে চেনে। তাই অস্বস্তিটা তাকে তেমন কুঞ্চিত করল না আর। বাড়িতে ঢুকতে ঢুকতে আশফিক হাবিব সাহেবকে জিজ্ঞেস করল, ‘নাহিয়ান ভাই কি এসেছে মামা?’
-‘না বাবা, নাহির তো আসার কথা ছিল গতকাল। কিন্তু ওর আব্বা কইল চট্টগ্রাম কী কাম পড়ছে সেইহানে যাইতে হইছে ওর। আসতে দেরি হবি৷ রায়ান যাইয়া তাই খালি মাহিয়ানরে আনছে।’
নামটা শুনতেই আশফিক অস্ফুটেই ‘মাহি’ বলে চারপাশে নজর ঘুরিয়ে খুঁজল ব্যক্তিটিকে।
***
আশফি মাহিকে একদম ভিন্নভাবে পেতে যাচ্ছেন আপনারা। গল্পে যদি পর্যাপ্ত সাড়া পাই আর গঠনমূলক মন্তব্য পাই তবে পরবর্তী পর্ব আগামীকালই দেবো। সেই সাথে প্রভাতকিরণ ২ মাঝেমধ্যে চলবে।
ইসরাত জাহান দ্যুতি