#শালুক_ফুলের_লাজ_নাই(০৯)
অলস বিকেলটা কেমন খাপছাড়া লাগছে আজকে।রোদ পড়ে গেছে,সন্ধ্যা নেমে আসবে ধরনীর বুকে।পলক চলে গেছে বিশ মিনিট আগে।আস্তে আস্তে চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে।
শালুক বসে আছে নিজের রুমে। কিছু ভালো লাগছে না তার।লেখাপড়া ব্যাপারটা এতো জটিল কেনো শালুক ভেবে পায় না।
কি হতো লেখাপড়া মুক্ত পৃথিবী হলে?শালুক তখন মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াতে পারতো।
ধ্রুব এসে বিছানায় পা তুলে বসলো। তারপর শালুককে জিজ্ঞেস করলো, “কি সমস্যা তোর?বিজনেসম্যান হয়ে গেছিস?ডিল করা শিখেছিস?সাহস কতো তোর টিচারের সাথে ডিল করিস না পড়ার ব্যাপারে! ”
শালুক বিরসবদনে ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে বললো, “তোমার মনে রাখা উচিৎ পৃথিবীতে সবাই সব কিছুর জন্য আসে নি।আমি এসেছি অন্য কাজে।খাবো,ঘুরবো,উড়বো,বিয়ে করবো,সংসার করবো,বাচ্চা সামলাবো।এসব পড়ালেখায় সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয়!”
ধ্রুব কটমট করে তাকালো শালুকের দিকে।শালুকের ভীষণ ভয় লাগলো তবুও চেহারায় ডোন্ট কেয়ার ভাব ফুটিয়ে বসে রইলো।
ধ্রুব একটূ ভেবে মুচকি হেসে বললো, “ঠিক বলেছিস,তোর পড়ালেখার পিছনে অযথা এতো টাকা নষ্ট করার মানে হয় না।শোন,আমি চাচাকে বলে দিচ্ছি আফিফার বিয়ের পরেই তোর বিয়ের ব্যবস্থা করতে। আমার জানাশোনা ভালো পাত্র আছে।আমার এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের শুটকির ব্যবসায় আছে।বেশ অবস্থাপন্ন লোক ওরা।”
শালুক নাক কুঁচকে বললো, “কি বললে তুমি? শুটকি?
ওয়াক!”
ধ্রুব সরল মুখ করে বললো, “ওয়াক করছিস তুই?তুই জানিস কক্সবাজারে ওনার দুটো শুটকির আড়ৎ আছে।কতো টাকাপয়সাওয়ালা মানুষ ভেবেছিস?ধর,কক্সবাজারে থাকতে পারবি তুই,সেই সুবাদে আমরা ও যখন তখন ঘুরতে যেতে পারবো। হোটেল ভাড়া লাগবে না আমাদের। আচ্ছা এক কাজ করি,আমি চাচা চাচীর সাথে কথা বলি এই ব্যাপারে। ওদের ও তেমন কোনো ডিমান্ড নেই,শুধু একটা হাবাগোবা, বলদ টাইপের মেয়ে চাই।এক্ষেত্রে তোর চাইতে পারফেক্ট আর কাউকে পাবে বলে মনে হয় না। ”
শালুকের বুক ফেটে কান্না এলো।শুটকি শালুকের দুই চোখের বিষ।বাসায় শুটকি রান্না হলে শালুক সেদিন নিচতলায় খেতেও যায় না গন্ধের ভয়ে।অথচ সেখানে কি-না তার বিয়ের কথা বলছে এরকম একটা শুটকির ব্যবসায়ীর সাথে!
এই লোকের শরীর থেকে সবসময় শুটকির দুর্গন্ধ বের হবে,পারফিউমের বদলে এই লোক শুটকি গায়ে ঘষবে,ভবিষ্যতে শালুকের বাচ্চারা হবে শুটকি প্রেমী!
কল্পনায় এটুকু দেখেই শালুকের জ্ঞান হারাবার জোগাড়।
শালুকের কাঁদো কাঁদো চেহারার দিকে তাকিয়ে ধ্রুবর ভীষণ মায়া হলো।ইচ্ছে হলো চিবুকে হাত রেখে একবার বলে, “আমি আছি তো বোকা ফুল,তোকে অন্য কোথাও যেতে দিবো না।আমার মনের ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখবো। ”
ইচ্ছে হলেই সব কিছু করা যায় না।ধ্রুব ও করতে পারলো না। বরং হেঁড়ে গলায় চেঁচিয়ে চাচীকে ডাকতে লাগলো। শালুক তড়িঘড়ি করে লাফিয়ে উঠে ধ্রুবর মুখ চেপে ধরলো। বিনীত ভঙ্গিতে বললো,”না ধ্রুব ভাই এই কাজ করো না।আমি ঠিকঠাক পড়বো।কিসের বিয়ে, কিসের সংসার!
অনলি লেখাপড়া করবে শালুক।শালুকের জন্ম হয়েছে পড়ালেখা করার জন্য।পড়তে পড়তে শহীদ হয়ে গিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখানোর জন্য শালুকের জন্ম।
ধ্রুবর ভীষণ হাসি পেলো শালুকের কথা শুনে। এই যে শালুক তার মুখে হাত চেপে ধরে আছে,ধ্রুবর ভীষণ ভালো লাগছে।
বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকা চাতক যেমন আনন্দিত হয় বৃষ্টির জল দেখে,ধ্রুবর ও তেমন আনন্দ হচ্ছে। তবুও ধ্রুব শালুকের হাত সরিয়ে দিলো। তারপর বললো, “আর কোনো দিন যেনো এসব কথা না শুনি আমি পলকের থেকে।”
ধ্রুব চলে যেতেই শালুক মাথার হিজাব খুলে ফেললো। উপরের পাটির দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কিছুক্ষণ ভেবে একটা বুদ্ধি বের করলো।
ধ্রুবকে টাইট দেয়ার একটা দুষ্ট বুদ্ধি।
সন্ধ্যা বেলায় চা খাবার সময় শালুক কিচেন থেকে এক পিরিচে করে চিনি নিয়ে এলো কিছুটা। তারপর ধ্রুবর বেডরুমে গিয়ে বিছানার চাদরের চারদিকে ছিটিয়ে দিলো।
৩য় বিশ্বযুদ্ধে জয় লাভ করার মতো আনন্দ নিয়ে শালুক নিজের ঘরে গিয়ে ফিন্যান্স বই নিয়ে বসলো।
কিছুক্ষণ অর্থের সময় মূল্যের অংক করতে চেষ্টা করলো। কিন্তু কিছুতেই মাথায় এতো সূত্র ঢুকলো না।
একবার ভাবলো ধ্রুবকে ডাকবে।পরক্ষণেই সেই চিন্তা বাতিল করে দিলো।যেই মানুষ তার জন্য শুটকি ব্যবসায়ী পাত্র পছন্দ করতে পারে সে আর যাই হোক,শালুকের শুভাকাঙ্ক্ষী কিছুতেই না।তার সাথে কিসের লেনাদেনা!
সবাই মিলে নিচতলায় গোল হয়ে বসেছে আফিফার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। আফিফার রুমে শাপলা, শালুক,আশা তিনজনই বসে আছে।
গতরাতের ঘটনার পর থেকে আদিবা বেগম আফিফাকে একা রাখতে ভীষণ ভয় পাচ্ছেন।পাছে মেয়ে যদি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় অথবা উল্টাপাল্টা কিছু করে বসে এই ভয়ে!
ছেলের বাড়িঘর সবার পছন্দ হয়েছে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো ছেলেপক্ষকে জানাবে তাদের পছন্দের কথা।
সবার অনুরোধে শালুকের দাদা নিজে কল দিলেন চেয়ারম্যানকে।সব কথার শেষে সিদ্ধান্ত হলো, আগামী শুক্রবার অর্থাৎ আর ২ দিন পরে পাত্রপক্ষ আসবে এনগেজমেন্ট করতে।আর সেদিনই তারা বিয়ের তারিখ ফাইনাল করে যাবে।
আদনান কিছুটা স্বস্তি পেলো।আফিফাকে বিয়ে না দিয়ে নিজের বিয়ের কথা তুলতে পারছে না সে।এবার নিশ্চিন্ত হতে পারবে আফিফার বিয়ের পর। খালা খালুর সাথে কথা বলে ৩-৪ মাসের মধ্যে বিয়ের তারিখ ঠিক করে ফেলতে হবে।
আশা কে নিয়ে আদনানের ভীষণ দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আশাকে ভরসা করতে পারছে না আদনান।
রাতে সবাই যখন খেতে বসলো তখনই বাসার সদর দরজা নক করতে লাগলো কেউ একজন।মতির মা দরজা খুলে দিতেই দেখে ধুতি পাঞ্জাবী পরা একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে বাহিরে।
বিনীত ভঙ্গিতে বলছে,”ধ্রুব বাবু কি বাড়িতে আছেন?একবার ডেকে দিবেন?”
মতির মা মুখ বাঁকিয়ে এসে বললো, “ধ্রুব ভাইজানের কাছে এক লোক আসছে।দেখা করতে চায় ভাইজানের লগে।”
খাওয়া রেখে ধ্রুব উঠে গেলো, ধ্রুবর পিছন পিছন গেলো হাসনা বেগম।
হিন্দু লোকটাকে দেখেই ধ্রুব চমকে উঠলো যেমন, তেমন চমকালো হাসনা।এতো বছর পর কেনো এসেছে!
ধ্রুব কিছু বলার আগেই লোকটা বললো, “দীপালি মা বড়ই অসুস্থ বাবু,বারবার আপনার নাম নিচ্ছেন।আপনাকে একটু দেখতে চাচ্ছেন।”
ধ্রুব শান্ত স্বরে জিজ্ঞেস করলো, “দিপালী কে?আমি এই নামে কাউকে চিনি না।”
হাসনা পেছন থেকে ধ্রুবকে ধরে বললেন, “এভাবে বলতে নেই ধ্রুব।যাই হোক,জন্মদাত্রী মা তোর।”
ধ্রুবর রাগ হলো ভীষণ। চিৎকার করে বললো, “নেই,নেই।কেউ নেই আমার।আমার মা ও নেই,বাবা ও নেই।এতো বছর ধরে আমাকে যার প্রয়োজন হয় নি আজকেও আমাকে তার লাগবে না।আমি এমন কোনো রোগের ঔষধ না যে আমাকে দেখলে অসুস্থ রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে।”
ধ্রুবর চিৎকার শুনে ডাইনিং টেবিলে বসা সবাই চমকে উঠলো। এতো রেগেছে কেনো ধ্রুব?
সবচেয়ে বেশি ভয় পেলো শালুক।এরকম চিৎকার করে কেউ কথা বললে শালুকের ভীষণ কান্না পায়,ভয়ে হাত পা কাঁপতে থাকে।
একে একে সবাই দরজার দিকে এগিয়ে এলো। সবাইকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে ধ্রুব চলে গেলো নিজের রুমে।
ধ্রুবর বাবা সেলিম সাহেব এতোক্ষণ তার বাবার রুমে বসে ছিলেন।যেহেতু ধ্রুব তার মুখোমুখি হওয়া পছন্দ করে না তাই তিনিও ছেলের সামনে পড়তে চান না।ছেলে বাড়িতে যেই ক’টা দিন আছে যাতে নিজের মতো করে থাকতে পারে এজন্য নিজেই সরে সরে থাকেন।
ধ্রুবর চিৎকার শুনে তিনিও বের হয়ে এলেন।ধ্রুবকে উপরের দিকে যেতে দেখে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন, “কি হয়েছে?ধ্রুব এরকম চিৎকার করলো কেনো?”
হাসনা বেগম সবটা বলতেই সেলিম সাহেবের মুখ শুকিয়ে গেলো। অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা ফরিদার দিকে তাকালো। ফরিদার চোখ দুটো কি ছলছল করছে অশ্রুতে?
কে জানে,দূর থেকে তিনি বুঝতে পারলেন না তা।
হাসনা বেগম গিয়ে ধ্রুবকে ডাকলেন।ধ্রুব দরজা খুললো কিছুটা সময় নিয়ে। মোটা পিলারের আড়াল থেকে শালুক তাকিয়ে রইলো ধ্রুবর দিকে।
ধ্রুব হাসনা বেগমের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো। তারপর হুট করেই চাচীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলো ছোট বাচ্চাদের মতো করে। সেদিনই শালুক প্রথম জানতে পারলো, “ধ্রুব নামক লৌহপদার্থের একটা মানুষের মতো মন আছে।”
ধ্রুব খুব দ্রুত নিজেকে সামলে নিলো। ভেজা স্বরটাকে লুকাতে পারলো না আর।অন্যদিকে ফিরে জিজ্ঞেস করলো, “কিছু বলবে চাচী?আর যাই বলো,আমাকে এক অনুরোধ করো না ওনাকে দেখতে যাই যেনো। এই দুনিয়ায় বাবা মা থাকার পরেও তো অনেকে অনাথ হয়,আমি ও তাদের দলের একজন। আমার কোনো পিছুটান নেই চাচী।”
হাসনা বেগম কোমল গলায় বললো,” সে যে জন্ম দিয়েছে বাবা।পৃথিবীর মুখ দেখিয়েছে। ”
ধ্রুব রাগ হলো ভীষণ। চিৎকার করে বললো, “কেনো জন্ম দিলো চাচী?আমি কি নিজে থেকে এই দুনিয়ায় আসতে চেয়েছি?আমাকে কেনো তারা এই দুনিয়ার আলো দেখালো?আর তারপর দুজনের যখন দুজনের প্রতি আগ্রহ ফুরিয়ে গেলো তখন দুজনেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। কেউ ভাবলো না আমার কথা! ”
হাসনা বেগম কি জবাব দিবেন এই প্রশ্নের!
দীপালি এই বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে ধ্রুব যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে তখন।ধ্রুব এখন অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ছে।কিছুদিন পর অনার্স কমপ্লিট হবে তার।এতো বছর পর আজকে দীপালির মনে হলো ছেলের কথা!
ধ্রুব নিজেকে সামলে নিতে বেশি একটা সময় নিলো না।মুচকি হেসে চাচীকে বললো, “আমি শুয়ে পড়ি চাচী।যাও তুমি। আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।আমি খুব ভালো আছি চাচী। যাও তো এখন।”
হাসনা বেগম যন্ত্রের মতো নিচে নেমে এলো। নিচতলায় সবাই বসে আছে হাসনা বেগমের অপেক্ষায়। হাসনা বেগমকে বিমর্ষ হয়ে আসতে দেখে সবাই বুঝলো ধ্রুবকে মানাতে পারে নি হাসনা বেগম।
সেলিম সাহেব চোরের মতো মুখ করে বসে রইলেন।সমস্ত ব্যাপারে তিনি নিজেকে সবচেয়ে বড় অপরাধী ভাবেন।
আদিবা বেগম আপনমনে বলতে লাগলেন,”কেনো সেই সময় আবেগে পড়ে এরকম কাজ করলে মেজো ভাই?আমরা সবাই কতো নিষেধ করলাম।হিন্দু মুসলমানে বিয়ে না করতে সবাই কতো নিষেধ করলো।তবুও করলে।
তারপর আর তাকে ধরে রাখতে পারলে না কেনো?
সে তো বহতা নদীর জলস্রোত ছিলো, তোমার তো তার সাথে মেলামেশা করার সময় বুঝা উচিত ছিলো সে কেমন মানুষ।
তার পক্ষে কি হাতেপায়ে শিকল পরে সংসারী হওয়া সাজে না-কি!দেবীর মতো রূপ নিয়ে জন্ম নেওয়া মেয়ে তো আমাদের মতো হেঁশেল ঠেলতে আসে নি।”
সেলিম সাহেব ভীষণ রেগে গেলেন। আজ আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না।চিৎকার করে বললেন,”দোষ কি আমার ছিলো ভাবী?তোমার সম্মানিত শ্বশুর কি কান্ড করেছে?তার মুখে না-কি চুনকালি পড়ে গেছে আমি হিন্দু মেয়ে বিয়ে করায়।দীপালি কি তোমাদের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে নি ভাবী?
এতো বড় ঘরের মেয়ে হয়েও তো সে নিজেকে সবার মতো সাধারণ ভেবেছে।বাবা তার হাতের পানি খাবেন না,খাবার খাবেন না,তার ছায়া দেখলেও সরে যাবেন।সে যতো বাবা বাবা বলে আপন হতে চাইতো,বাবা ততোই তাকে ঘৃণা করতো।
এই পৃথিবীতে কি আর কেউ এরকম বিয়ে করে নি?”
নুরুল ইসলাম সাহেব জবাব দিতে গিয়েও দিলেন না।ছেলে এখন উত্তেজিত হয়ে আছে।এখন তিনি যৌক্তিক কথা বললেও সে বুঝবে না।এসব নিয়ে তিনি ভাবছেন ও না।তিনি শুধু ভাবছেন নিজের নাতির কথা।
ছেলেটা এক বুক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছে।
দোতলার টানা বারান্দায় দাঁড়িয়ে শালুক নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো। ধ্রুবর যত অপরাধ, অন্যায় সব শালুক এক নিমিষেই ভুলে যায় ধ্রুবর মন খারাপ দেখলে।শালুকের ইচ্ছে করছে যেকোনো মূল্যে ধ্রুবর মন ভালো করে দিতে।
হঠাৎ করেই শালুকের মনে হলো ধ্রুবর বিছানায় ও চিনি ছিটিয়ে এসেছে রাগ করে যাতে ওকে পিপড়া কামড়ায়।এখন যদি সত্যি পিপড়া কামড়ায় ধ্রুবকে!
শালুকের কান্না পেলো ভীষণ। কেনো তখন এই কাজ করেছে?এখন কি করবে?
ধ্রুব কি দরজা খুলবে?
শালুক ধ্রুবর রুমের দরজা নক করলো।ধ্রুব ভেতর থেকে জিজ্ঞেস করলো,”কি চাই?”
শালুক ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বললো, “মা পাঠিয়েছে আপনার বিছানা ঝেড়ে দিতে।”
ধ্রুব দরজা না খুলেই বললো, “লাগবে না ভাগ এখান থেকে আমি এলোমেলো বিছানায় ঘুমাতে পছন্দ করি।”
শালুকের কান্না এসে গেলো। চোখের জল মুছে শালুক আবারও ডাকলো।ধ্রুব আর জবাব দিলো না।
ভেতরে ধ্রুব ভেঙ্গেচুরে চুরমার হয়ে যেতে লাগলো যন্ত্রণায়। এমন অদ্ভুত ভাগ্য কেনো তার!
কে দিবে এই জবাব?
চলবে…….
রাজিয়া রহমান