নানান বরণ মানুষ রে ভাই সপ্তদশ (১৭ তম পর্ব) বড় গল্প

0
242

# নানান বরণ মানুষ রে ভাই
সপ্তদশ (১৭ তম পর্ব)
বড় গল্প
নাহিদ ফারজানা সোমা

ওমর খানকে পুলিশ প্রহরায় আনা হয়েছে মা’কে দেখবার জন্য। আশেপাশের লোকজন এমনকি পুলিশদের ও একই কথা, এই ছেলে মা’কে দেখতে আসবে কেন? এ তো নিজেই মা’কে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো।

ওমর খান দীর্ঘক্ষণ মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কতো যে স্মৃতি মনের পর্দায় ভেসে উঠলো। ছোট্ট থেকে শুরু করে জেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। মা তাঁকে জেলে পাঠালেন! তিনি মা’কে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন ! কি আশ্চর্য ! লোভ মানুষকে কতো নীচে নামিয়ে দেয়। মা খিদে সহ্য করতে পারতেন না। সেই মা’কে খাওয়ার কি কষ্টটাই না দিয়েছেন তিনি আর রিয়া। মা আর খাবেন না। আর কোনো দিন মা’কে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাল্যস্মৃতিগুলো হুড়মুড়িয়ে চলে এলো সামনে। ওমর খান নিজেই টের পেলেন না কখন তিনি মা,মাগো বলে কাঁদতে শুরু করেছেন। আহ্,কি কষ্ট!

জানাজায় বেশি লোক হয়নি। মুকুল আর আরও কয়েকজনের সাথে রেখা পলাশকেও পাঠালেন জানাজায়। শিমুল নিষেধ করলো মা’কে। পলাশকে পাঠানোর দরকার নাই। বেচারা ভয় পাবে। মানুষ জন তাকে নিয়ে ফিসফাস করবে। ওমর খান সাহেব কি করেন কে জানে?

রেখা নিষেধ শুনলেন না।দাদীর জানাজায় নাতি যাবে না,তাই কি হয়?

কে একজন ইচ্ছা করেই পলাশকে তার বাবার পাশে দাঁড় করালো। গলায় দরদ ঢেলে বললো,”বড় নাতি বলে কথা। কানা হোক,খোঁড়া হোক, প্রথম নাতি তো।”
ওমর খান পলাশকে জড়িয়ে ধরলেন। এই শিশুকে তিনি কখনো স্পর্শ করেন নি অথচ এ তাঁর আত্মজ। মায়ের পেটের থেকেই পলাশের কষ্টের জীবন শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত চলছে অপমান, তাচ্ছিল্য, উপহাস। বাপ হয়ে তিনি নিজের ছেলের জীবনটা নষ্ট করে দিলেন। পলাশকে বুকে জড়িয়ে ওমর ভীষণ শান্তি পেলেন। তাঁর বুকটা কানায় কানায় ভরে গেলো। মুকুলকেও জড়িয়ে ধরলেন, তবে পলাশকে বুকে নিয়ে যে উষ্ণতা, যে সীমাহীন ভালোবাসা অনুভব করলেন,তা অন্য সন্তানদের বেলায় অতোটা হোলোনা।

বাকি রইলো শিমুল। ওমর খান মেয়েকে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।মেয়ে তার ঘর থেকে বাইরে এলোনা। ওমর নিজেই তার ঘরে গেলেন। শিমুল শক্ত মুখে দাঁড়িয়ে রইলো। ওমর খান মেয়ের মাথায় হাত রাখলেন। ভাঙা গলায় বললেন,”আমি ক্ষমার অযোগ্য। তবু যদি সম্ভব হয়,আগের কথা ভুলে যা মা। জীবনের অসংখ্য ভুলের কথা থাক, রেখা, পলাশ আর তোর উপরে যে অন্যায়,অত্যাচার আমি করেছি,তার প্রতিটা ঘটনা আমাকে কাঁদায়। আল্লাহ জানেন,কতোটা অনুতপ্ত আমি। তোর কাছে জোড় হাতে ক্ষমা চাচ্ছি মা। বুড়ো ছেলেকে মাফ করে দিস। কি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাস? ডাক্তারি পড়বি?”

শিমুল খড়খড়ে গলায় বললো,”ভাবি নি এখনো।”

“ভালো থাকিস।”
পুলিশের তাড়া। সুতরাং আবার পুলিশ ভ্যানে ওঠার পালা।
ওমর খান রেখার সাথে অল্প সময়ের জন্য একান্তে কথা বলতে চাইলেন।
খুব সাধারণ শাড়ি পরা, মাথায় অল্প ঘোমটা, গায়ে গয়নার চিহ্ন মাত্র নেই, রাত জাগা ক্লান্ত, বিষন্ন মুখ। তবু রেখাকে অপ্সরা মনে হলো ওমরের। জেলে বসে অনেক ভেবেছেন ওমর। কেন রেখার সাথে এতো জঘন্য হয়েছিলেন তিনি? বিয়েতো ওই পক্ষের ইচ্ছায় হয়নি, ওমরদের ইচ্ছাতেই হয়েছিলো। রেখা ছিলেন শান্ত, সহিষ্ণু, সেবাপরায়ণা, মমতাময়ী একজন মেয়ে।একই সাথে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। ওমরের বাবা খুব ভালোবাসতেন বৌমাকে। বাবার মৃত্যুর পর থেকে রেখার প্রতি মা-ছেলের অত্যাচার শুরু। কিন্তু কেন?কি ঘাটতি ছিল রেখার?শিমুল হওয়ার পরে মা একটা বাহানা পেলেন, মেয়ে হয়েছে, থ্যাবড়ামুখি। কিন্তু মা তো অশিক্ষিত ছিলেন না। ছেলে-মেয়ে হওয়া যে মায়ের উপরে নির্ভর করে না, তাতো ওমরের মা খুব ভালো করে জানতেন। গর্ভবতী ও পরবর্তীতে শিমুলের মা হওয়া রেখার প্রতি ওমরের এতোটুকু আকর্ষণ ছিলো না। তখন তিনি টাকা,মদ ও নারীতে আসক্ত। কিন্তু এসবের আগে তো রেখার সাথে তাঁর স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিলো। সেই সম্পর্ক নষ্ট হলো কি করে?আসলে গোড়া থেকেই রেখাকে তিনি ভালোবাসেন নি।রেখা ছিল তাঁর অভ্যাস। রিয়াকে কি ভালোবাসেন? না, একেবারেই না। রিয়ার সাথে উন্মাতাল সম্পর্ককে তিনি ভালোবাসা ভেবে ভুল করেছেন। জেলে ওমর উপলব্ধি করেছেন,তিনি আসলে কাউকে ভালোবাসেন নি নিজেকে ছাড়া। ভালো কথা, তিনি চরম স্বার্থপর। কিন্তু নিরপরাধ রেখা আর দুই সন্তানের উপরে এমন চরম অমানবিক কেন হলেন তিনি?তাও বছরের পর বছর ধরে?এর ব্যাখ্যা খুঁজে পান না ওমর।

রেখার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুই বলতে পারলেন না ওমর। একবার রেখার গালে আলতো করে হাত রাখলেন, ক্ষণিকের জন্য। তারপরে মাথা নিচু করে বের হয়ে গেলেন।

বাড়ি খালি হয়ে যাওয়ার পরে রেখা খুব শূন্যতা অনুভব করলেন। শাশুড়ির জন্য কষ্ট হচ্ছে তা নয়। তবে তাঁর খাওয়া,গোসল, বেডপ্যান এগুলো নিয়ে এতো ব্যস্ত থাকতেন রেখা, কাল রাত থেকে এগুলো কিছুই করতে হচ্ছেনা, তাই খুব ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। কতোকাল পরে স্বামী আদরের হাত রাখলেন গালে, কই,খুশি লাগছে না তো? মনটা বড্ড অস্হির লাগছে। হাসান ভাই এর কথা মনে পড়লো হঠাৎ। দিন পনেরো আগে কি একটা কাজে ভারতে গেছেন। দেশে থাকলে উড়ে আসতেন শিমুলের রেজাল্ট শুনে।

কতো অনিশ্চিত মানুষের জীবন। শাশুড়িকে উদ্ধার করেছিলেন মরণাপন্ন অবস্থায়, আফরোজা এতো অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, প্রথম দুই মাস প্রায় আশংকা হতো,আজকের রাতটা কাটবে তো? সেই মানুষ রেখার সেবা শুশ্রূষায় অনেক সুস্থ হয়ে গেলেন। ডাক্তার পর্যন্ত অবাক হয়ে যেতেন। যার বাঁচারই কথা ছিলো না, তিনি এতোটা সুস্থ আছেন কি করে? কাল সকালেও দিব্যি ভালো, অসুস্থতার কোনো লক্ষণ নেই, দুপুরে ও রেখার হাতে মাছ-ভাত খেলেন, রিয়াদের বাড়িতে রওনা হওয়ার আগ পর্যন্ত ঠিকঠাক, রিয়ার বাবার মৃত্যু সংবাদ শুনে মন্তব্য করলেন,”বুড়োটা না মরে বুড়িটা মরলে খুশি হতাম। ডাইনি একটা,মেয়েও ডাইনি,ছেলে দুটো কেউটে সাপ।”
খুব খারাপ লেগেছিল রেখার। মানুষ লেখাপড়া কেন করে? তাঁর শাশুড়ি সেই আমলের উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। কিন্তু কি শিখেছিলেন তিনি? শিক্ষা মানুষকে মানবিক, বিনয়ী করে, তাহলে আফরোজার মধ্যে এতো হিংস্রতা, নিষ্ষ্ঠুরতা, অহংকার কেন?মুখের ভাষা কেন এতো কদর্য? মানসিকতা এতো কুৎসিত কেন?

রেখারা বের হয়ে যাওয়ার পরে টিভিতে একটা সিনেমা দেখেছিলেন তিনি, সিনেমার বিরতিতে চা খেয়েছিলেন, রাতের ভাত আটটার মধ্যে খেয়ে নিয়েছিলেন, পাখি খাইয়ে দিয়েছিল। এরমধ্যে কয়েকবার শিমুলকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। শিমুল আসেনি।রাতে ভাতও খায়নি। এরপরে পাখি মশারি টাঙিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পরে তিনি মশারি উঠিয়ে দিতে বলেন। মশারি ছাড়া শুতে বেশি ভালোবাসতেন আফরোজা। আফরোজাকে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে দেখে পাখিও বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তার চৌকিতে একটু গা এলায়। ঘুম ভাঙে রেখার ডাকে।

রেখা শিমুলের ঘরে এলেন।সে একটা গল্পের বই পড়ছে। রেখা বললেন,”কাল রাতে খাসনি,আজ সকালে খাসনি,দুপুরে শুধু একটা রুটি খেলি। আমি ভাত নিয়ে আসছি,তোকে খাইয়ে দিই। ” শিমুল মা’র দিকে না তাকিয়ে মাথা নাড়লো। সে খাবে না।

“আমি খাইয়ে দিবো তো, কতোদিন খাসনি আমার হাতে।”

“সেটা অবশ্য আমারও মনে পড়ছে না। যাই হোক,আমি খাবো না।”

“শিমুল, তুই এমন হয়ে যাচ্ছিস কেন?আমাকে ইদানিং সহ্য ই করতে পারছিস না।”

” আমার কিছু ভালো লাগে না মা।

“সারাক্ষণ একা একা থাকলে কি করে ভাল লাগবে? ভাইবোনদের নিয়ে সময় কাটানো যায় না? একটা বন্ধুও নাই তোর। এখন থেকে আমি থাকবো তোর কাছে। তুইতো মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছিস রীতিমতো। ”

শিমুলের অনেকদিন ধরেই কিছু ভালো লাগে না। কোনো কিছুই তাকে আনন্দ দেয়না। শৈশব-কৈশোরের ভয়ংকর দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে।ভাবতে না চাইলেও স্মৃতিরা ঘুরে-ফিরে দল বেঁধে আসে। দাদী রিয়াকে ঘরে আদর করে বরণ করে নিচ্ছেন, বলছেন, “ঘরে অবশেষে লক্ষী এলো,” দাদী ভীষণ ধমকাচ্ছেন মা’কে ভাত শক্ত হয়েছে বলে, দোতলার বিশাল ঘর ছেড়ে নীচের একটা ছোট ঘরে আশ্রয় হলো শিমুল আর তার মায়ের, ওমর আর রিয়া আপত্তিকর অবস্থায় বসে বা শুয়ে থাকেন, দাদীর আদেশ মতো মা পানির জগ আর গ্লাস রেখে আসেন তাঁদের ঘরে, মায়ের আঁচল ধরে ছোট্ট শিমুল, এই উঁচু পেট নিয়ে রেখা বারবার নীচতলা-দোতলা করতে থাকেন, হাঁপান, কিছুক্ষণ পরপর চা, শরবত, হালকা নাশতার অর্ডার, দুইদিন পরপর মেহমান আর এই উঁচু পেট নিয়ে রেখার পোলাও-রোস্ট-রেজালা রান্না,বড় বড় মাছের চাকা ভাজা, দিনের মধ্যে কয়েকবার মায়ের বমি করা, দুঃখে-কষ্টে বা শারীরিক অসুস্থতার জন্য কিংবা তীব্র বিষন্নতা ও মানসিক অবসাদের জন্য প্রায়ই মায়ের না খেয়ে থাকা, কি যে কষ্ট লাগতো শিমুলের। মা’কে মুখে ভাত তুলতে দেখলে শিমুলের জানটা একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগতো। একদিন সেই ভয়ংকর দিনটা এলো। মা কাতরাচ্ছেন, দূর সম্পর্কের কিছু আত্মীয় মা’কে কোথায় যেন নিয়ে গেলো, শিমুলের দিকে কেউ ফিরেও তাকালো না। কয়েকদিন মা ছিলেন না, একটা মানুষ ও শিমুলের খোঁজ নিলো না। কেউ খেতে ডাকলো না,গোসল করতে বললো না।রাতে ভয় লাগায় মন্জু বুবুর কাছে ঘুমাতে গিয়েছিল, ঘরটাতে আরও দু’একজন দাসী ছিলো, তারা সাফ জানিয়ে দিলো ওখানে জায়গা হবে না।
তার কান্না দেখে মন্জু বলেছিলো,” চেহারা বান্দরের মতো।মুখ ভ্যাটকাইয়া কানলে শুওরের লাহান দেখায়। এই ছেমড়ি,ভাগ্ এখান থেইকা।” কি নাজুক , নড়বড়ে অবস্থান ছিল মায়ের এবং তার খান বাড়িতে, বাসায় কাজ করতে আসা লোকেরাও মুখ ঝামটা দিয়ে, তুই তোকারি করে কথা বলতে দ্বিতীয় বার ভাবতো না। একদিন মা ফিরলো কোলে পলাশকে নিয়ে, রোগা,ফ্যাকাসে চেহারা। দুর্বলতায় মায়ের শরীরটা সবসময় কাঁপতো, মাঝেমধ্যে দাঁতে দাঁত লেগে মা ফিট হয়ে যেতো, তাতে সবাই মিলে আরও রেগে যেতো,আরও খারাপ কথা শোনাতো। পলাশকে নিয়ে কতো কটু কথা,হাসাহাসি। পেটের জ্বালায় পলাশের কান্না। মৌরীর জন্মের পরে নবজাতকের প্রতি আদরের বন্যা। ওমরের কোলে মৌরী, রিয়ার বুকের দুধ খাচ্ছে মৌরী,দাদী যত্ন করে গোসল করাচ্ছেন মৌরীকে,আদর করে বলছেন, “খান বংশের রাজকন্যা। ” মৌরীকে তার বাবা-মা-দাদী,নানা-নানী,মামা-মামী সবাই আদর করছে, মৌরীর কতো কতো জামা,খেলনা। মৌরী কেঁদে উঠলে দশজন লোক সাথে সাথে হাজির হয়ে যায়, মৌরী হাঁচি দিলেও ডাক্তার ডাকা হয়। রিয়ার জন্য স্পেশাল রান্না, কতো সেবা যত্ন, আদর। আর ঐ একই বাড়িতে একই সময়ে রেখা,শিমুল,পলাশের অবস্থা? মৌরীকে দেখতে গেলে,ধরতে গেলে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিতেন ওমর,রিয়া,রিয়ার মা,আফরোজা। বের করে দিতেন ঘর থেকে। রিয়ার মা স্যান্ডেল খুলে মেরেছিলেন একদিন শিমুলকে। শিমুল চুপিচুপি ঘরে ঢুকে দোলনা থেকে মৌরীকে উঠানোর চেষ্টা করেছিল বলে। এই অপরাধে শিমুলকে বেদম পিটিয়েছিলেন আফরোজা। বলেছিলেন, ” নিজের লুলা ভাইকে কোলে নিতে পারিস না। বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়াস। হাত কেটে ফেলবো আরেকবার আমার নাতনিকে ধরলে।” রিয়া বলতেন,”এই মেয়েটা আমার ঘরে আসে চুরি করতে। অতিরিক্ত লোভ। বাবুনির লোশন,পাউডার,আমার লিপস্টিক সবকিছুর দিকে তার নজর।” মেয়ের অপরাধে রেখাকে কম কথা শুনতে হতো না। তারপরতো একদিন দুধ চুরি ধরা পড়ার পরে মেরে-ধরে,অশ্রাব্য গালিগালাজ করে তিনজনকে বের করে দেওয়া হলো। ঐ দিন আফরোজা,রিয়ার মা,রিয়া মিলে পালা করে এতো মেরেছিলেন শিমুলকে, অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল শিমুল। পাখার ডাঁটি দিয়ে অবিরাম মারের চোটে চামড়া কেটে কেটে গিয়েছিল। অগুনতি চড় থাপ্পড়ে গাল,মুখ ফুলে ঢোল হয় গিয়েছিল। ঠোঁট কেটে রক্ত পড়ছিল। পুরো সময়টা ওমর খান মৌরীকে আদর করে কাটিয়েছিলেন। স্পষ্ট মনে আছে শিমুলের।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here