#গল্পঃসত্যকার-ভালোবাসা।
#লেখিকাঃস্মৃতি-ইসলাম।
#অন্তিম-পর্ব।
.
.
” অনেক দেরি হয়ে গেছে আমার।চাইলেও আর তোর পক্ষে সম্ভব না কারণ তুই বিবাহিত। নেহা তুই অনেক ভালো থাকিস সুখে থাকিস আমাকে অভিশাপ দিস; যেন খুব তাড়াতাড়ি আমার মৃত্যু হয় “।
-আদম চলে যাচ্ছে। নেহা পিছন থেকে হাত ধরে। আদম ঘাড় ঘুড়িয়ে নেহার দিকে ফিরে।
“তুই খুশি না আমার বিয়ে হওয়াতে। তুই ইতো বললি ভালো ছেলে দেখে বিয়ে করার জন্য। তোকে ভুলার জন্য।
” হ্যাঁ বলেছিলাম। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল,” ভুলা যদি সহজ হতো যাই হোক ভালো থাক”।
” তুই আমাকে এখনো ভালোবাসিস।”
মাথা নিচু করে বলল,”ভালোবাসি বলেই তো এসেছি।এসেছি বলেই তো তোকে দেখতে পেরেছি এতেই আমি খুশি। ভেবেছি আসবিনা যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আসার জন্য। তুই সুখে থাক তোর হাসবেন্ড কে নিয়ে সবসময়। ”
“হাসবেন্ড কোথায় পাবো”।
– আদম চমকে নেহার দিকে তাকিয়ে বলে বিয়ে করিসনি তুই??
“নাহ্ করিনি তুই ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি চিরকুমারী হয়ে থাকবো।”
“বিয়ে করবি আমায়। আমার এখন সবকিছু আছে তোকে সুখে রাখার মতো কখনো বিশ্বাস ভাঙ্গবোনা কষ্ট পেতে দিবোনা করবি আমায় বিয়ে নেহা”।
-নেহা কেঁদে দেয় কথাগুলো শুনে আদম চোখের পানি মুছে বলে” আর একটি বার সুযোগ দে সারাজীবন তোর পাশে থাকবো।”
” আবার জাবিনা তো আমাকে একা করে দিয়ে।এবার চলে গেলে মরে যাবো”।
“জাবোনা আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করবো আমাদের মৃত্যুও যেন একসাথে হয় যাতে করে কেউ কাউকে একা করে দিয়ে না যেতে পারি। ”
-নেহা আদম কে ঝাপটে ধরে শব্দ করে কাঁদতে থাকে।
“কাঁদছিস কেন কাজল লেটে ভূত দেখা যাবে তো”।
“দেখা যাক আমি ভূত’ই”।
“উঁহু তুই আমার পরী আচ্ছা আমাকে আদমক্ষুর বলে ডাক তো খুব ভালো লাগে তুই আদমক্ষুর বললে।”
-নেহা মাথা নেড়ে বলে বলবেনা আদম বলে জাস্ট একবার বল না বল।
” বললাম তো বলবো না আদমক্ষুর”
-আদম মুচকি হাসছে বলবেনা বলেও বলে ফেলেছে। ৫দিন পড়ে আদম আর নেহার বিয়ে হয় নেহার আব্বু আম্মু ভাই আজ বিষণ খুশি এই পাচঁটা বছর কিনা করেছে মেয়েকে ডিপ্রেশন থেকে বের করানোর জন্য। আজ সবার মূখে খুশি। কেটে গেলো ২টা বছর সবাই হসপিটালে ওটির বাইরে সবাই দাড়িয়ে আছে কিছুক্ষণ পড়ে এক নার্স আসে।
“অভিনন্দন আদম আহমেদ আপনার মেয়ে সন্তান হয়েছে। ”
-সবাই একসাথে বলে উঠে আলহামদুলিল্লাহ আদম আগে থেকেই মিষ্টির অডার করে রেখেছিলো কিন্তু এখনো ডেলিভারি নিয়ে কেউ আসেনি তার খুশি দেখে কে সালমান ও দেশে নেই কাজে বাইরে গেছে দশদিনের জন্য।
“আমি কি আমার। মানে ইয়ে। দেখতে পারি ”
-আদম এত খুশি যার কারনে কি বলবে তারও হুশ নাই নার্স মেয়ে নিয়ে আসে কিন্তু নার্স বলে দেখতে হলে টাকা দিতে হবে আদম মানিব্যাগ টাই দিয়ে দেয় ওইদিকে ডেলিভারি বয় এসেছে প্রথমে একটু রেগে ছিলো কিন্তু এখন আর রেগে নেই। বলে কোনো ব্যাপার না। সবাইকে মিষ্টি মূখ করাচ্ছে।
“থ্যাংকস ডক্টর আমার ওয়াইফ ও আমার সন্তান দুজনের সেফটির জন্য”।
“ওয়েলকাম”
-আদম আরও কিছুক্ষণ কথা বলে নেহা সব ভ্রু কুঁচকে টেরে টেরে দেখছে। আদম মেয়েকে তার বোন আলবিদার কাছে দিয়ে আসে সবাই নানা রকম গল্প করছে।নেহার পাশে এসে বসে বলল,”
“কেমন লাগছে খারাপ লাগছে”
-নেহা রাগান্বিত হয়ে বলে হে বিষণ। নেহার কথা শুনার পড়ে আদম উতেজিত হয়ে পরে।
“বসো আমি ডক্টর কে নিয়ে আসছি”।
-নেহা আদমের হাত ধরে।
” ডক্টর কে ডাকতে যাকছিস কেন?? বিষয় কি হুম। কখন থেকে দেখতাসি কথা বলছিস”।
“মহারানী আমার দারণা শূন্য আমি প্রথম বাবা হলাম তাই নানা রকম প্রশ্ন করছিলাম বুঝেছেন”।
“হুম হুম আমাকে বুঝাতে হবেনা।আমি সবই বুঝি।”
“তুমি আমায় সন্দেহ করছো নাতো”।
“আস্তাগফিরুল্লাহ্ আদমক্ষুর কি বলছ এসব।তোকে আমি সন্দেহ করবো তুই বলতে পারলি এ কথা আমায়।”
“সরি ভুল হয়েগেছে মন খারাপ করোনা প্লিজ। আর তুমি এখনো আমাকে তুই করে বলো।সবার মূখ না হয় বন্দ করে ফেলেছি ক্লাসমেট বলে বাট আমাদের মেয়ে বড় হয়ে তার ফ্রেন্ডদের বলবে আম্মু আমার আব্বুকে তুই করে বলে।”
“আচ্ছা বড় হলে মেয়ের সামনে তুমি তুমি করে বলবো নে”।
“তার মানে তুমি আমায় তুই করেই বলবে। ভালো অনেক ভালো “।
“বাদ দে তো এখন বল মেয়ের নাম কি রাখবো অবশ্য আমি ছেলের নাম ঠিক করে রেখেছিলাম।”
“হ্যাঁ জানি তো মেয়েরা যে প্রথমে ছেলে সন্তান’ই আশা করে।”
“আহ্ তুই থামবি আমি চিন্তায় মরছি মেয়ের নাম নিয়ে আর তুই বকবক করে আমার মাথা খাচ্ছিস…আমি নেহা ও তুই আদম নেহাআদম বাহ্ সেই তো।”
“কি সেই তো??।”
“নেহাআদম নামটা সেই না হ্যাঁ এটাই নাম মেয়ের মা নেহা বাবা আদম মেয়ে নেহাআদম হা দারুণ।”
“একটুও দারুণ না আর আমার মেয়ের এতো বড় নাম হবে না তোমার মতো ছোট ও সুন্দর নাম থাকবে। যা আমি আগেই ভেবে রেখেছি।”
-নেহা রেগে যায় আর বলে আচ্ছা তা কী নাম ভেবে রেখেছিস শুনি।
“মাহা, আদম নেহার মেয়ের নাম মাহা। ”
– নেহা না না করছে।তখনি সবাই আসে আর বলে নেহাআদম না ওর নাম মাহহহহা।
সত্যিকার ভালোবাসা একদিন না একদিন হ্যাপি এন্ডিং হবেই। বেঁচে থাকুক প্রত্যেক ভালোবাসা।
_______________[সমাপ্ত]_______________
প্রিয় পাঠক পাঠিকা। গল্পটা কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ প্রথম থেকে শেষ অব্ধি পাশে থাকার জন্য, সাপোর্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন।সুস্থ থাকবেন বেঁচে থাকলে ইনশাল্লাহ নতুন গল্প নিয়ে ফিরে আসবো।