# গল্পঃসত্যিকার-ভালোবাসা।
# লেখিকাঃস্মৃতি-ইসলাম।
# পর্বঃ০২
পরেরদিন সকালে উঠে সারা সময় অপেক্ষার প্রহর কাটছে। আজ নেহা বড্ড খুশি কখন বিকেল হবে কখন সে একটা বারের জন্য আদম কে দেখবে মন বড় উতলা হয়ে আছে। সেই আনন্দে নেহা কালো শাড়ি কপালে ছোট কালো টিপ চোখে গাঢ় কাজল ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক হাত ভরে কালো কাচের চুড়ি পড়ছে। আদমের কালো রং অনেক পছন্দ করে।
-নেহা এসে দেখে আজও সে আগে থেকেই অপেক্ষা করছে।সময়ের সাথে সাথে আদম আগে থেকে অনেকটাই বদলে গেছে মানে অনেকটাই সুন্দর হয়ে গেছে লম্বা চুল কালো শার্ট কালো পেন্ট কালো সানগ্লাস কালো ঘড়ি। নেহাকে দেখে আদম দাঁড়িয়ে সানগ্লাস খুলে ফেলে। মনের মতো আজ পরিবেশটাও নির্জন হয়ে আছে হালকা বাতাস ভালোই লাগছে সেই পুরানো বট গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে। নীরবতা ভেঙ্গে আদম বলে।
“কেমন আছিস নেহা”
“যেমন রেখে গিয়েছিলি তেমনি আছি তবে কখনো ভাবিনি যে তোর সাথে কখনো দেখা হবে; পৃথিবীটা তো গোল তাই দেখা হয়ে গেলো। তা ৫ বছর পড়ে কি মনে করে বাংলাদেশে আসলি।”
“তোর জন্য এসেছি তোকে দেখবো বলে তোকে সারাজীবন আপন করে নিতে এসেছি। ”
নেহা কিছুটা হেসে বলে”আপন করে নিতে এসেছিস মানে”।
“তোকে বিয়ে করতে এসেছি”
” তোর কথাগুলো আজ আমার কাছে বড় হাস্যকর লাগছে জানিস….যেকিনা আমাকে অবহেলা.. তাচ্ছিল্য করে বিনা কারণে ব্রেক আপ করে না বলে লন্ডনে চলে গেছে তার মূখে এসব কথা মানায় না..একদমি মানায় না। সত্যিই মানায় না।তাছাড়া আমি এখন বিবাহিত।
“নেহা বোঝার চেষ্টা কর তখন আমার কিছুই করার ছিলনা। আমি বাধ্য হয়ে দেশ থেকে চলে গেছি। আমি পরিস্থিতির শিকার ছিলাম।”
“বাহ্ দারুণ বলেছিস এই না হলে আদমক্ষুর… বলার মতো কিছু না থাকলে এটাই বলে যে পরিস্থিতির শিকার।”
“বিশ্বাস কর সত্যিই আমি পরিস্থিতির শিকার ছিলাম”।
” বিশ্বাস ছিলো বললেই তো গায়ের কাটা দাঁড়িয়ে পড়ে মনে হলে ;যে ভুল করেছিলাম বিশ্বাস করে”।
“জানতে চাইবিনা কি হয়েছিলো.??
নেহা চুপ করে আছে।আদম কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বলল,”ওকে আমিই বলছি বাবা মারা যাবার পড়ে…
“কিহ্ আঙ্কেল মারা গেছে??
“হ্যাঁ বাবা মারা যায় পাচঁ বছর আগেই…সালমানের সাথে বাড়িতে ঘুরতে গেছিলাম বলেছিলাম তোকে আসলে ওই দিন বাবা মারা যায়…তোকে বলার মতো পরিস্থিতিতেও ছিলাম না। গ্রামে যাওয়ার পড়ে যানতে পারি বাবার কাছে অনেকেই টাকা পায় যা শুনার পড়ে মা বেইন স্টুক করে; আমি সবাইকে কথা দিয়েছি সবার টাকা ফিরিয়ে দিবো। আমি জানতাম না আমার বাবা জুয়া খেলে; যার কারণে এতটাকা আমার মাথা ঘুরতে থাকে এসব শুনে। সবাইকে তো বলে দিয়েছি টাকা দিবো কিন্তু কিভাবে। সালমান আমাকে কিছু টাকা দেয় সেই টাকা দিয়ে আমি লন্ডনে যাই স্টুডেন্ট ভিসায় ছোট বোন মা তোকে বন্ধুকে রেখে যাই কেননা এই দেশে থেকে আমি এত টাকা আর্ন করতে পারবো না.. তোকে বলে চিন্তা দিতে চাইনি যেখানে আমার নিজেরই এই অবস্থা তোকে কিভাবে আমি সুখে রাখবো আর এতদিন তুই আমার জন্য অপেক্ষা করবিনা।তুই কেনো কোনো মেয়েই না। তাই ব্রেক আপ করেছি তোকে কষ্ট দিয়ে চলে গেছি যেন আমাকে ভুলতে পারিস। বিশ্বাস কর,