#প্রেমরোগ-২৪ (বোনাস),২৫
#তাসনিম_তামান্না
২৪
কুয়াশা সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং টেবিলের কাছে আসতেই দেখতে পেলো। হলুদ রঙের একটা কাগজে ভাজ করা। কুয়াশা আলত হাতে কাগজের ভাজটি খুলতেই চোখের সামনে ভেসে উঠলো সুন্দর হাতের লেখা গুটিগুটি অক্ষরে লেখা
“~শুভ সকাল মুগ্ধময়ী~
ঘুমকন্যার ঘুম ভাঙ্গলো তাহলে? আমি অফিসে গেলাম। খেয়ে নিও। নিজের খেয়াল রেখো লজ্জাবতী বউ। ”
এইটুকু লেখা চিরকুট তাতে একরাশ সিন্ধতা মিশে আছে। কুয়াশার ঠোঁটের কোণে স্মৃত হাসির রেখা ফুটে উঠলো। মন ভালো করার জন্য এতোটুকু যথেষ্ট। কফি খেতে খেতে বাগানে গিয়ে বাড়ির চারিদিকে একবার চক্র দিয়ে আসলো। ফুলগুলো ছুঁয়ে দেখলো। একটা দোলা নেই বলে কুয়াশার খুব আপসোস হলো। মনে মনে ভেবে ফেললো আজ তুষার বাসায় আসলে একটা ঝ গ ড়া বাধাতেই হবে। এমন রসকষহীন মানুষ কিনা তার স্বামী ভেবেই হাসলো। আবার ভাবলো আসলেই কি রসকষহীন? শা লা একটা ভিদভিদে শ য় তা না হলে এতো সুন্দর চিরকুট লিখতে পারে। ইশ ‘মুগ্ধময়ী’ আমি। কি সিন্ধতা মিশিয়ে লিখেছে। কুয়াশা মনের সুখে গুনগুনিয়ে গান গেলো। কিন্তু সুখ বেশিক্ষণ থাকলো না। মনের সন্দেহের দানা বাঁধলো এতো সুন্দর করে চিরকুট লেখা শিখলো কিভাবে? ওনার কি আগে থেকে প্র্যাকটিস আছে? তার মানে ওনার গার্লফেন্ড…
কুয়াশা আর ভাবতে পারলো না। চোখ ছলছল করে উঠলো প্রিয় মানুষটাকে দেখা তো দূর ভাবতেই কষ্টে বুক ফেটে আসে। সারাদিনটাায় কুয়াশার অস্থিরতা কাটলো। বাসা থেকে ফোন দিলেও কথা বলল না ফোন অফ করে রেখে দিলো। তুষারও আজ ফোন দেয় নি কাজের চাপ বেশি ছিল। তাছাড়া ভেবেছিল কাল রাতের লজ্জার জন্য হয়ত কুয়াশা ভালোভাবে কথা বলতে পারবে না তাই আর ফোন করায় গা লাগায় নি। তুষার লক খুলে ভিতরে আসতেই কুয়াশাকে ড্রাইংরুমের সোফায় থমথমে মুখে বসে থাকতে দেখে তুষারের ভ্রু কুঁচকে গেলো। গ্লাসে পানি ঢেলতে ঢেলতে বলল
” হোয়াট হ্যাপেন? হাড়ির তলার কালির মতো মুখ করে বসে আছো কেনো ”
তুষারের কথাটা জেনো আগুনে ঘি ডেলে দেওয়ার মতো কাজ করলো। কুয়াশা খেপা বাঘিনীর মতো তেড়ে এসে তুষারের কলোয়ার ধরে বলল
” তুই এতো সুন্দর চিরকুট লেখা কোথা থেকে শিখলি? তোর তো ডজন খানেক গার্লফ্রেন্ড আছে তুই বলেছিলি তাহলে তো আমার কোনো দরকার নাই আমি কাল ই বাড়ি চলে যাবো ”
তুষার বড় বড় চোখে বিস্ময় নিয়ে কুয়াশার দিকে তাকিয়ে আছে কি বলবে বুঝতে পারছে না কুয়াশার এমন আকস্মিক আক্র মণের জন্য মটেও প্রস্তুত ছিল না। তুষার আমতা আমতা করে বলল
” কি সব নিজের মতো বকবল করে যাচ্ছো? ব্যপারটা ক্লিয়ারলি বললে না বুঝবো কি হয়েছে? ”
” কিছু হয় নি তো কি হবে? কিন্তু এখন হবে। আমি এখনি বাড়ি যাবো ”
” এটা কি তোমার মিরপুর টু গাজীপুর যে চাইলেই যেতে আসতে পারবা? তোমার এমন অযথা রাগের কারণ বুঝতে পারছি না। না বললে বুঝবো কিভাবে? ”
” তাই তো তুই তো কিছু বুঝিস না। তুই তো কচি খোকা ”
তুষার রাগ তিরতির করে বারছে। কলোয়ার থেকে কুয়াশার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে রাগি কন্ঠে বলল
” ডোন্ট ক্রস ইউর লিমিট। নিজের সীমার মধ্যে থাকো না হলে… ”
” না হলে কি? গার্লফ্রেন্ড বাসায় আনবেন? ”
তুষারের বিরক্তিতে চুখ মুখ কুচকে গেলো বলল
” গার্লফ্রেন্ড কোথা থেকে আসলো? ”
” আমি যে সেদিন বলছিলেন আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে। তাকে চিরকুট লিখে লিখে আপনি এতো সুন্দর চিরকুট লিখতে শিখেন না? ”
তুষার হতাশ নিশ্বাস ত্যাগ করে বলল
” তুমি যে কি পরিমাণ গা ধী তুমি নিজেও জানো না। অফিস থেকে এসে এসব আজাইরা আজগুবি কথা শুনতে মটেও ভালো লাগছে না সারাদিন বাসায় বসে এসব চিন্তাভাবনা করো তাই না? আর কয় দিন পর পা গ ল হয়ে যাবে। ”
” আমাকে গা ধী বললেন কোন সাহসে? এতো বড় ইনসাল্ট? ”
” গা ধী বললেও গা ধী কে ইনসাল্ট করা হবে তুমি যে কি তুমি নিজেও যানো। বাই দ্যা ওয়ে আমি গার্লফেন্ড বলতে মেয়ে বন্ধু কে বুঝিয়েছি প্রেমিকাকে নয় ”
তুষারের কথা শুনে কুয়াশা খুশিতে বাক- বাকুম হয়ে গেলো চোখের পানি মুছে বলল ” সত্যি? ”
তুষার একপলক তাকিয়ে বলল ” কিছু না জেনে আগে থেকে এভাবে সমুদ্র বানানোটা বন্ধ করো। বাই দ্যা ওয়ে আর তুমি কি জেলাস? ”
কুয়াশা এলোমেলো দৃষ্টি দিয়ে আমতা আমতা করে বলল
” আমি জেলাস হতে যাবো কেনো? ”
” প্রেমে পড়েছ হয়তো ”
কুয়াশা বিকৃতি মুখোভঙ্গি করে ভেংয়িয়ে বলল
” যেই না চেহারা তাতে আবার প্রেম হুহ্ আমি কেনো কেউ ই আপনার প্রেমে পরবে না ”
তুষার বাঁকা হেসে বলল ” আমি চাইলে এখনি মেয়েদের লাইন পড়ে যাবে তখন তোমার কি হবে বলো তো ”
” হ্যাঁ হ্যাঁ যত সব ঢং আমার জানা আছে বুইড়া বেটা পিছনে কত মেয়ে ঘুরে ”
তুষার রেগে বলল
” এই তুমি আমাকে কি বললে? ”
” কেনো শুনতে পান নি? বুইড়া বেটা বলছি বুইড়া বেটা ”
” ইউ… তোমাকে তো আমি পরে দেখে নেবো ”
কথাটা বলে তুষার রুমে চলে গেলো। কুয়াশা পিছন থেকে ঘু ষি দেখালো। মনে মনে বলল
” সত্যি আমার বুদ্ধি দিন দিন লোপ পাচ্ছে কিভাবে আজকের সুন্দর দিনটা নষ্ট করলাম ঔ খ বি শ বেটার কথা ভেবে দূর ”
কুয়াশা রাতের রান্না করতে লাগলো। তুষারে চিন্তায় সব নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে বসেছিলো। তুষার ফ্রেশ হয়ে বার বার নিজেকে আয়নায় দেখছে সে কি সত্যি সত্যি বুড়ো হয়ে গেছে কি না সেটাই বোঝার চেষ্টা করছে। কিন্তু না ঠিকি তো আছে। তুষার চিন্তিত হয়ে ভাববো কার কাছে শোনা যায়? একটা ফেন্ডের কাছে ফোন দিয়ে বলল
” হ্যালো দোস্ত ”
” বল শুনতেছি ”
” আমি কি বুইড়া হয়ে গেছি ”
সজিব হেসে লুটোপুটি খেতে খেতে বলল
” লাইক সিরিয়াসলি? মোস্ট হ্যান্সাম বয় কি না এসব কথা বলছে? ”
তুষার মাথা চুলকে বলল
” আমি বলি নি বউ বলল ”
” বউরা ওমন বলে বরকে খেপানোর জন্য এতো সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছু নেই আমার বউ কত কি বলে। তো বাচ্চা কবে নিবি? ”
তুষার বিষম খেলো বলল ” এতো তারাতাড়ি? এখনো ঠিক মতো সংসার টাই করতে পারলাম না ”
” কিন্তু বিয়ের তো অনেক গুলো বছর হয়ে গেছে এখন তো নেওয়ায় যায় বউ বাচ্চা ভরা সংসার ”
” হুম রাখছি কাল পার্টিতে দেখা হচ্ছে ”
” হুম ”
রাতে ডাইনিং টেবিলের খাবার খেতে খেতে বলল
” শুনেন আপনার সাথে আমার ইম্পর্টেন্ট একটা কথা আছে ”
” তোমার ইম্পর্টেন্ট কথা মানেই আজাইরা কথা বলো কি বলবে ”
কুয়াশা রাগতে গিয়েও রাগলো না বলল
” আপনি এতোটাই খ বি শ যে ছাদে বা বাগানে একটা দোল না নাই। আর বাড়ির গাছ গুলোও যত্ন নেন না ”
” কুয়াশা এসব উল্টো পাল্টা কিসব ল্যাংগুয়েজ ইউজ করো? ”
” বেশ করি আরো করবো ”
” বেশি পকপক না করে খাও ”
” দোলনা এনে দিবেন কবে ”
” এতো রাতে এনে দিতে তো পারবো না সময় হলে পেয়ে যাবে ”
চলবে ইনশাআল্লাহ
#প্রেমরোগ-২৫
#তাসনিম_তামান্না
গভীর রাত সকলে ঘুমের দেশে তলিয়ে গেছে। শীত না পড়লেও শীতের আগমন জানান দিচ্ছে। মেঘা রিদের সাথে কথা বলছে ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করে বলল
” ভাবছি বিয়ে করে ফেলবো? ”
” কেনো তোমার বাসা থেকে বিয়ের কথা বলছে? ”
” নাহ। আমার বিয়ে করতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব। আর কত কাল সিঙ্গেল থাকবো? ”
ওপাশ থেকে নিরবতা দীর্ঘ শ্বাস শোনা গেলো। মেঘা অস্থির মন নিয়ে ভালো খারাপ কিছু শোনার অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। মনে মনে চাইছে ভালো কিছু বলুক। রিদ সময় নিয়ে বলল
” তাহলে ছেলে খোঁজা শুরু করি কি বলো? ”
মেঘার স্বচ্ছ কাঁচের মতো হৃদয়টা ঝনঝনিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে গেলো অন্তঃপুর দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো। নয়ন হয়ে উঠলো অশ্রুসিক্ত। বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় অশ্রু গড়িয়ে পড়লো টুপটাপ।
জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে শক্ত কন্ঠে বলল
” অন্য হাতে যখন আমাকে তুলে দিবি তখন এতোদিন আমার সাথে কথা বললি কেনো? এটা টাইম পাস ছিল তোর? আমাকে তোর টাইম পাস করা মেয়ে মনে হয়? আমি তোর সাথে কথা বলতে চাই নি তো তুই ই তো ঘুরঘুর করেছিস? ”
” চিৎকার চেচামেচি করছো কেনো রাতের বেলা সকলে ঘুমাচ্ছে। আর আমি কি কখনো তোমাকে বলেছি আমি তোমাকে ভালোবাসি বা বিয়ে করতে চাই? ”
মেঘা ডুকরে কেঁদে উঠলো বলল
” বলেন নি কিন্তু এতোদিন আমার সাথে কথা বলার মানে কি? ”
” তোমার বাবা-মায়ের মৃত্যুর দিন তোমার কান্না দেখে কষ্ট হচ্ছিল ”
” আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন না। তাহলে আপনার কেনো কষ্ট হবে আমার কান্না দেখে? আপনি আমার অসহায়তার সুযোগ নিলেন? ”
” ভুল বুঝো মেঘা আমি তোমাকে ভা… ”
” কি বলতে চাইছিলেন? থেমে গেলেন কেনো? ”
” কিছু না ফোন রাখছি ভালো থেকো ”
” ভালো থেকো বললেই কি ভালো থাকা যায়? ”
” যায় না কিন্তু ভালো থাকার অভিনয় করা যায় ”
” আপনি আমাকে বার বার ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। আই হেট ইউ ”
ফোন কেটে বালিশে মুখ গুঁজে কেঁদে উঠলো। দরজায় ঠকঠক আওয়াজ মেঘা কেঁপে উঠল। মনে ভয় জাগলো কেউ তার কথা শুনে ফেলেনি তো? মেঘা চোখমুখ ভালো করে মুছে গলা ঝেড়ে বলল
” কে? ”
তুতুল ওপাশ থেকে বলল
” দরজা খোলো মেঘা ”
মেঘা নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে দরজা খুলে দিয়ে বলল ” কি হয়েছে ভাবিপু? এতো রাতে তুমি? ”
” তোমার সাথে কথা ছিল ”
” হ্যাঁ বলো ”
রুমে ডুকে দরজা লাগিয়ে দিলো তুতুল মেঘার ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো তবে কি সব জেনে গেলো? তুতুল দরজা লাগিয়ে শান্ত দৃষ্টিতে মেঘার দিকে তাকালো মেঘা দৃষ্টি মেলাতে পারছে না মনে মনে ভয়ে জমে গেছে।
” কি করছিলে? কাদছিলে? ”
মেঘা চমকে উঠে বলল ” কই না তো ঘুমাচ্ছিলাম ”
” মিথ্যা বলছ কেনো? আমি সব জানি। শুনেছি ”
মেঘা বলল ” কি শুনেছো? ”
” নিচে পানি আনতে গেছিলাম। আসার সময় শুনেছি তুমি রিদের সাথে কথা বলছিলে তাই না? ”
মেঘার ভয়ে বুক ধুকপুক করছে।
” কি বলচ এসব ভুল শুনেছ ঘুমের ঘোরে ”
” আমি ঠিক শুনেছি মেঘা তোমাকে আমার কিছু বলার আছে আমি বার বার বলতে চেয়েও পিছনে এসেছি ”
” ভাবিপু প্লিজ এসব ভাইয়াকে বলো না ”
” আচ্ছা বলবো আগে শান্ত হয়ে বসো ”
বিছানায় দুজন মুখোমুখি বসলো।
” আমি জানি তুমি রিদ কে ভালোবাসো আর রিদ ও তোমাকে ভালোবাসে ”
মেঘা অবাক হয়ে বলল
” তুমি কিভাবে জানলে ও আমাকে ভালোবাসে? ”
তুতুল বলল ” শোনো তাহলে যেদিন আমরা ফ্যান্টাস্টি কিংডম থেকে ফিরলাম তোমার আম্মু রিদের সাথে আলাদা কথা বলে ভাগ্যক্রমে আমি সেটা নিজের অজান্তেই শুনে ফেলি ”
” কি কথা বলছে আম্মু? ”
” সেদিন আমি রুম ক্রস করে যাচ্ছিলাম তখন আমার কানে আসে……
—অতীত —
” রিদ আমি জানি তোমাদের উঠতি বয়স এ বয়সে প্রেম ভালোবাসা হয়। আমি মা তো মেয়ের চোখমুখ দেখলে মনের কথা বুঝতে পারি। কিন্তু আমি চাই কোনো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে মেঘাকে ঠেলে দিতে। যেখানে তোমার নিজস্ব একটা বাড়ি নেই। মা-বাবা আত্মীয় স্বজন কেউ নেই। আমি কিভাবে দেই বলো। তুমি নিশ্চিতে একটা ভালো ছেলে একটা ভালো জব করো। মেয়ের বাবা-মা এমন একটা ছেলে চাই। কি বলো আমি ও তোমাকে চাইতাম আমার মেয়ের জামাই হিসেবে কিন্তু তোমার একটাই কমতি তোমার বাবা-মা নেই। আমি আমার মেয়েকে আমাদের মতো ভরা সংসারে দিতে চাই হাসিমজা করে থাকবে। আমি কি বলছি তুমি বুঝছ আমার মেয়ের থেকে দূরে থাকবে ”
” জি আন্টি ”
” আমার কোনো কথায় খারাপ লাগবে বা কষ্ট পেলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। ”
” এমা ছিঃ ছিঃ এভাবে বলবেন না আপনি আমার মায়ের মতো ”
” মাথায় রেখো কথা গুলো ”
—বর্তমান—
” আম্মু যেতেই সেদিন রিদকে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখেছি। ”
মেঘার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে লোকটা এভাবে মনের মধ্যে কথাগুলো চেপে রেখেছে। একবার তো সব খুলে বলতে পারতো। তুতুল মেঘাকে ধাক্কা দিয়ে বলল
” তোমার ভাইয়াদের বললে তারাও তোমার আর রিদের ব্যপারটা মেনে নিবে আমি জানি। আমি কি কথা বলবো তোমার ভাইয়ার সাথে ”
” না আমিই বলবো। রিদকে আমি রাজি করাবো আম্মু ও রিদকে পছন্দ ছিল কিন্তু শুর একটাই কমতির জন্য এভাবে না করে দিলো। আম্মু আজ থাকলে আমি আম্মুকে বুঝালে আম্মু বুঝতো। আমি যে রিদকে ভালোবাসি ওনাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না। মেয়ের সুখের জন্য আম্মু মেনে নিতো এতোটা নিষ্ঠুর হতো না ”
” আমি যাচ্ছি। তুমি ভেবে দেখো কি করবে ”
তুতুল চলে গেলো মেঘা বিরবির করে বলল
” রিদ যদি আমার না হয় তাহলে আমি কারোর হবো না কারোর না ”
চলবে ইনশাআল্লাহ
আসসালামু আলাইকুম। রিদ আর মেঘার কি এক করে দেওয়া উচিত? জানাবেন সে অনুযায়ী লিখবো।