★মেজেস্টার স্বামী★
part- 12
writer- sarmin.
আমি তোমাকে একটি সাজেসন দিতে পারি।
আমি,,,আপনার সাজেসন তো আমাকে জিলাপির পেচে ফেলবে সে আমার জানা আছে।তাও বলেন শুনি।
স্যার,,,,,,,মেঘ তুমি আমার কাছে প্রতি দিন পড়তে বসবে,আমি তোমাকে তোমার কেরিয়ার গোছাতে সাহায্য করবো।
আমি মাথা নেরে হ্যা জানালাম।
পর দিন সকালে আমরা স্যার এর বাড়ি মানে আমার শশুর বাড়ি চলে আসলাম।
নিসি,,,,,,কি ভাবি তোমরা এসেছো তোমাকে ছারা আমার আর ভালো লাগছিল না মা কে বললাম তোমাকে ফোন দিতে মা তা দিলনা।
আমি,,,,,,আচ্ছা ঠিক আছে আমিতো এবার এসে গেছি আর কোন অভিযোগ করতে হবেনা।
শাশুরি মা,,,,,,নারে মা ওর কথায় কান দিসনা,ও আমাকে পাগল বানিয়ে ফেলছে তোমাদের আসতে বলার জন্য। জাই হক বলো তোমার মা- বাবা কেমন আছে।
আমি,,,,,,,সবাই ভালো আছে,আপনে ভালো আছেন,বাবা কোথায়।
শাশুরি মা,,,,,,,,তোমার বাবা অফিসে গেছেন।এবার উপরে জাও ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো।
আমি উপরে চলে আসলাম স্যার এর রুমে,স্যার ও চলে আসলেন।
স্যার,,,,কাল যে তোমার রেজাল্ট দিবে তুমি তা জান।
আমার হটাত ইভার কথা মনে পরে, ইভার সাথে অনেক দিন ধরে কথা হয় না।তাই ইভাকে ফোন করলাম।
ফোনটা বেজেই জাচ্ছে ইভা ধরছে না।অনেক বার ট্রাই করার পর ইভা ফোনটা ধরলো।
আমি,,,,,ইভা কেমন আসিছ। কিন্তু কোন উত্তর দিলনা।কিরে কথা বলসিছ না কেন।
ইভা,,,,,,,,তোর সাথে আবার কিসের কথা,বিয়ে করেতো আমায় ভোলেই গেসিস,
না না সোনা এমন করে বলেনা তুমিতো আমার জান তোমাকে কিভাবে আমি ভুলি বল।আসলে একদিন আমি মারা গেছিলাম তো সেকারনে আমার জান টা আমার কাছে ছিলনা।
ইভা,,,,,থাক থাক আর ভাষান দিতে হবে না একথা আমি বহু বার সুনেছিএবার থামেন।
তাই জান, sorry জান আজ থেকে আর তোমাকে আলাদা হতে দিবনা, তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে পরে বলবো এখন রাখি বায়।
একি স্যার আমার দিকে এমন বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছেন কেন।
এই আপনি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন আমি ভয় পাই না বুঝি।
স্যার আমার হাত টান দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বলেন।
স্যার,,,,,,এই তুমি কার সাথে জান জান বলে কথা বলছিলে। তোমার সাহস হয় কি করে আমার সামনে অন্য কারও সাথে এভাবে কথা বলার।
স্যার আমার হাতে বেথা লাগছে আমাকে ছারুন।
তুমি হাতে বেথা সজ্জ করতে পারনা তাহলে কেন বোঝনা আমার মনে কি বেথা হয়েছে।
স্যার আমি ইভার সাথে কথা বলছিলাম ও আমার খুব কাছের বান্ধবী।
ওনি আমাকে ছেরে কিছুটা দূরে দ্বারালেন।
স্যার,,,,,,সে কথা তুমি আগে বলতে পারতে মেঘ তা হলে আমার এ বেবহার করতে হতো না।
আমি,,,, যা হয় ভালোর জন্য হয়। তা না হলে আপনার এরকম রূপ টা দেখতে পেতাম না।
স্যার,,,,,sorry মেঘ আমার এরকম টা করা উচিত হয়নি।
আমি কিছুখনের জন্য হলেও ভেবেছিলাম তুমি বোধয় তোমার বোন এর মত।
আমি কোন কথা না বলে বেলকনিতে দ্বারালাম কখন যে চেয়ারে ঘুমিয়ে পরেছি বুঝিনি।
সকালে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গল একি আমি বিছানায় কি করে এলাম।কারো হাত আমার শরিলে অনুভব করলাম পাস ফিরে তাকাতেই, একি স্যার আমায় জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে।
ওনার হাত সরিয়ে ওঠতেই বলেন। কি ঘুম হলো মহা রাণী।
আমি এখানে এলাম কি করে।
স্যার,,,তোমার এত ভালো একটা বর থাকতে তুমি বেলকনিতে ঘুমাবে ভাবলে কি করে।
আমি কোন উত্তর না দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলাম। জানতে পারলাম এবার নাকি নিসি ও HSC পরীক্ষা দিয়েছে। আমরা সবাই নাস্তা করে বসে আছি।
এমন সময় স্যার আসলেন পরীক্ষা র রেজাল্ট দিয়েছে নিসি নাকি A+ পেয়েছে।ওনি আমার দিকে রাগি চোখে তাকালেন। স্যার এর তাকানোর ভাবে বোঝেনিলাম আমি হয়তো ফেল করেছি।
একি স্যার আমায় তার কোলে তুলে নিলেন। মেঘ তুমি A+ পেয়েছ।
আমি ওনার কথা মেনে নিতে পারিনি কারন আমি যা লেখেছি তাতে বেশি হলে আমার পাশ নাম্বার হবে।কিন্তু A+ প্রশ্ন ই আসেনা।
আমি তারা তারি রুমে চলে আসলাম এসে ইভা কে ফোন করলাম ইভা ফোন ধরলো
আমি,,,,,,ইভা তুই পরীক্ষা র রেজাল্ট জেনেসিছ।
ইভা,,,,,,হ্যা তুই A+ পেয়েছিস।
আমি,,,,,,আমি যে A+ পেয়েছি তুই জানলি কি করে।আর তুই কি পেয়েছিস।
ইভা,,,,,আমি C পেয়েছি।
আমি,,,,ইভা সত্যি করে বল আমি A+ কি করে পেলাম।
ইভা,,,,,মেঘ আসলে পরীক্ষা য় আমি তোর খাতায় লিখে ছিলাম আর তুই যে খাতা লিখে জমা দিছিস ঔ টা আমার খাতাছিল।
আমি তোর বাবার দেওয়া সত্য তোকে জিতাতে চেয়েছিলাম।
চলবে,,,,,,,,,,,