★মেজেস্টার স্বামী★ Part-17 Writer- Sarmin.

0
546

★মেজেস্টার স্বামী★
Part-17
Writer- Sarmin.

সামনে জেতেই আরো বেশি অবাক।সবাই আমাদের জন্য ফুল হাতে দারিয়ে আছে।আবির এর বাবা- মা ও সাথে।

আমি ভাবলাম হয়তো কোন বিশেষ অতিথি আসবে তাই হয়তো।কিন্তু আমার ধারনা ভুল প্রমান হলো, আমরা সামনে এগোতেই সবাই আমাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে।

আমি, নিসি এবং স্যার একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছি।কেউ কোন কিছু বোঝতে পারছি না।

আবির এর বাবা- মা আমাদের বাড়ি র ভিতর নিয়ে গেলো। সেখানে আবির আমাদের দেখে তারা তারি সামনে আসলো।

আবির দের বাড়ি টা অতিথি তে ভর পুর। আবির স্যার এর সাথে পরিচয় হয় নিসির ভাইয়া পরিচয়ে।আমার স্বামী পরিচয় টা দেয়া প্রোয়জন মনে হয়নি।

তাই নিসি ওর ভাইয়া কে পরিচয় করিয়ে দেয়।

কিছু সময় পর আবির জন্মদিন এর কেক কাটে। আবির এর বাবা- মা সবাই কে জানায় তার ছেলে একজন কে ভালোবাসে আর তাকে তা আজ সবার সামনে জানাবে।

আমি খুব খুসি হলাম কথা টা শুনে। নিসি ও খুব খুসি হয়তো আবির নিসি র কথাই ওর বাবা- মা কে জানিয়েছে।

আমি আর স্যার পাসাপাশি দ্বারিয়ে আছি নিসি কিছুটা দূরে। আবির এক তোরা ফুল নিয়ে আমাদের সামনে আসছে। আজ আমি অনেক বেশি খুশি যে নিসি তার ভালোবাসার মানুষ এর ভালবাসার কথা নিজ মুখে জানতে পারছে।

কিন্তু আমার ভাবনার অবসান ঘটলো।আবির নিসির কাছে জায়নি আবির আমার সামনে গোনাপ ফুল নিয়ে হাটু গেরে I Love You মেঘ বলে প্রেম নিবেদন করছে।

আমি কি বলবো বোঝতে পারছিনা নিসি অনাবরত কেদেই চলেছে।আমি কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না।

কোন দিসা না পেয়ে স্যার কে জরিয়ে ধরলাম তখনো আবির আমার সামনে। তবে যেখানে আবির এর রিয়েক্ট করা কথা সেখানে স্যার আমাকে দিলো একটা

ঠাসসসসসসসস।

আবির দারিয়ে আমাকে ধরলো সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আজ নিজেকে জোকার এর মত মনে হচ্ছে।

আবির,,,,,কি হলো মেঘ রোদ ভাইয়া তোমাকে মারলো কেনো আর তুমি কেনো কান্না করছো আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। আমি তোমায় খিব সুখে রাগবো দেখবে,

আমার বাবা- মা তোমাকে অনেক পছন্দ করেছে।বাবা বলেছে কাল তোমাদের বাড়ি যাবে তোমার বাবা – মা এর সাথে কথা বলতে।

আজ থেকে আমাদের বন্ধুত্ত ভালোবাসায় পরিণত হবে।
মেঘ আমি তোমায় ভারসির্টিতে যে দিন প্রথম দেখি সেদিন তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।

আজ যে সব আয়োজন দেখছ সে সব আয়োজন তোমার জন্য।আমি তোমাকে কুব বেশি ভালোবাসি মেঘ আমার নিজের চাইতে বেশি।

তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিওনা।আমি তাহলে বাচতে পারবো না।

আবির এর এসব কথা গুলি শুনে আমার কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসছিল।

স্যার এর দিকে তাকালাম দেখি স্যার এর চোখ দিয়ে পানি ঝরছে।আমার জানতে আর বাকি রইলো না যে স্যার আমাকে খুব বড় ভোলবোঝে নিয়েছে।

আমি,,,,,,,,,আবির আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।যা আমার তোমাকে আগে বলা উচিত ছিলো। তবে এ কথাটা যে কোন সময় এতটা প্রয়োজন হয়ে দ্বারাবে তা কখন মনে করিনি।

সোন তবে।

চলবে,,,,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here