★মেজেস্টার স্বামী★
writer- sarmin
part- 20 শেষ পর্ব।
আজ প্রায় পাচঁ বসর পর আমরা সবাই সক সাথে।এরি মাঝে অনেক গুলো দিন আপন মানুষ গুলার মুখ দেখা হয়নি। আজ আমার ছেলে জোনায়েত এর জন্মদিন তাই স্যার আমাদের নিয়ে দেশে এসেছেন।
ওওও আপনাদের তো বলাহয়নি আমাকে নিয়ে স্যার দেশ ছেরেসেন প্রায় পাচঁ বসর হয়েছে। কি কারন । কারন,,,, নিসির বিয়ে হয়েছিলো আবির এর সাথে কিন্তু কে জানতো বাড়িতে খাল কেটে কুমির আনছি।
আবির নিসি কে অনেক অত্যাচার করতো। আমাদের বাড়ি তেই বেশি দিন কাটাতো আর আমাকে নানা বাজে কথা বলতো এবং মানসিক অত্যাচার করতো। জানিনা নিসি কেনো সবটা মুখ বোঝে মেনে নিতো।
আমি ও হাফিয়ে গিয়েছিলাম আবির এর ব্যবহারে তবুও কাউকে কিছু জানতে দিতাম না তবে নিসি সবটাই জানতো শুধু সংসার ভেঙ্গে জাবে সেই ভয়ে আমাকে ও কিছু বলতে দিতোনা।
তবে মিত্যার উপর ভর করে বেশি দিন টিকে থাকা জায়না। আর সত্যি কখনো চাপা থাকেনা ।
আবির এর ভালো মানুষ সেজে থাকা তাই বেশি দিন থাকলো না।
সেদিন অনেক বৃস্টি ছিলো আমি ছাদে কাপড় আনতে গিয়েছিলাম আচমকা কেউ এক জন আমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো আমি চিটকার করতে চাইলাম কিন্তু আমার মুখ চেপে ধরলো আমার সামনে আসতেই আমি অবাক আবির আমার সাথে এধরনের আচরন করছে। আমি দৌরে জেতে চাইলে ও পারলাম না ও আমায় টান দিয়ে নিচে ফেলে দিলো।
আমার উপর সিয়ালের মতো ঝাপিয়ে পরলো। আমি আবির এর এ ধরনের রুপ কখনো দেখিনি।নিজেকে বাচাবার জন্য অবিরাম চেস্টা করছি।
তবে জানি না উপর আল্লাহতালা কি লিখে রেখে ছেন জীবন চলার পথে কি তার ইসারা।
এমন সময় স্যার ছাদে আসলেন মোবাইলে কথা বলতে বলতে।
আমি ডাকার চেস্টা করলাম পারছিনা আবির আমার মুখ সক্ত করে ধরে আড়ালে নিয়ে জায়।আমি আর কোন উপায় না পেয়ে আবির এর হাতে কামর দিয়ে দৌরে স্যার কে এসে জরিয়ে ধরি।স্যার আমার এরকম ববস্তা দেখে অবাক হয়ে তাকান।
আবির কে চলে জেতে দেখে স্যার ওকে ধরেফেলে কারন তার জানতে বাকি ছিলোনা যে আমার এ অবস্তার জন্য আবির জরিত আছে।
আবির কে স্যার অনেক টা মারলেন। আবির দৌরে চলে গেলো তার পরে আমি স্যার কে সবটা খুলে বলাম।আবির নিসির বিয়ের পর থেকে জা জা করেছে সবটা বললাম।উনি আমার উপরে খুব রেগে গেলেন কারন উনার কাছে আমি বলিনাই কেনো সে জন্য।
আমি জানালে খুব দুঃখ পাবেন সে জন্য বলিনি।বাবা- মা অনেক কস্ট পাবেন তাই আর নিসি আমাকে জানাতে বারন করেছিলো তাই।
সবটা জানার পর স্যার আমাকে নিয়ে নিসির কাছে এলো নিসি স্যার কে সবটা জানালো আর উনাকে ধরে খুব কান্না করে।নিসি ওর ভাইয়া কে মা- বাবা এর কাছে জানাতে বারন কেরে।কিন্তু স্যার মানতে চায় না তাই নিসি স্যার কে ওর দিব্দি দিয়ে আটকে দেয়।
আর স্যার আবির এর হাত থেকে নিসির সংসার আর আমাকে বাচাতে সিদ্ধন্ত নেয় বিদেশে চলে জাবে।
যা ভাবা তাই কাজ মা- বাবা এর কাছে চাকরীর সূত্র এর জন্য বিদেশে জেতে হবে বলে আমাকে নিয়ে বিদেশ পারি জমায়।
,,,,,,,, ,,, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
নিশির কাছ থেকে জেনেছি আবির নাকি আগের চাইতে অনেক টা ভালো হয়েগেছে আর ওদের নাকি একটা ফুট ফোটে মেয়ে হয়েছে।
তবে আজ আমি এক সন্তান এর মা আমাদের একটা ছোট্ট ছেলে রাজকুমার আছে তার এক বসর পূরণ হবে বলে আমাদের দেশে আসা। শশুর বাবা- শাশুরী মা এর ইচ্ছা তার নাতির জন্মদিন এর আয়োজন তারাই করবেন তাই আজ আমরা সবাই এক সাথে এক ছাদের নিচে।আজ আমরা সবাই খুসি,,,,, সবাই জার জার মতো করে সুখি আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহহাফেজ।
( এতোদিন পরে গল্প দেয়ার জন্য দুঃখিত আর গল্পটা এখানেই শেষ করার জন্য কেউ খারাপ কমেন্ট করবেন না। কেউ এক জন বলেছেন আমার গল্পটা নাকি ভালো হচ্ছে না তাই এখানেই ইতি টেনে দিলাম।)