Addicted_love Part:60

0
1439

#Addicted_love
Part:60
Aarizona ella
ইশফাক এর চোখের কোনা ভরে আসছে,,ভাবতে ভাবতে ক্লিনিকে এসে পৌছালো তারা।
এলাকে কোলে তুলে ক্লিনিকে প্রবেশ করতে লাগলো ইশফাক,,সবাই তাকিয়ে আছে ইশফাক এর দিকে,ইশফাক সোজা তার ফ্যামিলি ডক্টর এর কেবিনে গিয়ে প্রবেশ করলো।
ডক্টর আমার বউ এর কি হয়েছে একটু চেক করবেন প্লিজ,,,কেবিনে প্রবেশ করা মাত্রই অসহায়ত্বে ভেঙে পড়ছে ইশফাক।
ইশফাক এর হঠাৎ করে এভাবে আসাতে কিছুটা অবাক হলেন ডক্টর রশিদ খান,,,আরও বেশি অবাক হয়েছেন ইশফাক এর এমন অবস্থা দেখে।ডাক্তার রশিদ খান তড়িঘড়ি করে ইশফাক এর দিকে ছুটে গেলেন।
ইশফাক পাগলের মতো করছে,,
কি হয়েছে,, ইশফাক এভাবে ভেঙে পড়ছেন কেন?আমি দেখছি,,প্লিজ কাম ডাউন,,, উনাকে চেকাপ বেডে শুইয়ে দিন।পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য বললেন ডাক্তার।
ইশফাক জলদি এলাকে চেকাপ বেডে শুইয়ে দিলো।
হয়েছে কি?এলাকে চেক করতে করতে জিজ্ঞেস করলেন তিনি।
সকাল থেকে ভালোই ছিলো,, হাল্কা নাস্তা করার পর হঠাৎ করেই বমি শুরু হয়,,পর পর ৩ বার বমি করার পর বার বার দুলে পড় যাচ্ছিলো,, চোখ মেলতে পর্যন্ত পারছিলো না আমার বউ,,।।কান্না,,আর ভয়ার্ত কন্ঠে বললো ইশফাক।
রিলাক্স ইশফাক,,,মাত্রানুযায় উনার ওজন খুব কম,আর বিপি একদম লো যার কারনে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলেছেন,আমি একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে দিচ্ছি যাতে উনার স্ট্রেন্থ লস না হয়,,আর আপনাদের বিয়ে হয়েছে আজকে কতদিন আপনাদের?চেক করার পর জিজ্ঞেস করলেন ডাক্তার।
৪-৫ মাস,,(ইশফাক)
বমির ব্যাপার টা আমার ঠিক লাগছে না,(ডাক্তার)
মানে?অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো ইশফাক।
i think she is conceiving,,,, i surely can’t say anything. (ডাক্তার)
That means she is pregnant??? খুশি হয়ে জিজ্ঞেস করলো ইশফাক।
৮০% তো এমন ই লাগছে,,বাকিটা উনার কাছ থেকে জানা যাবে।(ডাক্তার)।
এলা হাল্কা চোখ মেলে তাকাতেই,,,ইশফাক এগিয়ে গেলো এলার দিকে।।
জান এখন কেমন লাগছে?আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম,,,স্বস্থির সাথে বললো ইশফাক।
হুম,, উঠে বসলো এলা।।এলাকে ধরে ডাক্তার এর সামনে এনে বসালো ইশফাক।
এখন কেমন লাগছে মিসেস চৌধুরী?মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করলেন ডাক্তার।
মাথা টা ভারী লাগছে,,আর কেমন জানি চারপাশ ঘোলাটে লাগছে।।একদম নির গলায় উত্তর দিল এলা।
কতদিন ধরে লাগছে এমন?(ডাক্তার)
গত দু তিন দিন যাবৎ,,, চারপাশ বিদঘুটে একটা গন্ধ লাগছে(এলা)
আর মান্থলি ইস্যু কি ক্লিয়ার??(ডাক্তার)
লাস্ট মান্থ পেরিয়ে আরও বেশ কয়েকদিন ওভারক্রস করেছে,,(এলা)
বাইরে থেকে একজন নার্স আসলেন,,,ইশফাক আর এলা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।।
উনার সাথে যান,একটা টেষ্ট দিয়েছি এটা করিয়ে আসেন।।এলাকে ইংগিত করে বললেন ডাক্তার রশিদ খান।
এলা যাওয়ার সময় ইশফাক ও তার সাথে যেতে নিলো।
আপনি বসুন ইশফাক,,,অপেক্ষা করুন,মুচকি হেসে বললেন ডাক্তার।।
কিন্তু আমার বউ তো হাটতেও পারছে না,,যদি কিছু হয়ে যায়😟😟চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছে সে।
সমস্যা নেই জনাব,,কিছু হবে না,,আরও মহিলা আছে উনার সাথে,,১০ মিনিট লাগবে মাত্র,,calm down n b relaxed।(ডাক্তার)
হুম গম্ভীর কণ্ঠে বললো ইশফাক।
কিছুক্ষন পর এলা কেবিনে আসলো,,,
আপনারা আসুন ২ ঘন্টার মধ্যে আমি রিপোর্ট পাঠিয়ে দিবো,,আর কিছু ক্যালসিয়ামের মেডিসিনস্ দিয়েছি রেগুলার খাইয়ে দিবেন। (ডাক্তার)
ডাক্তার এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো দুজন।
খুব সাবধানতার সাথে এলাকে বাড়ি নিয়ে গেলো ইশফাক।এলাকে রুমে শুইয়ে দিয়ে ,ফ্রেশ হয়ে কিচেনে এসে নিজ হাতেই দুপুরের খাবার বেড়ে রুমে নিয়ে গেলো ইশফাক।
বেডের সাথে হেলান দিয়ে বসিয়ে এলাকে অতি সযত্নে খাইয়ে দিচ্ছে ইশফাক।
ইশফাক কে অনেক চিন্তিত দেখাচ্ছে।
কি হলো ইশফাক,,সকাল থেকে দেখছি আপনার মুড খারাপ,কি হয়েছে বলবেন প্লিজ😩(এলা)
জানি না আমার কি হয়েছে,,যদি তোমার কিছু হয়ে যায় তবে আমি সব ডিষ্ট্রয় করে দিবো,,(ইশফাক)
কি হয়েছে ইশফাক,এমন করছেন কেন?ইশফাক এর গালে হাত রেখে বললো এলা।
খাবারের প্লেট টেবিলের উপর রেখে এলাকে জড়িয়ে ধরলো ইশফাক।
কেন জানি খুব ভয় লাগছিলো,,, কিছুক্ষনের জন্য লেগেছে আমার পৃথিবী থমকে গেছে,,আমি জানি না ভবিষ্যতে কি হতে যাচ্ছে তবে আমি এমন কিছু কখনোই চাইবো না যেটার দ্বারা তুমি কষ্ট পাবে😢(ইশফাক)
এগুলো কেন বলছেন ইশফাক,,ভালো আর খারাপ দুটোর মাঝে আমাদের বাঁচতে হবে আর এটাই জীবন,, আমি এখন ঠিক আছি,,সামান্য অসস্থি লেগেছিলো,, তাই বলে এমন মন খারাপ করতে হয়?(এলা)
আমার কেমন লেগেছে সেটা আমার চেয়ে তুমি ভালো জানবে না,,,তুমি চিন্তাও করতে পারবে না যে আমি কি পরিমান ভয় পেয়েছি।(ইশফাক)
আচ্ছা আচ্ছা আমি এখন ভালো আছি,,আপনি রিলাক্স হোন প্লিজ।(এলা)
হুম,তুমি ঘুমাও কিছুক্ষন আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। এলার কপালে চুমু দিয়ে বললো ইশফাক।
এলা ইশফাক এর কোলে মাথা রেখে শুইয়ে পড়লো,এলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ইশফাক।
আল্লাহ রিপোর্টে কি আসবে আমি জানি না,,তবে আমার বউ এর যেনো কিছু না হয়,প্রয়োজনে আমার জান নিয়ে যান তবুও আমার বউ এর কোন ক্ষতি হতে দিয়েন না আল্লাহ,মনে মনে বলছে ইশফাক।
এলার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে নিজেও কখন ঘুমিয়ে পরেছে খবর নেই ইশফাকের,,ফোন এর ভাইব্রেশনে চোখ খুললো ইশফাক,ফোনে কথা বলে এলার মাথা বালিশে রেখে রুম থেকে বেরিয়ে এলো ইশফাক।
নিচে হলে ডাক্তার এসেছেন,বেশ কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে কথপোকথন হলো,,ডাক্তার কে বিদায় দিয়ে রিপোর্ট হাতে রুমে গেলো ইশফাক।
খাটের পাশ হয়ে নিচে বসে এলার চেহারার দিকে একনজর তাকিয়ে থেকে বেশকিছুক্ষন অঝোরে কান্না করলো ইশফাক।।।এই কান্নার যেন কোন শেষ নেই।।।
চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here