Story – Every Thing Is Fair In Love And War
Writer – Nirjara Neera
. Part – 24……………………
★
মায়া আর নাগাল পাচ্ছিল না।। অনেক টা নাক ভাসিয়ে থাকতে হচ্ছে।। সেখানে অলোকের বুক সমান পানি।। তার কোনো কষ্টই হচ্ছে না।। সে আরেকটু কাছে এগিয়ে এসে মায়ার কাধে হাত দিল।। তারপর একটু জোরে চাপ দিতেই মায়া পানিতে ডুবে গেল।। ডুবে যেতেই অলোক হাত ছেড়ে দিল।। আর মায়া সাৎ করে উপরে উঠে এলো।। নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য তার বুকটা আকু পাকু করছে।। কিন্তু অলোক সে সুযোগ টা দিল না।। আবারো কাধ ধরে ডুবিয়ে দিল।। অলোক পর পর কয়েক বার মায়া কে পানিতে ডুবিয়ে ধরল।। ততক্ষণ পর্যন্ত মায়া কে ডুবালো যতক্ষণ না মায়ার মুখের কালি গুলো সম্পুর্ন ভাবে উঠে যায়।। বেচারি মায়া!!!
পানি খেতে খেতে অবস্থা নাজেহাল।। এত পানিতো সে সারা জীবনেও খেয়ে আসে নি যতটা এই মুহুর্তে অলোক তাকে খাওয়ালো।। যখন পানি খেয়ে সে আর নিঃশ্বাস নিতে পারছিল না।। তখন ছাড়লো।। তারপর হাত ধরে তার বুক সমান পানিতে টেনে নিয়ে আসলো।। খোলা চুল গুলো পানিতে ভিজে চুপসে মায়ার গাল আর ঘাড়ের সাথে এলো মেলো হয়ে লেগে আছে।। গায়ের নিম্নমানের দাসী কাপড় টা শরীরের সাথে লেপ্টে আছে।। ঘাঘরার ওড়না পানিতে কোথায় ভেসে গেছে মায়া খেয়ালও করে নি।। কাশতে কাশতে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করল সে।। কিন্তু নাক মুখ দিয়ে অনবরত হাঁচি আসছে তার।। একটু এগিয়ে অলোক ঘাড়ের উপর পড়ে থাকা বেসামাল চুল গুলো ঠিক করে দিল।। মাথার টিকলি টা উল্টা হয়ে চুলের সাথে পেচিয়ে আছে।। সেটাও ঠিক করে দিল।। তারপর মায়ার দু বাহু ধরে ওর দিকে তাকালো।। এই তো তার মায়া।। এটাই তার আসল রুপ।।
চোখ মুখ মুছে মায়া অলোকের দিকে তাকালো।। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ওকে পরখ করছে বার্বান সম্রাট।। মায়া তাকিয়ে টেনে টেনে নিঃশ্বাস নিতে নিতে বলল
.
—– থামলেন কেন?? আরো কতক্ষণ পানি খাওয়াতেন!!
.
অলোক চুপ করে রইল।। প্রয়োজন বোধ করছেনা জবাব দেয়ার।। তাকিয়ে মায়ার চোখ দেখছে।। কেমন যেন একটা লালচে ভাব এসেছে সবুজ চোখ গুলোতে।। হয়ত পানির কারনে।। আর সবুজ ও লাল মিশেলে অদ্ভুদ রং সৃষ্টি হয়েছে।। একটা আভা বেড়িয়ে আসছে চোখ থেকে।। বেখেয়ালে চোখ দুটো স্পর্শ করতে চাইলে মায়া মাথা টা সরিয়ে ফেলল।। অলোক কিছুটা ক্রুদ্ধ হয়ে গেল।। কিন্তু পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিল।। তারপর বলল
.
—- কেন গিয়েছিলে কয়েদখানায়??
.
মায়া ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।। কিন্তু ঠক ঠক করে কাপছে।। অলোকের কথার জবাবে বলল
.
—- বীর কে দেখতে!!
.
—- বীর কে ছেড়ে দেয়া হবে বলেছিলাম।।
.
—- কিন্তু ছেড়ে দেয়া হয় নি।।
.
—- আর তুমি তাই গিয়েছো কয়েদখানায় খোজ নিতে??
.
মায়া চুপ করে রইল।। জবাব দিল না।।
.
—- তোমার মনে হয় আমি কিছু উল্টা পাল্টা করছি!!! বীর কে আটকে রেখে শাস্তি দিচ্ছি।।
.
—- মনে করি না!! সত্যি আপনিই করছেন!!!
.
—- মায়া!!!
.
চিৎকার করে ঊঠল অলোক।। রাগে তার শরীর কাপছে।। এত কিসের সখ্যতা ওই বীরের সাথে?? সে এখন বার্বান রাণী, অলোকের সম্রাজ্ঞী!!! অন্য কোনো পুরুষের নাম তার মুখে কেন আসবে???
মায়া ভয়ে চমকে উঠল অলোকের ধমকে।। সে ভুলে গিয়েছিল সে কার সামনে দাড়িয়ে।। কিন্তু অলোক এবার আর নিজেকে সামলালো না।। হাত ধরে মায়া কে টেনে নিয়ে হৃদ থেকে তুলতে লাগল।। শক্ত করে ধরায় মায়া খানিকটা ব্যাথা পেয়ে উহ্ করে উঠল।। অলোক পরোয়া করল না।। তারপর ওকে টেনে কক্ষে নিয়ে এলো অলোক।। তারপর কক্ষের দেয়ালে সজোরে ধাক্কা দিয়ে চেপে ধরল।। ভেজা গায়ে দেয়ালের ঠান্ডায় মায়া শিউরে উঠল।। ভয়ে ভয়ে অলোকের দিকে তাকালো
.
—- স-সম্রাট???
.
একটা নিশ্বাস টেনে অলোক দাঁত কিড়মিড় করে বলতে লাগল
.
—- বীর সামান্য বন্দি!!! তার জন্য এত মায়া!! এত দরদ!! তার বিন্দু মাত্র আমার জন্য হতে পারে না?? আমি কি পর?? তোমার সম্রাট মায়া আমি!! আর কখনো বীরের নাম তোমার মুখে শুনলে বীর জান নিয়ে পালাতে পারবেনা।।
.
আতকে উঠল মায়া!! মাথা নাড়াতে নাড়াতে বলল
.
—- আর কখনো বলবো না আমি কখনো না।।
.
অলোক মায়ার বুকে আঙ্গুল ঠেকিয়ে বলল
.
—- শুধু বলা না এই মনে ও যেন অন্য কারো ছবি না থাকে!!
.
তারপর মায়ার উন্মুক্ত ফর্সা ঘাড়ের দিকে তাকিয়ে কিছুটা দূর্বল হয়ে গেল।। ধীরে ধীরে স্পর্শ করতে করতে বলল
.
—– এই মনটা তে শুধু আমার রাজত্ব্ হবে।। আর কারো না।।
.
এই বলে চুপচাপ নিঃশ্বাস নিতে নিতে মায়ার হালকা ভেজা ঘাড়ের দিকে এগিয়ে গেল।। তারপর তার ঠোট টা বসিয়ে দিল।। যেন দুনিয়ার সমস্ত মিষ্টি নেশা সৃষ্টি কর্তা এখানে ঢেলে দিয়েছে।। আর সে নেশায় মত্ত অলোক।। মায়া চুপচাপ দাড়িয়ে আছে।।। বাধা দিতে পারছেনা অলোক কে।। যেন নিজের শরীরই বাধা দিতে চাইছেনা।। যেন অলোক কেই চাইছে তার শরীর।। অলোকও একমনে তাকে বুকের সাথে টেনে নিয়ে মায়া কে চুমু খেয়ে যাচ্ছে।। অথচ মায়া যে ভেজা শরীরে দাড়িয়ে আছে সেটা সে ভুলেই গিয়েছে।।
মায়ার পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে তার জামার ফিতা তে হাত গেল।। একটানে ফিতা টা খুলে ফেলল অলোক।। ফিতাটা খুলে ফেলতেই মায়ার হুশ এল।। সে বাধা দিতে চাইলো।। দু হাতে অলোক কে ঠেলতে লাগল।।
.
—- স-সম্রাট!!! আ-আমাকে ছা-ছাড়ুন!!!
.
অলোক যেন শুনতেই পেলনা।। আরো জোরে চেপে ধরল মায়া কে।।
ডান হাতে মায়ার উন্মুক্ত কোমড় চেপে ধরেছে আর বাম হাতে বার বার মায়ার জামা টা খোলার চেষ্টা করছে।। মায়া উশখুশ করতে লাগল।। সে কিভাবে এই পাগল সম্রাট থেকে মুক্তি পাবে?? দু হাতে সমানে ঠেলতে ঠেলতে হাপিয়ে উঠল মায়া।। ক্লান্ত চোখে অলোকের দিকে তাকালো।। চোখ বন্ধ করে মায়ার বুকে অনবরত চুমু খাচ্ছে সে।। আর দু হাতে পাগলের মত হাত বুলাচ্ছে পুরো শরীরে।। সে কি সপে দিবে নিজেকে?? হার মেনে নিবে বার্বান সম্রাটের কাছে।। তাহলে কালক এর পবিত্র সাথে অন্যায় করা হবে।। কালক তাকে ভালোবেসে মৃত্যু বরন করেছে।। আর মায়া তার ভালবাসাকে গলা টিপে হত্যা করছে।। বুক ভারী হয়ে এলো মায়ার।। প্রার্থনা করছে ঈশ্বরের কাছে।। চোখ মুদে শক্ত করে অলোকের জামা ধরল।। আর ঠিক তখনি বাইরে কারো আওয়াজ পাওয়া গেল।। অলোক পাত্তা দিতে না চাইলে ও অনবরত শোরগোল তাকে থামতে বাধ্য করল।। মায়া কে ছেড়ে দিয়ে তার দিকে তাকালো।। অলোক ছেড়ে দিতেই মায়া দু হাতে নিজেকে আড়াল করে অলোকের নজর থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে।। জিহ্বা দিয়ে নিজের ঠোট কে একটু চেটে অলোক বলল
—- আমি আসব দ্রুত।। অপেক্ষা করো আমার জন্য।।
এই বলে মায়ার ঠোটে আরেকটা চুমু দিয়ে বেড়িয়ে গেল।।
.
(চলবে)
.
ছোট হওয়ার জন্য দুঃখিত।। জানিনা কতদিনে নিয়মিত দিতে পারব।। তবে চেষ্টা করব দ্রুত দেয়ার।। মধ্যবিত্ত পরিবারে যে স্ট্রাগল করতে হয় বুঝেনি তো।। দোয়া করবেন আর ভালো থাকবেন!!! আল্লাহ হাফেজ।।
Home “ধারাবাহিক গল্প” Every Thing Is Fair In Love And War Story – Every Thing Is Fair In Love And War Writer –...