#ঠোঁট
উনিশ,
মেয়েটার দিকে তখনো ভালো করে তাঁকাই নি আমি। যখন ঘাম যুক্ত চুল সরিয়ে তার দিকে তাকালাম। তখন দেখলাম তার পেছনে পেছনে আরও দুজন কালো স্যুট ও কালো প্যান্ট পরা স্টাইলিশ ঢুকলো। লোক দুটোকে দেখে মনে হলো, তারা নিশ্চয়ই মার্শাল আর্টস জানে। এমনকি মেয়েটাও জানা সম্ভাবনা আছে।সুতরাং এদের সাথে আমার নিজস্ব মার্শাল আর্টস এর ট্রেনিং কিংবা ট্যালেন্ট দেখিয়ে পার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কাছে আসতে দাওয়া ভালো। দেখা যাক কি হয়।
মেয়েরা কাছে আসার পর বুঝলাম সে বেশ বড় হবে। আমার সামনে চেয়ার টেনে বসে।
চোখের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করে প্রশ্ন করে। তোমাকে বেঁধে রাখা হয়নি কেন। তোমার পার্সোনাল রিপোর্ট ব্যাকগ্রাউন্ড রিপোর্ট একটা ভালো না। ২০১৬ সালের সেরা আন্ডারকভার ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী সবচেয়ে খাতারনাক এজেন্সি ছিলে তুমি। আর তোমাকে কি না এত সহজে হাতটা খুলে বসিয়ে রেখেছে। ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত না।
আমি তখন আর কোন কথা বারতে দিলাম না। মেয়েটা কাছে বলে বসলাম। আপনার কাছে ইয়ারফোন আছে।
মেয়েটা তখন চোখ মুখ উল্টে আমাকে প্রশ্ন করল। তুমি এখন ইয়ারফোন কী করবে এই সময়।
কয়েকটা একশন গান শুনবো।
আমার মুখে এই কথাটা শোনার পর দুজন লোক হঠাৎ করে স্টিল দাঁড়িয়ে গেল । দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণ আমি বুঝেছিলাম খুব ভালো করেই।
মেয়েটা তখন আমাকে পুরা তন্ন তন্ন করে খুঁজতে বলে আমার দেহটা।তাদের ধারণা আমার কাছে এসব জাতীয় কিছু একটা অবশ্যই আছে গান শোনার যন্ত্র কিংবা এমন কিছু।
হালকা কিছু তন্নতন্ন করলেও আমার কাছে কিছু পায়নি তারা।
তবে আমার ধারণা, এই মেয়েটার হাতে যে ফাইলটা আছে এটা আমার পুরো তথ্যের ফাইল।এখানে অবশ্য এটাও লেখা আছে যে আমার রক্তের গতিবেগ কিংবা আমার রক্তের চলাচলের গতি কি করে বাড়ানো হতো।
যখন কোন মিশন থাকতো। আমাকে আমাকে গরম করার জন্যে একশন মিউজিক দেওয়া হতো আমার চতুর্পাশে। আর আমি আমার কাজগুলো এত দ্রুত ভাবে এবং এত নিখুঁত ভাবে করে দিতাম, যা অন্য কোন এজেন্ট এর ক্ষমতা ছিল না সেগুলো করার।
আর এই জন্য পুরো এজেন্সিতে আমার একটা গুণ খুব পরিচিত ছিল।
আর এই সময় গুলো তো আমার সামনে কেউ আসতো না।
ভাবনা গুলো শেষ না হতেই মেয়েটা হুট করে বলে বসে আমাকে। তোমাকে এসব কিছু দেওয়া হবে না। কারণ তোমার একটা রিপোর্ট আমাদের মন মত নয়।
তোমার বয়স এখন মাত্র চব্বিশ বছর । আজ থেকে ছয় বছর আগে তোমার বয়স ছিল মাত্র আঠারো। আর তখন তোমার এত ট্যালেন্ট ছিল। সেই ট্যালেন্ট গুলো কিনার জন্য, ভারত চীন আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়া পাগল হয়ে আছে।
কিন্তু আমরা তোমার কাছে এসব কিছুই চাই না। চাই শুধু সেই ডাটাবেজ ও কোড লিস্ট গুলা। তাহলে আমাদের স্বার্থ শেষ।
আমি তখন আস্তে আস্তে হাসা শুরু করলাম। একপর্যায়ে এমন হাসি শুরু হল আমার, যেন পাগল হয়ে গেছি আমি।
হাসি থামিয়ে হঠাৎ করে দাঁত কিরবির করতে করতে বললাম।
পারলে আমাকে মেরে ফেল। তবু তোরা সেগুলো পাবি না।
আর আমাকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য আমার স্ত্রীকেও যদি তোরা ব্যবহার করিস। তাহলে তোরা দেখতে পাবি আমার সেই আসল রূপ।
সাপ যখন নিজের ঘরে ঘুমোতে যায় । তাকে আর না জালানোই ভালো। কিন্তু তার ঘুমন্ত অবস্থায় যদি তাকে জালানো হয়। সে কতটা হিংস্র হয় তা বোঝা সম্ভব নয়।
মেয়েটা আমার কথা শোনার পর তার হাতের ফাইলটা একজন লোককে দিয়ে সে দুটো লোককে দিয়ে পাঠিয়ে দেয়।
কিন্তু সে একা থেকে যায়।
কিছুক্ষণ পরে দেখি, সে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। আস্তে আস্তে নিজের উপর জামাগুলো প্রায় সবই খুলে ফেলে। শুধু নিজের লজ্জাস্থান আর উপরের বক্ষ বাদে শরীরে কোন কাপড় রাখেনি।
আমি তখন মেয়েটাকে তুই করে বললাম। মদের বোতলের আগা ঢুকিয়েওকি তোর সাধ মেটেনা। এখন আমাকে ঢোকাতে চাইছিস। কতক গ্যাঁড়া রে তোর।
মেয়েটা তখন হতবাক হয়ে যায় আমার এ কথা শুনে।
ও তখন প্রশ্ন করে, আমার নগ্ন দেহ দেখে ও কি তোমার কিছু যাগছে না।
একমাত্র আমার স্ত্রীর দেহ ছাড়া অন্য কোন মেয়েকে আমার সামনে উলঙ্গ অবস্থায় দেখলেও আমার কিছু জাগে না।
মেয়েটা তখন আমার উপরে আসতে চাইছিল। আমি উঠে গিয়ে গালের উপরে কষে একটা চড় মারি।
কিন্তু ও হাল ছাড়েনি। বারবার চাইছিল আমাকে লিপ কিস করতে। এত কিছুর পরও যখন হঠাৎ করে আমার চোখে পড়ে তার প্যান্টে একটা বেল্ট আছে। আমি আর দেরি করি না। প্যান্টের বেল্ট টা বের করে সুন্দর করে গোলাকার করে ফেলি। খুব তড়িঘড়ি করে তার মাথা দিয়ে গলা পর্যন্ত ঢুকিয়ে ফেলি।
এক টানে পুরো গলার সমান আটকে দি।
তারপর তাকে মাটিতে ফেলে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় একটি পিলারের সামনে। পিলার টা তেমন একটা বড় না। গলার সাথে পেঁচিয়ে বাঁধতে খুব সুবিধা হয়েছিল।
তারপর কষে কষে থাপ্পড় মারতে থাকি গালের উপরে। ঠিক কতটা মেরেছি আমার খেয়াল নেই। কিন্তু মাড়ি থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল এটা মনে আছে।
তারপর তাকে বলি। এজেন্সি তে থাকা অবস্থায় কোনো মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক হয়। একমাত্র আমার স্ত্রীকে ছাড়া আমি কোনদিন কোন মেয়েকে স্পর্শ করিনি। আর তুই কিনা এসেছিস আমাকে ভোগ করতে।
কি ভেবেছিস, দুটো বড় বড় বুক দেখিয়ে আমাকে এতটাই পাগল করে ফেলবি। এত সহজ না।আমার দুনিয়ার সব সুখ আমি আমার স্ত্রীর বুকে পায়। অন্য কোন মেয়ের বুকে আমি সুখ খুঁজতে যায় না। ইচ্ছে তো করছে তোকে আমি এখানে মেরে ফেলি।কিন্তু তোর লাশটা সরানঝর কোনো উপায় নেই বলে তোকে আমি এখনও বাঁচিয়ে রেখেছি।
কথাগুলো শেষ করে তাকে আমি ছেড়ে দি। সে ধীরে সুস্থে জামা কাপড় পড়ে বেরিয়ে যায় এই ঘর থেকে।
আমিও শান্তভাবে ফিরে আসি আমার সেই চেয়ারটাতে।
কিন্তু একটা জিনিস আমার এখনো ভাবা হয়নি।
তাকে এভাবে ছেড়ে দেওয়াটা আমার জন্য যে একটা বিশাল কাল হয়ে যাবে সেটা আমি কল্পনাও করিনি এমনকি ভাবিও নি।
বেশি সময় এটা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না আমাকে।
কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ দেখি।
চলবে*
Written by-Ibna Imtiaj