#ঠোঁট
নয়,
আমি তখন ঝর্নার সাথে লেপ্টে ঘুমিয়ে আছি। ও আমার নগ্ন বুকে বিভর ঘুমে মগ্ন। আমিও সপে আছি তার সাথে। কিন্তু আমার ঘুমটা অত গভীরে নেই।
ঠিক মাঝ রাতে একটা শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুমটা ভালো করে ভাঙ্গার পর বুঝতে পারি। একটা দড়ি টান এর শব্দ আসছে বারান্দা থেকে। আমি প্রথমে ভয় পেয়ে যায়। হঠাৎ বারান্দা থেকে এমন শব্দ আসছে কেন?
ঝর্নাকে তখন আস্তে করে বুক থেকে সরিয়ে বিছানায় রাখি। আমি ধীরে ধীরে হাঁটা দিলাম বারান্দার দিকে।
বারান্দা যাওয়ার পর মারাত্মকভাবে চমকে যায়।
একটা সাদা চিকন দড়ির বাহির থেকে এসে আমার বারান্দায় পড়েছে। এমনকি এই সাদা চিকন দড়ির মাথায় একটা সাদা কাগজ মোড়ানো। তাও আবার একটি ছোট্ট ঢিলের সাথে।
ঠিক তখনই খেয়াল করি বাসার সামনে থেকে একটা লোক হেঁটে চলে গেল।তবে সেইেলোকটা বেশ কয়েকবার পিছন ঘুরে ছিল আমার বারান্দার দিকে তাকিয় । ব্যাপারটা আমার বুঝতে বাকী নেই।
আমি তখন সেই কাগজটা হাতে নেই। খারাপ আর যা দেখি তা কখনো আমার কল্পনাতেও ছিল না।
লেখা আছে-
‘এস আই’ তুমি নিশ্চয় চাও একটা নিরাপদ জীবন। একটা সুখী জীবন। একটা ভালবাসা ময় জীবন। এমন কি সবগুলো ঝরনার সাথে। তবে সত্যিই যদি চেয়ে থাকো। তাহলে আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে ফেলো। আমরা তোমার কোন ক্ষতি করব না এমনকি তোমার ঝর্নারো না। তোমার যা উত্তর। উত্তরটা উল্টো পিঠে লিখে আগামীকাল এই সময়ে এই কাগজটা বাইরে ফেলে দিবে। তাহলে তুমি ও নিরাপদ থাকবে তোমার ঝরনা নিরাপদ থাকবে। এবং উপকার হবে আমাদেরও। সালাম।
কথাগুলো পড়ার পরে আমার পুরো শরীর কাঁপছিল। যেন আমার পায়ের তলা থেকে দুনিয়ায় সরে গেছে। আমি কিছু ভেবে পাচ্ছিলাম না। সুখে থাকা ইচ্ছার পরেও যদি এমন একটা বিপদ আসে। যেটা আমার পক্ষে সামলানো মোটেও সম্ভব না। তাহলে নিজেকে মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পাই। এখানে যদি আমাকে হুমকি দেয়া হতো আমি মেনে নিতাম। কিন্তু এখানে ঝর্ণাকে টানা হয়ে গেছে। যেটা আমার জন্য সবচেয়ে বড় দুর্বল একটা জায়গা।
আমি ঠিক কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। হাতের মুঠোয় কাগজটা নিয়ে গ্রিলে হাত দিয়ে ভাবছি গভীরভাবে।
ঠিক এমন সময় আচমকা ভাবে ঝরনা পেছন থেকে আমাকে চেপে ধরে। তার নরম হাত ধীরে ধীরে টেনে নিয়ে যায় আমার তলপেটের দিকে। পুরো শরীর ঝাকুনি খায় আমার।
আমি তখন ভয় পেয়ে যায়। এখন যদি ঝরনা আমার এই কাগজটা দেখে ফেলে। তাহলে পরিস্থিতি টা কোন দিকে যাবে ভেবে পাচ্ছি না।
হাতের মুঠোয় কাগজটা নিয়ে ঝর্ণার দিকে ঘুরলাম।
খুব শক্ত করে লেপ্টে নিলাম আমার সাথে। দুটো নগ্ন বুক। যেন একই দেহে পরিণত হয়ে গেছে। তার গালে একটা চুমু খেয়ে বলি। উঠে গেলেন যে ?
ঝরনা তখন অভিমানী সুরে বলে। কথা বলবো না আপনার সাথে আমি। নিজে আমাকে একা ফেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। সেটা কিছুই না। এত রাতে কাকে দেখছেন বারান্দায় দাঁড়িয়ে। তাও আবার কাপড় ছাড়া। কি কাহিনী টা কি।
আমি তখন হাসি। হেসে বলি।
ধুর পাগলী। তোকে খুলে খুলে দেখি তাও আমার মন ভরে না। আবার এত রাতে অন্য কাউকে দেখতে আসবো। পাগল নাকি।
হুহু , বিশ্বাস নাই। আপনাকে আমার এমনিতেই ভয় লাগে। কখন না জানি বলে বসেন। ঝরনা আপনাকে আমার আর ভাল লাগছে না। তখন তো আমি মরে যাব।
এই কী বলছেন এসব।
আমি তখন তাকে আরও শক্ত করে চেপে ধরি।
আমার পা টা তখন তার দুই পায়ের নিচে ঠেলে দিই। তার পুরো ভারটা উঠিয়ে নিই আমার দুই পায়ের মধ্যে।
কৌশলে হাতের কাগজটা বারান্দায় ফেলে দিই। সকালের আগে উঠে হয়তো সে কাগজটা আমার লুকাতে হবে।
কিন্তু এখন তো ঝর্ণাকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে ঘরে নিয়ে যেতে হবে। দুটো ঠোট ডুবিয়ে তাকে ধীরে ধীরে ঘরে নিয়ে যাচ্ছি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাকে বিছানায় ফেলে দিই। ধীরে ধীরে উঠিয়ে নিই আমার উপরে।
তবে খুব গভীরে নিয়ে যায় না। কারণ আমার ভেতরের অবস্থা এখন ভালো নেই। ঝর্নাকে ওভাবে পাগল করতেও চাইনা। যদি সে মন থেকে আমার ভালবাসার উষ্ণতা না পায়। তাহলে সে তৃপ্ত হবে না।
ঝরনা তখন আমার গালে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে। ইমতি, আপনি আমার থেকে খুব বড় কিছু লুকাচ্ছেন। আমি আপনার চেহারা দেখে বুঝতে পারছি।
আমার তখন ভিতরের কলিজা টা চমকে ওঠে।
তবুও তাকে মিথ্যা বলি। নাগো আমার কিচ্ছু হয়নি। শুধু একটা কথাই ভাবছি। আপনাকে আমি সুখ দিতে পারছি কিনা। আপনি আমার সুখে তৃপ্ত হচ্ছেন কি না।
ঝরনা তখন বলে।
আপনাকে আমি কতবার বলেছি এই কথা। আপনার থেকে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সুখ পায়। যা কোনদিন পাইনি হয়ত পেতাম না আপনাকে না পেলে।
এটা কি সত্যি ঝরনা?
হ্যাঁ একদম খাঁটি সত্যি।
আমি তখন আস্তে করে হাত বুলিয়ে দিই বুকের উপরে। তারপর বলি। আমি এখন এই বুকে ঘুমাতে চাই। দিবেন ঘুমাতে।
এটা চাইতে হবে না। আমি এখন আপনাকে দিব আমার বুকে ঘুমাতে।
ঝরনা নরম বুকে মাথা রেখে আমি হালকা ঘুমে নিজেকে মগ্ন রাখি। যেন ঝর্না উঠার আগে আমি উঠে সেই কাগজটা আড়াল করতে পারি।
সারাটা রাত কেটেছে সেই একই চিন্তায়।
সকাল বেলায় যখন ঝরনার ঘুম ভেঙে যায়।
ও তখন ধীরে ধীরে আমার মাথাটা বালিশে রাখতে চাচ্ছিল। কিন্তু তার চোখ টা আমার মুখের দিকে আটকে যায়। আমি ঘেমে পুরো জবজবে হয়ে গেছি।
ঝরনা তখন আমার পুরো মুখটা মুছে দিতে দিতে বলে। একি, আপনি এত ঘেমে গেছেন কেন। পুরোটা মুখ আপনার ঘামের পানি। যেন মনে হচ্ছে মুখটা ধুয়ে এসেছেন পানি দিয়ে।
ঝরনা মারাত্মক চিন্তায় পড়ে যায়। অস্থির হয়ে যায় পুরো ভাবে।
আমি তখন বলি। ঘুমের মধ্যে হয়ত ঘেমে গেছি।
কিন্তু ঝরনা এটা মানতে রাজি না। ওর ধারনা আমার জ্বর এসেছিলো। সেইজন্য জ্বর সারার সাথে সাথে হয়তো আমি ঘেমে গেছি।
আমাকে খুব আহলাদে তার বুকের সাথে লেপ্টে ধরে। তার নিজেকে খুব অপরাধী লাগে। তার বুকের সাথে সারাটা রাত লেপ্টে ছিলাম। এরমধ্যে আমার জ্বর এসেছিলো । কিন্তু সে বুঝতে পারেনি। এটা তার ধারণা। কিন্তু আসলে ও তো আমার জ্বর আসেনি। কেন ঘেমে গেছি তাও বলতে পারব না। হতে পারে চিন্তার কারনে ঘেমে গেছি।
ঝর্নাকে তখন বলি। আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন। সারারাত আপনার কাপড় ছাড়া দেখেছি।এখন একটু থ্রি পিস পড়ে আমার জন্য হালকা সাজবেন। আপনাকে সাজানো অবস্থায় দেখব।
আমার মুখে হঠাৎ এমন কথা শুনে ঝরনা যে কত আনন্দ পায়। তা সে নিজেও জানে না। খুব একটা দেরি করে না। আমাকে ছোট্ট একটা আদর দিয়ে চলে যায় আমার পছন্দের জিনিস করতে।
কিন্তু সে যখনই বাথরুমে ঢুকে ফ্রেশ হতে। আমি তখন সুযোগটা পেয়ে যায়। আমিও তড়িঘড়ি করে বারান্দায় যায় সে কাগজটা লুকোতে।
কিন্তু বারান্দায় যাওয়ার পরে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
চলবে*
Written by- Ibna Imtiaj (Abdullah bin imtiaj)