ঠোঁট পাঁচ,

0
566

#ঠোঁট

পাঁচ,
কাছে গিয়ে থাকে খুব শক্ত করে চেপে ধরি। চোখ দুটো রাখি দুজনের চোখের সামনে। নিজেই যেন আবার ডুবে যেতে চায় তার ভিতরে। কিন্ত ঠোঁট যখন কাছে নিয়ে যায় তার। তখন সে ঠোঁটের সামনে বলে বসে।
ইমতি, আমরা ভুল করছি নাতো।

ঠিক এই মুহূর্তে আমার ভিতরে উষ্ণতার উপর থেকে একটা গরম পানি বের হয়ে গেল। তাকে বুকে নিয়ে যেন একটা ধাক্কা খেয়ে বসলাম। ভাবনার গভীরে চলে গেলাম। আসলে কি আমরা অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি। বুঝতে পারছিলাম না তখন। ঝরনা দিকে আমিও প্রশ্ন চক্ষু নিয়ে তাকাই।

আসলে কি আমরা ভুল করে ফেলেছি।

ঝরনার চোখ তখন চিকচিক করে ওঠে। তার মুখখানা লুকিয়ে বসে আমার বুকের ভেতর। হয়তো খুব কাঁদতে চাইছে। কিন্তু এটা আমার সহ্য হওয়ার নয়। আমি তখন তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলি।
এই ঝরনা। ভয় করছেন কেন, নাকি আমার বুকে থাকার পরও কোনো দুশ্চিন্তা করতেছেন। কেন এমন করছেন কাল থেকে।

ঝরনা তখন আমাকে খুব শক্ত করে চেপে ধরে। বুকের মধ্য থেকে বলে, আমার কেন যেন খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে কোনো এক সময়, আপনি এসব কে ভুল ভেবে আমাকে একা রেখে চলে যাবেন। আমার মনে হচ্ছে আপনি খুব কষ্টে আছেন। যেটা আমাকে শান্তিতে রাখছে না।

ঝর্ণাযর কথা শুনে আমার ভেতর খুব মারাত্মকভাবে আঘাত করে। এটা ও কি ভাবছে। আমিতো ওকে এসব কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি আমার কাছে নিয়ে আসিনি। তাহলে ও এসবের ভিতর চিন্তা করে কেন এখনও কষ্ট পাচ্ছে।

আমি তখন তার গালটা আস্তে করে মুখের ভিতর নিয়ে নি। উষ্ণতার রসে ভিজিয়ে দিতে আর গালটা।
তারপর তাকে বলি।

আমি যদি আপনাকে কখনো এসব দিয়ে কষ্ট দিতে চাইতাম। তাহলে আমার কাছে আপনাকে আমি কখনো আনতে চাইতাম না।আমি আপনাকে বিয়ের আগে একটা ওয়াদা করেছিলাম মনে আছে আপনার।
আপনাকে খুব সুখে ও আদরের মধ্যেই আমি রাখবো সারাটা জীবন।
তবুও আপনি আমাকে এসব ভেবে এত নিচ করছেন কেন ঝরনা। আজ সকালে যখন আমার পাশে আপনাকে শাড়ি ছাড়া আপনাকে আমি দেখিনি। তখন আমার ভেতরটা কেমন হয়েছিল কি জানেন। আমি আর একটু দেরি হলে হয়তো হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারতাম। শুধু আপনাকে পাইনি বলে। যদি আমি চাইতাম আপনি হারিয়ে যান আমার কোন আপত্তি থাকতে তাহলে। আমি কি এভাবে এতটা দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকতাম। তবু কি আপনার সন্দেহ দুশ্চিন্তা কাটবে না। ঝরনা আপনাকে আমি অনেক ভালোবাসি। আপনি আমার কাছে একটা নেয়ামত। যার শুকরিয়া সিজদা ও নামাজ আদায় করা যাবে না। দুনিয়াতে শুকরিয়া করে তার শুকরিয়া মতোই হবে না।এত বড় পাওয়া জিনিস আমি কি এতটা নিচ করে ব্যবহার করব আমার সামনে। সেটা কখনোই না। আমি আপনাকে আমার সাথে জান্নাতে নিয়ে যেতে চাই।

ঝরনা তখন বুক থেকে মাথা তুলে আমার দিকে তাকায়। তার তীক্ষ্ণ চাহনিটা খুব মারাত্মক গভীর ছিল। যার দিকে তাকিয়ে থাকলে হয়তো নিজেই ডুবে যেতাম অনেক গভীরে। ডুবে যেতাম না, আমি ডুবে গেছি।

ঝরনা তখন আমাকে বলে। আপনি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া। যার কল্পনা আমি জিবনেও করিনি। সত্যি জীবনে এমন একটা মানুষ পাব বলে।

আমি তখন তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি হাসি।
দুষ্টামির ছলে বলি। আমার খুব গভীর ভালোবাসা দরকার।

ঝরনা তখন মুখটা কেমন যেন করে ফেলে।
চিমটি কেটে আমার দিকে তাকিয়ে হাসে।
তারপর মুখ ফুটে বলে। ধুর ফাজিল ছেলে একটা। কি সুন্দর একটা আবেগ এর মধ্যে ছিলাম। সেটা না ‌। ওর এখন দরকার গভীর ভালোবাসা। যা শয়তান।

আচ্ছা দেন না। খুব আহলাদী সুরে বলি আমি।

ঝরনা মুখ বাকিয়ে বলে। দিব না আমি। পারলে ঠেকান। উহু পারলে নিয়ে দেখান।

আমি তখন তাকে কোলে করে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিই বিছানার উপরে।

কোন কথা বলার সুযোগ দিনা। গভীর ভাবে চেপে ধরে তার ঠোঁট দুটো। আমার উষ্ণ ভেজা ঠোঁট দিয়ে। পিষ্ট করতে থাকি তার নরম বুক। আমার নগ্ন বুকের সাথে। যেন একটা বিরহের পরে ভালোবাসা দুজনের উথলে পড়ছে। দুজনেই নেমে যেতে থাকছি উষ্ণতার সাগরে। ধীরে ধীরে খুলতে থাকি তার নতুন লাল শাড়িটা। যেটা সকালে পড়েছিল আমাকে সাজায় দেখার জন্য। কোন বাধা মানছি না দুজনে। আসলে ও সে চাইছে আমি তাকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে নিয়ে যায় অনেক গভীরে। কোন বাধা নেই তার পক্ষ থেকে। তাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে নিই আমার ওপরে। পাগল করে দিতে থাকি তার ঠোঁটের উপরে। যেন দুজনে ছাড়তে চাইছি না দুজনের ঠোঁট। আমি তখন তার নগ্ন পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে থাকি ধীরে ধীরে। সে তখন বলে উঠে। তার এখন অনেক গভীর ভালোবাসা চায়।
আমি তাকে নিয়ে যেতে থাকে অনেক গভীর ভালোবাসার দিকে। যেখানে দুজনের মিলন হয় দুটো নরম অস্তিত্বের। হারিয়ে যাই দুজনে উষ্ণ ভালবাসার গভীর সাগরে। অনেক গভীরে।

দুজনে তখনও নগ্নভাবে লেপ্টে আছি দুজনের সাথে। ও তখন হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আমার বুকের উপরে।
অনেকক্ষণ পর ঝরনা বলে।

ইমতি, আপনাকে একটা কথা বলবো।

হ্যাঁ বলেন।

কিছু মনে করবেন না তো।

আপনি তো মনে হয় কখনো আমার খারাপ এর জন্য কিছু বলেন না। অথবা আমার মন খারাপ হয় এমনও কিছু না। সুতরাং নির্দ্বিধায় বলতে পারেন।

আপনাকে আমার কেন যেন এখন মনে হচ্ছে না। আপনি আমার ছোট। মনে হচ্ছে আমার অস্তিত্বের একটা টুকরো।

তার মুখে হঠাৎ এমন কথা শুনে। আমার পুরো শরীর যেন থমকে যায়। কথাটা আমি তখনো ঠিক ভালো করে বুঝতে পারিনি।
ঝরনা কি কোন কথা বলল আমার সাথে?

আমি তখন তার দিকে অনেক বড় বড় চোখ করে তাকায়।

আপনার ছোট মানে?

হ্যাঁ আপনি আমার ছোট। আরে ভয় পাওয়ার দরকার নাই। আমি তো এসব নিয়ে কোন কিছু ভাবি না কিছু মনে করি না। এমনি হঠাৎ এখন এই কথাটা মনে পড়ল তাই। এটা নিয়ে এত কিছু ভাবার কোন দরকার নাই। বাদ দেন।

কিন্তু আমি যেনো একটা বিশাল দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে গেলাম।

আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম। এটা আপনাকে কে বলল। আমি যে আপনার ছোট।

কেউ বলেনি তবে আমি জানি আপনি আমার ছোট। কিন্তু আমি আমার ছোটটাকে চাই। সারাটা জীবন। সারা জীবন এই বুকের সাথে লেগে থাকতে চাই। রাখবেন না আমাকে?

আমি তখন কি বলব ঠিক কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। মুখে যে আমার তারা আবার লেগে যাচ্ছে।আজকে কি হচ্ছে আমার সাথে ঠিক কিছু বুঝতে পারছি না। তাকে যে এই ব্যাপারে আবার জিজ্ঞেস করবো। সেটাও করতে পারছি না।তবে আস্তে আস্তে ঝর্ণাকে জড়িয়ে ধরার হাতটা ঢিলে হয়ে আসছে আমার।

চলবে*

Written by- Ibna Imtiaj (Abdullah bin imtiaj)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here