#ঠোঁট
ছয়,
ঝরনা তখন হয়ত বুঝতে পারে। কথা শোনার পরে আমি ঠিক নেই। কিন্তু ঝরনা আমাকে এমন অবস্থায় দেখতে চায়না। ও তখন ঠোঁটের কোণে চুমু খেয়ে বলে। ইমতি, আমি কী এমন দেখার জন্য এই কথাটা বলেছি। আমি তো সব মেনে নিয়েছি। আমার সমস্যা নেইত।
কিন্তু আমি যেনো একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে গেছি। ঠিক কী করবো। বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
ঝরনার দিকে তাকিয়ে বললাম। কথাটা কী সত্য বলছেন ঝরনা।
উফফ, ইমতি। এসব নিয়ে কেন ঘাটছেন। আমি কথা বলতে গিয়ে বলেছি। আপনার গোমরাহ মুখ দেখার জন্য বলিনি। আমিতো আপনাকে ভালোবাসি তাই না। বয়স কিছুই না।
কিন্তু একটা ভয় আমার জানেন।
কথাটা বলার পরে ঝরনার চোখ দুটো চিকচিক করে ওঠে।
তবে আমি এখন কিছুটা বুঝতে পারছি।এই বয়স নিয়ে কোন একটা সমস্যা আছে।
তখন ঝরনা বলে।
আমার ভয় হয়। আপনার বাবা যদি আপনাকে খুঁজে পায়। তাহলে তো আপনাকে নিয়ে চলে যাবে। আমি তখন আটকে রেখে দিতে পারবোনা। নিঃস্ব হয়ে যাবো। হাজার হলেও আপনি ছোট। কিছু করার থাকবে না আমার।
আমি তখন তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলাম। তবে প্রশ্ন করলাম না বয়স নিয়ে।
তার নগ্ন বুকের উপর আস্তে করে চাপ দিয়ে বুলিয়ে দিয়ে বললাম।
উহু,কেউ পারবে না নিতে। আপনাকে আমি ভালবাসি। অনেক ভালবাসি। কোনো চিন্তা করতে হবেনা। খুব ভালবাসবেন। তাহলেই হবে।
না, আমি মানতে পারিনা। এত ভয়ে আছি বলে কথাটা বলে দিয়েছি। না হলে বলতাম না।
আমি তখন ঝরনা কে বলি।
ঠিক আছে এখন এসব কথা রাখেন। ঠোঁটটা ভিজিয়ে দেন। খুব করে।
ঝরনা তখন তার নরম ঠোটটা ডুবিয়ে দেয় আমার ঠোঁটের ভেতরে।
সেই উষ্ণতার রসে ভিজিয়ে দিতে থাকে আমার ঠোঁট।
অনেকক্ষণ ভালোবাসা দেওয়ার পর। ঝরনা আমাকে বলে। আজকে দুজনে একসাথে গোসল করব। করবেন আমার সাথে?
আমি তখন মনের ভিতর লুকিয়ে লুকিয়ে হাসি। একটা কথা মনে পড়ে যায়। ঝরনা আমাকে একদিন বলেছিল। বিয়ের পরে আমাদের দুজনের একসাথে হতে অনেক সময় লাগতে পারে। কিন্তু এখন যা দেখছি। ঝরনা আমার চেয়ে বেশি এগিয়ে। আমাকে নিজ থেকে কিছু একটা করতে হচ্ছে বলে মনে হয় না। আমি ভেবেছিলাম বলব হয়তো। একসাথে গোসল করার কথা। কিন্তু এই যে দেখছি, না বলার আগে সব পেয়ে গেলাম।
আমি তখন তার নরম গালে চুমু খেয়ে বলি। হ্যাঁ করব। কিন্তু কি করে করব না করব সেটা বলবো না বলতে পারছি না।
ঝরনা তখন আমাকে চিমটি কাটে।
বলতে হবে না বদমাশ। আমার সাথে গোসল করতে ঢুকিস। তারপর দেখা যাবে।
আমিতো হাঁসি। এটা তৃপ্তির হাসি আমার।
ঝরনা আমার কাছ থেকে চলে যায় রান্না করার জন্য। গায়ে জড়িয়ে নেয় সেই লাল শাড়িটা অর্ধনগ্নভাবে। আহ, কি দারুন দেখতে ছিল সে দৃশ্যটা। খোলামেলা চুল। নগ্ন পিঠ। ভাজ ছাড়া শাড়ি। কিছু সঙ্গে জন্য তুলনা করতে পারছিলাম না। এক অদ্ভুত টান কাজ করছিল তাকে দেখে এভাবে।
আমিও পেছন পেছন গেলাম তার সাথে রান্নাঘরে। এক জায়গায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে। চোখ যেন মোর পলক পরছে না। তার দিকে তাকিয়ে পরোক্ষ করছি এক একটা অস্তিত্ব। কাজল মাখা টানা চোখ। মায়াবী একখানা মুখ। যার প্রতিটা স্পর্শে লুকিয়ে আছে অজানা কিছু ভালোবাসা।
আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ঝর্না বলে।
এভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন আমাকে।
আপনাকে দেখছি।
কাল সারারাত দেখলেন। একটু আগেও দেখলেন আমাকে সবকিছু। তারপরও মন ভরেনি। আরো দেখতে হচ্ছে।
আপনাকে ভালোবেসে মন কবে ভরেছে শুনি একটু। যা কোনদিন ভরেনি। কোন দিন ভরবেওনা।
আপনাকেও ভালবেসে আমার মন ভরে না। প্রতিটা মুহূর্তে মুহূর্তে ভালোবেসে লেপ্টে থাকে ইচ্ছা করে।
আপনাকে ব্লাউজ ছাড়া কি যে সুন্দর লাগছে জানেন। তার উপরে সাদা একটা মানুষের উপর লাল শাড়ি। অর্ধনগ্নভাবে। অসাধারণ।
এই, সব সময় কি উষ্ণ ভালোবাসা নিয়ে থাকবেন। মানে শুধু ফাঁক পেলেই হয়। তাই না।
ইস, নিজে মনে হচ্ছে ভালোবাসা চায় না আমার কাছে?
আপনি তো আমাকে জানেন। আমার না বলার ভাষা টাই। হ্যাঁ শব্দে পরিনত হয়।
সেটা আমি খুব ভাল করেই জানি।
আমাকে এত করে বোঝেন বলেই তো খুব গভীরে ভালোবাসি আপনাকে।
আচ্ছা ঝরনা। একটু জড়িয়ে ধরি আপনাকে।
ধরেন। আমি মানা করেছি নাকি। কিন্তু হ্যাঁ। এখন যেন অতটা গভীর না হয়। তা না হলে দুপুরে না খেয়ে থাকতে হবে।
আচ্ছা আচ্ছা তাই করবো। শুধু জড়িয়ে ধরে থাকবো।
তাকে পেছন থেকে খুব শক্ত করে চেপে ধরি। কাধের চুল সরিয়ে মুখটা নিয়ে যায় তার গালের কাছে।
তাকে জড়িয়ে ধরে বুঝতে পারি। নিঃশ্বাস যেন তার ঘন হয়ে আসছে। হতে পারে সেও চাই। কিন্তু এখন আমি দিব না তাকে উষ্ণ ভালোবাসা।
ঝরনা তখন একটা কথা বলে।
আচ্ছা ইমতি। একটা কথা বলবো।
হ্যাঁ বলেন।
আমি যদি কোনদিন মা না হয়। তখন কি হবে?
কথাটা শোনার পর আমি থমকে উঠলাম। এ কথাটা যেন আমি আগে কখনও ভাবিনি’।কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে এই কথাটা শোনার পর আমার চোখের সামনে কয়েকটা ভয়ঙ্কর দৃশ্য ভেসে উঠে।
চলবে*
Written by- Ibna Imtiaj( Abdullah bin imtiaj)