আপনিময়_তুমি💓[ An unbearable Crazy love] #Season: 02 #Written_By_Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr[Mêhèr] #Part: 04…

0
567

#আপনিময়_তুমি💓[ An unbearable Crazy love]
#Season: 02
#Written_By_Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr[Mêhèr]
#Part: 04…

ইহান চোখ মেলে তাকিয়ে আনহাকে নিজের পাশে পায়। হাত দু’টো বুকের উপর বেঁধে আনহাকে বলে, ‘আনহা আমি মনে হয় পুরুষ হয়ে গেছি তাই না?’

আনহা একটু ঝিমোচ্ছিল। ইহানের কথা পিঁপড়ের কামরের মতো দংশন করে ওর কর্ণকুহরে। ভ্রু-কুঁচকে তাকিয়ে বলে, ‘এই ব্যাপারটা কী বলত? তুই পুরুষ হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস কেন?’

‘বিয়ে করব বলে।’

‘কীহহ!’

‘হুমম। বিয়ে করব। কিন্তু ছোট বলে কেউ রাজি হচ্ছে না। আন্টিকে বলেছিলাম ওনার মেয়েকে বিয়ে করব। কিন্তু বলল আগে পুরুষ হ তারপর বিয়ে করিস। তাই তো।’

‘এই চুপ। আরেকটা কথা বলবি না। আগে দাড়ি-গোঁফ উঠা। তারপর বিয়ের চিন্তা। কোন মেয়ে তোকে বিয়ে করবে রে?’

‘মেয়ে দেখাই আছে।’

‘মানে?’

‘আমার গার্লফ্রেন্ড আছে না।’

আনহা কিংকর্তব্যবিমূঢ়! ক্লাস ফোর-এ পড়ে গার্লফ্রেন্ড! ভাবা যায়! আনহা সামলে নেয় নিজেকে। বলে, ‘কোন মেয়ে তোর সাথে প্রেম করবে?’

‘বেশি দূর যেতে হবে না। আপনার বান্ধবী শিলার ছোট বোন।’

‘শিপলা! যে ক্লাস টু-এ পড়ে!’

হাসে ইহান। আনহার মাথায় হাত। আসলেই ছেলেটা ফাজিল। তখনি সাহানা আসে। বলে, ‘ইহান তোর মা এসেছে। শোন তুই বলিস না যে কীভাবে….’

ওনার কথা শেষ হওয়ার আগেই ইহান বলল, ‘আন্টি মাকে আবার বইলেন না, আমার মাথা আনহার জন্য ফেটেছে। বইলেন পড়ে গেছি। আপনি তাই নিয়ে এসেছেন।’

ইহানের এ কথায় সাহানা কিছু বলতে পারল না। ওকে কী মিথ্যে শিখাবে? এই ছেলে তো নিজেই মিথ্যের রচনা করছে। তাই তিনি শুধু মাথা নাড়লেন। বললেন, ‘আচ্ছা।’

অতঃপর ইহানের মা এসে ওকে নিয়ে যায়।
.
.
.
.
.
.
.
.
পরের এক সপ্তাহ আনহাকে বাড়ি থেকে কোথাও যেতে দেয় নি ওর মা। কাল ওর বার্থডে যে করেই হোক ওকে বাইরে যেতে হবে। ঘড়িতে প্রায় সাড়ে এগারোটার বেশি বাজতে চলল। আনহা প্রতিবার জন্মদিনের মতো এবারের জন্মদিনেও চিড়কুট লিখছে বিগত এক বছরের ওর সাথে কী কী ভালো-খারাপ হয়েছে? এবং সামনের দিনে কী চায় আনহা।
হঠাৎই আনহা জানালায় খটখট করার শব্দ পায়। কিছুটা ঘাবড়ে যায়। ভয়ে ভয়ে জানালার কাছে যায়। একটা লাঠি নিয়ে জানালা খুলতে যায়। তখনি কারো ফিসফিসানির আওয়াজ পায়। আনহা কিছুটা ভ্রু কুঁচকে জানালায় কান পাতে। অস্ফুটে স্বরে শুনতে পায়, ‘আনহা… আনহা…’

চমকে উঠে আনহা। কণ্ঠটা ওর খুব চেনা। আনহা তৎক্ষনাৎ জানালা খুলে বলে, ‘ইহান তুই…’

‘আরে দূর বাবা। আগে এইটা নিন।’

ইহানের হাতে কিছু একটা দেখতে পায় আনহা। কিন্তু তা জানালা পর্যন্ত আসবে না। বেচারা জানালা ঠোকাতেও লাঠি ব্যবহার করেছে।

‘কী হল আনহা? নিন।’

‘পাগল একটা। কীভাবে নিব?’

ভাবান্বিত হলো ইহান। বলল, ‘দাঁড়ান মই নিয়ে আসি।’

‘এই ইহান দাঁড়া। আমি বাইরে আসছি।’

অতঃপর সাবধানে ঘর থেকে বেরিয়ে গেট খুলে বাইরে যায় আনহা। বাড়ির পিছনে গিয়ে ইহানকে একটা ধমক দেয়। বলে, ‘এই এত রাতে তুই এখানে কী করছিস?’

‘নিচু হন তারপর বলছি?’

‘নিচু হলে কী হবে?’

‘আগে তো হন। তারপর বলছি।’

আনহা এই ছেলের কিছুই বোঝে না। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। আর ইহান তৎক্ষনাৎ ওর বাম গালে একটা চুমো দিল। চুমোটা পেয়ে গালে হাত দিয়ে আনহা বড়বড় চোখে ইহানের দিকে তাকায়। বলে, ‘এই তুই কী করলি?’

‘হ্যাপি বার্থডে আনহা। আর এইটা আপনার জন্মদিনের গিফট।’ বলেই আনহাকে জড়িয়ে ধরল। বলল, ‘এক সপ্তাহ ধরে আপনাকে দেখিনি। জানেন কত মিস. করেছি?’ অভিমানী কণ্ঠে বলল ইহান।

ইহানের এই কথায় আনহা মুচকি হাসল। ওকে ছাড়িয়ে হাত দু’টো দুলাতে দুলাতে বলল, ‘জন্মদিনের গিফট শুধু পাপ্পি?’

‘এই যাঃ! আমি তো গিফট দিতেই ভুলে গেছি।’ বলেই পকেট থেকে একটা চেন বের করে আনহার সামনে ধরে। চেনটা হাতে নিতেই আনহার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। নীল রঙের পাথরের একটা লকেট। খুবই সুন্দর। অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছে। আনহা খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলল, ‘অনেক সুন্দর। তুই এটা কই পেলি?’

‘পাথরটা বাবা দিয়েছিল। আমি এতে চেন দিয়ে আপনার জন্য লকেট বানিয়েছি। আপনার পছন্দ হয়েছে?’

লকেটটা গলায় পড়ে মাথা নাড়িয়ে হা বলে আনহা। ইহানের গালে একটা চুমো দিয়ে বলে, ‘আমার জন্মদিনের বেস্ট গিফট এটা।’

কিন্তু ইহান চুপ। তা দেখে আনহা বলল, ‘কিরে তোর কী হলো?’

‘আনহা এভাবে কিস করবেন না। আমার লজ্জা করে। আমার গার্লফ্রেন্ড আমাকে এখনো কিস করেনি। আপনি ফাস্ট করলেন।’ লজ্জায় লাল হয়ে বলল।

ইহানের এই অবস্থায় আনহা হেসে কুটিকুটি হয়ে বলে, ‘থাক আর লজ্জা পেতে হবে না। এবার বাড়ি যা। আন্টি জানতে পারলে না।’

‘কাল আপনি স্কুলে যাবেন?’

‘হ্যাঁ।’

‘সত্যি তো?’

‘তিন সত্যি।’

‘প্রমিস…’

‘প্রমিস।’ ইহানের কনিষ্ঠ আঙুল নিজের কনিষ্ট আঙুলে আবদ্ধ করে।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরের দিন সকাল বেলায় আনহা স্কুলে যায়। ইহান স্কুলে গিয়ে আনহার খোঁজ করে। দেখে আনহা এসেছে। কিন্তু ছুটি হওয়ার পর আনহাকে আর পায় না। ও গিয়ে অন্তির কাছে আনহার কথা জিজ্ঞেস করে। তা দেখে ইহান বলে, ‘এই মুখ ভেংচি দিয়ো না। মুখ কিন্তু ভেঙে দিব।’

‘এই ছেলে তাইলে আমাকে জিজ্ঞেস করছিস কেন?’

‘বললেই তো হয় আনহা কই?’

‘প্রেম করতে গেছে। আজকে ওর বার্থডে তাই। লাভ স্পটে গিয়ে দেখ পেয়ে যাবি। এখন ফেসফেস করিস না।’

‘আপনি মিথ্যে বলছেন।’

‘এ-লো তোকে মিথ্যে বলে আমার কী লাভ? গিয়েই দেখ লাভ স্পটে পাস কি না? আর এমনিতেও তোর জন্য ওর সাথে আমার কথা বলা নিষেধ। বুঝেছিস এবার ভাগ। যা।’

বলেই চলে গেল। প্রচন্ড রেগে গেল ইহান। ও কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে লাভ স্পটে দিকে এগিয়ে চলল। নদীর তীরে জায়গা এটা। বেশিরভাগ প্রেমিক-প্রেমিকারাই যায়৷ কিন্তু আনহা ওখানে কেন যাবে?

ইহান লাভ স্পটে গিয়ে ওর খোঁজ শুরু করে। কিছুদূর যেতেই আনহাকে দেখতে পায়। সাথে একটা ছেলেও আছে। ও সামনে এগিয়ে যায়। ওদের সামনে গিয়ে বলে, ‘আনহা আপনি এখানে কী করছেন? আর তোমরা? তোমরা এখানে কী প্রেম করতে এসেছ?

‘ইহান তুই!’ ঘাবড়ে কথাটা বলল রুহানি। আনহা ওকে শান্ত করতে বলল, ‘ইহান শোন…’

‘রুহানি আপু তুমি তাজিন ভাইয়ের সাথে এখানে কী করছ? আর আনহা আপনি আমার সাথে দেখা না করে এখানে এসেছেন কেন?’

‘আসলে…’

‘ও বুঝেছি। রুহানি আপু তুমি তাজিন ভাইয়ের সাথে এখানে প্রেম করছ তাই না?’

রুহানি ঘাবড়ে বলল, ‘ইহান শোন।’

‘আমি সবাইকে বলে দিব।’ বলেই দৌড়ে চলে গেল সেখান থেকে।

রুহানি ভয়ে কান্না করে দিল। ওখানের সবাই ইহানের স্বভাবের সাথে অবগত। ও তাজিনকে বলল, ‘ওকে আটকাও তাজিন। ও যদি আব্বা বা ভাইয়াকে কিছু বলে তাহলে আমাকে মাইরা ফেলব। তুমি ওকে আটকাও।’

তাজিন ওকে শান্ত হতে বলল। ‘আচ্ছা আগে এখান থেকে চলো। আনহা তুইও চল।’

ওরা দ্রুত সেখান থেকে চলে যেতে চায় কিন্তু পারে না। কিছুদূর যেতেই দেখে ইহান রুহানির ভাই রায়হানকে নিয়ে এসেছে। ওদের সামনে এসে বলে, ‘দেখ রায়হান ভাইয়া তোমার বোন এখানে বসে প্রেম করছে। তুমি না বলেছিলে তোমার বাড়ির মেয়েরা ভদ্র ছেলেদের সাথে মেশে না। এবার বলো?’

ইহানের এমন কথায় রায়হানের মাথায় রক্ত উঠে গেল। ও গিয়েই রুহানিকে সজোরে একটা চড় মারে। আর তাজিনকে ধরে ইচ্ছেমতো মারতে থাকে। কিন্তু রুহানি ভয়ে ওর কাছে যেতে পারে না।

.
.
.
.
.
.
.
.
.
রুহানি আর তাজিনের পরিবার একে-অপরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছে। তাজিন আর রুহানির সাথে কী সম্পর্ক তা জানার জন্য? রুহানি আর আনহা একসাথে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎই রুহানি আনহার হাত চেপে ধরে বলল, ‘আনহা প্লিজ তুই এমন কিছু বল যাতে কেউ বুঝতে না পারে তাজিনের সাথে আমার সম্পর্ক আছে। যদি ওরা কেউ জানতে পারে তাহলে আমার জীবন শেষ। আর আমার ভাই তাজিনকেও ছাড়বে না।’

‘কিন্তু রুহানি আপু আমি কী বলব?’

‘সত্যি-মিথ্যে যা হয় বল। তবুও চুপ করে থাকিস না। প্লিজ। এখানে আমার আর তাজিনের কথা কেউ শুনবে না। সবাই তোর আর ইহানের কথাই বিশ্বাস করবে?’

‘আচ্ছা। দেখছি। তুমি কেঁদোনা।’ বলে আশ্বস্ত করল রুহানিকে।

তখনি একজন মুরব্বি বলল, ‘কিরে রায়হান তুই সত্যি হাতে-নাতে ওদের ধরেছিস।’

রায়হান মাথা নিচু করে রাগে ফুসতে ফুসতে বলল, ‘ইহানই আমাকে বলেছিল। আর আমি গিয়ে দেখি ওরা দু’জন আর আনহা।’

‘কিরে ইহান তুই সত্যি ওদের দেখেছিস?’

‘হুমম। লাভ স্পটে সবাই প্রেম করতে যায়। ওরাও গিয়েছিল। আমি সত্যি বলছি।’

তখনি আনহা বলে ওঠে, ‘ও মিথ্যে বলছে। রুহানি আপু ওরা কেউ যায় নি।’

‘এটা কী বলছেন আনহা? আপনি মিথ্যে বলছেন কেন?’

‘তুই চুপ থাক বেয়াদব ছেলে। সবসময় শুধু মিথ্যে কথা। আজকে আবার মিথ্যে বলছিস রুহানি আপুর নামে।’

‘আনহা…’

তখনি রুহানির বাবা ইহানকে ধমক দিয়ে বলল, ‘এই ছেলে চুপ। এই মেয়ে তুমি বলো। কী হয়েছে?’

আনহা কী বলবে ভেবে পেল না। এখন সত্যিটা বললে তাজিন আর রুহানি আপু বিপদে পড়বে। তাজিন ভাইকে মেরেই ফেলবে রায়হান ভাই। আর রুহানি আপুকে তো… আর ভাবতে পারল না। বলে বসল, ‘ইহান আমাকে মিথ্যে বলেছিল। ও বলেছিল অন্তি নাকি লাভ স্পটে গিয়েছে। আমার বার্থডে তাই আমাকে গিফট দিতে চায়। আমি একা যাওয়ার সাহস পাচ্ছিলাম না। তাই জোর করে রুহানি আপুকে নিয়ে যাই। রুহানি আপু যেতে চায় নি। ওখানে গিয়ে তাজিন ভাইয়ের সাথে আমার দেখা হয়। আমরা ফিরছিলাম তখনি ইহান আসে। নিজের মতো কাহিনী বানিয়ে বলে, ‘রুহানি আপু তাজিন ভাইয়ের সাথে প্রেম করছে।’ বলেই কেঁদে ওঠে আনহা।

ইহান বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে বলে, ‘আনহা আপনি… ‘ আর কিছু বলার আগেই রুহানি বাবা ইহানকে থাপ্পড় মারে। বলে, ‘বেয়াদব ছেলে খালি বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলা। তোর জন্য আজ আমার মেয়ের কত বড় বদনাম হতো।’

ইহান থাপ্পড় সামলাতে না পেরে মাটিতে পড়ে যায়। ততক্ষণে ইহানের বাবা-মা চলে এসেছে। ছেলেকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে ইহানের মা অপর্ণা তাড়াতাড়ি কোলে তুলে নেয়। তা দেখে রুহানির বাবা ইহানের বাবা আসাদকে বলে, ‘কেমন ছেলে বানিয়েছেন কথায় কথায় শুধু মিথ্যে বলে। শিক্ষা বলে কিছু দেন নি না কি?’

ছেলের ব্যাপারে অবগত আসাদ। একমাত্র ছেলে বলে অনেক সহ্য করেছে। মায়ের আশকারা পেয়ে মাথায় ওঠেছে। ওনি গিয়েই ইহানকে অপর্ণার থেকে নিয়ে পিঠে থাপ্পড় দিলেন। বললেন, ‘আর কত সহ্য করব তোর জন্য। সারাদিন দুষ্টামি-ফাজলামি। আজকে তো বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিস৷’ বলেই চিকন একটা লাঠি নিয়ে ইহানকে মারতে শুরু করে সবার সামনে। ইহান বার বার বলে, ‘আমি সত্যি বলছি। আনহা বাবাকে বলুন আমি সত্যি বলছি।’

কিন্তু আনহা কিছু বলতে পারল না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগল। ইহানের বাবা আশ মিটিয়ে ওকে মেরে বাহু ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগল। তখন ইহান পাগলের মতো চিৎকার করে বলল, ‘আপনি আজকে মিথ্যে বলে আমাকে শাস্তি দিলেন আনহা। এর জন্য আমি আপনাকে কোনোদিন ক্ষমা করব না। এর শাস্তি আপনাকে পেতে হবে। কসম কেটে বলছি আনহা এর শাস্তি আপনাকে পেতে হবে। আমি আপনাকে কোনোদিন ছাড়ব না।’

‘ইহান…’ আনহা কাঁদতে কাঁদতে ওর যাওয়া দেখল। কিন্তু কিছু বলতে পারল না। সত্যিটা বললে তো দু’জনের জীবন শেষ হয়ে যেত। সেটা ইহানকে কে বোঝাবে? ওর কাছে ওগুলো মজা ছাড়া কিছুই না। কিন্তু ইহান… ওর তো কোনো দোষ নেই। তবুও আজ ওকে শাস্তি পেতে হচ্ছে।

অন্তি এসে আনহার কানের কাছে গিয়ে বলল,’তুই কাঁদছিস কেন? উচিত শিক্ষা হয়েছে শয়তানটার। আমি তো তোকে ফুচকা খাওয়াব—ওকে মাইর খাওয়ানোর জন্য।

আনহা আর কোনো কথা না শুনে সেখান থেকে চলে যায়।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরের ১মাসে আনহা ইহানের দেখা পায় না। সেদিন সবটা ঠিক হয়ে গেলেও আনহার সাথে ইহানের আর দেখা হয় নি। এমনকি ইহান স্কুলেও যায় নি। তাই আজ আনহা নিজেই ওর বাড়িতে গেল। কিন্তু গিয়ে দেখে গেট তালা মারা। ও পাশের বাড়ির এক মহিলাকে জিজ্ঞেস করে, ‘আচ্ছা আন্টি ইহানরা কই?’

‘ওরা তো চলে গেছে?’

‘কবে ফিরবে বলতে পারবেন।’

‘ওরা তো আর ফিরবে না।’

‘মানে?’ অবাক হয়ে জানতে চাইল আনহা।

তিনি বললেন, ‘ওর বাবার চাকরির বদলি হয়েছে। তাই সপরিবারে চলে গেছে।’

‘ওরা কোনোদিন ফিরবে না!’

‘তাই তো মনে হয়। এটা তো ওদের নিজের বাড়ি নয় ভাড়া বাড়ি।’

কথাগুলো শুনে আনহার পায়ের নিচের মাটি সরে গেল। ইহান চলে গেল। অথচ ওর কাছে ক্ষমা চাওয়া হলো না। ভাবতেই কেঁদে ওঠে আনহা। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে যায়। কানের মাঝে শুধু একটা কথাই বেজে ওঠে, ‘আমি আপনকে ছাড়ব না আনহা। এর শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে।’

.
.
.
.
.
.
.
.
[বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন ]

বানানে বা অন্য কিছুতে সমস্যা হলে কিছু মনে করবেন না। তাড়াহুড়ায় দিয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here