#আপনিময়_তুমি💓[ An unbearable Crazy love]
#Season: 02
#Written_By_Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr[Mêhèr]
#Part: 26
ইহানকে রুমে ঢুকতে দেখে আনহা বিছানা থেকে উঠে বসে। কেমন একটা অস্বস্তিতে বিছানা ছেড়ে নিচে নেমে ইহানের দিকে এগোয়। ইহান স্বাভাবিক ভাবে রুমে ঢুকলেও আনহাকে কাছে আসতে দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। আনহা এসে ইহানের সামনে দাঁড়িয়ে পায়ের দিকে তাকাতেই ইহান দ্রুত সরে গিয়ে বলে, ‘আগেই বলেছি এসব ফর্মালিটির কোনো দরকার নেই।’
দ্রুত কণ্ঠে বলে আশফাস করতে লাগল ইহান। আনহা ইহানের এমন ব্যবহারে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ও কেন ইহানকে সালাম করতে যাবে তাও পায়ে হাত দিয়ে! ও তো জড়তার কারণে নিচের দিকে তাকিয়েছে। ইহানের দিকে চোখ পড়তেই ইহান কিছুটা অস্বাভাবিক লাগল। যেন কিছু একটায় দ্বিধান্বিত হয়ে আছে। ইহান দ্রুত আনহার কাছ থেকে সরে আয়নার সামনে দাঁড়ায়। আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে বলে, ‘আসলে বিয়ে অভিজ্ঞতা নেই তো। তাই…।’
এ-কথায় আনহা কিছুটা রাগান্বিত হলো। ইহানের উদ্দেশ্যে বলল, ‘এর আগে বোধহয় আমি কয়েকবার বিয়ে করেছি নারে?’
ইতস্তত হলো ইহান। দাঁত কেলিয়ে বলল, ‘আমি তা কখন বললাম।’
আনহা তেড়ে গেল ইহানের দিকে৷ ‘একটু আগে…’
আনহাকে সামনে আসতে দেখেই ইহান দ্রুত সেখান থেকে সরে গেল। যেন বাঘনী এসেছে। একটু দূরে গিয়ে বলল, ‘যা বলার দূর থেকে বলতে পারছেন না। চিপকালির মতো চিপকাচ্ছেন কেন? উহ্ঃ!’ কিছুটা ভয় মিশ্রিত বিরক্তি প্রকাশ করল ইহান।
ইহানের অদ্ভুত বিহেভে কিছুটা দ্বিধান্বিত হলো আনহা। ছেলেটা এমন অদ্ভুত ব্যবহার কেন করছে? তবুও কুঞ্চিত কপালে ইহানকে বলল, ‘তোর সাথে কিছু কথা আছে ইহান।’
‘যা বলার সকালে শুনব। কয়টা বাজে খেয়াল আছে?’
‘ইহান…’ কিছুটা জোরেই বলল। ইহান ওর কথা না শুনে ড্রয়ার থেকে কিছু একটা বের করতে লাগল। তৎক্ষনাৎ আনহা ওর ঘাড়ে হাত দিয়ে ইহানকে সামনে ফেরাতে চাইলে আচমকা ইহানের শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল। শকড লাগা ব্যক্তির মতো আনহার কাছ হাত সরিয়ে দিল। আশফাস করে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে বলল, ‘দেখুন আনহা দয়া করে প্লিজ ঘুমান। এবং আমাকেও ঘুমোতে দিন। বিশ্বাস করুন আমার ঘুব ঘুম পাচ্ছে।’
আনহা করুণ কণ্ঠে বলল, ‘তুই এমন বিহেভ করছিস কেন ইহান। আমি তো… ‘
‘প্লিজ চুপ করুন। বললাম তো আমার ভালো লাগছে না৷ তবুও কেন বুঝতে চাইছেন না।’ চেঁচিয়ে বলল ইহান। আনহার থেকে সরে জানালার কাছে গিয়ে ফুঁসতে লাগল।
ওর এমন বিহেভিয়ারে আনহার চোখ দু’টো মুহূর্তে ভরে ওঠে। নিচু মাথায় ঠোঁট কামরে নিজের কান্নাটাকে আড়াল করতে চায়। ইহান আনহার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে—অজান্তেই আনহাকে অপমান করেছে। কিছুটা হার্টও করেছে। কিন্তু আনহা তো ওর পরিস্থিতি বুঝতেই চাইছে না। ও আনহার কাছে যায়। মাথা নিচু করে বলে, ‘আ’ম সরি আনহা। আমি…’
আনহা ওর কথা কানে না তুলে ওপাশ বিছানায় বসে পড়ে। ইহানও কী করবে ভেবে না পেয়ে একটা কাঁথা ও বালিশ নিয়ে সোফায় দিকে এগিয়ে যায়। কাঁথাটা দিয়ে সম্পূর্ণ নিজেকে ঢেকে মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ে। ইহানের এহেন কাজে আনহা লাইট নিভিয়ে ওপাশ ফিরে শোয়। কিন্তু জানালা থেকে আসা আলোয় আবছা ভাবে সব দেখা যাচ্ছিল।
ইহান ঘুমায়নি। লাইট নেভানোর কিছুক্ষণ পর বারবার কাঁথা থেকে উঁকি দিয়ে আনহাকে দেখছিল। ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না ওর কী করা উচিত? আনহাকে অনড়ভাবে শুয়ে থাকতে দেখে ভেবেছে ঘুমিয়ে গেছে। তাই গুটি গুটি পায়ে রুম থেকে বেরিয়ে ছাদে চলে যায় জিহামকে ফোন দেয়। বেশ কয়েকবার রিং জিহাম ফোন তুলে ঘুমো ঘুমো কণ্ঠে বলে, ‘হ্যালো।’
‘সালা এখানে আমার ঘুম হারাম হয়ে গেছে আর তুমি ঘুমাই ঘুমাই হ্যালো বলছ।’
জিহাম দ্রুত ফোন চেক করে উঠে বসে। বিস্ফোরিত কণ্ঠে বলে, ‘এই আজ না তোর বাসর রাত! তোর তো আনহার সাথে এতক্ষণে স্বর্গে থাকার কথা। তা না করে এই ধরণীর মৃত্তিকায় নিদ্রারত বাচ্চাকে কেন জাগাচ্ছিস বাপ।’
‘সালা তুই নিদ্রা যা আমি কী করমু? আমি না ঘুমাইতে পারতাসি না জাইগা থাকতে।’
‘কেন রে? আনহাকে জাগানোর জন্য ঘুমাচ্ছিস না। নাকি আনহাই জাগাই রাখতাসে?’
‘মানে?’ দ্বিধান্বিত কণ্ঠে জানতে চাইল ইহান।
জিহাম একটু গলা খাঁকরে বলল, ‘না মানে সাধারণত…। মানে সাধারণত যে বিয়ে হয় তাতে রাত জাগানোর দায়িত্বটা বরেরা পালন করে। কিন্তু তোদের বেলায় তো তা উলটো। ভাই তুই ২০ বছরের পিচ্চি। আনহা ২৩বছরের এডাল্ট। তাই জিজ্ঞেস করছিলাম আরকি? আমি তো স্বচক্ষে দেখতে পারছি না।’
‘এই এই তুই বলছিস কি তুই জানিস? আনহা আর আমি কেমনে কি?’
‘কেন রে আনহা কি মাইয়া না? আর তুই? তুই কি হাফ জেন্ডার।’
‘মুখ সামলাই কথা বল। ইয়ার আনহা আমার বড়। আমি আনহার সাথে…। কেমনে কী? হতেই পারে ওনি আমার স্ত্রী। কিন্তু…’
‘আহা! বাচ্চা আমার ফিডার খায়। সালা ৭ বছর থেকে যার বিয়ে করার শখ। সে বলতাসে কেমনে কী?’
‘তুই কী আমার সমস্যাটা বুঝবি না।’
‘আচ্ছা তুই যখন ভয় পায়তাসোস তাহলে আনহাকে বল তোর কাজটা করে দিতে। তুই বউয়ের মতো বসে থাক৷ আনহা তোর বড়। ও নাহয়… ‘
‘মজা করস আমার লগে।’
‘তাহলে কী আনহারে ফোন দিয়ে এসব কথা বলমু যে, ইহান ভয় পাচ্ছে, তুমি বরং নিজেই…’
‘চুপ সালা আলতু-ফালতু কথা কম বইলা কাজের কথা বল। সত্যি বলতাসি আমার ভয় লাগতাসে।’
‘ঐ দেখো সালা আবার মেয়েদের মতো ন্যাকা কান্না ধরছে৷ আচ্ছা তোর ভয় কেন লাগতাসে বলত? রাইসার সাথে দেখি এক বছর প্রেম করলি। তখন ভয় করে নাই৷ বাবা তুমি তো সাধু পুরুষ না। যদি হইতা তাহলে নাহয়…।’
‘রাইসা আর আনহা এক হলো?’ চেঁচিয়ে বলল ইহান।
‘দুইটাই তো মাইয়া। এক না হওয়ার কী আছে? হ্যাঁ, হতে পারে একটা তোর বউ। আরেকটা তোর গার্লফ্রেন্ড।’
‘উফফ! এবার সত্যি আমার রাগ উঠতাসে জিহাম।’
‘তাই নাকি? আমি তো ভাবছি আরও আগে উঠেছে। সে যাই হোক এসব বাদ দিয়া আনহার কাছে যা।’
‘যেয়ে কী করমু?’
‘কথা বলবি সব হাজবেন্ড তার ওয়াইফের সাথে যেমন বলে।’
‘কিন্তু আনহা যদি মাইন্ড করে?’ নখ কামরে বলল ইহান।
‘ওলেলে বাবুটা ফিটার খায়। সালা ন্যাকামি করার জায়গা পাওনা। আনহা রাগ করব। আনহা কী বাচ্চা মেয়ে? ও কিছু বুঝে না।’
‘কিন্তু…’
‘আরে কলুর বলদ, আগে আনহার সাথে গিয়ে ফ্রি ভাবে কথা তো বল। বিয়ে নিয়ে ওর ভাবনাটা জানতে চা। দেখ নদীর গভীরতা না মাইপা পা চুবানো তো রিক্স তাই না। তুই ওর সাথে আগে কথা বল। নিজেদের মধ্যে ফ্রি হয়। তারপর নাহয়…’
‘কিন্তু…’ আবার সংশয় প্রকাশ করল ইহান।
এবার প্রচন্ড রেগে গেল জিহাম। ক্রোধিত কণ্ঠে বলল, ‘এই সত্যি করে বলত তুই ভয় পাচ্ছিস কেন? আনহাকে ভয় পাচ্ছিস নাকি তোর মধ্যে কোন সমস্যা?’
‘জিহাম্মা…’
‘এছাড়া আর কী ভাব্বো বলত? তুই যদি এরকম ন্যাকা কান্না করিস তাহলে?’
‘দোস্ত আমি এর আগে বাসর করি নাই।’
ইহানের কথায় একটু লজ্জা ভাব প্রকাশ করে কর্কশ কণ্ঠে বলল, ‘আমি মনে হয় কয়েকবার করছি নারে? সালা তুই পুরুষ না।’
‘হঁ…’
‘ব্যস, এইটুকুই যথেষ্ট। পুরুষ যেহেতু সিংহের মতো করে চলবি। বিড়ালের মতো ভয় পেলে চলবে না।’
‘হুমম।’
জিহাম ঘড়ির দিকে তাকায়৷ বলে ‘এখন ২ঃ৪০ বাজে। তুই ডিরেক্ট আনহার কাছে যাবি। ওর সাথে কথা বলবি। তারপর…’
ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই ইহান জানতে চাইল, ‘তারপর? তারপর কী?’
জিহাম দাঁত কেলিয়ে হেসে বলল, ‘আনহা যা বলবে তাই শুনবি।’
‘কিন্তু…’
‘আবার সেই কিন্তু। সালা রাখ তোর কিন্তু।’ বলেই ফোনটা কেটে দিল জিহাম।
ইহান বেশ কয়েকবার কল করে ফোন বন্ধ পায়। জিহাম ফোন বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেছে। ইহান রাগে দেয়ালে একটা ঘুশি মারে। লম্বা একটা নিশ্বাস নিয়ে বলে, ‘তোর হেল্পের জন্য কাউকে লাগবে না। ইহান নিজেই নিজের হেল্প করতে পারে। আমি আনহার বর। আনহা আমার বউ। সো এটা আমার অধিকার। জিহাম ঠিকি বলেছে। আমি পুরুষ। পুরুষকে সিংহের মতো মাথা উচু করে চলতে হয়।’ বলেই রুমের দিকে অগ্রসর হলো ইহান।
জিহাম কিছুক্ষণ ফোনের দিকে তাকিয়ে রইল। অতঃপর বিরক্তির শ্বাস ছেড়ে বলল, ‘সালা তোরে কী হেল্প করমু বলত? অন্য কিছু হইলে তো বলতাম তোর বদলে আমি করছি। কিন্তু বাসর একজনের বদলে আরেকজন…! উফফ!’ অতঃপর কাথা মুড়ি দিল জিহাম।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ইহান সিংহের মতো বুক ফুলিয়ে রুমে যায়। দরজা খুলে দেখে ওপাশ ফিরে আনহা ঘুমোচ্ছে। ও সোফায় থাকা বালিশ আর কাঁথা নিয়ে ঠাসস করে বিছানায় ফেলে। শুয়ে পড়ে আনহার পাশে। কিছুক্ষণ এভাবে শুয়ে থাকার পর আনহার দিকে তাকায়। বিছানা ঘেঁষে কিছুটা কাছে এগিয়ে যায় আনহার। আনহা ঘুমের ঘোরে এপাশ থেকে ইহানের দিকে ফিরতেই ইহান চমকে ওঠে। দ্রুত নিজের কাঁথাটা মুড়ি দেয়৷ চোখ-মুখ খিঁচে কী যে বিড়বিড় করে তা হয়তো নিজেও জানে না।
কিছুক্ষণ এভাবে কেটে যাওয়ার পর ইহান আনহার কোনো শব্দ শুনতে পায় না। ও কাঁথা সরিয়ে আনহার দিকে তাকায়। ভয়ে বা সংকোচ যেকোনো কারণে কয়েকটা ঢোক গেলে। শুকনো গলা মজুদ করা তরল দিয়ে ভেজানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গলায় ভেজানোর মতো বিন্দু তরলও অবশিষ্ট নেই। ইহান কাঁপা কাঁপা হাত আনহার গালের দিকে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যেই না আনহাকে স্পর্শ করতে যাবে তৎক্ষনাৎ আনহা চোখ খোলে। মুহূর্তে ইহান বড়বড় চোখ করে দ্রুত উঠে বসে নিজের গালেই ঠাস করে থাপ্পড় মারে৷ আনহা কিছু বলার আগে মোবাইলের ফ্ল্যাশ অন করে বলে, ‘কিছু মনে করবেন না আসলে মশা মারছিলাম। তাই…’
আনহা শোয়া থেকে উঠে ইহানের মুখোমুখি বসে। সংশয় নিয়ে জানতে চায়, ‘মশা তোর মুখে তাহলে আমার গালে হাত দিতে এসেছিলি কেন? আমার মনে হলো…’
‘আপনি ঘুমাননি?’
‘ঘুমিয়েছিলাম। কিন্তু বিছানা নাড়ার কারণে ঘুম হালকা হয়ে ভেঙে এসেছিল।’ ভাজ পড়া কপালে বলল আনহা।
‘ওও!’ হাফ ছেড়ে বাঁচল ইহান। কিন্তু স্বস্তি বেশীক্ষণ ঠিকল না। আনহার দিকে চোখ পড়তেই দেখে আনহা দ্বিধান্বিত চোখে তাকিয়ে আছে। ‘এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?’
আনহার তাকানোতে বুঝল ইহান বিছানায় কী করছে সেটা জানতে ইচ্ছুক আনহা। ইহান আমতা আমতা করে বলল, ‘আসলে সোফায় ঘুমানোর অভ্যাস নেই তো তাই…। আপনি প্লিজ অন্য কিছু ভাব্বেন না। আমি কিন্তু…’
আনহা ঠোঁট টিপে হাসল। জোরাল কণ্ঠে বলল, ‘আমি জিজ্ঞেস করেছি। যেচে পড়ে সাফাই কেন দিচ্ছিস।’
ইহান নিশ্চুপ।
‘তোকে দেখে আমার কী মনে হচ্ছে জানিস ইহান?’
‘কী?’
‘ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি তো কলা খাইনি। ঠিক সেরকম।’
‘মানে? কী বলতে চাইছেন আপনি?’ ভয়ার্ত কণ্ঠে জানতে চাইল ইহান।
আনহা খাপছাড়া ভাবে উত্তর করল, ‘আমার মনে হয় না মানেটা বোঝার মতো বয়স তোর হয়নি। মানেটা তুই নিজেই ভেবে দেখ।’
বলেই সোজা হয়ে শুয়ে পড়ে আনহা। ইহান তখনো ওর পাশে বসা।
‘ইহান…’ আনহা ডাকল ইহানকে।
‘কিছু বলবেন?’
‘কাঁথাটা দে। আমার মনে হয় আজ আর তোর ঘুম আসবে না। এর চেয়ে আমিই বরং একটু ঘুমাই।’
ইহান কিছু ভাবনা-চিন্তা না করেই আনহাকে কাঁথাটা দিল। আনহা কাঁথা শরীরে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ পর ইহান কী করবে বুঝতে না পেরে গুটিশুটি মেরে আনহার পাশে শোয়। তবে বুঝতে পারে আনহার কথাই ঠিক। আজ আর ওর ঘুম আসবে না। ও আনহার সাথে একটু ঘেঁষে শোয়। তৎক্ষনাৎ আনহা উঠে বসে রাগী কণ্ঠে বলে, ‘সমস্যাটা কী তোর? নিজেও ঘুমাবি না আমাকেও ঘুমাতে দিচ্ছিস না। সাপের মতো মোড়ামুড়ি কেন করছিস?’
‘আনহা আপনি তো আমার স্ত্রী তাই না।’
এ-কথায় নিভল আনহা৷ দমে যাওয়া কণ্ঠে বলল, ‘হ্যাঁ, তো।’
‘তারমানে আমি আপনার হাজবেন্ড। আপনার উপর আমার অধিকার আছে?’
ইতস্তত হলো আনহা৷ ইহানের কথা ওর কাছে স্পষ্ট নয়। তৎক্ষনাৎ ইহান উঠে বসে আনহার হাত ধরে উত্তেজিত কণ্ঠে বলল, ‘প্লিজ অন্য কিছু মিন করবেন না৷ আমার না মাথাটা ব্যথা করছে। তাই ঘুম আসছে না। যদি একটু টিপে দিতেন। আপনি তো আমার ওয়াইফ হন। তা….ই বললাম…’ অপরাধীর কণ্ঠে বলল ইহান।
ইহানের এমন কথায় আনহা কাঁদবে না হাসবে ঠিক বোধগম্য করতে পারল না। ও কেবল মাথা নাড়িয়ে ইহানকে শুতে বলল। অতঃপর ওর মাথা টিপে দিতে লাগল৷ কিছুক্ষণ পর ইহান বাচ্চাদের মধ্যে ওপাশ ফিরে গুটিয়ে শুয়ে পড়ল৷ আনহা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ইহানের গায়ে কাঁথাটা জড়িয়ে দিল। অতঃপর ইহানের দিকে ফিরে নিজেও শুয়ে পড়ল।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
[ বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন ]