আপনিময়_তুমি💓[ An unbearable Crazy love] #Season: 021

0
486

#আপনিময়_তুমি💓[ An unbearable Crazy love]
#Season: 02
#Written_By_Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr[Mêhèr]
#Part: 20…

বেশ রাত করেই ইহান বাড়ি ফেরে। দরজায় নক করতেই আসাদ দরজা খুলে দেয়। বাবাকে দেখে কিছুটা চেপে আসে ইহান। মুখ থেকে বিয়ারের গন্ধ আসছে। আসাদ বিরক্তির নিশ্বাস ছাড়ে। গম্ভীর গলায় বলে, ‘ভেতরে আয়। তোর বাপ আমি।’

ইহান নিচু মাথায় ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে নিম্নস্বরে বলে, ‘আমি আবার কবে অস্বীকার করলাম।’

আস্তে বললেও কথাটা কানে গেল আসাদের। ইহানের মাথার পেছনে থাপ্পড় দিয়ে বলে, ‘একটু বড় হো। বয়স তো কম হলো না। এখনো বাচ্চাদের মতো কিসব বকিস?’

‘বিয়ে করানোর সময় আমি ছোট। আর কথা বলার সময় বড় হতে হবে কেন?’

‘উফফ! ছেলেটা নিয়ে আর পারি না। তোর মায়ের মাথা ব্যথা। তাই ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়েছে। আমি তোর জন্য জেগে আছি। তোর মতো গরুকে জন্ম দিয়ে অপরাধ করছি না তাই।’

‘দেওয়ার সময় আমারে জিজ্ঞেস করছিলা? এখন দোষ দেও?’ অস্ফুট গলায় বলল ইহান।

‘কিছু বললি তুই?’

‘কই না তো? তুমি খেয়েছ বাবা?’

দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল আসাদ৷ বলল, ‘তোর কি মনে হয়?’

ইহান আর আসাদ ইহানের রুমের খাটে বসে আছে। রান্না করা খাবার না খেয়ে এত রাতে বাইরে থেকে বিরিয়ানি আনিয়েছে। হঠাৎ ছেলের এমন দরদে কিছুটা বিস্মিত আসাদ। কিন্তু সে জানে ছেলের নিশ্চয়ই কোনো অভিসন্ধি রয়েছে। নাহলে তো এত রাতে বিরিয়ানি। কিন্তু কেমন একটা লাগছে ইহানকে। কিছুটা অগোছালো। ছেলেকে হাড়ে হাড়ে চেনেন আসাদ। ইহান শান্ত থাকলেও নিস্তেজ হয় না। কিন্তু আজকে কেমন একটা অন্যরকম লাগল। প্রতিদিনের মতো অতটা সারও নেই ওর মাঝে। অন্ধকারে মোম জ্বালিয়ে টেবিলের উপর রাখল ইহান। তারপর চুপচাপ বসে রইল।

এভাবেই কেটে গেল বেশ কিছুক্ষণ। আসাদ ছেলের এমন অস্বাভাবিক নীরবতায় কিছুটা উদ্বেগিত হলেন। অশান্ত নদীর স্রোত সামলাতে না পারলেও, তাতে ভয় থাকে না। কিন্তু হঠাৎ করে শান্ত হয়ে গেলে তা বড় ধরনের প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ ইহানকেও তার তেমনি লাগে। অশান্ত নদীর মতো। যার স্থবিরতা বড্ড বেশী বেমানান। তাই তিনি স্নেহের সুরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিরে কী হয়েছে তোর? মন মরা কেন?’

ইহান চুপ।

আসাদ আবার একই প্রশ্ন করলেন। এবারেও ইহান চুপ। তা দেখে আসাদ ইহানের কাঁধে হাত রাখেন। বললেন, ‘কিছু কি লাগবে তোর? টাকা বা অন্যকিছু…’

এবার ইহান বাবার দিকে তাকায়। নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলে, ‘আনহাকে দিতে পারবে বাবা।’

কথাটা শুনেই ইহানের কাঁধ থেকে অজান্তেই হাত উঠে যেতে চায়। কিন্তু সরিয়ে নেওয়া হাতটা পুনরায় ইহানের কাঁধে রেখে শান্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আনহাকে দিতে পারব মানে?’

‘আসলে আনহার কিছু খবর আমার জানার ছিল। ওর অতীত নিয়ে। তুমি তো ওনাকে দেখেই চিনে নিয়েছ। তারমানে তুমি আনহার ব্যাপারে জানো। ওর মা-বাবা, ঠিকানা? যা কিছু।’

‘কেন কী হয়েছে আনহার? আমার জানা মতে আনহা তো তোর সাথে ভার্সিটিতে।’

‘নেই বাবা। ওর মামা আজ ওকে নিয়ে চলে গেছে?’

‘ওর মামা নিয়ে চলে গেছে মানে! ওর আবার কোন মামা? সাহানার ভাই আছে বলে আমি জানি না।’ দ্বিধান্বিত কণ্ঠে বলল আসাদ।

আসাদের কথায় নিস্তেজ কণ্ঠে উদ্দাম ফিরে এসেছে ইহানের। বলে, ‘তাহলে যে আনহা বলল ওর আরমান মামা।’

‘আরমান! এসব কি বলছিস? আর ওর মামা হতে যাবে কেন?’ পরক্ষণেই কিছু একটা ভেবে শান্ত হলো। বলল, ‘হ্যাঁ, আরমান ওর মামা। কিন্তু ওর আপন মামা নয়। সাহানার দূর সম্পর্কের কোনো এক ভাই হবে। তবে লোকটা জঘন্য। ওর জন্যই তো বারবার সাহানাদের পরিবার বিপদে পড়েছে। কিন্তু… আচ্ছা আনহা ঐ লোকটার সাথে গেল কেন?’

ইহান কিছুটা সংকোচ নিয়ে বলল, ‘আনহার নাকি বিয়ে হয়েছিল? ও বাড়ি থেকে পালিয়েছে…’

কথাটা আমিও শুনেছি। কিন্তু তাতে আদৌও কতটা সত্যি আছে আমি জানিনা।’

‘মানে?’ ইহানের চোখে বিস্ময়।

আসাদ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। বললেন, ‘আনহার বাবা বেঁচে নেই। তিনি মারা গেছেন। যতদূর শুনেছি এক্সিডেন্টে। তখন আনহা কেবল এইচএসসি দিয়েছে। এখানে কেউ ছিল না বিধায় সাহানা আনহাকে নিয়ে নিজেদের গ্রামে চলে যায়। বাবার বাড়িতেই থাকে। আনহার নানা-নানির সাথে। ঘটনাচক্রে আমি একটা কাজে আনহা যখন ভার্সিটির ৪র্থ বর্ষে তখন ওদের গ্রামে যাই। যেহেতু আনহার বাবার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল, তাই ওদের বাড়ির ঠিকানা জানতাম। যেহেতু ওদের গ্রামে গিয়েছি, এজন্য আনহার বাড়িতেও গিয়েছিলাম আনহাকে দেখতে। ওর বাবার কাছে একটা ঋণ ছিল আমার।’

‘কী ঋণ?’

‘তোর হওয়ার সময় আমি আর্থিক সংকটে ছিলাম। তখন আনহার বাবাই আমাকে হেল্প করেছে। তাই। যাইহোক, ওদের বাসায় গিয়ে জানতে পারলাম আনহার বিয়ে ঠিক হয়েছে। ওদের এলাকারই চেয়্যারম্যানের ছেলের সাথে। আমি ওকে আগে থেকেই চিনতাম। আর এটাই ছিল সমস্যা।’

‘তুমি চিনলে সমস্যা কেন হবে?’

‘যার সাথে আনহার বিয়ে ঠিক হয়েছে সে ভালো ছেলে ছিল না ইহান। হ্যাঁ, দেখতে-শুনতে শিক্ষা দীক্ষা সবদিকে ভালো হলেও চরিত্র ছিল জঘন্য। তবে আমি জানিনা ও আনহাকে কেন বিয়ে করতে চেয়েছিল। যেহেতু ঐ ছেলেকে আমি চিনতাম। কিন্তু ওর বিরুদ্ধে বলার মতো আমার কাছে প্রমাণ ছিল না, তাই আসার আগে সাহানাকে বলে আসি ছেলের ভালো করে খোঁজ-খবর নিতে।’

‘তারপর…?’

‘তারপর আর কি? আমি চলে আসি। ঢাকায় এসে ব্যস্ততায় ওদের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু তার কয়েকমাসের মাথায় আনহাকে রাস্তায় দেখি। তবে আমার কেন জানি মনে হয় আনহার সাথে ঐ ছেলেটার বিয়ে হয়নি।’

‘কেন?’

‘সাহানা যথেষ্ট বুদ্ধিমতি মহিলা। আমার কথা শুনে নিশ্চয়ই ও খবর নিয়েছে। তাছাড়া নাহলে আনহাই বা এখানে থাকবে কেন?’

‘তাহলে আনহা চলে কেন গেল?’

‘তা তো আমি জানিনা। কিন্তু হ্যাঁ, ঐ ছেলেটার সাথে আনহার বিয়ে হলে ও কোনোদিন সুখী হবে না।’

‘কিন্তু আনহা তো ওর কাছেই গেছে?’

‘সেটা কেন গেছে আমি জানিনা। হয়তো মেয়েটার কপাল খারাপ তাই।’ বলেই চেয়ার ছেড়ে উঠে বসলেন আসাদ। পিছু ডাকে ইহান। ‘বাবা ঐ ছেলেটার নাম কী?’

আসাদ হেসে বললেন, ‘মাহিদ।’
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরের দিন সকাল বেলা বেরিয়ে যায় ইহান। কিন্তু বাড়ি থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর দেখে জিহাম এসেছে। তবে বাইকে নয় জিপে। ভ্রু কুঁচকায় ইহান। জিহাম ওকে দেখে বলে, ‘উঠে আয় দোস্ত। অনেক ফুসলাইয়া ফাসলাইয়া জিপটা মামার থেকে বাগে আনছি।’

‘কিন্তু তুই জিপ দিয়া কি করবি?’ জানতে চাইল ইহান।

জিহাম হেসে বলল, ‘আরে তোর কথা শুনে বুঝলাম, বিয়ে হলেও আনহাকে আনবি, বিয়ে না হলেও আনহাকে আনবি। তাই ঝামেলা এড়ানোও ভালো। এইজন্য এই ব্যবস্থা। জিপ নিয়ে আসছি।’

‘জিপ নিয়া আসছি মানে! তুই কী আমার সাথে যাবি না কি?’

‘ভাই তুই যদি মরতে চাইতি তাহলে সেখানে হয়তো যাইতে চাইতাম না। কিন্তু তুই আনহাকে আনতে যাবি কেমনে না যাই?’

‘মানে তুই কি আনহার জন্য যাবি?’ দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলল ইহান।

‘তুই না আসলেই হিংসুটে। আনহা আমার ফ্রেন্ড লাগে। ওর প্রতি আমারও মায়া আছে। কথা কম বল উঠে আয়।’

ইহান আর কথা না বাড়িয়ে জিপে উঠে বসে। জিহাম জিপ চালাতে চালাতে বলে, ‘কখন রওনা হবি?’

‘একটু পরেই। সন্ধ্যার আগে ওখানে পৌঁছাতে হবে। ‘

‘যদি জানিস আনহার সত্যি বিয়ে হয়ে গেছে তো।’

ইহান চুপ। জিহাম আবারও একই প্রশ্ন করে৷ ইহান কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে, ‘আগে তো দেখি সত্যিটা কি তারপর না হয় ভাব্বো। তবে তার আগে আমাকে কিছু জিনিস নিতে হবে।’

‘কি?’

দুষ্ট হাসল ইহান। বলল, ‘সময় হলে দেখতেই পাবি।’.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সন্ধ্যার অনেকটা পরে রাত আটটা নাগাত বাবার দেওয়া ঠিকানায় অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছে ইহান। কিন্তু একটা ব্যাপার কিছুতেই বোধগম্য হলো না বাড়িটা এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে কেন। ইহান আর জিহাম জিপ থেকে নেমে ভেতরে যায়। বাড়ির ভেতর ঢুকেই হতভম্ব হয়ে পড়ে। এত বিশাল বাড়ি। গ্রামের মধ্যে হলেও বাড়ি দেখে বোঝার জো নেই।

‘বাড়িটা এত সুন্দর ভাবে সাজানো কেন বলত?’ জানতে চাইল ইহান।

চারপাশ দেখে জিহাম মুখ কুঁচকে বলল, ‘জানিনা। কিন্তু দেখে তো মনে হচ্ছে…’

তখনি দুজনে একসাথে বলে উঠল, ‘বিয়ে বাড়ি।’

‘কিন্তু কার বিয়ে?’ জানতে চাইল জিহাম।

ইহান আর অপেক্ষা না করে গেটের অংশ পেরিয়ে ভেতরে যায়। লোক সমাগম। সাজ-গোজ অনুযায়ী এখানে কারও বিয়ে হচ্ছে। বিয়ের সবকিছুই রেডি। হঠাৎ করেই জিহাম ইহানের কাঁধ চুলকাতে থাকে। ইহান বিরক্ত নিয়ে বলে, ‘কি হয়েছে?’

‘ওদিকে দেখ। তাহলেই বুঝবি।’

তৎক্ষনাৎ বিয়ের আসরের দিকে খেয়াল যায়। সেখানে একটি মেয়ে লাল রঙের বেনারসিতে বউ সেজে আছে। কিন্তু ঘোমটার কারণে মুখ চেনা যাচ্ছে না।

‘ইহান এইটা কি আনহা?’

ইহান নখ কামরে বলল, ‘বুঝতেসি না। কিন্তু কেন মনে হচ্ছে… ‘

‘আচ্ছা বিয়ে করা বউকে কে কেউ বিয়ে করবে? আনহার তো বিয়ে হয়ে গেছে। তারমানে এটা আনহা নয়।’

তখনি আনহার মামা বলে পরিচয়দান কারী আরমান নামের লোকটাকে দেখতে পায়। সর্বনাশ! কোনোভাবে ইহানকে যদি দেখে নায় তাহলেই তো হলো। আরমানকে এগিয়ে আসতে দেখে ইহান দ্রুত জিহামের পেছনে লুকিয়ে পড়ে। জিহাম কারণ জানতে চাইলে ইহান জানায় এটাই আনহার সেই মামা। তখনি জিহাম গিয়ে আরমানকে ধরে। ইহান কিছু বুঝে উঠতে পারে না। আরমান যাতে না দেখে তাই পাশ কেটে ওদিকে চলে যায়। জিহাম আরমানকে কী বলে সেটাই শুনতে চায়।

‘আচ্ছা চাচা আমাদের তো দাওয়াত দেওয়া হলো। কিন্তু খাবার ব্যবস্থা কই?’

আরমান ভ্রু কুঁচকে জিহামকে দেখল। বলল, ‘তোমাকে তো এই গ্রামে আগে কখনো দেখি নাই।’

‘বিয়ে উপলক্ষে পুরো গ্রামকেই তো দাওয়াত দিছেন বইলা মনে হচ্ছে।’ আন্দাজে ঢিল ছুড়ল জিহাম।

আরমান কিছুটা দ্বিধান্বিত হয়ে বলল, ‘তা বলতে পারো। হাজার হলেও তো চেয়্যারম্যানের পোলা। গ্রামে একটা মান-সম্মানের ব্যাপার আছে। কিন্তু তুমি…’

জিহাম এক গাল হেসে বলল, ‘আমি তো এই গ্রামে থাকি না। বন্ধুর শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসছি। আর তাদের সাথেই এই বিয়ে বাড়িতে আসছি।’

হেসে উঠলেন আরমান। বললেন, ‘তাই বলো। তা তোমার বন্ধু কে?’

জিহাম কথা ঘুরিয়ে বলল, ‘চেয়্যারম্যানের কোন ছেলের বিয়ে হচ্ছে?’

‘কোন ছেলের আবার। ওনার তো একটাই ছেলে মাহিদ। মাহিদ সাহেবেরই তো বিয়ে হচ্ছে।’

মাহিদ নামটা শুনেই ইহান সচকিত হলো। বউয়ের বেশে থাকা মেয়েটির দিকে তাকাল। ইশারায় জিহামকে বউয়ের পরিচয় জিজ্ঞেস করতে বলে। জিহাম মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়। আরমানকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ওনার না কি আগে বিয়ে হয়েছে। তাহলে কি দ্বিতীয় বিয়ে করছে?’

‘আরে ধুরঃ কি যে বলো। আগের বউয়ের সাথে নতুন করে বিয়ে হচ্ছে।’

‘নতুন করে বিয়ে কেন?’

‘আসলে তখন ঠিকঠাক ভাবে হয়নাই তো তাই। আর ঐ মেয়ে তো আমার ভাগ্নি আনহা।’

ছোট একটা হাফ ছাড়ে জিহাম। ‘ও আচ্ছা’ শব্দটা উচ্চারণ করে। তখনি আরমানের ডাক পড়ে। তিনি আসছি বলে বিদায় নেন। ওনি চলে যেতেই ইহান সেখানে আসে। জিহাম বলে, ‘শুনলি তো। আর কি বলব? মেয়েটা আনহাই।’

ইহান কোনো কথা না বলে শান্ত চোখে আনহার দিকে তাকায়। কিছুক্ষণের মাঝেই মাহিদের সাথে ওর বিয়ে। জিহাম ঘাবড়ে যাওয়া কণ্ঠে বলে, ‘এখন কি করবি ইহান? বিয়ে নতুন করে হচ্ছে মানে আনহার বিয়ে হয়নি। কিন্তু এবার তো?’

দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল ইহান। বলল, ‘এখন কি কিছু করার আছে?’

‘মানে?’

‘মানে বলতে চাইছি মুভিতে যেমন হয় লোডশেডিং করে বিয়ে থেকে কন্যা নিয়ে ভেগে যাওয়ার আইডিয়ার মতো কোনো আইডিয়া হবে।’

জিহাম আশ-পাশ দেখল। বলল, ‘আমার মনে হয় না। চারদিকে দেখ যে পরিমান প্রদীপ আর মোমবাতি আছে তাতে তো। গ্রামে কারেন্ট গেলে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিয়ে পড়ানোর রীতি আছে। তাছাড়া আরও বড় একটা সমস্যা।

ইহান দাঁত-মুখ খিঁচে বলল, ‘সালা ঝাইরা কাশ। সব তো কইলি। যেইটা বাকি আছে সেইটা নাহয় উগড়াই দে।’

‘তেমন কিছু না দোস্ত। বিয়ের আসরের দিকে তাকা। সব মাইয়া গুলারেই বউ লাগতাসে। এখন লাইট নিভিয়ে যদি আনহার বদলে অন্য কেউ আইসা পড়ে তাহলে কী হবে?’

‘ওরে সালা এমনি টেনশন কম। তুই আরও দিতাসোস।’

‘ধুরঃ বাল আগে বল আনহারে নিয়া যাবি কেমনে?’

ইহান দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ল। বলল, ‘তুই শুধু জিপ নিয়া রেডি থাক। কেমনে বউ নিয়া ভাগী…’

.
.
.
.
.
.
[বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন ]
কারও কোনো আইডিয়া আছে ইহান কেমনে আনহাকে নিয়ে পালাবে😜😜😜

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here