#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ-১৬,পর্ব ১৭
তাসনিম তামান্না
১৬
জারা ওপরে এসে টিস্যু দিয়ে শাড়ী মুছ ছিল তখন দরজা আটকানোর শব্দে পিছনে ফিরে তাকালো। চমকে উঠল শান এখানে? জারার ঠোঁট তিরতির করে কাঁপছে কাঁপা কন্ঠে বলল
-‘ আ আপনি? এ খানে? দরজা আটকালেন কেনো? ‘
-‘ তোর সাথে হিসাব নিকাশ মিলাতে আসছি ‘
-‘ মানে? কিসের হিসাব নিকাশ? ‘
-‘ তুই বুঝিস না আমাকে? একটুও বুঝিস না! কখনো কি বুঝবি না? ‘
শানের কথা শুনে জারা হতভম্ব হয়ে গেলো। শানের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলো শানের চোখের ভাষা কিছু বলছে কথার খেলা চলছে কিন্তু জারা সেটা বুঝতে ব্যর্থ হলো। শান বিয়ের পর বা বিয়ের কথা উঠার পর থেকে কখনোই জারার সাথে ভালো ভাবে কথা বলে নি সবসময় ধমকা ধমকি করে কথা বলেছে। বিয়ে আগের শান আর বিয়ে পরের শান দু’টোই অদ্ভুত ভাবে আলাদা চিনতে খুব কষ্ট হয় জারা মাঝে মাঝে তো মনে হয় তার জন্যই শানের এতো পরিবর্তন তারই সব দোষ তার জন্যই এতো কিছু। শান হয়ত কখনো গায়ে হাত তোলে নি। কিন্তু তার কথা মন মস্তিষ্ক এমন ভাবে আ-ঘা-ত করে যাতে ম-রে যেতে ইচ্ছে হয় জারার।
নিস্তব্ধ দুই মানব-মানবী দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ তাদের কথা বলছে। কিন্তু চোখের ভাষা বুঝতে তারা ব্যর্থ। কেউ তো কাউকে কখনো নিজের মনকে বুঝতে দেয় না। দূরে দূরে থাকে।
জারা নিজের মনে বলল
-‘ আচ্ছা ভালোবাসলে না-কি তার চোখের ভাষা বোঝা যায় কই আমি ও তো শান ভাইয়াকে ভালোবাসি তাহলে তার চোখের ভাষা কেনো বুঝতে পারছি না? তাহলে কি আমি ওনাকে ভালোবসি না?’
জারা অস্থির হয়ে উঠলো। শানের চোখ থেকে চোখ সরিয়ে এলোমেলো দৃষ্টি দিলো গলা শুকিয়ে আসছে বার বার। জারা আবার চোখ তুলে তাকালো শানের দিকে শানের মুখে কেমন অদ্ভুত হাসি জারা ভ্রু কুচকে বলল
-‘ হাসছেন কেনো? এখানে কি মিরাক্কেল হচ্ছে? ‘
-‘ তার থেকে বড় কিছু। বাই দ্যা ওয়ে শাড়ি পড়ছিস কেনো? তাও আবার সাদা বাহ তোর বর ম-রে গেছে? ‘
ম-রা-র কথা শুনে জারা রেগে বলল
-‘ কি সব যাতা বলছেন একদম উল্টো পাল্টা কথা বলবেন না ফাউল লোক যান তো এখান থেকে ‘
শান এক ভ্রু উঁচু করে বলল
-‘ আমার বাড়ি, আমি যেখানে খুশি থাকবো তুই বলার কে?’
জারা মুচকি হেসে বলল
-‘ ফাস্ট টফল এটা আপনার বাবার বাড়ি আপনার নয় আপনি তার ছেলে ফিউচারে মালিক হবেন সেকেন্ড হলো হ্যাঁ আমি জানি আমি এ বাড়ির কেউ নয় একজন আশ্রিতা বা আত্মীয় মাত্র কিন্তু যতদিন এখানে আছি এই রুমটা আমার জন্য বরাদ্দ আমি চলে গেলে এই রুমে যা ইচ্ছে করেন নো প্রবলেম আর একটা মেয়ের রুমে আসার সময় অবশ্যই আপনার নক করে আসা উচিত ছিলো এতটুকু সেন্স আপনার নাই? ‘
শান অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো জারার মুখ পানে জারা স্বাভাবিক ভাবে কত অবলীলায় কথা গুলো বলে দিলো কিন্তু ওপর ব্যক্তিটার কোথাও আঘাত করলো। অদৃশ্য র-ক্ত ক্ষরন হলো। শানের মুখ থেকে অস্ফুটস্বরে বেরিয়ে এলো ‘আশ্রিতা?’
জারা তাচ্ছিল্য হেসে বলল
-‘ হ্যাঁ আশ্রিতা ছাড়া কি? আপনি কি আমাকে বউ হিসেবে মানেন না মানবে যে আমি নিজেকে এ বাড়ির বউ হিসেবে দাবি বা অধিকার খাটাবো? আপনি তো বিয়েটাই মানেন না আর সেখানে বউ ‘
শান কিছুক্ষণ চুপ থেকে শক্ত গলায় বলল
-‘ এই শাড়ি পড়ে যেনো বাইরে না দেখি। যদি দেখি না তাইলে আজকে আমার হাতে খু-ন টু-ন হয়ে যাবি ‘
জারা ভ্রু কুচকে বলল
-‘ আমি যা-ই পড়ি যা-ই করি আপনার সমস্যা কোথায়? আপনি আমার ওপর অধিকার খাটাচ্ছেন না-কি হুকুম চালাছেন? ‘
শান বাকা হেসে বলল
-‘ আদেশ করছি।
-‘ যদি না শুনি? ‘
-‘ তার ফল তোকে পদে পদে ভোগ করতে হবে মাইন্ড ইট ‘
শান চলে গেলো। জারা তাকিয়ে রইলো শানের দিকে কি হয় মাঝে মাঝে এই লোকের এমন ভাবে অধিকার খাটাই মনে হয় তিনি সব মেনে নিয়েছেন আমাকে ভালোবাসেন আদেও কি তাই? ‘
জারা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে আগে শাড়ি চেজ্ঞ করার কথা ভাবলেও বর্তমানে সিচুয়েশনে মনে মনে ভেবে নিলো এই শাড়ি পড়েই পার্টিতে যাবে। করলোও তাই শান রাগি চোখে তাকিয়ে রইলো জারা শানকে পাত্তায় দিলো না। পার্টি শেষ করতে রাত হলো সকলের বাসা কাছাকাছি হওয়ায় বাসায় চলে গেলো থেকে গেলো কয়েকজন আত্মীয় স্বজনরা। ইশার বিয়ের ডেট ফিক্সড হলো ১৫ দিন পর।
জারা খেয়ে ওপরে রুমে চলে আসলো। এসেই থমকে গেলো শান জারার বেডে শুয়ে ফোন টিপছে জারা স্ট্যাচু হয়ে গেলো। স্তম্ভিত ফিরে পেতেই বলল
-‘ আপনি আবার এখানে কি করছেন? ‘
-‘ ভাবছিলাম আজ রাতটা এখানেই ঘুমাবো ‘
জারা চমকে বলল।।
-‘ মানে?’
-‘ যা শুনছিস সেটাই ‘
-‘ আশ্চর্য তাহলে আমি কোথায় ঘুমাবো?
-‘ যেখানে খুশি থাক। মন চাইলে আমার পাশেও ঘুমাতে পারিস আমি মাইন্ড করবো না’
-‘ অসহ্য ফাজিল লোক ফাইজলামি পাইছেন না-কি আমি কিন্তু চিৎকার দিয়ে সকলকে ডাক।
-‘ ডাক স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকবে তাতে কে কি বলবে আমিও দেখি ‘
জারা চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল
-‘ আপনার মাথায় কি চলছে সত্যি করে বলেন তো আমার আপনাকে সুবিধার লাগছে না ‘
শান ঝংকার তুলে হেসে উঠে বলল
-‘ বাহ তোর মাথায় তো দেখছি বুদ্ধি হয়েছে তাহলে ‘
জারা দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলল
-‘ আপনি যাবেন? ‘
শান অকপটে বলল
-‘ না! ‘
জারা ফোঁস ফোঁস করতে করতে জামাকাপড় নিয়ে ওয়াসরুমে থেকে চেজ্ঞ করে আসলো। জারার কাজে তার রাগ প্রকাশ পাচ্ছে। সব কাজ জোরে জোরে শব্দ করে করলো। থাকলো না এ রুমে ইশা রুমে গেলো। সব শুনে ইশা হাসি থামছেই না। জারা তাতে আরো বিরক্ত হলো বালিশ নিয়ে কান চেপে শুয়ে রইলো।
—-
সকালে সকলে বসে চা খাচ্ছে জারা ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলো। নিজের রুমে আর যায় নি। সারারাত ঠিক মতো ঘুমাতে পারি নি। সকালের নাস্তা খেয়ে ওপরে আসলো এখন শান নেই খাবার খেয়ে কোথায় যানি গিয়েছে। জারা রুমে এসে স্তব্ধ হয়ে গেলো কালকের শাড়িটা কাঁ/চি দিয়ে কেউ কু’চিকু’চি করে কেটেছে। কে কাজটা করেছে যারার বুঝতে অসুবিধা হলো না। জারা রেগে গিয়ে বিচার দিতে গেলো শান্তির কাছে।
চলবে ইনশাআল্লাহ
#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [১৭ পর্ব]
তাসনিম তামান্না
আত্মীয় স্বজনরা এখনো যায় নি। জারা শান্তিকে সাইডে নিয়ে গিয়ে বলল
-‘ মনি আমি কিন্তু এ বাসা থেকে চলে যাবো ‘
শান্তি অবাক হয়ে বলল
-‘ ওমা কেনো কি হইছে? কেউ কি কিছু বলছে তোকে? বল কে কি বলছে? তাকে এখন দেখে নিচ্ছি ‘
-‘ ওফ্ফ মনি আমাকে কে কি বলবে করছে তো তোমার গুনধর ছেলে আমাকে জ্বালিয়ে মারছে ‘
শান্তি বেগম চমকে উঠে বলল
-‘ ও কি করছে আবার? ‘
জারা কাঁদো কাঁদো মুখে বলল
-‘ কি করে নি সেটা বলো? কাল রাতে আমার রুমে ছিল আমি ইশার রুমে ছিলাম ইনফেক্ট কাল অনুষ্ঠানে যে শাড়িটা পরছিলাম সেটা কা-চি দিয়ে কেটে রেখে কোথায় চলে গেলো। আমার রুমটা এলোমেলো করে রাখছে। আমার আর ভালো লাগছে না মনি আমি চলে যাবো কিন্তু বলে দিলাম’
শান্তি বেগম অবাক হয়ে গেলো মনে মনে খুশি হলেও মুখে বলল
-‘ মানে? ও এগুলো করছে? ‘
-‘ তা আর বলতে মনি তোমার ছেলে আমাকে খুব জ্বালাছে আমি কিন্তু চলে যাবো ‘
-‘ এমন করিস না মা আমার আচ্ছা আমি ওকে বকে দিবো খুশি ‘
-‘ না আর বলে দিবে আমার পিছনে যেনো না লাগে বলে দিলাম ‘
জারা নিজে নিজে বকবক করতে করতে চলে গেলো। শান্তি বেগম হাসলেন হেসে বললেন ‘পাগল দুইটা ‘
জারা রুমে গিয়ে রুম পরিষ্কার করলো কাঁ-চি দিয়ে কাটা শাড়িটা একবার হাত বুলালো এই শাড়ি প্রিয় ছিল সেটাই নষ্ট হয়ে গেলো।
আসলে প্রিয়/ পছন্দের মানুষ বা বস্তু কখনো থাকে না। সেগুলোই সবার আগে নষ্ট হয়ে যায়।
জারা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে গুছিয়ে নিলো সবটা।
সকালে নাস্তা করে অনেক আত্মীয় স্বজনরা চলে গেছে। রয়ে গেছে মামাবাড়ির সবাই ১৫ দিন পর বিয়ে এখন থেকে সবাই সব প্লান শুরু করে দিসে। কে কি পড়বে, কে কিভাবে সাজবে, কে কিভাবে নাচবে আরও কত কি! ইশা মন খারাপ করে রুমে বসে রইলো জারা গেলো ইশাকে দেখতে শান্তি রান্নাঘরের দিকটা দেখছে এতোজনের খাবার ব্যবস্থা করতে হবে। জারা ইশার রুমে গিয়ে দেখলো ইশা জানালা ধরে মেঘলা আকাশ পানে উদাসীন চোখে তাকিয়ে আছে। জারা অবাক হলো ইশার এমন মন মরা অবস্থা দেখে। অবাক হবারই কথা ইশা হাসি খুশি প্রাণ উচ্ছল মেয়ে। তার মন খারাপ কারোরই সহ্য হবে না। জারা ইশাকে ডাকলো
-‘ ইশা!….. তোমার কি মন খারাপ? ‘
ইশা চমকে জারাকে দেখে কৃত্রিম হাসি দিয়ে বিছানায় বসে জারা কেউ বসিয়ে বলল
-‘ আপু তুমি! আরে না কি যে বলো আমার আবার মন খারাপ ‘
-‘ আমি জানি তোমার মন খারাপ বিয়েতে আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাবে সে জন্য তাই না? ‘
ইশা ছলছল চোখে তাকালো জারার দিকে জারা দু-হাত বারিয়ে দিলো ইশা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না হাওমাও করে কেঁদে উঠলো। মন খারাপের সময় যখন কেউ আদুরে কন্ঠে কথা বলে ওপর ব্যক্তিটা আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে দেয়। জারা ইশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো কিছু বলল না ইশা কান্না থেমে গেলে জারা বলল
-‘ এভাবে কাঁদলে হয় না-কি? তোমার বিয়ে হচ্ছে তোমার ভালোবাসার মানুষের সাথে তুমি নাচতে নাচতে গাইতে গাইতে বিয়ে করবে তা না তুমি কাঁদছ? আর তুমি মন খারাপ কেনো করছ বলতো তুমি যখন খুশি তখন এবাড়িতে আসবে কোনো বাঁধা নাই। ‘
-‘ কিন্তু তোমাদের খুশিতে নাচ দেখে মনে হচ্ছে আমাকে বিদায় দিতে পারলে তোমরা খুশি ‘
জারা অবাক হয়ে আকাশ থেকে পড়ল
-‘ মানে? আমরা কখন নাচলাম? এই ইশা বল তো কি হয়েছে এতোক্ষণ ভালোভাবে কথা বলছিলাম সহ্য হয়নি তোর? ‘
-‘ হ্যাঁ হ্যাঁ জানি জানি আমি তোমাদের কেউ না আমাকে বিদায় করতে পারলেই বাঁচো? ‘।
-‘ তুই এসব কি বলছিস? কি হয়েছে বলতো?’
-‘ কি আর হবে? ভাইয়া তো বলল আমার বিয়ে হলে পুরো বাড়ি ওর আমি না-কি ওকে জ্বালায় আমি না থাকলে ওর শান্তি আর দেখো সকলে নিচে বিয়েতে নাচ, গান, সাজ নিয়ে কথা বলছে সবাই আমার দিকে কারোর খেয়াল নেই ‘
জারার হাসি পেলো কিন্তু হাসলো না বলল
-‘ দূর পাগলি চল নিচে চল এনজয় কর এসব কারনে কেউ মন খারাপ করে আর তোর ভাই আস্ত শ-য়-তা-ন কি করেছে জানিস? ‘
ইশা সোজা হয়ে বসে চোখ মুখ মুছে বলল
-‘ আমার সাধের শাড়িটা কাঁ-চি দিয়ে কেটে নষ্ট করে দিসে। যেটা তোর এনগেজমেন্টে পরছিলাম সামনে পেলে কি যে করবো আমি নিজেও জানি না। ‘
ইশা ঝংকার তুলে হেসে উঠলো। জারাও হাসলো। জারা ইশাকে নিয়ে নিচে চলে গেলো।
সারাদিন আর শানের দেখা মিললো না। সন্ধ্যায় সবাই নিচে ড্রাইংরুমে বসে নাস্তা আর আড্ডা দিচ্ছে। জারাও আড্ডায় যোগ দেওয়ার জন্য রুম থেকে বের হতেই শানকে ফোন টিপতে টিপতে এদিকেই আসছে। জারার মাথার আগুন ধপ করে জ্বলে উঠলো। হাত মুষ্টি বদ্ধ করে শানের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল
-‘ আপনার সাহস তো কম না আমার রুমে থেকে আমার রুম নোংরা করে আমার ফেভারেট শাড়ি কেটে শেষ করে দিলেন কেমন লোক আপনি? ‘
শানের চলন্ত পা থেমে গেলো ফোন থেকে চোখ তুলে জারাকে রেগে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুখে বাঁকা হেসে বলল
-‘ আমি বারণ করছিলাম শুনিস নি তার ফল এটা ‘
-‘ তাই বলে শাড়িটা নষ্ট করে দিবেন? এমন করছেন কেনো আপনি? ‘
-‘ আমার কথা না শুনলে ওমন হবে ‘
-‘ কে আপনি? কোন দেশের প্রেসিডেন্ট যে আপনার কথা শুনতে হবে ‘
-‘ আমি তোর প্রেসিডেন্ট! ‘
-‘ মানে?’
-‘ ওতো মানে জানতে হবে না। তুই না-কি আমাকে সামনে পেলে কিস করবি বলেছিস ইশাকে ‘
জারা অবাক হয়ে লজ্জায় কান গরম হয়ে মুখে রক্তিম আভা ফুটে উঠলো। মনে মনে ইশাকে ইচ্ছা মতো ধুয়ে দিলো। জারার মনে হচ্ছে এখনি মাটিটা ফাঁক হোক আর ও ঢুকে পরুক।
শান জারার দিকে ঝুঁকে গেলো জারা পিছিয়ে গেলো। শান বলল
-‘ লজ্জা পাচ্ছিস না-কি? ‘
জারা রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
-‘ আপনার সাথে ফাউল প্যাচাল পাড়ার টাইম নাই ‘
কথাটা বলে জারা আর একদণ্ড দাঁড়ালো না এক প্রকার ছুটে পালিয়ে গেলো। শান ঠোঁট চেপে হাসালো।
—–
সকালে সূর্যের রক্তিম আলো চারিদিকে আলোকিত বেশ বেলাও হয়ে গেছে সকলে বসে চা খাচ্ছে আর গল্প করছে। জারা নিজেও আছে। রান্না ঘরে শান্তি আর মামিদের কাজে হেল্প করতে গেছিল সেই লেভেলের ঝাড়ি খেয়ে এখন মুখ গোমড়া করে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে। শান মুচকি মুচকি হেসে চলেছে।
হঠাৎ ঝংকার তুলে ফোন বেজে উঠলো জারার। ফোন কানে নিয়ে এমন কথা শুনে জারার হাতে পায়ে কম্পন শুরু হয়ে গেলো।
চলবে ইনশাআল্লাহ