তুই_আমারই_থাকবি💜 #Esrat_Jahan💜 #Part_6

0
838

#তুই_আমারই_থাকবি💜
#Esrat_Jahan💜
#Part_6
!
‘সকালবেলা ‘
!
-ঘুম ভাঙ্গলো হাসাহাসি,চেঁচামেচিতে।বুঝলাম না কারা হাসছে,আর বাসায় তো আমি আর ওই গুন্ডা, কাজের লোক ছাড়া কেউ নেই!তাহলে?ধুর…..এত সকালে এই ভোর ছ’টা বাজে কেউ এভাবে হাসাহাসি করে?বিয়ে বাড়ি নাকি?
!
-তাকিয়ে দেখি উনি ওনার জান বার্বিডলটাকে কোলে নিয়ে ঘুমুচ্ছেন।বার্বিটার নাকি একটা নাম আছে…..নাম ক্যারল!যত্তসব ন্যাকামি! হাসাহাসির শব্দে আমার ভাবনার ছেদ ঘটলো! আমি উনাকে ডাক দিলাম,ব্যাটা উঠলো তো না ই………আমাকে এক ধমক দিলো।আমিও নাছোড়বান্দা!!!
!
-রেগে গ্লাসের পানি দিলাম ছিটিয়ে, ব্যাটা উঠলো লাফিয়ে!
!
-রেগে বললো,ড্যাম ইট।খুশবু? তুমি কিন্তু বেশ বাড়াবাড়ি করছো!আমার ফেইসে পানি দিলে কেন?হুয়াই?
!
-আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,তাহলে কী করতাম? এতক্ষণ ধরে ডাকছি, উঠছেন না কেন?
!
-আমার ইচ্ছে,উঠবো না।কী করবে তুমি?ফাউল মেয়ে একটা,যদি এতটুকু শান্তি দেয়….যত আজাইরা কাজ……এতটুকু বলেই থেমে গেলেন।ভ্রু কুঁচকে আমায় জিজ্ঞেস করলেন,হাসার শব্দ আসছে?কে এসেছে নিচে?
!
-কে না,বলুন কারা?অনেকজনের হাসির শব্দ আসছে,শুনছেন না?
!
-উনি আমার কথায় পাত্তা না দিয়ে দরজা খুলে নিচে চলে গেলেন।আমিও পিছু পিছু গেলাম।গিয়ে দেখি উনাদের ডুপ্লেক্স বাড়ির নিচতলার সোফায় আমার আম্মু-আব্বু,ভাইয়া,আপু,আনিকা,আমাদের বাসার কাজের মেয়ে মারিয়া, আর সাথে বসে আছে মামা, মামানি আর আবরার ভাইয়ার দাদীমা আর আরহাম ভাইয়া। সবাই এতই হাসাহাসি করছে যেন কোনো আনন্দ-উৎসবে যোগ দিয়েছে আর সেখানে কে কার চেয়ে বেশী হাসতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছে।যত্তসব…..মামা,আর আরহাম ভাইয়া কোথা থেকে আসলো??ওনারা তো অফিসের কাজে বাইরে ছিলেন!
!
-কিন্ত আমি?আমি এখন লুকাবো কই?ইয়া খোদা আমায় আকাশে তুলে নাও।সবাই জানে আমি নাকি আনিকার বাসায়,কিন্ত আনিকা নিজেই যখন এখানে তখন আমি কী করবো?
!
-এসব দেখে আবরার গুন্ডা আমার দিকে তাকিয়ে বলে বাহ!সকাল সকাল শ্বশুরবাড়ির মানুষ এসে হাজির!গ্রেট! এবার দেখো পুচকি মেয়ে তোমার কী হাল করি….
!
-কী করবেন আ,,আ,,,পনি?(ভয়ে ভয়ে)
!
-দেখতে থাকো! (পিত্তি জ্বালানো হাসি দিয়ে)
!
-গুন্ডা আমায় জোর করে নিচে সবার সামনে নিয়ে গেলেন।বললেন,হাই ফুপিমণি,হ্যালো ফুপ্পা! হাউ আর ইউ?
!
-আব্বু আর আম্মু হাসতে হাসতে বললেন,ভালো আছি,জামাই বাবাজী!!
!
-ওদের এই কথা শুনে আমার চোখ গোল গোল হয়ে গেলো! মানে কী?ওরা সব জানে?জানলেও কেউ আমায় কিছু বলছে না কেন?আর সবাই এত্ত খুশি কেন? আম্মু আবার উনাকে পাশে বসিয়ে জামাই আদর করছে,আর ব্যাটাও আমার দিকে ফিরে হাসছে।
!
-আব্বু বলল,তো মামণি,তোমার তো বিয়ে হয়ে গেল!কেমন লাগছে?
!
-আল্লাহু আমার মাথায় বাজ ফেলো। কি শুনছি?আব্বু আমায় হাসিমুখে এসব বলছে?আমায় বকাঝকা না করেই!অবশ্য ছোট বলে আব্বুই আমায় সবার চেয়ে বেশী ভালোবাসে, আব্বুর সাথেই বেশী ফ্রি আমি।তাও বিয়ের মতো সিরিয়াস বিষয়ে আব্বু আমায় কিছু বললো না?ভাববার বিষয়…..
!
-আপু বলল,বড় বোনটাকে রেখে তুই বিয়ে করে ফেললি?পারিস ও তুই!
!
-আনিকা বলল,সুগন্ধ ছড়াতে ছড়াতে একেবারে আমার ক্রাশটাকে বিয়ে করে ফেললি? আমি কী তোর কেউই না,একবার বললিও না,ঠাস করে বিয়ে করে ফেললি?এই অবলা বান্ধবীটার দিকটা দেখলি না?তুই বিয়ে করে বর নিয়া ঘুরবি আর আমি এই দুঃখে ডিপ্রেশনে চলে যাবো! (আমার কানে কানে ফিসফিস করে বললো)
!
-স্টপ আনিকা! আমি কিছুই জানতাম না।হঠাৎ করেই….
!
-ও… এখন তো বলবিই কিছু জানিস না।থাক আর এক্সপ্লেইন করতে হবে না।দেখি ধর…..চশমাটা, তোর দুঃখে চোখে পানি চলে আসছে রে…… চশমাটা ধর চোখের জল মুছে নিই।সারাজীবন একলাই থাকুম,একটা বয়ফ্রেন্ড জুটাতে পারলাম না,,,,(কান্নার ভাব ধরে)
!
-আহ আস্তে,,চুপ কর।
!
-আরহাম ভাইয়া বললেন,তো খুশবু! আমার ছোট ভাইয়ের বউ হয়ে গেলা।আমি তাহলে কী ডাকবো? দুঃখ দুঃখ….এখনো একটা গার্লফ্রেন্ড নাই!
!
-আমিও বলে উঠলাম,কী বলেন,এত সুন্দর চকলেট বয়ের চেহারা নিয়া বলছেন গার্লফ্রেন্ড নাই?বিলিভ হয় না!(হাসতে হাসতে)
!
-এবার মামু হু হা করে হেসে উঠলেন।বললেন,খুশবু মামণি ঠিক কথা বলেছ,আমার বড় ছেলে দেখতে এত সুন্দর তাও গার্লফ্রেন্ড নাই।
!
-আমি বললাম,আচ্ছা মামু, মামানি তো বলল,তোমরা দুইজন বিজনেসের কাজে বাইরে গিয়েছ,তো?
!
-তো যখন শুনেছি, তুমি আমার আবরারের ওয়াইফ তক্ষুনি টিকেট কেটে চলে এসেছি।সারপ্রাইজ! আর এই সারপ্রাইজ তোমার মামানি দিয়েছে।
!
-মামানিকে বলল,কাল তোদের বাসায় গিয়েছিলাম।সবকিছু ঠিকঠাক করে আজ ভোরবেলাইই সবাইকে নিয়ে চলে এসেছি,তোকে দেখার জন্য সবাই চলে এসেছে।পরে সব ডিটেইলস তোকে বলবো মা!
!
-আমি ওদের কথা শুনে অবাক হলাম।লজ্জায় নীল হচ্ছি।সবাই যেন খুব খুশি।সবাই নিজেদের মধ্যে কথা বলছে,আর গুন্ডা আবরার ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছেন।তা দেখে আমার পাশে দাঁড়ানো আনিকা কানে কানে বলল,তোর জামাইটা কী সুন্দর রে!ফার্স্টে ভার্সিটিতে দেইখাই ক্রাশ খাইছিলাম,লাভ এট ফার্স্ট সাইট!আর দু’দিনের মাঝেই ক্রাশ তোকে বিয়ে করে আমার দুলাভাই হয়ে গেল?হায় কপাল……..
!
-আমি হেসে বললাম, আমার আনু বেপি জীবনে প্রথম ছ্যাকা খাইলো!এককাজ কর…তুই ওই সাদাফ ভাইয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যা।উনিও দেখতে সুন্দর, বড়লোক। তোকে গাড়ি করে প্রতিদিন ভার্সিটি দিয়ে যাবে,নিয়ে যাবে। বেচারা কতদিন ধরে তোর পিছে ঘুরছে……
!
-তুই চুপ কর।ফাউল পোলার কথা একদম বলবি না।
(রেগে)
!
-জানি জানি…..
!
-একটু সময় পরে আবরার ভাইয়া মানে আমার বর মশাই বললো,……….’
!
একটু পর আবরার ভাইয়া মানে আমার বর মশাই বললো,আম্মু তুমি ব্রেকফাস্ট রেডি করো।প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে।সকাল আটটা বেজে গেছে এখনো আড্ডা দিচ্ছি, সবার কত খিদে পেয়েছে! তাছাড়া খুশবুও তো খায়নি!(চিন্তিত মুখে)
!
-ওহহ….হ্যাঁ।এক্ষুণি করছি, সানা তুই আয় আমার সাথে রান্নাঘরে।সবাই খালি পেটে বসে আছে!(মামানি বলল)
!
-বাবাহ,দুলাভাই? আপনি তো আমার বান্ধবীর বেশ খেয়াল রাখেন!(আনিকা বললো)
!
-উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললো,হুম। এতো পিচ্চি বউ,আমারই তো খেয়াল রাখতে হবে,আর তাছাড়া ও আমার ফুপির মেয়ে,আমার বোনও তো বটে।তাই সবকিছু মিলিয়ে ওর খেয়াল রাখতেই হবে,তাই না ফুপিমণি?
!
-জামাই পেয়েছি একটা,আমার অগোছালো মেয়েটাকে এবার টাইম মেইনটেইন করা শিখাবে!(আম্মু হাসতে হাসতে বললো)
!
-ঠিক বলেছ ফুপিমণি,সব শিখাবো।(শয়তানি হাসি দিয়ে চলে গেলো)
!
-আমি অভিমান করে মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।আম্মুটা না…..সব গোপন কথা ফাঁস করে দিলো।আমি বুঝি আম্মুর মেয়ে না।ভাইয়া ঠিকই বলে,আমাকে ওরা নদীরর পাড় থেকে তুলে এনেছিল।এমন সময় আনিকা আমায় ধাক্কা দিয়ে বলল,কিরে?
!
-বল।(গাল ফুলিয়ে)
!
-রাগ করেছিস মনে হয় আন্টির কথায়?
!
-করবো না?গুন্ডাটাকে সব বলে দিলো!(গাল ফুলিয়ে)
!
-আচ্ছা,গোল আলুর মতো না ফুলে তোর রুমটা দেখাতে নিয়ে চল।
!
-নিজে নিজে দেখে আয়।আমি যাবো না(গাল ফুলিয়ে)
!
-তুই আসলেই পাগল,আন্টি ঠিকই বলে।আমি হলাম তোর ফ্রেন্ড, আর এই বাসায় কিছু চিনি না,জানি না।ঢ্যাং ঢ্যাং করে তোর বেডরুমে চলে যাবো,আর সেটা তো আবরার ভাইয়ারও রুম।সো….. আমি বেলাজ না তোর মতো!তুই নিয়ে চল….(একগাদা ডায়লগ বলে দিলো)
!
-আমি কিছু বলার আগেই আনিকা আমায় টানতে টানতে রুমে নিয়ে এলো।
!
-ওয়াও,ফ্যান্টাসটিক!এই এইটা রুম না প্রাসাদ রে?কী কপাল,এত্তো বড় বেডরুম?হাউ সুইট।তারপর গুন্ডার ইয়া বড় ফটো দেখে আনিকার অজ্ঞান হওয়ার জোগাড়।
!
– বললো,ও মাই গড,আই কান্ট বিলিভ দিস!কি কিউট লাগছে রে…… সাধে কী মাইয়ারা ক্রাশ খায়?এতো হ্যান্ডসাম ছেলে রেখে……. বুঝলি কপাল, সবই কপাল…..আজ ছ্যাকা খাইয়া আমি ডিপ্রেশনে চইলা যামু! কথায় আছে না ‘পোলা তো নয় রে আগুনের গোলা?এতো গোছালো?(এই ডায়লগটা আমি একটা গল্প থেকে নিয়েছি)!
!
-আনিকার এসব কাণ্ডকারখানা দেখে আমার ভীষণ হাসি পাচ্ছে।আমি হাসতে হাসতে বললাম,হুহ,পোলা তো না একটা হারামজাদা,গুন্ডা।পাল্লায় পড়লে বুঝতি!
!
-যাইহোক, এত সুন্দর জামাই থাকতে আর কী লাগে?
!
-বুঝবা বুঝবা, যখন একটা শয়তান জামাই পাইবা, তখন!
!
-ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজে আমি আর আনিকা চমকে পেছনে তাকালাম।যা দেখলাম তাতে…..
!
-গুন্ডা আবরার টাওয়াল পরে খালি গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।গোসল করেছে নিশ্চয়! দৌড়ে বেরিয়ে আসতে গিয়ে দেখি হ্যাং মেরে তাকিয়ে আছে আনিকা।তাই ওকে টেনে রুম থেকে বের করে দিয়ে আমিও বেরুতে গেলাম।কিন্ত পেছন থেকে ব্যাটা ডাক দিলো। আমিও দাঁড়িয়ে পড়লাম।তাকিয়েই আছি…..
!
-গুন্ডা আবরার বলল,কী?এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
!
-আমি নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম,ইচ্ছে!
!
-হোয়াট?
!
-মানে,ওইদিন তো খুব বড় গলায় বলেছিলেন আপনি আপনার ভার্জিনিটি খুব স্ট্রং!তো এখন এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন,লজ্জা করছে না?
!
-না,আমার ভার্জিনিটি সেটা আমি দেখে নেবো।ইনফেক্ট ভেবেছি,বিয়ে যখন করেই ফেলেছি এত বাচ্চা, কিউট বউটার সাথে রোমান্স করবো না,তা তো হয় না!তো ডিসিশন চেঞ্জ!
!
-চেঞ্জ মানে?
!
-চেঞ্জ মানে চেঞ্জ!
!
-আপনি বললেই হলো?
!
-তুমি বললেই বা আমি শুনবো কেন?সবকিছু আমার ডিসিশনে হবে!
!
-ওহহ….তাই তো ওইদিন আমাকে জোর করে তুলে এনে আমার ফ্যামিলির ক্ষতি করার ভয় দেখিয়ে বিয়ে করে নিয়েছিলেন?
!
-লিসেন খুশবু,আমি সেদিন জানতাম না, তুমি আমার ফুপিমণির ছোট মেয়ে! সো…. তখন সিচুয়েশন অন্যরকম ছিল।আর এখন সব জেনে গিয়েছি আর তাই এখন থেকে আমার ডিসিশনই শেষ কথা!তো তোমার এককথা বারবার বলার ব্যাড হ্যাবিট টা এখন বাদ দাও!
!
-দেবো না।আপনি গিরগিটির মতো কতবার যে রঙ পাল্টাচ্ছেন,আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
!
-তোমার বুঝতে হবেও না।
!
-কেন?
!
-উনি আমার কথায় কখনওই পাত্তা দেন না।এবারেও দিলেন না।
!
-আমাকে অবাক করে দিয়ে বললেন,তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট শেষ করো,আমি সানাকে রুমে দিয়ে যেতে বলেছি।খাওয়া শেষ হলে ভার্সিটি যাবে!
!
-কীহহহ?
!
-ভার্সিটি যাবে।ইনফেক্ট আমি নিয়ে যাবো।বাচ্চা বউটাকে তো একা ছাড়তে পারি না।
!
-সূর্য্যিমামা আজ কোন দিকে উঠেছে?আমি কী স্বপ্ন দেখছি?
!
-না।এখন পকপক বন্ধ করো বলতে বলতে শার্ট -হাফপ্যান্ট পড়ে রেডি হলেন।হাউ সুইট লুক!
!
-তা দেখে আমি বললাম,,আপনি এসব পড়ে ভার্সিটি যাবেন?
!
-হুম।কেন?
!
-তাহলে মেয়েরা আপনার উপর সেই লেভেলের ক্রাশ খাবে!
!
-উনি চোখ গরম করে বললেন,এইসবই করো ভার্সিটি গিয়ে?পড়ালেখার নামে খোজ নাই!ক্রাশ নিয়ে ব্যাস্ত!
তোমার ডানা কেটে রেখে দিবো! (রেগে)
!
-এমন সময় সানা রুমে নাস্তা নিয়ে এলো। নাস্তাগুলো রেখে সানা চলে যেতেই উনি বললেন,পাঁচ মিনিটের মধ্যে সবটুকু ব্রেকফাস্ট শেষ করো,নষ্ট করা চলবে না।আর দুই মিনিটে রেডি হয়ে ভার্সিটি চলো।আমি নিচে যাচ্ছি।তোমার বেস্টফ্রেন্ড আনিকাকেও নিয়ে যেও!বলেই গটগটিয়ে চলে গেলো।
!
-আমিও হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।গুন্ডা আবার রুপ বদল করেছে।ভয়ানক ছেলে…….
!
-ভাবতে ভাবতে খাবারের দিকে চোখ গেলো।এ মা!এতো খাবার কীভাবে খাবো? যাইহোক, গুন্ডা রুমে নেই,জাস্ট অমলেটটা খেয়ে বাকিগুলো ফেলে দিই,,,,জানালা দিয়ে ফেললে কেউ দেখবে না।
!
-যেই ভাবা সেই কাজ!কোনোমতে খেয়ে বাকি খাবারটা আস্তে করে জানালা দিয়ে ফেলে দিলাম।
!
-মনের সুখে রেডি হয়ে নিচে গেলাম।আর…….. ‘
!

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here