#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#অন্তিম_পর্ব
তামান্না নিরু কোমরে হাত রেখে দুইজন নিলার দুই সাইডে দাঁড়িয়ে এটিটিউট ভাব এনে দুইজন একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে তামান্না প্রথমে বলে…..
~ নিরু আমি কি ভাবতেছি জানিস এরা যদি মেয়ে খুঁজে বিয়ে করে তাহলে আমরা ওদের বিয়ে করবো কেমন??(তামান্না সালমান রোয়েনের দিকে তাকিয়ে বলে। এতে ওরা সাথে সাথে বসা থেকে উঠে দাড়াঁয় ভ্রু কুচকে তামান্না নিরুর দিকে তাকায় )
নিলা সেই ব্যবলাকান্তের মতো হয়ে তামান্নার দিকে জিগ্গেস করার ভঙ্গিতে তাকায়। তামান্না নিলার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মারে। নিলা বুঝতে পেরে মুচকি হেসে সেও না জানার ভান করে তামান্নার সাথে তাল মিলিয়ে বলে…..
~ হ্যাঁ তামুনি ভাবি। যদি দাভাইরা বিয়ে না করে তাহলে ঐ যে দুই হ্যান্ডসাম ছেলেদের কে পটিয়ে বিয়ে করে ফেলো।
~ আরে নিলু দিই পটানো লাগবে নাকি?? তারা তো এমনেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শুধু হাত দেওয়া লাগবে।।বাকিটা (রোয়েনের দিকে অাড়চোখে তাকিয়ে বলে) তো এমনেই বিয়ে হয়ে যাবে(মুচকি হেসে)
তামান্না তাসনিম আড়চোখে তাদের দিকে তাকাতে অবাক দুইজনের চোখজোড়া রাগে লালবর্ণ ধারণ করেছে। নিরু রোয়েনের অবস্থা গম্ভীর দেখে সেই গম্ভীরতার মজা নেওয়ার জন্যে বলে…
~ আপ্পি জানো ছেলেটা না আমার হাত ধরেছিলো এমন কি প্রপোজও করছিলো!(মজা নিয়ে হেসে হেসে বলে। তামান্না ভ্রু কুচকে তার দিকে তাকায়। কিন্তু নিরু তামান্নার দিকে না তাকিয়ে আবারো বলে) আরে আপ্পি তুমিও বলো আরেকটা জিজু তোমাকে কিভাবে প্রপোজ করেছিলো!?(দুষ্টুমি হেসে)
তামান্না চোখজোড়া বড় করে নিরুর দিকে তাকিয়ে সালমানের দিকে তাকাতেই দেখে সে চোখ গরম করে তার দিকে চেয়ে আছে। তামান্না এক-দুইবার শুকনো ঢোক গিলে নিজেই চোখ রাঙিয়ে নিরুর দিকে তাকিয়ে কিছু বলবে তার আগেই সালমান কঠোর গলায় বলে….
~ কে কখন কিভাবে করছে নিরু শালিকা জী??
নিরু সালমানের দিকে তাকিয়ে শকড হয় এতো পরিমাণ রেগে যে দুইজনই গেলো। তামান্নাও রাগী লুক নিয়ে নিরুর দিকে তাকায়। সে নিজের চোখ দিয়ে ইশারা করে তামান্না কে বলে ::: মজা করো।
~ আচ্ছা চল ওদেরকে বিয়ে করে ফেলি। এরা তো বিয়ে করবে না(তামান্না দীর্ঘশ্বাস ফেলে উদাস ফেস করে বলে)
সালমান-রোয়েন ~ ঠ্যাং ভেঙে হাতে ধরায় দেবো।
তখন মিস্টার আসহান রুমে এসে বলে :::: আচ্ছা তোমরা এভাবে ঝগড়া করো না। বিয়ে আমিই করাবো আমার মামুনিদের(তামান্না-নিরুর দিকে তাকিয়ে) তোমাদের সাথে(সালমান-রোয়েনের দিকে তাকিয়ে)
সালমান রোয়েন মুচকি হেসে মিস্টার আসহানের গলা জড়িয়ে ধরে। মিস্টার আসহান সালমানের হাত ধরে বলে ::: আমাকে ক্ষমা করে দেয় বাবা। না জেনে বুঝে দেখা জিনিসগুলোকেই বিশ্বাস করে ফেললাম। ভেবে ফেলেছিলাম আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছিলে তুমি। নীলও আমাদেরকে তোমার করা কাজের সব ছবি ভিডিও দেখিয়ে তোমার বিরুদ্ধে করে দিলো। তাই এই সাতবছর তোমার কথা লুকিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু (নিজের চোখ মুছে ) এখন আর কোনো সন্দেহ ঝগড়া নেই। (পাশ থেকে মিসেস নাইমা রুমে এসে বলে)
~এখন জাকজমক ভাবে মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা শুরু করে দেয়(মুচকি হেসে)
নিলা গম্ভীর ফেস করে বলে ::: আমি বিয়ে করবো না। তবে সবার বিয়ে তে এন্জয় করবো(হাসার চেষ্টা করে)
মিসেস নাইমা মুচকি হেসে নিলার পাশে এসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে::: চিন্তা করিস না মা। সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
নিলা মুচকি হেসে বলে :;:: জী ইনশাআল্লাহ তাই আমি এদের বিয়ের পর কানাডা স্টাডি করতে যাবো ভেবেছি।
তামান্না নিরুর মুখখানি উদাস হয়ে যায়। তারা নিলার পাশে বসে বলে ::: সিউর তুই তো কখনো একা থাকিস নি। এবার ওখানে একলা কি করে??(তামান্না উদাস হয়ে বলে)
নিলা হাসার ট্রাই করে বলে ::: কে বলছে? আমি একলা যাবো না তো আমাদের আল্লাহ আছেন। তারপর তোদের মতো দুই বোন(তামান্না-নিরুকে জড়িয়ে ধরে) দাভাইরা আর আব্বু-আম্মুও আছে। তোদের ভালোবাসা নিয়ে যাবো। পরে হয়তো আবারো দেখা করতে আসবো যখন তোদের বেবি সেবি হবে (মুচকি হেসে)
তামান্না-নিরু লজ্জায় একে অপরের দিকে চেয়ে থাকে।
~ বসসসস একটা কথা ছিলো(সোহেল রুমের মধ্যে দৌড়ে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বলে)
সোহেলের এভাবে আচমকা রুমের মধ্যে চিৎকার করে আসায় সবাই হকচকিয়ে উৎজিত হয়ে যায়। সালমান তড়িঘড়ি গ্লাসে পানি ঢেলে সোহেলকে দেয়। সোহেল পানি খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁপিয়ে সালমানের হাত ধরে বলে….
~বস আমাকেও বিয়ে করায় দেন একজনের সাথে(বাচ্চাদের মতো ফেস করে)
তামান্না নিরু নিলার পাশেই সুমনা দাঁড়িয়ে ছিলো। সে সোহেলের এমন প্রস্তাবে কাশতে লাগে। সবাই সোহেল এর কথায় অবাক নয়নে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। সালমান হতভম্ব হয়ে বলে ::: কার সাথে দেবো? বউ খুঁজে পেয়েছিস যে দেবো?(আশ্চর্যজনক ভাবে চেয়ে )
সোহেল নিজের মাথা নাড়িয়ে আঙুল দিয়ে ইশারা করে দেখায় সবাই তার ইশারা দেখে আরো শকড। সে সুমনার দিকে ইশারা করছে। সুমনা লজ্জায় নিজের মুখ হাত দিয়ে ঢেকে ফেলে। তামান্না সুমনার সামনে এসে কোমরে হাত রেখে বলে…..
~কোথার থেকে কি হলো??(দুষ্টুমি হেসে)
সোহেল স্বইচ্ছায় জবাব দেয় :::: পরিচয় থেকে ভালোবাসা।
তখন নিরুও সুযোগ দেখে শিটি বাজিয়ে বলে :;: সামনে হবে ভালোবাসা থেকে বিয়ে।
সবাই মুচকি হেসে একে অপরের সাথে কথা বলতে লাগে। সালমান সবাই কথা বলার মধ্যে ব্যস্ত দেখে সোহেলের কানে ফিসফিসিয়ে বলে…..
~ নীল একটা মেয়েকে কিডনাপ করে রেখেছিলো! তার কি ব্যবস্থা হয়েছে!?(গম্ভীর কণ্ঠে জিগ্গেস করে)
সোহেল শুনে বলে ::: বস টেনশন নেই নীল তাকে রেপ করেনি শুধু আঘাত করেছে মানে সারা রাত তার শরীরে নিযার্তন করেছে।
সালমান::: ওয়াট কিভাবে?
সোহেল ::: ইনজেকশন।
সালমান ::: ওও এখন তাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে তো?(ভ্রু কুচকে )
সোহেল ::: ইয়েস বস। সব ব্যবস্থা দেওয়া হচ্ছে ঐ মেয়েকে।
সালমান শুনে প্রশান্তির নিশ্বাস নেয়।
🌿🌿
প্রায় পনেরো দিন পর নিলা সুস্থ হলো। সাথে সাথে শুরু হলো ঘরের মধ্যে বিয়ের আয়োজন। সকলে মিলে বিয়ের জন্যে মার্কেটিং কেনাকাটি করতে লাগলো। কিন্তু বিয়ের দিন বাকি ছিলো তিনদিন। এনগেইজমেন্ট আর গায়ে হলুদ আজকে করাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। লন্ডন থেকে রোয়েনের বাবা হেকমাত চৌধুরীও চলে আসলেন ছেলের বিয়ের আয়োজন করার জন্যে।
গায়ে হলুদের দিন শুরু হলো সালমান রোয়েনের বিরাট সমস্যা। ঐ দিন থেকে একটা নিয়ম তাদের মানতে হচ্ছিলো। বিয়ের আগে বলে কন্যা বর কথা বলতে পারবে না। এতে না কল দিতে পারতেছে না দেখা করতে পারতেছে।
সালমান কল দিলেই তামান্না ধরার আগেই নিলা ধরে কিছুক্ষণ কথা বলে রেখে দিতো। গায়ে হলুদের দিন সালমান কোনো একভাবে হলরুমে ঢুকে তামান্নার ফোনে মেসেজ দেয়।
তামান্না নিরু সুমনার তখন গায়ের হলুদের অনুষ্ঠানে ছিলো। তাদের হাতে মেহেদি পড়ানো হচ্ছিলো। তামান্নার একহাত খালি ছিলো। বামহাতে এখনো মেহেদি পড়ানো হয়নি।সে ফোন নিয়ে দেখে সালমান তাকে আসতে বললো। সে নিজেই মুচকি হেসে মুচকি ইমোজি সেন্ড করে নো লিখে।
কিছুক্ষণ পর আবারো মেসেজ আসলো। কিন্তুু তামান্না বললো বিয়ের পর বিয়ের পর টাটা।
সালমান মেসেজটা পড়ে লেখে :::: ওকে বাসরে ছাড়বো না দেখিও।
তামান্না মেসেজটা দেখে সেটার মধ্যে হাসির রিয়েক্ট মেরে ফোন রেখে দেয়। মেহেদি পড়ানো শেষে প্রায় দুইঘণ্ঠা পর এনগেইজমেন্ট হলো তিনজন কাপলের।
সালমান-তামান্না,রোয়েন-নিরু আর সোহেল-সুমনা।
🌿🌿
তিনদিন পর…..
বিয়ের সাজে সেজে আছে তিনকন্যা তামান্না তাসনিম আর সুমনা। মিসেস নাইমা নিলুর আম্মু আর নিলুর চোখে পানি চলে আসতে লাগলো। তাদের যেনো সব স্বপ্ন লাগছে। এই যে ছোট ছিলো তারা এখন বড় হলো যে বিদায় দিয়ে দিতে হচ্ছে।
নিচের থেকে স্টেজের মধ্যে কন্যাদের নাম ডাকা হয়। নিলু মিসেস নাইমা মিলে তিনকন্যার হাত ধরে নিচে নিয়ে এলো। তিনজনকেই খুব সুন্দর লাগছে। তামান্না হালকা লালচে কালের পিংক মিক্স করা শাড়ি সাথে হালকা সাজের সাথে গহনার সেট। নিরু লালের সাথে ব্লাকিস কালার শাড়ি লেহেঙ্গা টাইপ আর সুমনা লেহেঙ্গা পড়লো লাল কালারের।
সালমান রোয়েন সোহেল তো তাদের নিজেদের বউদের দেখেই ক্রাশের উপর ক্রাশ খেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বউ রা রেগে যাচ্ছে। কারণ তাদের বরদের উপর ক্রাশ খাচ্ছে বসে থাকা সব মেয়েরা। তারা তিনজনই শেয়ওয়ানি পড়েছে। সালমান তো পিংক কালারের মাঝে লাল মিক্স করা একদম তামান্নার সাথে মিল রেখে। সেইম ভাবে রোয়েন সোহেল ও।
নিলু মিসেস নাইমা কন্যাদেরকে বরদের পাশে গিয়ে বসিয়ে দিলো। একে একে তিনজনের বিয়ে পড়ানো শেষ হলো।
সবাই খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ স্টেজের মধ্যে ফটোগ্রাফি চলতে থাকে।
বিদায়ের সময় হলে মিস্টার আসহান আর মিসেস নাইমা তাদের হাত ধরে গেইটের এখানে নিয়ে আসে।
তিনজনই তাদের বাবা-মাকে জড়িয়ে হাজারো চোখের পানি বের করে দিতে লাগে। নিলুকেও জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ কান্না করতে লাগে। তামান্না নিলুর গলা জড়িয়ে বলে…..
~ নিজেকে কখনো একা ভাববি না ! আমরা কিন্তু আছি। প্রয়োজন অপ্রয়োজন যখনই মন চাইবে ফোন দিবি(মুচকি হেসে কান্না করাতে হিচকি তুলে)
সবাই চলে গেলো। সালমান রোয়েনের বাসা খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে তার বোনেরা। রুমটাও খুব লাল করে গোলাপের সুবাসে ভরিয়ে দিয়েছে।
রোয়েন নিজের রুমে উকি মেরে দেখে কেউ আছে কিনা। কাউকে না পেয়ে সে ভেতরে পা রাখবে ওমনেই কয়েকজন বোনেরা মিলে তাকে আক্রমণ করে। হাত পাতিয়ে বলে :::: বের করো একহাজার টাকা তাড়াতাড়ি।
রোয়েন মুখ ফুলিয়ে বলে :::: বাসরই তো করবো টাকা দিয়ে করতে হবে নাকি।
মেয়েরা শুনে বলে ::: ওকে ভাইয়া আমরা ভেতরে গিয়ে ভাবির সাথে গল্প করি কেমন।
রোয়েন চট করে রেগে মানিব্যাগ থেকে একহাজার টাকার নোট বের করে তাদের হাতে দিয়ে দিলো। মেয়েরা হু হা করে হেসে সেখান থেকে ক্যালটি মারলো।
রোয়েন ভেতরে ঢুকতে নিরু এসে তাকে সালাম জানায়। রোয়েন তাকে উঠিয়ে বলে ::::জায়গা এইদিকে(বুকের মধ্যে ইশারা করে)
নিরু লজ্জায় মুখ লুকিয়ে ফেলে রোয়েনের বুকে। এতে রোয়েন ধীর পায়ে তাকে বেডে বসিয়ে লাইট অফ করে দেয়। সাথে রোয়েন নিরুর ঠোঁট স্পর্শ করে তার দুইহাত চেপে ধরে। দুইজনে পাড়ি দেয় ভালোবাসার জগতে।
সালমান অনেকক্ষণ বাইরে ছিলো মেয়েদের টাকা চাওয়ার টালবাহানা দেখে যাচ্ছিলো। এক এক জনের এক এক ডিমাইন্ড। সে একদীর্ঘ শ্বাস ফেলে তাদেরকে নিজের মানিব্যাগ থেকে বিশহাজার টাকার নোট ধরিয়ে দেয়। সব মেয়েরা খুশিতে লাফিয়ে উঠে সেখান থেকে চলে যায়। যাওয়ার আগে তারা দুষ্টুমির ভাব করে বলে :::: শুভ রাএি দাভাই আর খেয়াল রাখিও সবাই এখন ঘুমাবে।
সালমান চোখ রাঙিয়ে বলে ::: ফাজিল মেয়ে যাহ ভাগ।
সে ভেতরে গিয়ে দেখে বেডে তামান্না নেই। তাই ব্যালকনিতে যেয়ে দেখে তামান্না রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে। সে ধীর পায়ে তার কাছে যায়। তামান্না কারো উপস্থিতি টের পেয়ে মুচকি হাসি দেয়। কারণ সে মানুষটা কে হতে পারে তা তামান্না সেই মানুষটার সুবাসে চিনে গেলো।
সালমান এসে তামান্নার কোমরের হাত দিয়ে পেট স্পর্শ করে। সে এতে কেঁপে উঠে রেলিং শক্ত করে ধরে। সালমান তামান্নার মাথার ক্লিপ খুলতেই উরনাটা ফ্লোরে পড়ে যায়। এতে তার ফর্সা ঘাড় দেখা যেতে লাগে। সালমান তার একহাত তামান্নার কোমরে রেখে আরেক হাত দিয়ে চুল সরিয়ে ঘাড়ে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে বলে…..
~ পুরানো কথা ভেবো না আর। সব অজানা রহস্যের হলো শেষ। আমি পেয়েছি আমার ভালোবাসার মানুষকে তোমাকে পেয়েছি। এর চেয়ে আমার বেশি কিছু চাওয়া নেই। হতে চলবে আমাদের নতুন জগত। হবে কি তুমি আমার প্রিয়তমা(নেশাগ্রস্ত কণ্ঠে তামান্নার ঘাড়ে মুখে গুজে )
তামান্না রেলিং ছেড়ে তার দিকে ফিরে গলা জড়িয়ে ধরে তার ঠোঁটে নিজের ভালোবাসার স্পর্শ দেয়। আর বলে :::: আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি।
সালমান :::: আমি যে আমার প্রিয়তমা কে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি(সাথে সাথে তামান্নাকে কুলে তুলে নিয়ে বেডে শুয়েদিয়ে লাইটস অফ করে)
সালমান তামান্নার ঠোঁটজোড়া নিজের দখলে নিয়ে ভালোবাসার সাগড়ে ডুব দিলো। চন্দ্রবিলাসের পরিপূর্ণ পূণিমায় আজ পরিপূর্ণ হলো দুই একাকার ঘেমে যাওয়া মানুষের আত্মার মিলন।
🌿🌿
পাচঁ বছর পর……
~ পাপ্পা পাপ্পা কোলে নাও মাম্মা মারে। মাম্মা পচাঁ(মুখ ফুলিয়ে সালমানের কোলে উঠে কান্না করে বলে মুসকান)
তামান্না শুনে ::: এই এই বজ্জাত মেয়ে নিজের মায়ের নামে বিচার দিস। নিজে খাবার না খেয়ে এদিক ওদিক দৌড় দিস কেন?(চোখ রাঙিয়ে বলে )
সালমান রেগে যাওয়ার ভান করে তামান্নার দিকে গর্জন দিয়ে বলে ::: এই তোমার সাহস তো কম না আমার মেয়েকে বকা দিছো?চলে যাও এখান থেকে।
তামান্না মন খারাপ করে চলে যায়। মুসকান তার মাম্মার মন খারাপ হলো দেখে তার পাপ্পাকে বলে :::: পাপ্পা পাপ্পা মাম্মা মন খারাপ করছে।
সালমান ঠোঁট উল্টিয়ে বলে ::: এখন কি করে আম্মুজান।
~ জিজু আমাকে মুসকানকে দেন আর আপনি গিয়ে তামান্না আপ্পির রাগ ভাঙ্গান। মুসকান এখন তার ভাই আকাশের সাথে খেলা করবে তাইনা??(নিরু হেসে মুসকানকে কোলে নিয়ে)
মুসকান নিজের মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়। সালমান তাসনিমকে থ্যাংকস বলে রুমে চলে এসে দেখে তামান্না মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। সে গিয়ে নিজের কান ধরে বলে ::: আইম সো সরি বেবি। আসলে নিজের বেবি কে রাগাতে ভালো লাগে তাই!(দুষ্টুমি হেসে)
তামান্না আরো রেগে বালিশ ছুড়ে মারে সালমানের দিকে আর বলে ::: যান তো আমাকে কেউ ভালোবাসে না।
সালমান ধপ করে বেডে এসে তামান্নার কোলে মাথা রাখে। তামান্না রেগে বলে ::: একি??? সরেন তো ভালো লাগে না।
সালমান মুচকি হেসে বলে :::: সরবো না এটা আমার জায়গা। তোমার সরতে ইচ্ছা হলে তুমি সরো।
তামান্না মুখ ফুলিয়ে বলে ::: দিলে এনা সরবো।
সালমান :::দেবো না। (টেডি স্মাইল দিয়ে)
তামান্না রেগে বলে :::: ওকে থাকেন এভাবে।(দুই হাত বুকের উপর গুজে)
নিরু এসে তাদের দরজো নক করতে লাগে। সালমান জট করে উঠে বসে। এ দেখে তামান্না হাসা শুরু করে দেয়।
রোয়েন এখন সালমানের সাথে বিজনেস পার্টনার হয়ে গেলো। কাজের মানুষ হতে শিখে গেলো। তাদের ও তামান্না সালমানের মতো একসন্তান ছেলে আকাশ। আর সালমান তামান্নার এক মেয়ে মুসকান। সোহেল আর সুমনা লন্ডনে চলে গেলো সালমানের বাড়িতে মিসেস এলিনার সাথে থাকতে। কিন্তু গিয়ে জানতে পারে মিসেস এলিনা পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। সবার জন্যে অগ্রীম ভালোবাসা সালমানের সেই বাড়িতে রেখে। সোহেল সুমনার টুইন বেবি হয়েছে দুইজনই ছেলে হোসেন আর ফরহান।
তামান্না রুম থেকে বের হবে তার আগেই ফোনে কল আসে। সে কল উঠিয়ে কানে ধরতে অপর পাশ থেকে বাচ্চাদের চিৎকার চেচামেচি তামান্না বলে :::: নিলু ঠিক আছিস বুনু?
নিলা রেগে বলে ::: ঠিক না থাকলে কল দিতাম নাকি??
তামান্না আহ্লাদী সুরে বলে :::: আহ হা চেতিস কেন? আচ্ছা বল কেমন আছিস?শুভ জিজু কেমন আছে?
নিলু লজ্জামাখা ফেস করে বলে :::: উনিও সাথে আমরা সবাই ভালো আছি।তোরা কেমন আছিস?
তামান্না মুচকি এসে বলে ::::: বাহ! রে লজ্জা। আলহামদুলিল্লাহ আমরা সবাই ভালো আছি। ব্যসস বাসায় কিছু কাজ আছে। ফ্রি হলে কথা বলবো। রাখি দোস্ত টুট টুট টুট।
নিলুও সম্মতি দিয়ে কল রেখে দেয়। নিলু লন্ডনে একা হয়ে গেলেও তার পাশে সহায়তা ভালোবাসার আরেক রুপ সুন্দর অনুভূতি নিয়ে আসে তার বন্ধু শুভ। তাদের বিয়েও হয়েছে। এখন দুই বাচ্চার মা সে।
তামান্না ওদের কথা ভেবে মুচকি হেসে নিচে আসে সবার সাথে খাবার খেতে। সবাই যার যার খাবার শেষে রুমে চলে আসে।তামান্না রুমে আসতেই দেখে পুরো রুম সাজানো রঙিন বেরঙিনভাবে ফুলের সুবাস চারপাশ। বেডের মধ্যে ফুলের মতো করে সাজিয়ে লেখা (S+T)
সালমান এসেই তাকে জড়িয়ে নেয় বুকের সাথে। তামান্না খুশি হয়ে প্লাস লজ্জিত ভাবে বলে থ্যাংকস।
সালমান তার ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বলে :::: হুসসস।
এই জীবন তোমার নামে, মরতে বাচঁতে চাই তোমাকে সাথে নিয়ে। পাড়ি দেবো ভালোবাসার বাহারে তুমি থাকবে আমার সাথে🙈। ডায়রির কোণা বুকের জ্বালা হৃদয়ের ভালোবাসা আমি উজার করে দেবো তোমায়💖। কারণ শুধু একটাই #তোর দিওয়ানা শুধুই আমি।(তামান্নার কপালে ভালোবাসার পরশ একে)
তামান্না সালমানের বুকে মাথা ঠেকিয়ে বলে :::: সত্যিই তো তুমিই তো #My madness love….
সালমান তামান্নাকে কোলে তুলে নিয়ে বেডে শুয়ে পাড়ি দিলো আবারো ভালোবাসার অজানা জগতে। যেখানে থাকবে শুধুই হৃদয় মনমাতানো ভালোবাসা।
…………শেষ…………
[বিঃদ্র:::: যাক আলহামদুলিল্লাহ অনেক কষ্টে একটা গল্পের অন্তিম পর্ব দিয়েছি। কেমন হয়েছে ঠিক জানি না। তবে নিজের চেষ্টায় যতোটুকু করতে পেরেছি আপনাদের জন্যে করেছি। ভুলভ্রান্তির জন্যে ক্ষমা চাইবো। সাথে অসংখ্য ধন্যবাদ গল্পের মধ্যে সাপোর্ট দেওয়ার জন্যে। এখন পরবর্তী তে রানিং গল্প দুইটা দেবো। আজকের এই গল্পটা কেমন লাগলো সবার অনুভূতিটা জানাবেন। হেপ্পি রিডিং ]