তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎 #My madness love😍 #লেখিকা_তামান্না #পার্ট_08

0
567

#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_08

In Saturday London evening time💗




সম্রাট চেয়ারের বসা থেকে এক গর্জন দিয়ে উঠলো। সোহেল তো তার পাশে দাড়িয়ে ঘেমে একাকার সাথে কাপাকাপি করছে যা সে বাইরে প্রকাশ করছে না। সম্রাট রেগে আয়নার মতো ট্রি টেবিলে পান্স মারে। এতে টেবিলটা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সাথে এতো গর্জন হয়ে উঠে। যার কারণ মাফিয়া কিং সম্রাটের অফিসের স্টাফদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার হয়।

সম্রাট রাগে গজগজ করতে করতে বলে ::: এসব কবে কখন হয়ছে?? সব ডিটেলস চাই আমি!!

সোহেল সেখানে কিছু বলতে যাবে তখনই সম্রাট চেচিয়ে বলে ::: আই সেএইড রাইট নাউ।

সোহেল ভয়ে সম্রাটের রুম থেকে বেরিয়ে দুইজন স্টাফকে নিয়ে তাদের সাথে সেই গন্তব্যের দিকে রওনা দে। যেখানে তারা পাচঁজন ছেলে কে বেধে রেখেছিলো।

সম্রাট আয়নার টেবিলে পান্স মারায় তার হাতের ফিনকি কেটে যাই। আর অজ্রস রক্ত মাটিতে পরতে থাকে। তাও সে নিজের রাগকে কনট্রোল করার ট্রাই করছে। তাও তার রাগ কমছে না দেখে।

সে রুম থেকে বের হয়ে একজন স্টাফকে রুমটা ক্লিন করতে বলে রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়িতে উঠে বসে পরে আর নিজের বাসার দিকে রওনা দে।

এদিকে…….

রোয়ন ক্ল্যাবে বসে ড্রিকং করছেআর আশপাশের মেয়েদের দেখছে। আজ তার জন্যে বড় দিন কেননা তার দোস্ত এন্ড সো কলড দুশমন দুইটাই সালমান কালকে বাংলাদেশ যাবে। সে তো মহাখুশি।

সে ড্রিক করে গ্লাসটা রাখতেই এক লোক তার সামনে এসে বলে ::::: Can i join?? ( উৎফুল্ল হয়ে )

রোয়েন খেয়াল করে দেখলো সেই এক মেয়ে শর্ট ড্রেস পরে সুন্দরভাবে সেজে ছে। রোয়েন তার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। মেয়েটা তার চাওয়া দেখে মুচকি হেসে বলে :: তুমি চাইলে আজকের ইভেনিং টাইমটা সুন্দর করতে পারো।

রোয়েন ড্রিকং করার কারণে তার হুশ নেই। সে নিজের মাথা নাড়িয়ে হ্যাসূচক বার্তা প্রকাশ করে। মেয়েটা এরই জন্য অপেক্ষা করছিলো। সে এক রহস্যময় হাসি দিয়ে রোয়েনের কোমর ধরে তার এক হাত মেয়েটা নিজের কাধের উপর রেখে ক্ল্যাবের এক রুমের মধ্যে নিয়ে যায়।
রুমটা আগে থেকেই মেয়েটা বুক করে রেখেছিলো। কেননা সে রোয়েন কে আগে থেকে চেনে। সে ক্ল্যাবে আসলে রুম বুক করে আবার মাঝের মধ্যে বুক করে না যাস্ট মজা করতে ক্ল্যাবে আসে।

মেয়েটা রোয়েন কে বেডের উপর ফেলে তার পাশে এসে শুয়ে পরে। রোয়েনের হুশ না থাকায় সেও মেয়েটিকে নিজের বুকের উপর টেনে কাছে নিয়ে এসে মেয়েটির ড্রেসের পিছের জিপারটা আস্তে আস্তে খুলে ফেলে। মেয়েটাও সুযোগ পেয়ে রোয়েনের শার্টের বোতাম খুলে তা ফ্লোরে ছুড়ে মারে।

রোয়েন নিজের ঠোঁটজোড়া মেয়েটার ঠোঁটের সাথে মিলিয়ে এক করে ফেলে একে অপরের সাথে মিশে যেতে থাকে। এতে দুইজনই মেতে উঠে নিজেদের উলঙ্গ কাজে।

সম্রাট তার প্রিয়সীর বিশাল ছবির সামনে দাড়িয়ে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে চেয়ে আসে। যা তার মনের মধ্যে তোলপাড় করে দিসছে। সে যে তার প্রিয়সীর জন্য তিলে তিলে মরে যাচ্ছে। কেউ ই তো নেই তাকে দেখার ফিল করার শুধু মাএ তার প্রিয়সী ছাড়া। তার অশ্রু নিগর্ত হতে চেয়েও হলো না। কারণ তার চোখজোড়া থেকে আগে অজ্রস অশ্রু ঝড়েছিলো। এখন

যে কোনো অশ্রুর ছিটেফোঁটা ও তার চোখে নেই। সে তা বুঝতে পারছে।

সম্রাট নেশাগ্রস্ত দৃষ্টিতে তার প্রিয়সীর ছবির দিকে এগিয়ে এসে তার ঠোটে নিজের রক্তাক্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করে। আর বলে ::: 💖জানো জান তুমি দূরে তাও রয়েছো এই অন্তরে। তোমার সেই মায়াবী রুপে আমি বার বার প্রেমে জড়িয়ে যায়,,, পারি না নিজেকে আটকাতে। কেনো এসেছো,,, কেনো জড়িয়ে ছো,,, পারিনা ছাড়তে,,, ছাড়বোও না কবু তোমায়,, তিলে তিলে বুঝবে তুমি কারণ (ডেভিল স্মাইল দিয়ে) #তোর_দিওয়ানা_শুধুই_আমি😈 💖

সে তার প্রিয়সীর ছবির মধ্যে নিজের ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করে বলে :: তোমাকে দেখলেই আমার রাগ চলে যায় এমন মায়াবী রুপ তোমার বিশেষ করে এই চোখজোড়া। তাই তো মাফিয়া কিং কোম্পানিতে এতো রুম এতো গার্লস থাকার শর্তেও তোমার সামনে এরা কিছুই না। ওহহ হ্যাঁ এখন নিজেকে ঠিক করতে হবে রাইট?? (ছবির দিকে তাকিয়ে থেকে নিজেকে নিজে বলে ব্রাশমার্কা স্মাইল দিয়ে তার সিক্রেট রুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমে এসে ফাস্ট এড বক্স বের করে হাতের কোণার মধ্যে বরফ দিয়ে কিছুক্ষণ চেপে ধরে। পরে সব রক্তগুলো ধুয়ে ব্যান্ডেজ করে বেডের উপর বসে হেলান দিয়ে থাকে )

সোহেল ছেলেদের ধরে নিয়ে আসে সম্রাটের গোডাউনে। তাদের কে একে একে সবগুলো কে চেয়ারের সাথে বেধে রেখে সম্রাটকে এসএমএস করে।

সম্রাট ফোনের সাউন্ড পেয়ে তাড়াতাড়ি পকেট থেকে ফোন বের করে এসএমএস দেখে ডেভিল স্মাইল দিয়ে সোহেল কে :: Im coming at 15mins okk.

সোহেল ::: ওকে বস।

সম্রাট নিজের কোট খুলে শাটের কলার ঠিক করে উপরের দুই বোতাম খুলে হাতের ফোল্ডার হোল্ড করে গাড়ির মধ্যে বসে গোডাউনের দিকে চলে আসে।

In Bangladesh💗




নিরু সোফার মধ্যে বসে রেস্টুরেন্টের মধ্যে তোলা পিকগুলো একের পর এক দেখে যাচ্ছে। সাথে সব পিকের সাথে সং এড। তামান্না তার মমের সাথে নাস্তা রেডি করছে। তাদের আব্বু মিস্টার আসহান দুইদিনের জন্য বিজনেস এর কাজের জন্য আমেরিকা ভিজিটে যান। ঘরের দেখভাল করার জন্য তামান্না আর মিসেস নাইমাই বেস্ট। বাকি বাসার পাহারা দে তাদের গার্ডস।

মিসেস নাইমা নাস্তা রেডি করে ফেললে তামান্নাকে বলে::: মা যা রেডি হয়ে নে ভার্সিটির জন্যে। বাকিটা আমি করছি তোর সাথে এডিটিং বোন টারে ও রেডি হতে বল। সারাক্ষণ শুধু এডিটিং এডিটিং। উফফ

তামান্না মুচকি হেসে নিজের মাথা নেড়ে কিচেন থেকে বের হয়ে নিজের রুমে যাওয়ার আগে তাসনিমের সামনে এসে ট্যাবটা ছু মেরে নিয়ে নে।

তাসনিম করুক নয়নে তামান্নার দিকে তাকায় আর বলে ::: দিই দাও না লাস্ট রুলের মধ্যে প্লিজজ। (বাচ্চাদের মতোন ফেস করে)

তামান্না শুনে গালের মধ্যে হাত রেখে ভাবার ভান করে বলে :: হ্যাঁ দিবো তবে একটা শর্তে।

তাসনিম::: ওকে তুমি যা বলবা তাই। আগে ওইটা দাও না।

তামান্না একজোটে বলে দে:: ওকে যা ফ্রেশ হয়ে খেতে আস তারপর পাবি। ততোক্ষণের জন্যে এটা আমার।(ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

তাসনিম মুখ গোমড়া করে বলে ::: পাম মেরেও লাভ নাই পটাইলেও লাভ নাই। করবো টা কি তোমার সাথে?? হুমমম (কোমরে হাত রেখে চোখজোড়া ছোট ছোট করে)

তামান্না :: আপাত কি করবি নিরুপমা বহিপীরের এক্সট্রা বউ যাও ফ্রেশ হয়ে আস। নইতো বহিপীর জেগে যাবে।

তাসনিম:: ধুর তুমিও এক ড্রামাবাজ।

তামান্না :: উহুহ যা এখন।

তাসনিম মুখ ফুলিয়ে চলে যায়। তামান্না মুচকি হেসে নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে তাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে থাকে। এমন সময় তার নজর পরে ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখা তাসনিমের ট্যাবের উপর। সেখানে একটা ছবি স্ক্রিনে ভেসে আসায় সে চমকে উঠে।

তামান্না তড়িঘড়ি করে ট্যাবের লক প্যাটান খুলে ওপেন করে পিকটা দেখে চোখ বড় বড় করে ফেলে। সে নিজে নিজে বিড়বিড় করে বলে ::: এই পিক নিরুর কাছে কি করে?? বাট তাকলেও এখনো কিছু বলেনি কেন?? তার মানে সে খেয়াল করেনি বেশ হয়েছে। এখনোই ডিলিট করে দেই।

তামান্না পিক ডিলিট করার পর পর তার রুমের দরজার মধ্যে নক পরে। সে ট্যাব টাকে সেখানে রেখে দরজা খুলতেই নিরু হাত বাড়িয়ে বাচ্চাদের মতো ফেস করে টেডি স্মাইল দে। তামান্না দেখে বুঝেই ট্যাবটা তার হাতে দিয়ে দে। সাথে রেডি হয়ে খেতে আসে।

তারা খাবার খেয়ে বেরিয়ে কলেজে এসে যা দেখে তা দেখে দুইজনের চোখ কপালে উঠে গেলো….

………..চলবে………😈

[বিঃদ্র ::: সরি গাইস লেইট লেইট কি করি স্টাডি প্লাস বিজি। যাক তাও দিয়েছি।। গল্পটা ছোট হচ্ছে বিজি থাকি তাই। তবুও যতোটুকু পারি সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করছি। হেপ্পি রিডিং😊]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here