#কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,পর্ব:১০
কলমে:ইয়াসমিন
দশ বছর পূর্বে সুলতান পরিবার বাংলাদেশে এসেছিল। তাছাড়া এদেশে ওদের পৈত্রিক ভিটামাটি আগে থেকেই ছিল। কহিনুরের চক্করে ওদের এদেশে সেটেল হতে একপ্রকার বাধ্য করেছিল। কক্সবাজারে রিসোর্ট ছাড়া ওদের কিছু হোটেল আছে। জার্মানিতে দুটো বাড়ি আর দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া কিছু পণ্য দ্রবের ব্যবসা আছে। আমদানি রপ্তানির কাজকর্ম। আরমান ফারুকী লুকিয়ে অস্ত্র আর গোল্ডের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সেটা জামসেদ কিছুটা জানে। সুলতান পরিবারের কাছে যেমন টাকা পয়সার অভাব নেই তেমনি অহংকার আর জমিদারি আনারও অভাব নেই। চাকচিক্যপূর্ণ জীবনের সঙ্গে ওরা জড়িত। বাড়িতে কাজের মানুষের অভাব নেই আবার পরিবারের সদস্যরা কেউ কারো ব্যাপার নিয়ে কোনো তর্কবিতর্কেও জড়াবে না। জুবায়ের ছাড়া অধরার সঙ্গে কেউ কখনও খারাপ ব্যবহার করবেনা অধরার এটা জানা আছে। বাড়ির বউকে যথেষ্ট মর্যাদা দেওয়া হবে তবে গোপনে হুটকরে ক্ষতি করতে দুবার ভাববে না । এটাই এই বাড়ির একমাত্র সমস্যা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এদের চলাফেরা নেই বললেই চলে। জুবায়ের এই জন্য আলাদা থাকে। তাছাড়া ঐশ্বর্য কাজের মেয়ের মেয়ে সেই হিসেবে এই বাড়িতে ওকে মেয়ের মর্যাদা দেওয়া সম্ভব না বলে জানানোর পরে ও বাসা আলাদা করে নিয়েছিল। আজ এক প্রকার বাধ্য হয়ে ঐশ্বর্যকে সুলতান ভিলাতে নিয়ে এসেছে। জুবায়েদ ওকে নিজের মেয়ে ভাবে কখনও পর ভাবেনি। কহিনুরকে বরণ করতে বেশ কিছু মেয়েরা ফুলের ডালি নিয়ে অপেক্ষা করছিল। ওরা গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করে অভ্যর্থনা জানানো হলো। আরমান ফারুকীর স্ত্রী একজন জার্মান মহিলা। উনি ভালো বাংলা বলতে পারেন না। তবে মোটামুটি পারেন। উনি অধরা আর কহিনুরকে বুকে টেনে নিলেন। অধরা প্রথমবার এই মহিলাকে স্পর্শ করলো। আগে তো দূরে দূরে থাকতো। আজ ভদ্রমহিলা বেশ খুশি হয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তাছাড়া জুবায়ের মম বলতে পাগল। এই বাড়িতে দুই বোন আর মমকে ও বেশি ভালোবাসে। এদের কাছে ও বিশেষভাবে ঋণী। অধরা আশেপাশে চোখ ঘুরিয়ে দেখছে। বিশাল আকৃতির দোতলা বাড়িটার নিচে নয়টা আর উপরে আট কক্ষ নিয়ে গড়ে উঠেছে। কহিনুরের জন্য কক্ষ সাজানো গোছানো হয়েছে। নতুন ফার্নিচার আনা হয়েছে। ঐশ্বর্যের চোখ ধাধিয়ে গেলো এদের কারবার দেখে। জুবায়েরের বাসা খারাপ না বেশ উন্নত কিন্তু ওর থেকে এটা হাজারগুণ সুন্দর। কহিনুরকে ওর বড্ড হিংসা হচ্ছে। বোবা একটা মেয়ে ও কি বুঝবে এসবের মর্ম? ডাইনিং রুমে ওদের বসিয়ে রেখে জুবায়েরের দাদু সামনে বসে গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
> এই বিশাল সম্পত্তির একমাত্র মালকিন আমাদের কহিনুর মা। আমাদের বংশের মেয়েরা রূপে গুণে অতুলনীয়। ওরা বোবা বধির হতে পারে কিন্তু বুদ্ধিহীন নয়। কথা না বলেও ওরা অনায়াসে স্বাভাবিক মেয়েদের চাইতে ভালো করে চলতে পারে। সে যাইহোক কহিনুরের জন্য শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে হবে। আমি দুজন মেয়েকে ওর দেখাশোনার জন্য বলে দিয়েছি। ওরা সব সময় কহিনুরের পাশে থাকবে। আমি কোনো অবহেলা সহ্য করবো না। সে রত্ন হয়ে জন্ম নিয়েছে। আমাদের বহু প্রতিক্ষার ফল আশাকরি সকলে তাঁর গুরুত্ব বুঝবে।।
অধরা বহুকষ্টে নিজের মুখটা বন্ধ রেখেছে। আচ্ছা করে কিছু কথা শুনিয়ে দিতে পারলে শান্তি লাগলো। অধরা চুপচাপ থাকলেও জুবায়ের বলে দিলো,
> দাদু তোমাকে কহিনুরকে নিয়ে ভাবতে হবে না। অধরা আছে ও দেখাশোনা করবে। আমিও সাহায্য করবো।
জুবায়েরের কথা উনার পছন্দ হলো না। উনি থমথমে মুখ নিয়ে বললেন,
> আমার কথার বাইরে একটাও কথা বলবে না। তোমার রুচি কতটা নিচে নেমেছে সেটা ভেবেই আমি হতবাক। চুপচাপ কক্ষে যাও।
জুবায়ের অপেক্ষা করলো না। রাগ করে হনহন করে সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলো। অধরা অবাক হলো না। শর্ট টেম্পার জুবায়ের ফারুকীর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জুবায়েরের বড় বোন কহিনুরকে কক্ষে নিয়ে গেলো। দাদু চলে গেছে। ডাইনি রুমে অধরা আর ঐশ্বর্য বসে আছে। অধরা ঐশ্বর্যের জন্য বসে আছে নয়তো জুবায়ের কাছে যাওয়াটা জরুরি ছিল। সকলে চলে যেতেই অধরা ঐশ্বর্যের হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে মমতার সহিত বলল,
> তুমি আমার আরেকটা মেয়ে। আমি কখনও কহিনুর আর তোমার মধ্যে তফাত খুঁজবো না। তুমিও আশাকরি আমাকে মম না ভাবলেও তোমার ড্যাডের স্ত্রী হিসেবে আমাকে মেনে নিবে। এই বাড়িটা দেখছো যতটা চাকচিক্যপূর্ণ এর মধ্যে ঠিক ততটাই কলঙ্ক জড়িয়ে আছে। কখনও চাকচিক্য দেখে ভূল করবে না। এই বাড়িতে প্রতি পদক্ষেপে বিপদ তোমাকে ঘায়েল করতে প্রস্তত থাকবে। আমি চেষ্টা করবো তোমাকে রক্ষা করতে তবুও সাবধানে থাকতে হবে। তুমি ভেবে দেখো এই বিশাল সম্পদের পাহাড় আর তোমার ড্যাডের মতো মানুষকে ফেলে আমি কেনো পালিয়ে গিয়েছিলাম? তোমার ড্যাড বাধ্য হয়ে আমাকে দূরে পাঠিয়েছিলেন। একদিন সব বলবো। চলো আমি তোমাকে তোমার কক্ষে পৌঁছে দিব। কিছু দরকার হলে আমাকে আর তোমার ড্যাডকে বলবে । এই বাড়ির কোনো গৃহকর্মী তোমাকে কোনো সাহায্য করবে না। এরা প্রচুর অহংকারী এটাতো জানো?
অধরা একদমে কথাগুলো বলে থামলো। ও ঐশ্বর্যকে বিপদে ফেলতে চাইছেনা। তাছাড়া ওর বলা সব কথা সত্যি। কিন্তু ঐশ্বর্যের একটুও পছন্দ হলো না। ওর হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,
> আমার কাজ আমি নিজেই করবো। চলে যাবো এখান থেকে। ড্যাড নিজের মেয়ে পেয়ে আমাকে ভূলে গেছে। কেউ আমাকে পছন্দ করে না।
ঐশ্বর্যের কথা শেষ হলো না তার আগেই জুবায়ের ওকে হাত ধরে উঠিয়ে দিলো। এতক্ষণ ও পেছনে দাঁড়িয়ে সব শুনছিল। ও ঐশ্বর্যের মুখটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলল,
> কহিনুরকে আমি ভালোবাসি কিন্তু তোমার থেকে বেশি না। একজন আমার র*ক্ত আরেকজন আমার হাতে বেড়ে উঠা ছোট্ট পুতুল। বাবা হিসেবে আমার প্রথম অনুভূতি তোমাকে ঘিরে। এসব আজেবাজে কথাবার্তা বলবে না। অধরা বা আমি কখনও তোমার খারাপ চাইবো না। কক্ষে চলো আমি এতোক্ষন তোমার থাকার ব্যবস্থা করছিলাম। আমার মায়ের দেখাশোনার দ্বায়ভার তো আমারি তাইনা? কহিনুরের জন্য এই বাড়ির অনেকেই আছে কিন্তু তোমার জন্য তোমার ড্যাড আছে। যে একাই একশো।
ঐশ্বর্য অভিমান করে থাকতে পারলো না। জুবায়েরকে ধরে কেঁদে ফেলল। অধরা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলল। এই মেয়েটার প্রতিটা চোখের পানির কারণ হওয়ার জন্য নিজের দোষী মনে হচ্ছে। জুবায়ের ওকে নিয়ে চলে গেলো। অধরাও পিছু হাটলো।
***********
ধরণী জুরে আধার নেমেছে। নিস্তব্ধ কক্ষে চুপচাপ বসে আছে অধরা। জুবায়ের ল্যাপটপ নিয়ে গভীর মনোযোগ দিয়ে কিছু করছে। অধরা বেলকনিতে আছে বসে আছে সেদিকে ওর খেয়াল নেই। জার্মান থেকে আসার পরে আয়াতের সঙ্গে অধরার আর যোগাযোগ হয়নি। ছেলেটা কেমন আছে ভাবতেই হঠাৎ নিজের ছোট ননদের কথা ওর মনে পড়লো। মেয়েটার সঙ্গে ওর দেখা হয়নি। মেয়েটার জন্য ওর প্রচণ্ড চিন্তা হচ্ছে । অধরা আর বসে থাকতে পারলোনা। কক্ষে ফিরে এসে জুবায়েরের থেকে ল্যাপটপ কেড়ে নিয়ে ওর সামনে বসে পড়লো। জুবায়ের বিরক্ত হলো না বরং বাঁকা হেঁসে ভ্রু নাচিয়ে বলল,
> কি ব্যাপার বউ কি আজ রোমান্টিক মুডে আছে? কি সৌভাগ্য আমার। ভয় হয় তুমি তো আবার ঝামেলা ছাড়া কাছে আছো না।
জুবায়ের শেষের কথাটা বেশ আক্ষেপ নিয়ে বলল। অধরা ভ্রু কুচকে বিরক্তির সহিত বলল,
> ভূতের সঙ্গে নিত্য করে রোমান্টিকতা ভূলে গেছি। আপনার মনে তো এসবই চলে। বউ ছাড়া এতদিন ছিলেন কেমনে?আমার তো সন্দেহ হচ্ছে।
জুবায়ের অধরাকে দুহাতে নিজের দিকে টেনে নিয়ে বলল,
> এতকাল কষ্টে ছিলাম বলে এখনো কষ্টে থাকবো নাকি? এখন শুধু রোমান্স করবো। কাজকর্ম সব বাদ।চলো হানিমুনে জার্মানি থেকে ঘুরে আসি।
অধরা ঠোঁট উল্টে বলল,
> একেই বলে বুড়ো বয়সের ভিমরতি। যে জন্য আপনার কাছে আসা। বাড়িতে সবাইকে দেখলাম কিন্তু আপনার বোনকে দেখলাম না কেনো? ওর সঙ্গে কি হয়েছে? আপনার সঙ্গে থাকার কথা ছিল ওর। মেয়েটা আপনাকে ভীষণ ভালোবাসতো। আমি ওর সঙ্গে দেখা করতে চাই।
অধরার কথা শুনে জুবায়ের হাসিখুশি মুখটা এবার থমথমে হয়ে গেলো। চোখ বন্ধ করে অধরার কাধে মুখ রেখে বলল,
> ওকে দেখলে তুমি সহ্য করতে পারবে না। বাদ দাও ওর কথা। আমি পারিনি আমার বোনকে ভালো রাখতে।তুমি চলে যাওয়ার পরে ও আমার থেকে দূর চলে গেলো।কাছে ছিল কিন্তু ছুঁয়ে দেখতে পারিনি। বোনের দুঃখ দূর করতে পারিনি। যাকে আমি আগলে রেখে মানুষ করেছিলাম তাকে ওই পি*শা*চরা টার্গেট করলো আর ধ্বং*স করে দিলো আমার বোনটাকে।
জুবায়ের চোখে পানির ফোয়ারা। অধরা কেঁদে ফেলল মেয়েটার সেই মায়াময় মুখের কথা ভেবে। এর ইচ্ছা করছে এই সুলতান ভিলাটাকে ধ্বং*স করে দিতে। মেয়েগুলোকে কিভাবে পারলো এরা কষ্ট দিতে। এতো ভালোবাসা সব লোক দেখানো। কহিনুরের কথা ভেবে অধরা অস্থির হয়ে উঠলো। নিজেকে স্থির করতে পারছে না। জুবায়েরকে সরিয়ে দিয়ে বলল,
> আমাদের মেয়েটার কি হবে? কিভাবে কাটবে এই অভিশাপ? আমি ম*রেই যাবো ওর কিছু হলে। কোনো অর্ধ মানব পি*শা*চের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া সম্ভব না। কখনও না।
জুবায়ের অধরার হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে ওর চোখের দিকে তাঁকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ তারপর বলল,
> কিছু হবে না। কহিনুর কোনো সাধারণ মেয়ে না। ওর অভিশাপ কেটে যাবে সেদিন যেদিন ও সেই পাথরটা নিজের সঙ্গে বিলীন করে নিবে। ওটা ভাইয়ের কাছে আছে।আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু পাইনি নিতে। ভেবো না আমি আছি তো। প্রাণ দিয়ে তোমাদের সবাইকে রক্ষা করবো। কখনও ছাড়বো না তোমাদের হাত। একা থাকার যন্ত্রণা নিয়ে আর বাঁচতে পারবো না। হৃদয় দুর্বল হয়ে গেছে। সাহস নেই আমার।
অধরা ছলছল চোখে জুবায়ের কথাগুলো শুনলো। মন ভীষণ খারাপ হলো। কিভাবে যে এতকাল আলাদা ছিল ভেবেই যন্ত্রণা হচ্ছে। ও জুবায়ের গায়ে হেলান দিয়ে বলল,
> যাদের জন্য আমাদের এতগুলো দিন নষ্ট হলো কাউকে ছাড়বো না। দেখে নিয়েন এদিকে সব পাপের বিচার হবে।
জুবায়ের কথা ঘোরানোর জন্য বলল,
> দেখেছো আমি কত রোমান্টিক মুডে ছিলাম আর তুমি আমাকে কোথায় নামিয়ে আনলে? আর কোনো কথা হবে না। বউ না রোবট আমার। ঘুমাতে হবে বিছানায় চলো।
জুবায়ের ওকে কথা বলার সুযোগ দিলো না কোলে উঠিয়ে বিছানায় চলে গেলো। বাইরের বাগান থেকে নিশাচর পানির আওয়াজ ভেসে আসছে। দৃষ্টির অগোচরে কক্ষের বাইরে অদৃশ্য চোখ শিকারের আশায় ছুটে চলেছে।
*************
নতুন পরিবেশে এসে কিছুতেই ঐশ্বর্যের ঘুম আসছে না। জুবায়ের ওর কক্ষটা ওর পছন্দসই করে সাজিয়ে দিয়েছে। অধরা নিজ হাতে ওর ডিনার আর পোশাক সাজিয়ে দিয়ে গেছে। ভদ্রমহিলাকে যতটা খারাপ ভেবেছিল ততটা না। বরং বেশ ভালো। হটাৎ পরিচয় তাই মানতে কষ্ট হয়েছিল তাছাড়া রাগ ওর কহিনুরের উপরে। ওই মেয়েটার জন্য ওর ভাগ্য বদলে গেছে। জুবায়ের ওকে যথেষ্ট ভালোবাসা দিলেও ওর সহায় সম্পত্তির মালিক এই মেয়েটা। সেখান থেকে ও একটা পয়সাও পাবে না। এই বাড়িতে যা কিছু আছে সব কহিনুরের। ঐশ্বর্য কথাগুলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ কিছু মনে হতেই বাইরে বেরিয়ে আসলো। ডাইনিং রুমে লাল সবুজ আলো জ্বলছে। লোকজন নেই কেমন গা ছমছমে পরিবেশ। পশ্চিম দিকের শেষ কক্ষে থাকে কহিনুর। ওর পাশ দিয়ে ছাদে উঠার সিঁড়ি। ঐশ্বর্য পা টিপে টিপে সামনে এগিয়ে চলল। জুবায়ের কক্ষ পেরিয়ে গেলো। হাটতে হাটতে কহিনুরের কক্ষের সামনে এসে উপস্থিত হলো। দরজা হালকা খোলা দেখে ও ভেতরে সামান্য উঁকি দিয়ে চমকে গেলো। চমৎকার করে দামি দামি আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো কক্ষ। আরেক দফায় আফসোস হলো কেনো জুবায়ের ফারুকীর নিজের মেয়ে হলো না ভেবে। এত কিছুর মধ্যে ওর খেয়াল হলো পালঙ্কে কহিনুর নেই। মেয়েটা কোথায় গেলো ভেবে ওর ভ্রু কুচকে গেলো। এমন সময় ঠুকঠাক করে আওয়াজ ছাদ থেকে শব্দ ভেসে আসলো। ঐশ্বর্য চমকে উঠে দরজা বন্ধ করে সিঁড়িতে পা রাখলো। মনে হচ্ছে উপর থেকে ফিসফিস কথা বলার আওয়াজ হচ্ছে। প্রশ্ন জাগলো এতো রাতে ছাঁদে কে আছে?
চলবে
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।