তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎 #My madness love😍 #লেখিকা_তামান্না #পার্ট_22(Closeness 🙈)

0
368

#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_22(Closeness 🙈)

নীল দুই হাত বুকের অপর গুজে মেয়েটার সামনে দাড়িয়ে রইলো। সে মেয়েটার কান্ড দেখে যাচ্ছে। কিন্তুু কিছু বলতে পারছে না। তার একহাতে গার্ন থাকায়।
নীল বেশি বিরক্ত হয়ে যাওয়ায় মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রেগে বলে….

নীল :::: Excuse me ms…আপনি কে আর এখানে কেনো আনতে বললেন??(রেগে দাতঁ কটমট করে)

মেয়েটা শুনেও না শুনার ভান করে নিজের কাজ করতে থাকে। সে গাড়ির মধ্যে সব জায়গা চেক করতে থাকে। নীল দেখলো মেয়েটা তার কথার কোনো জবাব দিচ্ছে। সে এবার রেগে তার সামনে এসে বলে….

নীল :::: এই মেয়ে তোমাকে বলছি কানে কি কম শুনো?? (ভ্রু নাচিয়ে চোখজোড়া রেগে লাল করে)

মেয়েটা তাও গাড়ির মধ্যে সব জায়গা চেক করেও একটা জিনিস পাইনি দেখে হতাশ হয়ে বের হতে লাগলেই তার চোখ আটকে যায় সিটের পাশে থাকা ছবির দিকে। যা সে কবে থেকেই খুঁজে যাচ্ছিলো।
সে শয়তানি হাসি দিয়ে উৎফুল্ল হয়ে ছবিটা হাতে নিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়।

নীল এতোক্ষণ মেয়েটাকে তেমন খেয়াল করি নি। এখন ঠিকভাবে দেখে সে অবাক মেয়েটা জিন্স শার্ট পরা মুখে মাস্ক। নীল মেয়েটাকে দেখে বলে….

নীল::: তোমাকে চেনা চেনা লাগতেছে তুমি আসলে কে?? আমি কি তোমাকে চিনি!(সন্দেহের ভঙ্গিতে)

মেয়েটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে ::: চিনবে না তবে তোমার ভালোর জন্যে আর নিজের লাভ-ক্ষতি বিবেচনা করে আমি তোমার সাথে ডিল করতে চাচ্ছি! (দুইহাত পকেটে গুজে)

নীল চোখ ঘুরিয়ে বলে ::: আমি আগেও বলেছি অপরিচি……(বাকিটুকু বলার আগেই মেয়েটা নিজের হাত দেখিয়ে স্টোপ করিয়ে দিয়ে বলে)

মেয়েটা ::: আমি কে পরে জানবা ! কিন্তু তুমি কে? সেটা ভালো করে জানি! সো চালাকি বোকামি ভন্ডামি না করে আসল কথায় আসো!(শয়তানি হেসে নিজের এটিটিউট লুক দেখিয়ে)

নীল একদীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ রাঙিয়ে বলে ::: বলো কিসের ডিল?? কেনো?? কি করতে হবে??

মেয়েটা বাঁকা হেসে নিজের সানগ্লাস খুলে শার্টের উপর গুজে দেয়। নীল মেয়েটার চোখগুলো দেখে মনে মনে বলে…..

নীল ::: এই কোন শএু আবার হাজির হলো?? একে তো চেনা চেনা লাগছে? কিন্তু কেন?? (ঠোঁট বাঁকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে)

মেয়েটা ::: এতো আমি কে তা না ভেবে কাজে ফোকাস করলে ভালো হবে। শুনো তোমার আমার উদ্দেশ্য একটাই তামান্না আর সালমানকে আলাদা করা।

নীল শুনে অবাক নয়নে তার দিকে তাকিয়ে বলে ::: তামান্নার কথা বুঝলাম তবে সালমান?? এর নাম কেনো নিয়েছো!? তামান্নার জন্যে পাগল তো সম্রাট?

মেয়েটা শুনে হু হা করে হাসতে লাগে। নীল মেয়েটাকে আর তার কথাগুলো বুঝার চেষ্টা করতেছে।

🌿🌿

তামান্নার মাথা প্রচুর ব্যথা করায় পা পিছলে পড়ে যেতে লাগলেই সালমান তাকে ধরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়। তামান্না কিছুটা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় সে তাকে উঠিয়ে নৌকার এক কোণায় শুয়ে দিয়ে পাশে রাখা পানি তাকে খাওয়ায়। সে পানি খেয়ে কিছুটা হালকা ব্যথা অনুভব করে। নিজেকে সুস্থ অনুভব করে সে উঠতে চাইলে দেখে কেউ যেনো তাকে আকঁড়ে ধরে আছে।

তামান্না মিট মিট চোখ খুলে দেখে ভোল্টেজের মতো শকড খাই।

সালমান তামান্নার কোমর ধরে আকঁড়ে রাখে। কিন্তু তামান্না তো নাছোড়বান্দা। সে ছুটাছুটা করতে লাগে। সালমান তাও তাকে খুব শক্ত ভাবে ধরে রাখে। বেচারি তামান্না বেহাল হয়েও ছাড়তেছে না চেষ্টা।

তামান্না আর না পেড়ে কিছুটা দূরত্ব বজায় তাকে জড়িয়ে থাকে। কিন্তুু সালমান এতে মুখ বাঁকিয়ে মনে মনে বলে….

সালমান ::: এই মেয়েকে এখন কিভাবে বুঝায়? আমি কি চাই সে কি করে !(চোখ ঘুরিয়ে)

তামান্না একরাশ বিরক্ত নিয়ে বলে ::: এই আপনি আমাকে নিজের বউ পেয়েছেন যে এভাবে চেপে ধরবেন? পাবলিক প্লেসেও ধরেছিলেন এখন আবার এখানে! (চোখজোড়া ছোট করে অভিমান করে মুখ ফুলিয়ে বলে)

সালমান শয়তানি হাসি দিয়ে বলে ::: উফফ বেবি আগে বলবা না তুমি চিপা গলিতে যেতে চাও! আমি কিন্তু দুইপায়ে রাজি!

তামান্না ইয়া চোখজোড়া বড় বড় করে সালমানের দিকে তাকিয়ে বলে ::: What nonsense?? কিসব বলছেন ! আমাকে দেখে কে চিপা গলির মেয়ে লাগে??

সালমান ::: আমি কি বলছি তোমাকে লাগে?? আমি তো যাস্ট আমার মনের কথা বললাম! তুমি চাইলে নৌকা থেকে নেমে সোজা চিপা গলির মধ্যে ঢুকে…..(বাকিটা বলতে গিয়ে মুচকি মুচকি হাসি দেয়)

তামান্না লজ্জা প্লাস রাগে মনে মনে বলে ::: উফফ নিজের কথায় নিজেই ফাসা হলো। পাগলে ধরছে। মনে হচ্ছে। এখন এই ইয়া বড় খাম্বা খটাস এর জামেলা থেকে কিভাবে বাঁচি!

সালমান ::: বাচঁবা না আমাকে ছাড়া!(মুচকি হেসে)

তামান্না :::: উহহ ঢং মার্কা কথা (ভেংচি মেরে)।

তামান্না এবার জোর দিয়ে সরতে চাওয়ায় সালমান রেগে ফায়ার হয়ে যায়। সে তার দিকে চোখগরম করে রেগে গর্জন দিয়ে উঠে।

সালমান :::: এই মেয়ে তোরে কি বলি কানে যায় না?? একদম সরবি না বলছি। সরার চেষ্টা করলে এখনই খুন করে নদীতে ফেলে দেবো(চোখজোড়া লাল হয়ে যায়)

তামান্না তার এমন কথা শুনে চুপ মেরে যায়। মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে বসে পড়ে। সালমান তাকে মুখ গোমড়া হতে দেখায়। নিজেকে নিজে বলে…..

সালমান ::: ধ্যাত খামখা এতো বলে ফেললাম। সে কি জানে?? আমি তাকে কেনোই বা কাছে টানছি? (উদাস ফেস করে)

সে নৌকার একপাশে বসে তামান্না কে আড়চোখে দেখে

🎶সে কি জানেএএ আজ
তুই কথা বলিস আমার সাথে মনে মনে,🎶

🎶প্রতিদিন বেরঙিন
সে কি তোর কথা ভাবে, আমার মতোন করে 🎵

🎵তোর চিঠি কিসে পড়ে,
একমনে মাঝরাতে একটু মুচকি হেসে
তোর কাছে চলে যাওয়া সে তো যাওয়া নয়
দেখা হবে স্মৃতির গভীরে🎶

তামান্না অন্যদিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দেয়। সালমান দেখে সেও মুচকি হেসে উঠে তার কাছে এসে নিজের হাত বাড়িয়ে দেয়। তামান্না মুখে স্মাইল রেখে তার হাত ধরে উঠে কাধে হাত রাখে। সালমান তার মুখের দিকে তাকিয়ে….

🎶সে কি জানে
অভিমানে তোকে হাসাতে
সে কি পারে বুকে ধরে তোকে ভুলাতে🎵

🎵তোর প্রিয়গান গেয়ে কে শুনাবে
বল আমার থেকে কে তোকে ভালো জানে🎶

তামান্নার একহাত ধরে দূরে ঠেলে নিজের কাছে এনে একবার ঘুরিয়ে তার পিঠ নিজের বুকে দিয়ে সালমান….

🎶ইশারাতে খুজেঁ
বেড়ায় তোকে স্বপ্নে তোর নামমম
ডেকে হেসে ফেলি আনমনে এএ 🎵

🎶কে নিয়ে যাবে তোকে
রুপকথার দেশে বল আমার থেকে কে
তোকে ভালো জানে🎵

🎶বল আমার থেকে কে
তোকে ভালো জানে🎵

তামান্নাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে তার থুতনি তুলে গেয়ে যায়। সে লজ্জা পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। সালমান যেনো এই মুহুর্ত এর অপেক্ষায় ছিলো। সেও তাকে
আকঁড়ে ধরে।

সালমান তাকে বুকে জড়িয়ে কিছুক্ষণ অনুভব করতে থাকে। তামান্না তার এক এক হৃদয়ের ডিপ ডিপ করা হার্টবিট শুনতে পাচ্ছে। এই স্পন্দন যেনো তার চিরচেনা। যা সে বুঝতে পারছে না।

সালমানের চোখ থেকে আনমনেই এক-দুইফুট অশ্রু ঝড়ে পড়ে। যা তামান্নার কপালে গড়িয়ে পড়ে। সে অনুভব করে তার মাথা যেনো ভিজে যাচ্ছে এমন।

তামান্না মাথা উঠিয়ে দেখে সালমানের চোখজোড়া নয়নে ভরে গেলো। শুধু পড়ার বাকি কিন্তু ছেলেরা যে কাঁদতে পারে না তাই সেও নিজের চোখের অশ্রু ঝরা মুছে ফেলে।

তামান্না তার পাশে বসে বলে ::: আপনি কান্না করতে….(বাকিটা বলার আগেই সালমান বলে)

সালমান :::: কিছু মনে পড়লো? (ভ্রু কুচকে)

তামান্না অবাক হয়ে বলে ::: কি মনে পড়বে??

সালমান কিছুক্ষণের জন্যে ইমোশনাল হয়ে পড়ছিলো। সে স্বাভাবিক হয়ে আমতা আমতা করে বলে ::: আইমিন কিছু খাবা?? ক্ষিদা লাগছে অবশ্যই !
তোমাকে এভাবে বেধে আনলাম সাঝসকালে কিডনাপিং(দুষ্টুমি হেসে)

তামান্না হা করে চোখজোড়া গোল করতে চাইলেই সালমান বলে ::: উফফ এছে না মুজে তুম দেখো,, কন্ট্রোল হবে না (বুকের বামপাশে হাত রেখে)

তামান্না লজ্জা পেয়ে চুপ মেরে যায়।

🌿🌿

নিরু গাছের ধারে বসে আছে। আবার ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে তার বোন তামান্না ফোন করে কিনা। কিন্তু প্রতিবারই অসহায় এর মতো মুখ ফুলিয়ে ফেলে।
হঠাৎ করেই ভুওওওওওওওও।

নিরু ::: আআআআআআআআ। বসা থেকে উঠে দেখে পিছে নিলা দাঁড়িয়ে আছে। নিরু রাগে বোম সে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে বলে ::: আপ্পি এভাবে কেউ ভয় লাগাই আমার প্রাণ তো যায় যায় অবস্থা ছিলো।

নিলা হু হা করে হেসে বলে :: কি গো ননদ ভয় পেলে নাকি?

নিরু মুখ ফুলিয়ে বলে ::: না পাই নি উহহ ! ভয় পাবে আমার শএু।

নিলা নিজের মাথা নাড়িয়ে বলে ::: হুমম দেখলাম তো।

নিরু নিলাকে কথা বলতে দেখে রোয়েন তাদের এখাপে আসে বলে :::: Excuse me ! আমি কি আসতে পারি??

নিরু ::: উহ মেয়েদের মাঝে ঢুকে আবার বলে আসতে পারি!(চোখ ঘুরিয়ে এটিটিউট ভাব এনে)

রোয়েন ::: Never mind!

নিরু ::: উহহ মাইন্ড আমরা করি না। We are free minder..

রোয়েন ::: তো আমি কবে বললাম আমি মাইন্ড করি?? I’m also pro max free minder(সানগ্লাস লাগিয়ে) নিরু তার সানগ্লাস এর লুক দেখে ফিদা হয়ে যায়। তবুও নিজেকে সামলিয়ে মুখ ঘুরিয়ে বলে ::: তো এখানে কি চান??

রোয়েন ::: কিছু না তোমার সাথে রোমান্স…..(বাকিটা বলতে গিয়ে চুপ করে বলে ) নিরু নিলা চোখজোড়া বড় করে তার দিকে তাকায়। নিলা তো মুচকি মুচকি হেসে বলে::: আব তোমরা কথা বলো গাইস! আমি একটু আমার জান নীল সাহেব এর সাথে দেখা করতে যায়।

নিরু নিজেই চোখজোড়া গোল করে নিলার দিকে তাকাতেই নিলা তাকে চোখ টিপ মারে। সে নিলার হাত ধরে নাসূচক মাথা নাড়ায়। কিন্তুু নিলা কোনোভাবে নিজেকে ছাড়িয়ে তাদের একা থাকতে দিয়ে কলেজের ভেতরে ঢুকে।

রোয়েন নিরু কিছুক্ষণ চুপ থাকে। এতে রোয়েনের বিরক্ত লাগায় সে নিরবতা ফেলে বলে ::: চলো লং ড্রাইভে যায়।

নিরু প্রথমে না করলেও রোয়েনের অনেক রিকুয়েস্ট করায় তার সাথে রওনা দেয়।

রোয়েন গাড়ি পার্ক করে সাথে সাথে নিরুর চোখে কাপড় বেঁধে দেয়। আচমকা এমন করায় নিরু কিছুটা ঘাবড়ে যায়। সে আমতা আমতা করে বলে ::: আ….আমার চোখ বাঁধলে কেন??

রোয়েন মুচকি হেসে বলে ::: ডোন্ট ওয়ারি কিছু করছি না যাস্ট সারপ্রাইজ।

রোয়েন কিছুক্ষণের মধ্যে নিরুকে একজায়গায় এনে দাঁড় করিয়ে বলে ::: এখন নিজে চোখের কাপড় খুলে ফেলো।

নিরু সাথে সাথে কাপড় সরিয়ে দেখে তারা এক সমুদ্রের কিনারায় এসেছে। অনেকপাখি সেখানে বসে গল্পের জগতে পাড়ি জমাচ্ছে। দিনের হালকা রোদ যেনো সেখানে উজ্জ্বলতা প্রকাশ করছে। নিরু মুচকি হেসে পিছে ফিরে দেখে রোয়েন গিটার হাতে নিয়ে….

🎶তেরে মেরে সাবনে সাবিইই
তেরে মেরে সাবনে সাবিই
বান্দে আখোখে তালে মেহে
চাবি কা ঢুডে ইয়ে বাতা🎵

নিরুর চারপাশে ঘুরে মুচকি হেসে গেয়ে যায়। গিটার রেখে এসে নিরুর হাত ধরে একপা দুইপা ডানবাম স্টেপ করে ফানি ডান্স করে।

🎶হ চান্দে কি পিয়ালে মে হে
ফিরবি সাবনে কার দিখাও সাজ
তো
কেহনা ব্যস ইয়াহিইই

নিরুকে একবার ঘুরান দিয়ে হাত ছেড়ে নিজের হাটু ঘেরে বসে দুই হাত খুলে নিরুর দিকে চেয়ে বলে….

🎶মে তেরে কাবিল হু ইয়া
তেরে কাবিল নাহি
মে তেরে কাবিল হু ইয়া
তেরে কাবিল নাহি🎵

নিরু মুচকি হেসে তার একহাটুর উপর বসে বলে এই পাগলী কে কিন্তু সারাজীবন আকঁড়ে রাখতে হবে(ঠোঁট উল্টিয়ে টেডি স্মাইল)

রোয়েন সেভাবেই তার কোমর জড়িয়ে ধরে বলে :: যো হুকুম মেরে জান।

………..চলবে………..

[বিঃদ্র::: এখন গল্প ঠিকই বুঝতে পারবেন। মেয়েটা সালমানকে হয়তো সম্রাট বুঝাছে। যা নীল বুঝতে পারছে না। আমার যা মনে হচ্ছে তাই আপনাদের কাছে বললাম। কারণ এদের ইতিহাসের অর্ধেক খুলতেছে। অতি শিঘ্রই চলে আসতেছে ডেন্জারাস পার্ট। মেয়েটার আসল কাহিনি কি জানতে পড়তে থাকুন। হেপ্পি রিডিং ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here